আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতালে ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে ১৩ জন। অঞ্চলটির শাসনগোষ্ঠী হামাস সরকার আজ ১০ নভেম্বর শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় গাজা শহরের আল-শিফা কম্পাউন্ডে এদিন ইসরাইলি হামলায় ১৩ জন নিহত এবং ডজন খানেক আহত হয়েছে। তবে এ পরিসংখ্যান তাৎক্ষণিকভাবে স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেছেন, ইসরাইলি ট্যাংকগুলো আল-শিফা হাসপাতালে আক্রমণ চালায়। তবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
৩২ বছর বয়সী আবু মোহাম্মদ ১৫ জন আত্মীয়সহ হাসপাতালটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গাজা শহরের উত্তর-পূর্ব অংশে তার আশপাশের এলাকায় বোমা হামলার শিকার তিনি।
আবু বলেন, কোনো নিরাপদ জায়গা অবশিষ্ট নেই। সেনাবাহিনী আল-শিফায় আঘাত হানে। আমি জানি না কি করা উচিত। হাসপাতালে গুলি চলছে…আমরা বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ট্যাংকগুলো গাজা শহরের আরো কিছু হাসপাতাল ঘেরাও করেছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে কয়েক হাজার লোককে অঞ্চলটির দক্ষিণে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে ইসরাইল।
এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, ভোরবেলা শহরের ওপর দিয়ে আগুনের গোলা ও ধোঁয়া উঠছে। শুক্রবারের প্রথম দিকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরাইল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কাছে ভারী লড়াইয়ের খবর দিয়ে বলেছে, তারা কয়েক ডজন যোদ্ধাকে হত্যা করেছে এবং সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে, যা হামাসের লড়াইয়ের ক্ষমতার চাবিকাঠি।
এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী বারবার হামাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলার সমন্বয় সাধনে হাসপাতাল, বিশেষ করে আল-শিফা ব্যবহার করে হামাস। পাশাপাশি এটি হামাস কমান্ডারদের আস্তানা হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগও করেছে তারা। হামাস কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে হামলা চালালে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়। সেই সঙ্গে তারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। এরপর ইসরাইল যুদ্ধ ঘোষণা করে। হামাসকে ধ্বংস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ইসরাইল বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালিয়ে প্রতিশোধ নিচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক এবং তাদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিধ্বংসি দাবানলের মধ্যে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৪৯ বছর বয়সী জোলি সম্প্রতি জানান, তিনি এই সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকা থেকে সরে যাওয়া বন্ধুদের জন্য তার বাড়িটিকে উন্মুক্ত করে রেখেছেন। সেইসাথে তিনি সবাইকে এই বিপর্যয়ে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
একটি সূত্র পিপল ম্যাগাজিনকে জানায়, অ্যাঞ্জেলিনা খুবই দুঃখিত হয়েছেন বাড়ি হারিয়েছেন যারা তাদের জন্য। অনেকে আছেন যারা নিঃস্ব হয়েছেন। দাবানলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এমন সবার পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
৭ জানুয়ারি প্যাসিফিক পালিসেডস থেকে শুরু হওয়া দাবানল ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ১০ হাজারেরও বেশি স্থাপনা, যার মধ্যে বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত- ধ্বংস হয়ে গেছে। এই দাবানল ৮০ হাজারেরও বেশি বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে। তাদের মধ্যে আছেন লেইটন মিস্টার, প্যারিস হিলটন, জেমস উডস, অ্যাডাম ব্রডি, ম্যান্ডি মুর, আন্না ফ্যারিস, রিকি লেকের মতো সেলিব্রিটি।
১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, দাবানলের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এই দাবানল লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাসের অন্যতম সবচেয়ে বিধ্বংসী দাবানল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এমন সময়ে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এই মহানুভবতা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। এছাড়াও জানা গেছে, অনেক সেলিব্রিটিই ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন। সে তালিকায় আছেন হ্যালি বেরি, শ্যারন স্টোনরা। তারা আর্থিক সহায়তা নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন। জেমি লি কার্টিস এবং তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার দান করতে দিয়েছেন প্রতিশ্রুতি।
