চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় তামান্না আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূর লাশ তার শ্বশুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তবে পরিবারের লোকজন বলছে তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশারাবাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তামান্না আক্তার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামের ফজর পাড়ার মৃত নান্নু মিয়ার মেয়ে। ১৪ বছর আগে তামান্না আক্তারকে কসবার বিশারাবাড়ি মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের কাছে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। তাদের সংসারে আনিকা (১২) ও সিয়াম (২) নামে দুটি সন্তান আছে।
তামান্নার চাচা ওমর ফারুক অভিযোগ, যৌতুকের জন্য স্বামী আনোয়ার ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য লোকজন তামান্নাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তাকে হত্যার পর মুখে বিষ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত সহযোগিতা দাবি করেন ওমর ফারুক।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় যাত্রী বেশে গাঁজা পাচারের সময় মো. জসিম (৪৭) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল ১৫ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কসবা উপজেলার কুটি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহাম্মেদ।
গ্রেফতার মো. জসিম কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের কালতা (দিঘিরপাড়) গ্রামের শিরু মিয়ার ছেলে।
ওসি রাজু আহাম্মেদ বলেন, সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পাই উপজেলার কুঠি চৌমুহনী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু লোক যাত্রী বেশে গাঁজা বহন করছে। পরে বাসস্ট্যান্ডের কাজি পরিবহন বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও বস্তা তল্লাশি করে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ সরকার, সোহেল মিয়া ও নজু মিয়া নামে তিন জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ১৪৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও মোঃ আশিক মিয়া (২৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আশিক মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ আশিক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আশিক মিয়া হরিপুর গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় মাদক ব্যবসায়ী আশিক মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে তার বাড়ির বাথরুমে মজুদ করা ১৪৫ কেজি গাঁজাসহ আশিক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় কসবা থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ হ্যাক করে একাধিক অশ্লীল ভিডিও পোস্ট করে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ৩ নভেম্বর শুক্রবার এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে সচেতনতার জন্য ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।
তিনি লিখেন, আমার ফেসবুকের সব বন্ধুরা, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজটি (Mohammed Mohiuddin Ppm) হ্যাক হয়েছে। যাতে অপ্রত্যাশিত কিছু ভিডিও ছাড়া হচ্ছে। দয়া করে কেউ বিচলিত হবেন না। দ্রুতই দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত একটি আইডি ও একটি পেজ আছে। আজ আমার পরিবারের সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ফোন করে জানায়, আমার পেজটিতে আপত্তিকর ভিডিও ছাড়া হচ্ছে। তারপর বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এ ধরনের ঘটনা বিব্রতকর।
ওসি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমার ফেসবুক আইডিতে সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়েছি, যেন কেউ বিচলিত না হন। এছাড়া এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আশা করছি অচিরেই দুষ্কৃতকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেছেন, তারা হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এসময় আইনমন্ত্রী অ্যাড: আনিসুল হক বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
এ সময় কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে আগের মতো কারাদণ্ড স্থগিত রেখে আবারও শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় এক সভায় তিনি এ কথা জানান।
আনিসুল হক বলেন, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার জামিনের ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হবে। তাকে আগের মতো কারাদণ্ড স্থগিত রেখে আবারও শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমতি না নিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে সরকারের পদে থেকে সরকার সম্পর্কে মিথ্যাচার করেছেন। সর্বশেষ তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলকে না জানিয়ে অপবাদ দিয়েছেন। সেই দোষে তিনি দোষী। আমরা তিন দিন অপেক্ষা করেছি, তিনি পদত্যাগ করেননি। সেজন্য তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।