অনলাইন ডেস্ক :
নিউ ইয়র্কের সার্জনরা জানিয়েছেন, বিশ্বে প্রথমবারের জন্য তারা একজন মানুষের সম্পূর্ণ চক্ষু প্রতিস্থাপন করেছেন। তবে অ্যারন জেমস (৪৬) নামের সেই ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কি না তা এখনো নিশ্চিত না।
সার্জনরা কয়েক বছর ধরে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করছেন। বিশেষজ্ঞরা এই অগ্রগতিকে লাখ লাখ মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন অঙ্গরাজ্য আরকানসাসে একজন উচ্চ ভোল্টেজ বিদ্যুতের লাইনকর্মী হিসেবে কাজ করতেন জেমস। তিনি একটি উচ্চ ভোল্টেজ বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। ২০২১ সালে ভুলবশত সাত হাজার ২০০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে তিনি তার মুখের অধিকাংশ অংশ হারিয়ে ফেলেন। ২১ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে তার মুখের অর্ধেক প্রতিস্থাপন করা হয়।
এই বছরের ২৭ মে জেমসের চক্ষু প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি তার মুখের আংশিক প্রতিস্থাপন করা হয়। বিরল এ অস্ত্রোপচারে ১৪০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার জড়িত ছিলেন। জটিল অস্ত্রোপচারটি করেছেন এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথের সার্জনরা। তারা বৃহস্পতিবার বলেছেন, জেমস দ্বৈত প্রতিস্থাপনের পর সুস্থ হয়ে উঠছেন।
দান করা চোখটি লক্ষণীয়ভাবে সুস্থ দেখাচ্ছে। তার ডান চোখ এখনো কাজ করে।
দলের অন্যতম প্রধান সার্জন ডা. এডুয়ার্ডো রদ্রিগেজ বলেছেন, ‘নিছক সত্য যে আমরা একটি মুখের সঙ্গে প্রথমবার সফলভাবে পুরো চক্ষু প্রতিস্থাপন সম্পন্ন করেছি। এটি একটি অসাধারণ কৃতিত্ব। অনেকের কাছে মনে হয়েছিল, এটি সম্ভব না। কিন্তু আমরা একটি বড় পদক্ষেপ এগিয়ে নিয়েছি এবং দৃষ্টি পুনরুদ্ধারের জন্য পরবর্তী অধ্যায়ের পথ তৈরি করেছি।’
ডা. রদ্রিগেজ এবিসি নিউজকে বলেছেন, ‘আমরা দাবি করছি না যে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছি। কিন্তু আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই যে আমরা এক ধাপ এগিয়েছি।’
চিকিৎসকরা বলেছেন, রেটিনায় সরাসরি রক্তপ্রবাহ আছে। চোখের এ অংশটি মস্তিষ্কে ছবি পাঠায়। জেমস তার নতুন চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা না থাকলেও তারা সম্ভাবনাকে উড়িয়েও দিচ্ছেন না। সূত্র : বিবিসি
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলায় ২ জন নিহত হয়েছে। দেশটির ওরেগন অঙ্গরাজ্যের ক্লাটসকানি শহরে গতকাল শনিবার এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আরো তিনজন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে সন্দেহভাজন হামলাকারীও রয়েছে।
কোলাম্বিয়া কাউন্টির শেরিফ কার্যালয় জানায়, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ইলমারি রোডের একটি বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে নিরাপত্তা বাহিনী। এর মধ্যে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও ছিল, যে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, এ ঘটনায় সবাই একে অপরকে আগের থেকেই চিনতেন। এটি কোনো আত্মহত্যার ঘটনা নয় বলেও জানানো হয়েছে। এই হামলার তদন্ত করছে কোলাম্বিয়া কাউন্টি মেজর ক্রাইমস টিম ও ওরেগন রাজ্য পুলিশ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
অনলাইন ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের সাউথগেটে অবস্থিত কমার্শিয়াল সেন্টারের আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের অফিসে এই সেবা উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী। তার কাছ থেকে ১ জন নবজাতক ও ২ জন তরুণ বাংলাদেশির আবেদন স্লিপ নেওয়ার মাধ্যমে এই সেবার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে ২০২০ সালে প্রথম ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়। এ পাসপোর্টে রয়েছে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা কোড। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট চালু করা হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘এর মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পাসপোর্ট সেবার মান বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর ন্যায় স্মার্ট ও দ্রুততর হবে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট সেবায় গুনগত পরিবর্তন আসবে। এ পাসপোর্টের মাধ্যমে উন্নত দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশিরাও শিগগিরই নিজে স্ক্যান করে অভিবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মর্যাদা আরো বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। সংখ্যার বিচারে যা সৌদি আরবের পর বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কমিউনিটি। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে ক্রমান্বয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন। যা বাস্তবে এখানে একটি বড় দাবিতে পরিণত হয়েছিল।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহম্মদ নুরুস ছালাম, ডেপুটি হাইকমিশনার খোরশেদ আলম খাস্তগীর ও ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল প্রমুখ।
চলারপথে ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতায় স্বাধীনতা বিরোধী, খুনী ও অগ্নি সন্ত্রাসীরা কখনই যেন ফিরতে না পারে সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে রিজ কার্লটন হোটেলের হলরুমে আমেরিকায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘খুনী, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা যাতে আর কখনই ক্ষমতায় ফিরতে না পারে তা নিশ্চিত করুন। এই বিএনপি-জামাত জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত তথাকথিত আন্দোলনের নামে বহু মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাস্তার পাশের হাজার হাজার গাছ উজাড় করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ‘এই চক্র দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে একে আবারো উন্নয়নের মহাসড়কে তুলেছে।বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আমরা এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধাগুলোকে সর্বোচ্চ কাজে লাগিয়ে দেশে বিদেশে রাষ্ট্র বিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্যে বিএনপি জামাত জোটের কঠোর সমালোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরও বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। বিএনপি-জামাত জোট ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ব্যবহার করে আমাদেরই বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারে কান না দেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। তিনি বলেন, সবাইকে মাথা উঁচু করে ও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে বিশ্বে চলতে হবে।
বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, বাসস্থান, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ প্রতিটি খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এটা করতে পেরেছি।
দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা অনেক অবদান রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান কারণ, সরকার যথাযথ প্রক্রিয়ায় রেম্যিটান্স প্রেরণকে উৎসাহিত করতে ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে বিশ^ব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের পরও সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারনে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, চলমান যুদ্ধের কারণে উন্নতসহ অনেক দেশ সংকটে পড়লেও বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা এখনও ভালো।
প্রধানমন্ত্রী খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন যেন বাংলাদেশ কোন সংকটে না পড়ে।
দেশের দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ এবং অতি দারিদ্রের হার ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কোন চরম দারিদ্র্য থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাংক অনুসরণ করে সারাদেশে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে বাড়ি দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন, তাঁরা ইতোমধ্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় ৩৫ লাখ লোককে বাড়ি দিয়েছেন এবং তাদের জীবিকা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না, কারণ সরকার প্রতিটি গৃহহীন লোককে বিনামূল্যে আবাসন প্রকল্পের আওতায় আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ লক্ষে আরো ৬০ হাজার ঘর তৈরি হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় মঞ্চে অন্যান্যের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান অন্ষ্ঠুান পরিচালনা করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতে দেশটির উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার সারাংপুর গ্রামে মোবাইল থেকে চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়েছে এক তরুণীর। তার নাম নিতু (২২)। ১ নভেম্বর রবিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সকালে বাড়িতে নিজের মোবাইল ফোনটি চার্জের জন্য বসিয়েছিলেন নিতু নামের ওই তরুণী। চার্জ হয়ে যাওয়ার পরে ফোন থেকে চার্জার খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। তার চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে পরিবারের বাকিরা ছুটে আসেন। দেখা যায়, ফোন হাতে কাঁপছেন নিতু। দ্রুত লাঠি জোগাড় করে মোবাইল ফোন থেকে তাকে আলাদা করা হয়।
এরপর মেঝেতেই পড়ে যান তরুণী। তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে কীভাবে চার্জার থেকে ওই তরুণী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন, তা স্পষ্ট নয়। ওই চার্জারের কোনও তার বেরিয়ে ছিল কি না, কোনও অংশ ছেঁড়া ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোবাইল খুলতে যাওয়ার সময়ে তরুণীর হাত ভেজা ছিল কি না তাও রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয় এসএইচও সঞ্জয় সিংহ জানান, হাসপাতালে মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল ওই তরুণীকে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি থানায়। সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস
অনলাইন ডেস্ক :
পাকিস্তানে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দেশটির অর্থমন্ত্রী ইসহাক দারের নাম প্রস্তাব করেছে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বৃহত্তম শরিক পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্যান্য বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার তাগিদ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএমএলএন।
আজ ২৪ জুলাই সোমবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা মনে করছি, আইএমএফ পাকিস্তানের অর্থনীতি সংস্কারে যেসব শর্ত দিয়েছে – সেই অনুযায়ী একটি অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিচালনার জন্য ইসহাক দার সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি। এছাড়া আইএমএফ ও অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আসলে এই মুহূর্তে ইসহাক দারের বিকল্প কেউ নেই।’
দুর্নীতি, অপব্যয় এবং করোনা মহামারিজনিত কারণে ডলারের রিজার্ভ তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তানকে গত মাসে ৩০০ কোটি ডলার জরুরি (বেইল আউট) ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। তবে এই ঋণ প্রাপ্তির জন্য আক্ষরিক অর্থেই ঘাম ছুটে গেছে দেশটিতে ক্ষমতাসীন সরকারের।
২০১৯ সালে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সময় থেকেই শুরু হয়েছিল আইএমএফের ঋণের কিস্তি। কিন্তু ইমরানের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন সরকার ঋণচুক্তির শর্ত অনুসারে, জ্বালানির ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহার না করায় আইএমএফ ঋণের কিস্তি স্থগিত করে।
আইএমএফের কিস্তি স্থগিতের পদক্ষেপে অন্যান্য বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার ঋণও অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পাকিস্তানের। ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তার বিদায়ের পর দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী হন পিএমএলএনের চেয়ারম্যান শেহবাজ শরিফ।
নতুন সরকার গঠন করার পর থেকেই স্থগিত ঋণের কিস্তি ফের চালুর জন্য দেন-দরবার শুরু করে ইসলাবাদ। আর এক্ষেত্রে নেতৃত্বের পুরোভাগে ছিলেন অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার।
অবশেষে গত ১২ জুলাই পাকিস্তানকে ৩০০ কোটি ডলার জরুরি ঋণ প্রদানে সম্মত হয় আইএমএফ। আইএমএফের অনুমোদনের ২ দিন পর, ১৪ জুলাই রাজধানী ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, আগামী ১৪ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেবে তার নেতৃত্বাধীন সরকার।