চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় খেলাঘর আসরের নববন্ধন খেলাঘর আসরের প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন খেলাঘর আসর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।
শিক্ষক অলক কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারন সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েলুর রহমান।
সম্মেলনে শিশুদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, প্রান্তিকা সাহা, হুমায়রা লাবিবা খুশবু ও রুদ্রজিৎ পাল। তাদের বক্তব্যে অচিরেই আখাউড়াতে একটি আঞ্চলিক ক্যাম্প করার দাবি জানানো হয়। এ দাবির প্রতি সমর্থন জানান প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা। আলোচনা শেষে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে দৈনিক কালের কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুকে সভাপতি, দৈনিক ভোরের কাগজের আখাউড়া প্রতিনিধি জুটন বনিককে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি কাজী স্বপ্না সিফাত, পরিমল সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান খান, আশীষ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় সাহা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রুবেল আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মাসুকুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাহমিনা আক্তার।
কার্যকরি সদস্য হলেন, আশিষ বিশ্বাস, পলাশ সাহা, নাহিদা আহমেদ শিথিলা, বাসুদেব বিশ্বাস, শুক্লা রায়, মোঃ সাগর, প্রানেশ ঘোষ, সাজ্জাদ খান প্রান্ত, দুর্জয় বনিক, মনি দাস।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
১০ দফা দাবিতে সারা দেশের ন্যায় আখাউড়ায় বিএনপির পূর্বঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, লবন, আটাসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্যবৃদ্বি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সকল বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি। এসব দাবির প্রতিবাদে আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে পৃথক স্থানে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। এদিকে একই সময়ে প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতকর্মীরা শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিল।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে গাজীর বাজার-হীরাপুর সড়কে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ডাঃ খোরশেদ আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পদযাত্রা কর্মসূচিতে দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জহিরুল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ খান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোঃ মহসিন ভূঁইয়া, জাহের ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, মনির মুন্না প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আল আমিন ভূঁইয়া।
এদিকে দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গাজীর বাজারে উপস্থিত হয়ে শান্তি সমাবেশ করে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অহিদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ছাদেকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক লুৎফুর রহমান সজিব প্রমুখ।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রথমবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তপথে ভারতে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ ৩ মে শনিবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করেন। এর আগে, সন্তু লারমা সড়কপথে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়ায় আসেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তিনি জানান, প্রথমবারের মতো তিনি এপথে ভারত যাচ্ছেন। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ছাড়াও মাতৃ-পিতৃ তর্পণ ও ধর্মীয় আচারাধি সম্পাদন অনুষ্ঠানে যোগদান করারও কথা রয়েছে তার।
সন্তু লারমাকে পাহাড়ে নিরাপত্তাসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিষয়াদি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে সন্তু লারমা বলেন, একবার আসুন রাঙামাটি ঘুরে দেখে যান- তবেই বুঝবেন। এর বেশি কোনো কথা বলতে আগ্রহ দেখাননি সন্তু লারমা।
এ পথেই তিনি দেশে ফিরে আসবেন বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী শ্যামল লারমা নিশ্চিত করেছেন। কখন আসবেন তিনি তা জানাতে পারেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আযহার আর মাত্র দুদিন বাকি। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে ঈদের ছুটি। টানা ৭ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। সেই জেরে আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ছিল ভারতগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
আখাউড়া চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে আজ ১৪ জুন দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েকশ মানুষ। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা ৭ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী এবং চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। যশোরের বেনাপোল বন্দরের ভিড় এড়াতে অনেক যাত্রী আখাউড়া চেকপোস্ট ব্যবহার করছেন। তবে এখানে এসেও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঈদের ছুটি শুরুর দিন শুধু শুক্রবারই প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে গিয়েছেন।
ভারতগামী কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন পর ভিসা পেয়েছেন। তাই ঈদের ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাচ্ছেন। তবে আখাউড়া ইমিগ্রেশন ভবনটি ছোট এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপের দাবি জানান তারা।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম জানান, ঈদের ছুটির কারণে চাপ অনেকটা বেশি। সাধ্যমতো যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ২৫ মে রোববার সকাল ১০টায় উপজেলা ভূমি অফিস মাঠে আয়োজিত এ মেলার শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ফয়সল উদ্দিন। মেলার উদ্বোধন শেষে বর্ণাঢ্য র্যালি হয়।
উপজেলা ভূমি অফিস আয়োজিত উক্ত মেলা ও র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য কর্মকর্তা রৌনক জাহান, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাহার মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ডা: খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি সেলিম মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আক্তার খান, মুক্তিযোদ্ধা বাহার মিয়া, বিএনপি নেতা আবুল ফারুক বকুল, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান, আশতোষ ভৌমিক, সাদ ইবনে আলম, আব্দুর রহমান, নাজির আশীষ দাস ও আব্দুল আহাদ প্রমুখ।
নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি এ বিষয়কে সামনে রেখে মেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের প্রতিনিধিরা জনগণের কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলাকে ‘ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আখাউড়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন করার লক্ষ্যে ৬৬৩টি পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। চরচনারায়নপুর, চাঁনপুর, দেবগ্রাম, রুটি, সাতপাড়া, ঘাগুটিয়াসহ ২৬টি স্থানে ২ শতক ভূমিতে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়। উপকারভোগীকে দলিলসহ এসব ঘর দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আখাউড়া উপজেলাসহ সারাদেশের ২২টি উপজেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করবেন।
এসময় সাংবাাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আখাউড়া উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যেসকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাওয়া গেছে। তাদের ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নতুন করে গৃহহীন হয় তাহলে পর্যায়ক্রতে তাদেরকেও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব পরিবারের সুপেয় পানি, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুল আলম চৌধুরী, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হান্নান খাদেম, সাংবাদিক নাসির উদ্দিন, জুটন বনিক, এম.এ. জলিল, জালাল হোসেন মামুন, রুবেল আহমেদ, ফজলে রাব্বি প্রমুখ।