ডেস্ক :
যদি আপনার কাছে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মেয়েরা কোন দেশের। তবে শেষ পর্যন্ত অল্প যে কয়টি দেশের মেয়েদের চেহারা ভেসে আসবে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ধরবেন নিশ্চয়ই তুরস্কের মেয়েদের। হ্যাঁ, আসলেই তারা অনিন্দ্য সুন্দর। দেশটির মারিয়াম ওজরেলি, হান্দে আর্সেল ও হাজেল কায়ার মত অভিনেত্রীদের পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর নারী হিসেবে গণ্য করা হয়। শুধু দেশটির নায়িকাই নয়, সাধারণ মেয়েরাও একেকজন অনিন্দ্য সুন্দর। তাদের চুল, চোখ, ত্বক, বডি শেপ সবমিলিয়ে তারা এতই সুন্দর যে, যে কোনো অবস্থাতেই তারা আবেদনময়ী। তারা কি জন্মগতভাবেই এত সুন্দর নাকি এ পেছনে রয়েছে অন্য রহস্য? তুরস্কের মেয়েরা এত সুন্দর হয় কেন? সৌন্দর্য ধরে রাখতে কি কি পন্থাই বা অবলম্বন করে- এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন এবি। তাদের সৌন্দর্যের রহস্য উদঘাটনও করেছে তারা। এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে ম্যাগজিনটিতে।
ম্যাগাজিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, তুর্কি মেয়েদের সাধারণ রূপচর্চার পাশাপাশি কিছু সিক্রেটও আছে যার বদৌলতে তারা এত সুন্দর। তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলের মেয়েদের মধ্যে পরিস্কার ত্বকের মধ্যে রোদের মত সোনালী আভা দেখা যায়। দেশটির কৃষ্ণসাগর তীর অঞ্চলের মেয়েদের পরিস্কার ত্বকের পাশাপাশি সোনালী কিংবা বাদামী রঙের চুল দেখা যায় যা তাদেরকে অনিন্দ্য সুন্দর মেয়ে হিসেবে আলাদাভাবে দাঁড় করায়। তাছাড়া কালো চোখের পাশাপাশি সবুজ ও নীল রঙের চোখ সবার দৃষ্টি কাড়ে। অন্যদিকে, ইস্তাম্বুল ও ইজমীরের মেয়েদের মধ্যে বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য দেখা যায় এবং আনাতোলিয়া প্রদেশের মেয়েদের গায়ের রং থাকে কিছুটা ডার্ক তবে তাদের গড়ন ও চুলের সৌন্দর্য হয় নজরকাড়া।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মেয়েদের মত তুর্কি মেয়েরাও রূপচর্চা করে থাকে। নিজেদের ন্যাচারাল সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে মেকআপ করে থাকে তারা। তবে খুব ভারী মেকআপ করতে খুব একটা অভ্যন্ত নয় তারা। সাধারণত মিনিমাম ও ন্যাচারাল ত্বক ফুটিয়ে তুলতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে তারা। এজন্য বেশিরভাগ অনুষ্ঠানের জন্য তুর্কি মেয়েরা সামান্য মাশকারা, আইলাইনার ও ব্রাশ ব্যবহার করে। তবে একমাত্র জন্মদিনের মত অনুষ্ঠানে অনেক সময় ভারী মেকআপ করে তারা।
তুরস্কের মেয়েরা চুলকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সুস্থ, সুন্দর ঢেউখেলানো চুলের জন্য তারা বিখ্যাত। অধিকাংশ মেয়ে চুলের যত্নে স্যালুনে যাতায়াত করে। পোশাক-পরিচ্ছেদের ব্যাপারে তার্কিশ মেয়েরা বেশ অভিজাত। সাধারণত ক্যাজুয়াল ও শালীন পোশাকেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে তারা। এছাড়া নেকলেস ও ইয়ারিংয়ের মত গয়নাও তাদের কাছে অনেক প্রিয়।
এসব সাধারণ অভ্যাসের পাশাপাশি তুরস্কের মেয়েদের সৌন্দর্যের আরও কিছু গোপন রহস্য আছে। এর মাঝে গোলাপজল অন্যতম। তুর্কি মেয়েরা ক্লিনজার হিসেবে গোলাপজল ব্যবহার করে থাকে। প্রাকৃতিক এই উপাদান ত্বক থেকে ময়লা ও তেল দূর করার পাশাপাশি পিচ ভারসাম্য ফিরে আনে। একই সঙ্গে ত্বক রাখে সতেজ ও সজীব। গোলাপজল সাধারণত দোকানে পাওয়া যায়। তবে অনেক তার্কিশ মেয়েরা তাদের নিজস্ব রেসিপিতে বাসায় গোলাপজল তৈরি করে থাকে।
তুর্কি মেয়েদের সৌন্দর্যের আরেকটি গোপন রহস্য হচ্ছে সুগারিং। এটি মূলত প্রাচীন মিসরের রূপচর্চার একটি বিশেষ পদ্ধতি, যা মূলত শরীরের অবাঞ্চিত লোম দূর করতে ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতি খুব সহজ ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই তৈরি করা যায়। তুরস্কের মেয়েরা নিয়মিতই এই রিমুভাল সুগারিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে।
দেশটির মেয়েদের সৌন্দর্যের আরেকটি কারণ হচ্ছে হাম্মাম বা তার্কিশ বাথ। বিশেষ পদ্ধতির এই গোসল তুরস্কে অনেক জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে দেহ ও মনের সজীবতা পায় তুর্কি মেয়েরা।
