অনলাইন ডেস্ক :
বিনোদন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম। নাটক দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা এ অভিনেত্রী এখন সিনেমা নিয়েই ব্যস্ত। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনেও দেখা যায়। আজ তার জন্মদিন। দিনটি উদযাপন, বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* জন্মদিন ঘিরে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে?
** তেমন কিছু ঠিক করিনি। প্রতিবার যা করি এবারও তা-ই করব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। আমার স্বামী নিশ্চয়ই কিছু না কিছু পরিকল্পনা করে রেখেছে, আমি জানি। সেটার অপেক্ষায় আছি। সন্ধ্যায় হয়তো কিছু কাছের মানুষের সঙ্গে ছোট কোনো আয়োজন আছে। তবে বাবা-মাকে খুব মিস করব। এবার তাদের ছাড়া জন্মদিন পালন করতে হচ্ছে। কারণ তারা বর্তমানে কানাডায় আছে। তাই কিছুটা মন খারাপ তো আছেই।
* জীবনের এ পর্যায়ে কখনো চাওয়া পাওয়ার হিসাব করেছেন?
** হিসাব করিনি। তবে পাওয়াটাই বেশি। সবার কাছ থেকে এত ভালোবাসা, এত স্নেহ, এত দোয়া পেয়েছি-এর থেকে বেশি কিছু চাওয়ার নেই। আর কীইবা চাইতে পারি। আমি কৃতজ্ঞ সবার প্রতি। সারা জীবন এভাবেই কাজ করে যেতে চাই। আর সবাই আমাকে এবং আমার কাজকে আরও বেশি ভালোবাসবে, এটাই আশা করি।
* আপনার অভিনীত ‘পরান’ সিনেমাটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২-এ সেরার নির্বাচিত হয়েছে। কেমন লাগছে?
** দারুণ। এ সিনেমা শুরু থেকেই দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছে। আর এবার তো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেল। অনেক ভালো লাগছে। দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের কষ্টকে আগেই সার্থক করেছিল। এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেই সার্থকতাকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিল। এখন কাজ করার জন্য আমি আরও বেশি অনুপ্রাণিত। সামনে এমন আরও অনেক ভালো কাজ করতে চাই।
* ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ নামে একটি সিনেমায় কাজ করছিলেন। সেটার খবর কী?
** এটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সিনেমা। এতে আমি পান্না কায়সারের (কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের স্ত্রী) চরিত্রে অভিনয় করেছি। সিনেমাটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। এর শুটিং শেষ হয়েছে অক্টোবর মাসেই। এখন ডাবিংয়ের কাজ করছি। সেটাও শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। তারপর মুক্তির পরিকল্পনা। এ সিনেমাটা বড় পর্দায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
* এছাড়া কী নিয়ে ব্যস্ত এখন?
** মাঝে অনেক ব্র্যান্ডের শুট করলাম। যেহেতু আমি একসঙ্গে অনেক ব্র্যান্ডের আম্বাসেডর হিসাবে কাজ করছি, তাই একটানা অনেক কাজ গেল। এসব কাজ ওসব ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং আমার অ্যাকাউন্টেও নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। এখনো কিছু কাজ বাকি আছে। এছাড়া নতুন করে কোনো সিনেমা বা ওটিটির কাজ শুরু করিনি। কথা চলছে বেশকিছু কাজের। দুটো ওটিটির কথা চলছে। তবে কিছুই চূড়ান্ত হয়নি এখনো।
অনলাইন ডেস্ক :
টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আলাউদ্দিন লাল চলে গেলেন। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে উত্তরার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেত্রী সামিরা খান মাহিসহ অনেকেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সামাজিক মাধ্যমে।
২০০৮ সাল থেকে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন আলাউদ্দীন লাল। এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩০০ নাটকে অভিনয় করেছেন।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এ অভিনেতা। ভুগছিলেন শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিকসহ নানাবিধ জটিলতায়। সম্প্রতি হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ গত দুইদিন আগে ফেসবুকে অভিনেতার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল।
তখন তার সহকর্মীরা জানিয়েছিলেন অভিনেতা লাল ভালো আছেন। তার দুই দিনের মাথায় না ফেরার দেশে এ অভিনেতা। এর আগে ২০২২ সালে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে এ অভিনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অর্থাভাবে অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে তার চিকিৎসা।
ফেসবুকে এ খবর জানিয়েছিলেন নাট্যনির্মাতা প্রীতি দত্ত। প্রীতির স্ট্যাটাস পড়ে কয়েকজন সহকর্মী আলাউদ্দিন লালের পাশে দাঁড়ান। কিন্তু তাদের দেয়া অর্থেও চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ মেটানো সম্ভব হচ্ছিল না। এ খবর পেয়েই মুশফিক আর ফারহান আলাউদ্দিন লালের পাশে দাঁড়ান। তার চিকিৎসার সমস্ত খরচ একাই বহন করেছিলেন। এরপর সুস্থ হয়ে পুনরায় কাজে ফিরেছিলেন আলাউদ্দিন লাল।
