চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগের বিশেষ কর্মী সভা ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এস.এম নূরে আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরমান নূর।
এসময় কৃষকলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২৮টি ওর্য়াডে এখন কৃষকলীগের নেতারা সক্রিয়।
বক্তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) থেকে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়াকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
কর্মী সভা শেষে আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়ার সমর্থনে উপজেলা সদরে একটি র্যালি বের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা নাশকতা মামলার আসামি উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২০ এপ্রিল রোববার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার রুবেল মিয়া (৪০) ভলাকুট গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ধনু মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমান ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় একটি সহিংস ঘটনার পেছনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন রুবেল মিয়া।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, রুবেল মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য ও নাশকতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। তাকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা কৃষকলীগের উদ্যোগে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১১৭টি ওয়ার্ডে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের উন্নয়ন” শীর্ষক উঠান বৈঠক সমাপ্ত হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতে উপজেলা ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে এই উঠান বৈঠক শেষ হয়।
ফালান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।
উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ নিজাম খাঁ, জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জি.এম আরমান নুর।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন হয়েছে।
আজ ২৪ জুলাই রবিবার নাসিরনগর কেন্দ্রীয় শহীদমিনার সংলগ্ন রাস্তায় সাধারণ ভুক্তভোগী ও খামারীবৃন্দের ব্যানারে এই মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাওর অঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারীদের প্রশিক্ষণের পর ১৫টি করে হাঁস, একটি ছোট্ট ঘর ও ৫০ কেজি হাঁসের খাবার দেওয়ার কথা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রায় দুই বছর আগে তালিকায় নাম উঠিয়ে এবং পরবর্তী সময়ে প্রশিক্ষণে অংশ নিলেও তাঁদের বাদ দিয়ে বিশেষ বিবেচনায় অন্যদের নামে হাঁসের খামার করে দেওয়া হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরে আলম বলেন, ‘প্রাথমিক তালিকা করার পর কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাম বাদ পড়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের যে বিধি আছে, সেটা লঙ্ঘন করা হয়নি।’
ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে অসহায়, গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে পাঁচ টাকায় ইফতার দিয়েছে অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ মাঠে পাঁচ টাকার বিনিময়ে এই ইফতার দেওয়া হয়। এ ইফতার সামগ্রীর মধ্যে ছিল ছোলা বুট, মুড়ি, পিঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, বুরিন্দা, লেবু ও শসা।
অবহেলিত পথশিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা উম্মে খাদিজা তালুকদার জানান, প্রতি বছরই আমি আমার এলাকায় রোজার মাসে গরীব ও দুঃস্থ মানুষের জন্য কিছু করতাম। এই পরিধিটা একটু বড় পরিসরে ইউনিয়নে করার জন্য আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এই সংগঠনটা গঠন করি। আজ মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে ৭০ জন গরীব মানুষের মাঝে ইফতার দেওয়া হয়। পাশাপাশি যাদের পাঁচ টাকা দেওয়ার মতো ক্ষমতা নেই, তাদেরকে বিনামূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়। গরীব ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা।
তিনি আরো জানান, আমি পড়াশোনার পাশাপাশি প্রাইভেট পড়াই। এছাড়া বন্ধু ও স্বজনদের কাছ থেকে নেওয়া টাকার পাশাপাশি ফেসবুকে পোস্ট করে অর্থ সংগ্রহ করি।
তিনি বলেন, তার এই সংগঠন বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজ করে থাকে। গতকাল ২২ মার্চ শুক্রবার সংগঠনের মাধ্যমে একটি এতিমখানায় ১০০ জনের ইফতার (বিরিয়ানি) দেওয়া হবে। সমাজের বিত্তবানরা যদি যার যার অবস্থান থেকে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাহলে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ১৯ অক্টোবর মাসে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী উম্মে খাদিজা তালুকদারসহ চারজন বন্ধু মিলে ফাউন্ডেশনটির কাজ শুরু করেন। বর্তমানে এ ফাউন্ডেশনে প্রায় তিনশ’র অধিক সদস্য রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাগুরার সেই শিশুসহ সম্প্রতি সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ছাত্র-জনতার ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ মার্চ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় ছাত্র-জনতার ব্যানারে ফেস্টুন নিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী দাঁড়িয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এসময় সেই শিশুর ন্যায় বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।
মানববন্ধন কর্মসূচির আগে নাসিরনগর কলেজ মোড় শহীদ হাফেজ ইমরান চত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। এসময় তাদের কন্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া। আমার বোনের কান্না,আর না আর না। দিয়েছি তো রক্ত আরও দেবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়সহ বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। এসময় ছাত্র-জনতার সাথে একাত্মতা পোষণ করেন উপজেলার ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন শহীদ নুরুল ইসলাম ফারুকী স্মৃতি সংসদ।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রনেতা ফুয়াদ পাঠান রাব্বির সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা সাইফুজ্জামান জনি, মুমিনুল হক,সরকারি কলেজ প্রতিনিধি শ্রাবন চকদার,ওবায়দুল হক ফসরু,মুস্তাকিম ভূইয়া দিদার,শেফালি আক্তার প্রমুখ। এসময় বক্তারা মাগুরার শিশু আছিয়াসহ ধর্ষণ,নারীদের নিপীড়ন এই সব ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলে রফিকুল ইসলাম, ইসতেহাক আহমেদ তপু, আকরাম হোসেন, দিলরুবা মিম, ইমন মুস্তফাভী, আশরাফুল ইসলাম রাকিব ও নাঈম মিয়া উপস্থিত ছিলেন।