চলারপথে রিপোর্ট :
রামগতি উপজেলার ২০ জন জেলের অবৈধ জাল পুড়িয়ে তাদেরকে বৈধ সুতার জাল দেওয়া হয়েছে।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে জেলেদের বৈধ জাল বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. রাহিদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ ও চর আলগী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন।
মৎস্য বিভাগ জানায়, মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টে কম্পোনেন্ট-৩ এর আওতায় উপজেলার আসলপাড়া ও রঘুনাথপুর মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির ২০ জন সুফলভোগীর মধ্যে এ জাল বিতরণ করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, দুটি মৎস্যজীবী গ্রাম সমিতির ২০ জন জেলের অবৈধ জাল পুড়িয়ে নতুন সুতার (ফাঁস জাল) জাল দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা জালের দৈর্ঘ্য ৪ শত মিটার। যার বাজার মূল্য ২২ হাজার টাকা।
চলারপথে রিপোট
প্রেমের টানে এবার জয়পুরহাটে এসেছেন আনা মারিয়া ভেলাস্কো (৪১) নামে ফিলিপাইনের এক নারী। জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আব্দুল্লাহ হেল আমানের (৪২) সঙ্গে ফেসবুকে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার তিনি আমানের ভাড়া বাসায় আসেন। এরপর দুপুরে তারা বিয়ে করেন।
আব্দুল্লাহ হেল আমানের গ্রামের বাড়ি ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়িতে। তিনি ক্ষেতলাল পৌরসভার থানা বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সেখানে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। আনা মারিয়া ভেলাস্কো ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা শহরের বাসিন্দা। বিদেশি নববধূকে দেখতে এলাকার অনেকে আমানের বাড়িতে ভিড় করছেন।
আমানের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফিলিপাইনের নারী আনা মারিয়া ভেলাস্কোর সঙ্গে আমানের দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আনা মারিয়া ভেলাস্কো চাকরির সুবাদে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাস করেন। সেখান থেকে শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর আব্দুল্লাহ হেল আমান গাড়ি যোগে রোববার সকালে আনা মারিয়া ভেলাস্কোকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার ভাড়া বাসায় পৌঁছান। পরে দুপুরে দুজনে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় ওই নারীর নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়।
ফিলিপাইনের নারী আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, প্রেমের টানে আব্দুল্লাহ হেল আমানকে বিয়ের জন্য স্বেচ্ছায় এখানে এসেছি। আমরা বিয়ে করেছি। তার পরিবার আমাকে মেনে নিয়েছে।
আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে খ্রিস্টান ধর্মের। কিন্তু তিন বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সে সৌদি আরবে চাকরি করতো। সেখান থেকে ভালোবাসার টানে আমাকে বিয়েহের উদ্দেশ্যে এখানে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছি।
ক্ষেতলাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আনা মারিয়া ভেলাস্কো ফিলিপাইনের নাগরিক। তিনি চাকরির সুবাদে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাস করেন। সেখান থেকে আব্দুল্লাহ হেল আমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের টানে তিনি এখানে স্বেচ্ছায় এসে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি-পিপি শাখা), বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণ, ঢাকা এর স্মারক নং- সলিসিটর/ জিপি-পিপি (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)-১৯/২০২৪ (অংশ-১)-২১০, তারিখ-১৮/১১/২০২৪খ্রি. মূলে উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মোঃ মাহ্রূফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই আইন কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা হয়। এতে সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) (জেলা জজ আদালত) হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির প্রবীন আইনজীবী মোঃ সিরাজুল ইসলাম (আবিদ)। গত ২৭ নভেম্বর বুধবার সাবেক জিপি অ্যাড. মোঃ ওয়াসেক আলী এর নিকট থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
দায়িত্বভার গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি সৈয়দ ফারুক, মোঃ জাকির হোসেন (৪), মোঃ ইউনুস সরকার, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি আবুল কালাম, মোহাম্মদুল্লাহ্ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাড. তাছলিমুল হক, অ্যাড. রেজাউল ইসলামসহ জেলা আইনজীবী সমিতির অন্যান্য আইনজীবীগণ।
তিনি এই দায়িত্ব পালনে সকল আইনজীবীসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বস্তরের জনগণের সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছর জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধীদলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এ সব তথ্য জানান। তবে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী জানান, সারাদেশের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করিয়াছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া তথ্য অধিদফতর নিবন্ধনের কাজ পরিচালনা করিয়া থাকে। তথ্য অধিদফতর হইতে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করা হয়েছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরো অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনিয়া সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রহিয়াছে। ইহা ছাড়া, দেশের অনিবন্ধিত কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশ-বিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাহা বন্ধের প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
অনলাইন ডেস্ক :
বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় বিচার দ্রুত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করা হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে অভিযোগ করেছেন, তা অস্বীকার করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী আজ ১২ মে রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।
ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পুরোনো সব মামলায় বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। সে জন্য এখন নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে সরকার।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো পরিকল্পনা এ মুহূর্তে তাঁদের নেই। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা চিহ্নিত করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার যে অভিযোগ তারা (বিএনপি) করছে, তা সঠিক নয়।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর বস্তিবাসীদের জন্য উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে নির্মাণ করা হবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ফ্ল্যাট। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন তারা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ২৮ জুন শুক্রবার মহাখালীর টিএন্ডটি কলোনির মাঠে কড়াইল বস্তিবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিতিদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সকল মানুষের মানসম্মত আবাসনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে বস্তিবাসীদের উন্নত জীবন ও মানসম্মত আবাসনের লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। স্বল্প ভাড়ায় এসব ফ্ল্যাটে তারা বসবাসের সুযোগ পাবেন।
রাজধানীর মিরপুরে ইতোমধ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত ৫৩৩টি ভাড়া ভিত্তিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেখানকার বস্তিবাসীরা স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে সেখানে বসবাস করছেন।
টঙ্গীর দত্তপাড়া এবং মহাখালীর কড়াইল বস্তিতেও একই ধরনের ফ্ল্যাট নির্মাণে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, বস্তিতে বসবাসকারীরা যথাযথ ভাড়া পরিশোধ করে থাকেন। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা বাবদ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করতে হয়।
অথচ বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তারা পায় না। পর্যাপ্ত অর্থ খরচের পরও তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করে। এসব ফ্ল্যাট নির্মিত হলে স্বল্প ভাড়ায় তারা আধুনিক জীবন যাপনের সুযোগ পাবেন। অবস্থানরত কোনো বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ না করে তাদেরকে বিদ্যমান স্থানে পুনর্বাসিত করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এসব ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।
সবার সহযোগিতা পেলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
ঢাকা-১৭ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১১ আসামের মাননীয় সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং কড়াইল বস্তিতে বসবাসরত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।