তুরস্কের মেয়েদের অন্যতম একটি সৌন্দর্য চর্চার উপায় হচ্ছে হ্যাজাল নাট অয়েল। এটি একধরণে বাদাম তেল, যা মূলত তুরস্কেই উৎপন্ন হয় বেশি। ভিটামিন ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ এই তেল নিজেদের রূপচর্চায় ব্যবহার করে থাকে তুর্কি মেয়েরা।
তুরস্কের মেয়েদের ডায়েট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যার মাধ্যমে সুস্থ থাকার পাশাপাশি সৌন্দর্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তারা। সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্কে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল। এরই মধ্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে এক তরুণীকে জীবিত উদ্ধার করেছে তারা। এ ছাড়া তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশের সম্মিলিত উদ্ধারকারী দল বুধবার তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে। পরদিন তারা দেশটির আদানা মিলিটারি এয়ার বেইস-এ পৌঁছায়। সেখান থেকে তারা আদিয়ামান শহরে পৌঁছে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য জানায়।
এদিকে ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত সিরিয়ায় ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে বড় তাবু, ছোট তাবু, কম্বল, সোয়েটার, শুকনা খাবার ও ওষুধ পাঠানো হচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ উড়োজাহাজের সিরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা।এই মিশনের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন জামিল উদ্দিন আহমেদ। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়।
এর আগে বুধবার রাতে উদ্ধার ও ত্রাণকাজে অংশ নিতে তুরস্কে গেছে বাংলাদেশের একটি ‘সম্মিলিত সাহায্যকারী দল’। ৬০ সদস্যের দলটিতে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ২৪ জন এবং ১০ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালন করে বাংলাদেশ। সেদিন জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হয় বিশেষ প্রার্থনা। বাতিল করা হয় প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচি।
চলারপথে ডেস্ক :
রাতেই হবে চন্দ্রগ্রহণ। গ্রহণটি শুরু হবে রাত ৯টা ১২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে।
আর শেষ হবে রাত ১টা ৩৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। এরমধ্যে মধ্যবর্তী গ্রহণ হবে রাতে ১১টা ২৩ মিনিটে।
আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আকাশে গ্রহণটি দেখা যাবে না।
অস্ট্রেলিয়ার কিম্বলটন শহর হতে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে উপচ্ছায়ায় চাঁদের প্রবেশ হবে আজ ৫ মে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২৭ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। অস্ট্রেলিয়ার কোকাস আইল্যান্ড হতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ভারত মহাসাগরে রাত ১১টা ৫৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে হবে মধ্যবর্তী গ্রহণ।
উপচ্ছায়া হতে চাঁদের নির্গমন হবে মরিশাসের মাথুরিন বন্দর হতে উত্তর-পশ্চিম দিকে ভারত মহাসাগরে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪২ সেকেন্ড।
অনলাইন ডেস্ক :
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পশ্চিমে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত তিনটায় এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ইন্দোনেশিয়ার জিওফিজিক্স এজেন্সি জানিয়েছে- এ ভূমিকম্পের পরপরই সেখানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। উপকূলের আশপাশ থেকে স্থানীয়দের সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। দুই ঘণ্টা পর এ সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়।
ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ৮৪ কিলোমিটার গভীরে।
দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি জানান, সুমাত্রা দ্বীপের ভূমিকম্প কবলিত পশ্চিমাঞ্চল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
পশ্চিম সুমাত্রার রাজধানী পাদাংয়ে ভূমিকম্প জোরালোভাবে আঘাত হেনেছে। উপকূলে থাকা কিছু লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মানুষ ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে গেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
সূত্র-রয়টার্স