স্পোর্টস ডেস্ক :
বিরাট কোহলি বিশ্বরেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন। মারকুটে ব্যাটিংয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন শ্রেয়াস আয়ারও। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। অর্থাৎ ফাইনালে যেতে কিউইদের করতে হবে ৩৯৮ রান।
মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা।
দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল মিলে ৮.২ ওভারে ৭১ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। এমনভাবে ব্যাটিং করছিলেন তারা, যেন এটি একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
২৯ বলে ৪৭ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৯ বলে সমান চারটি করে ছক্কা এবং বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
রোহিত আউট হলেও ঝোড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলি। ১৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তারা তুলে ফেলে ১১৮ রান। ২৩তম ওভারে দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন গিল।
গিল মাঠ ছাড়ার পর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপদ যেন আরও বাড়ে। আয়ার আরও বেশি মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৫ বলেই ফিফটি পূরণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বিরাট কোহলি দেখেশুনে খেলে ক্যারিয়ারের ৫০তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ছাড়িয়ে যান স্বদেশি কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। ওয়ানডে ইতিহাসে ৫০টি সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটার হন কোহলি।
তৃতীয় উইকেটে ১২৮ বলে ১৬৩ রান যোগ করেন কোহলি আর আয়ার। অবশেষে টিম সাউদি ভাঙেন এই জুটি। ১১৩ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ১১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন কোহলি।
এরপর সেঞ্চুরি হাঁকান মারমুখী আয়ারও। ৬৭ বলে তিনি ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। অবশেষে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ট্রেন্ট বোল্ডের শিকার হন আয়ার। ৭০ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে তিনি হাঁকান ৮টি ছক্কা!
সূর্যকুমার যাদব শেষদিকে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ২ বলে ১ করে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটার। তবে লোকেশ রাহুল ২০ বলে ৩৯ রান করে দলকে চারশর কাছাকাছি নিয়ে যান। ৭৯ রানে উঠে যাওয়া শুভমান গিল শেষ ওভারে নামলেও মাত্র এক বল খেলার সুযোগ পান, ৮০ রানে থাকেন অপরাজিত।
নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ১০০ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।
অনলাইন ডেস্ক :
অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ দল আগেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের জার্সি উন্মোচন করেছে। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষে মার্কিন মুলুকে দল পাড়ি জমানোর পরও টাইগারদের বিশ্বকাপ জার্সির দেখা মেলেনি। দল ঘোষণার পর আকাঙ্ক্ষিত জার্সি গায়ে চড়ানো হয়নি শান্ত বাহিনীর কারও।
তবে একটু দেরিতে হলেও অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জার্সির দেখা মিলল। ২৬ মে রবিবার রাতে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে বাংলাদেশ দলের জার্সি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দলে থাকা ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ জার্সি পরা একটি ছবি বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে। ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থানরত দলের টিম হোটেলে তোলা।
জার্সির নকশার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি বিসিবি। ছবিটি পোস্ট করেছে লিখেছে, ‘প্রথমবারের মতো এটা দেখুন! খেলোয়াড়েরা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে (শুরু হতে যাওয়া) ২০২৪ আইসিসি ছেলেদের বিশ্বকাপের অফিশিয়াল কিটে সেজেছে। ’
মধ্যরাতে ছবি প্রকাশ হতেই তা ভাইরাল। ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই জার্সি কেমন লেগেছে সে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিসিবির প্রকাশিত ছবির তলায়।
প্রতিবারের মতো এবারও লাল-সবুজের মিশেলে বাংলাদেশের ঐতিহ্য আর গৌরব ধারণ করেই বিশ্বকাপের জার্সি তৈরি করা হয়েছে। অবশ্য এবারের জার্সিতে সবুজ রঙের আধিক্য। লাল রঙের ব্যবহার হয়েছে শুধু স্ট্রাইপ হিসেবে, জার্সির কাঁধ থেকে বাহু পর্যন্ত। বুকের দুই ধারে হালকা সোনালি স্ট্রাইপও আছে।
জার্সির সামনে সাদা রঙে লেখা বাংলাদেশের নাম, পেছনে খেলোয়াড়ের নাম ও নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। বুকের একপাশে বিসিবি, অন্য পাশে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লগো।
