আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করবার জন্য বিএনপি ও দোসররা জ্বালাও-পোড়াও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে : মোকতাদির চৌধুরী এম.পি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 13 November 2023, 929 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করবার জন্য বিএনপি ও দোসররা জ্বালাও-পোড়াও নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। এইসকল নাশকতাকারীদের প্রতিহত করতে হবে। তারজন্য আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে। এমনকি নির্বাচন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্ছ সতর্ক থাকতে হবে।

banner

আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান, সাবেক নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিন আহমেদ, মহসিন মিয়া, শাহআলম, সৈয়দ মিজানুর রেজা, স্বপন রায়, মো. মনির হোসেন, জায়েদুল হক, মাহমুদুর রহমান জগলু, সেলিম রেজা হাবিব,কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুৃল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা নিশাত, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি অ্যাড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন আলাল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা পরিবহন শ্রমিকলীগ সভাপতি বারীন্দ্র নাথ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমেদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী, সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি।

Leave a Reply

জাতির কাছে ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির…

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান Read more

বাঞ্ছারামপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

চলারপথে রিপোর্ট : ৬ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য Read more

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল Read more

রাইস কুকারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক : মাগুরার সদর উপজেলার টিলা গ্রামে রাইস কুকারে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

চলারপথে রিপোর্ট : সরকারি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় Read more

নাসিরনগরে মৎস্য আড়তে অভিযান, নিষিদ্ধ পিরানহা…

চলারপথে রিপোর্ট : বিক্রির জন্য রাখা নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন চাঁদাবাজ গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা (বিশ্বরোড) গোলচত্বর নামক এলাকায় চাঁদাবাজির Read more

সড়ক মেরামতের সপ্তাহ না পেরোতেই উঠে…

চলারপথে রিপোর্ট : সড়ক মেরামতের এক সপ্তাহ না পেরোতেই ইতিমধ্যে Read more

কসবায় গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : আজ ২৪ জুন মঙ্গলবার সকালে এস আই Read more

শাস্তি পেলেন ঋষভ পন্ত

অনলাইন ডেস্ক : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট Read more

বাংলাদেশে গুগল পে এর উদ্বোধনী

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর Read more

যে কাজে নেক আমল নষ্ট হয়

ইসলাম ডেস্ক : মানুষের জীবনের সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক হলো Read more

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 26 September 2024, 759 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি।
গত মঙ্গলবার পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই দিনে এর সঙ্গে আরো দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই।

banner

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে গত ৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ ও ৩০ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৭৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।

এই স্বীকৃতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে গুণগত পরিবর্তন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

ভোলার দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের জীবনমানে রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। খাবারেও রয়েছে নিজস্বতা। এরই অংশ হিসেবে এ জেলা দীর্ঘকাল ধরে পরিচিতি পেয়েছে মহিষের দুধের কাঁচা টক দই, যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি ভোলাবাসীর জন্য আনন্দের।
এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে।

জিআই-৫৫ নম্বরে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ভোলাবাসী এটি নিয়ে গর্বিত। এর মাধ্যমে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রথমত এই পণ্যটি ভোলার বলে চিহ্নিত হলো। দ্বিতীয়ত, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই দধি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দধি উৎপাদনে মানের উন্নতি হবে। কেননা জিআই স্বীকৃতি পণ্যের মান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।’

পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধিসহ তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকের ফি জমা না দেওয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নারীদের ভূমিকা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে : গণপূর্তমন্ত্রী

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 30 March 2024, 1277 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগের ফলে দেশে নারীশক্তি ক্রমান্বয়ে বিকশিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

banner

আজ ৩০ মার্চ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে আইসিটি ডিভিশন কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলার ১৬০ জন নারী উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণ শেষে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, সনাতন ধর্মীয় মতে নারী হচ্ছে আদ্যশক্তি। ইসলাম ধর্মীয় মতেও সমাজে নারীর গুরুত্ব পুরুষের চেয়ে কম নয়। যে কোনো জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নারী পুরুষ উভয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, কিন্তু বিভিন্ন কারণে এদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারীশক্তির পূর্ণবিকাশ ও উন্মোচন এখনো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নারীর অপরিমেয় শক্তির বিকাশ হতে শুরু করেছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তাদের ভূমিকা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশে নারীর ক্ষমতায়নে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর পদাতিক ডিভিশন, বিমান বাহিনী, পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদসমূহ এমনকি বিচারপতি হিসেবেও নারীদের নিয়োগ ও পদায়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে নারীরা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায?িত্ব পালন করছেন। ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নারীরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে এবং নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। এ সেক্টরে আরও বিস্তর সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার এ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

