চলারপথে রিপোর্ট :
গোষ্ঠীগত বিরোধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে আহতদের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম জানান, খানিবাড়ি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠীর সঙ্গে দোলাবাড়ি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া। আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্বে ইউপি মেম্বার আরজু মিয়া। কিছুদিন আগে আরজু মেম্বার গ্রুপের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের ছেলেকে মারধর করেন খানিবাড়ির ছেলেরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।
১২ নভেম্বর রবিবার আবার মারধর করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে। এ ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হলে সদর মডেল থানার সদস্যরা সেখানে যান। সোমবার সকালে ঘটনাটি থানায় মীমাংসার জন্য সালিশ সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালীন দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ঘে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। উভয় পক্ষ ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কয়েকটি বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। এ ঘটনায় আহতদের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সোহেল আহমেদ বলেন, সকালে গোষ্ঠীগত বিরোধে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে যারা জড়িত তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত-বিএনপির নৈরাজ্য সৃষ্টি, জ্বালাও-পোড়াও-মানুষ খুনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, লোকনাথ টেংকের পাড়, বিরাসার মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, রেলস্টেশন চত্বর, প্রেসক্লাব চত্বর সহ বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হতে থাকেন।
এসময় বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌম, যুব ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বানিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম উপদপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, হাসান সারোয়ার, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড.লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা তাতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
এসময় সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগ, সদর উপজেলা, পৌর ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, পৌর, সরকারি কলেজ ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
পুকুরে গোসলে নেমে সোহেল মিয়া (৪২) নামে এক বাবুর্চির মৃত্যু হয়েছে। আজ ১০ এপ্রিল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে শান্তিবাগ এলাকার একটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে। বাবুর্চির সোহেল মিয়া ওই এলাকার মৃত মহরম আলীর ছেলে।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুসলিম মিয়ার বাড়ির সামনের পুবহাটি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যান। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, পুকুরে ডুবে একজন মারা গেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুতগতির মোটর সাইকেলের ধাক্কায় নিলুফা আক্তার (৫০) নামে এক মহিলা নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯ টায় বিরাসার-লালপুর আঞ্চলিক সড়কের সদর উপজেলার নাটাই এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলুফা সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের নাটাই গ্রামের সফর বাড়ির আকবর মাস্টারের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, রাত ৯টার দিকে নিলুফা আক্তার বাড়ি থেকে বের হয়ে সামনের দিকে যাওয়ার পথে হঠাৎ দ্রুতগতির একটি মোটর সাইকেল তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা নিলুফাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঘাতক মোটর সাইকেল চালককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হরতালের নামে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আজ রবিবার মাঠে নামবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। শান্তি সমাবেশের পাশাপাশি জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা অবস্থান করবে। অপরদিকে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও হরতালের কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে গতকাল শনিবার বিকেল তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত সভা করে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন প্রমুখ।
সভায় রবিবার সকালে জেলার শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে শান্তি সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগ। সভায় রবিবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্চাসেবকলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ নেতাকর্মীদের অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
জেলা আওয়ামী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে জেলা ছাত্রলীগ, শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) এলাকায় যুবলীগ, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেটের সামনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শহরের সমবায় মার্কেটের সামনে শ্রমিক লীগ, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার সামনে তাঁতী লীগ ও মৎস্যজীবী লীগ, শহরতলীর পীরবাড়ি এলাকায় শহর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন। এসব এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করবেন। পরে তারা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে যোগ দেবেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে অবস্থা নেবে। আমরা হরতাল বিরোধী মিছিল করব। যেখানে হরতাল হবে সেখানে প্রতিহত করব।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেন, নৈরাজ্য ও নাশকতার বিরুদ্ধে রোববার জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। সকাল আটটা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হবে। তিনি বলেন, হরতালের নামে কেউ শান্তি নষ্ট করুক সেটা আমরা চাই না। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করলে তা প্রতিহত করা হবে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে আমরা প্রস্তুত আছি। গণতন্ত্র উদ্ধারে বাঁধা অতিক্রম করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জয়নাল উদ্দিন (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ মার্চ রবিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকায়।
জয়নাল উদ্দিন অলিম্পিক গ্রুপের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিবেশক ক্ষণিকা ডিস্ট্রিবিউশনের ম্যানেজার পদে আছেন।
ক্ষণিকা ডিস্ট্রিবিউশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইখতেয়ারুল বারী তানভীর জানান, পুনিয়াউট এলাকা দিয়ে ম্যানেজার জয়নাল আরো দুইজন সহকর্মীসহ ডিস্ট্রিবিউশনের নগদ টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ১০/১২জন ছিনতাইকারী তাদেরকে ঘিরে ধরলে জয়নাল ছাড়া বাকি দু’জন পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
এসময় ছিনতাইকারীরা জয়নালের কাছে থাকা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিতে হামলা করে। তারা একপর্যায়ে জয়নালকে ছুরিকাঘাত করে নগদ আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে জয়নালকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।