যাই হোক, টুর্ণামেন্ট শুরুর মাত্র ৫ দিন বাকি থাকতে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ জার্সি উন্মোচন হলো।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পড়েছে ‘ডি’ গ্রুপে। গ্রুপ পর্বে নাজমুল-সাকিব-মোস্তাফিজদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। বাংলাদেশের প্রথম দুটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে, পরের দুটি ম্যাচ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাঁচামরার ম্যাচ। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ রবিবার জিততেই হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই ম্যাচেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করলো টাইগাররা।
মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ জিততে হলে আফগানিস্তানকে করতে হবে ৩৩৫।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য সহায় ছিল সাকিব আল হাসানের। প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ওপেনিংয়ে চমক। নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৭ বলে জুটিতে ফিফটি পূরণ করেন এই দুজন। ১০ ওভারে হয় ৬০ রানের জুটি। নাইম শেখকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। নাইম ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ২৮ রান।
পরের ওভারে আরও একটি উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে তিন নম্বরে নামেন তাওহিদ হৃদয়। সুবিধা করতে পারেননি। নিজের মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয় (০)। তার উইকেটটি নেন গুলবাদিন নাইব।
এরপর মিরাজ-শান্তর রূপকথার ব্যাটিং। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৯৪ রান। ৬৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মিরাজ। আফগান পেসার ফজলহক ফারুকিকে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি পূরণ করেন শান্ত।
আফগান বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন মিরাজ আর নাজমুল হোসেন শান্ত। ওপেনিংয়ে নেমে মিরাজ করেছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ১১৫ বলে। এরপর শান্তও ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার।
তার আগেই অবশ্য উঠে গেছেন মিরাজ। শান্তর সঙ্গে জুটিতে ১৯৪ যোগ করে রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংসে মিরাজ ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে হাঁকান ৩টি ছক্কা।
মিরাজ উঠে যাওয়ার পরপরই সেঞ্চুরি পূরণ করেন শান্ত। ১০১ বলে শতরান ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। শান্তর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি এটি। তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সমাপ্তি হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে।
এক রান নিতে গিয়ে মাঝপথে চলে গিয়েছিলেন শান্ত। ফেরার সুযোগ পাননি। পা পিছলে পড়ে যান মাঝ পিচে। ১০৫ বলে শান্তর ১০৪ রানের ইনিংসটি ছিল ৯ চার আর ২ ছক্কায় সাজানো।
এছাড়া মুশফিক ১৫ বলে ২৫, সাকিব শেষদিকে নেমে ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ আর শামীম পাটোয়ারী ৬ বলে করেন ১১ রান।
বিনোদন ডেস্ক :
ভারতীয় গোয়েন্দা ভিত্তিক প্রথম টিভি সিরিজ ‘সি. আই. ডি’ এর অভিনেতা দীনেশ ফাদনিস মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুম্বাইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দীনেশকে। তারপর থেকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আজ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
প্রথমে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দীনেশ। কিন্তু এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানান সিআইডির আরেক অভিনেতা নয়ানন্দ শেঠি। এ অভিনেতা পিঙ্কভিলাকে বলেন, ‘এটি হার্ট অ্যাটাক নয়; তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে দ্রুত তাকে তুঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত দুই দিন তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি আশঙ্কাজনক ছিল। তবে এখনো তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। আশা করছি, খুব শিগগির সে সুস্থ হয়ে ওঠবে।’
মূলত, ঔষুধের প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দীনেশ। তা জানিয়ে দয়ানন্দ শেঠি বলেন, ‘দীনেশের অন্য রোগের চিকিৎসা চলছিল। সেসব ঔষুধের প্রতিক্রিয়ায় দীনেশের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য খুব ভেবেচিন্তে ঔষুধ খাওয়া উচিত।’
১৯৯৭ সালে প্রচার শুরু হয় সিআইডির। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ সিরিয়ালের ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিক্স বা ফ্রেডি চরিত্রে অভিনয় করেন দীনেশ ফাদনিস। তার চরিত্রটি টেলিভিশন দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নব্বই দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতীয় টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় শোগুলোর একটি সিআইডি।