এর অংশ হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমে দেশের ৪৪টি জেলার ১৩০টি উপজেলায় নারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলায় ১৮০ জন নারী উদ্যোক্তাকে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ করা এসব নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রকল্পের আওতায় মন্ত্রী বিনামূল্যে একটি করে ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শান্তনু চৌধুরী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম শেখ। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী সদর উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভা ও মাসিক সমন্বয় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে মন্ত্রী সার্কিট হাউজে ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির পক্ষ থেকে জেলার নয়টি উপজেলার অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের কাছে ৯ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।

এদিন বিকালে তিনি ৮ কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের ছয় তলা একাডেমিক ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরে মন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকনের পক্ষে জেলার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে ৫০০ অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্রের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতি, ঢাকা এবং পিপি কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ইফতার মাহফিলের আয়োজন না করে ইফতার মাহফিলের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করে এসব ঈদ সামগ্রী ক্রয় করা হয়।

সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 1 October 2023, 953 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধস্থল, গণহত্যা, বধ্যভূমি, শহীদ সমাধি এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ।

banner

এরই অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধস্থল, শহীদ সমাধি, গণকবর ও বধ্যভ‚মি সংরক্ষণসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্মৃতিস্তম্ভ এবং বিভিন্ন সড়ক দ্বীপে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচত্বর স্থাপন করা হবে। তিনবছর মেয়াদি এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে পাঁচ কোটি টাকা।

আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এসব প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন ও প্রকল্প বাস্তবায়নে সাংবাদিক সমাজের পরামর্শ সহযোগীতা কামনা করেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও দেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি হিসেবে খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরসহ বিজয়নগর, আখাউড়া ও কসবা। এসব এলাকায় পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ ৯ মাস অনেক গুলো ঐতিহাসিকযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে।

প্রজন্ম প্রজন্মান্তরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে এসব স্থানে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হবে। তিন বছর মেয়াদী এসব পরিকল্পনায় ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, এ জন্য প্রকল্পের একটি তালিকা করা হয়েছে। জেলা পরিষদের তৈরী করা এসব প্রকল্পের তালিকার বাইরে যদি আরো কোন প্রকল্প বাদ পড়ে থাকে তিনি ওইসব প্রকল্পের জন্য তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতার হোসেন সাঈদ, কসবা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমীন ভূইয়া বকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, জেলা পরিষদের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জয় বাংলা কনসার্ট অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 6 March 2023, 1607 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে জয় বাংলা কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ৬ মার্চ সোমবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে আয়োজিত কনসার্ট ও ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।

ইউনির্ভাসেল মেডিকেল কলেজের সহযোগীতায় অনুষ্ঠিত সংগীতানুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন, দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস। এতে সংগীত পরিবেশন করেন দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল মাইলস, মাকসুদ ও ঢাকা, ওয়ারফেজ, চিরকুট ব্যান্ডের পিন্টু ঘোষ, সংগীতশিল্পী ইমরান ও অপু। একসঙ্গে এক মঞ্চে এত জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ও শিল্পী দিয়ে এতবড় আয়োজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাতে এই প্রথম।

দুপুরে দিকে প্রখর রৌদের কারনে মাঠে দর্শক উপস্থিতি কম থাকলেও সন্ধ্যার আগেই দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ হয় স্টেডিয়ামটি’। সন্ধ্যা ছয়টায় শিল্পী অপু ‘আলো আলো’ গানটি ধরতেই দর্শকদের হুল্লুড়। ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ গানটি ধরলে শিল্পীর চেয়ে যেন দর্শকদের কণ্ঠে বেশি উচ্চারণ।

জয় বাংলা কনসার্টকে ঘিরে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছিলো মাতোয়ারা। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় শুরু হওয়া কনসার্ট চলে কয়েকঘন্টা। শিল্পীদের সঙ্গে দর্শকরাও নেচে গেয়ে কনসার্টকে উপভোগ্য করে তুলেন।

গানের ফাঁকে ফাঁকে মুক্তিযুদ্ধের কিছু চিত্র আয়োজনকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে তুলে।

সেলিম রেজা হাবিবকে দলীয় পতাকা ও পুষ্পস্তবকে আবৃত করে শেষ বিদায় জানালো আওয়ামী লীগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, রাজনীতি, 5 July 2024, 685 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ও বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিবকে চোখের জলে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে। এর আগে তাঁর নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

banner

আজ ৫ জুলাই শুক্রবার বাদ জুমা শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাযার পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা হাবিবের মরদেহ দলীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।

এর আগে মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রয়াত সেলিম রেজা হাবিবের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রয়াত এই নেতার জানাযায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, হাজী হেলাল উদ্দিন, কামরুজ্জামান আনসারী, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ মহসিন, তানজিন আহমেদ, আইন সম্পাদক অ্যাড. মফিজুর রহমান বাবুল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কাজী আবুল কালাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, অ্যাড. লোকমান হোসেন, হাসান সারোয়ার, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আউয়াল, জামাল খান। এছাড়া নামাজে জানাযায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন উপস্থিত ছিলেন।

জানাযা শেষে তাকে এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।