চলারপথে ডেস্ক :
চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ থানার অলংকার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
তবে এটি নাশকতার ঘটনা নয় বলে দাবি করেছে পুলিশ। আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, এটি নাশকতা কিংবা অগ্নিসংযোগের ঘটনা নয়। যাত্রীবাহী বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রামে আসে। রাত ৩টার দিকে একে খান মোড়ে যাত্রী নামানোর সময় গাড়িতে আগুন ধরে যায়। শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডটি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার খলিলুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আগ্রাবাদ স্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রাত ৩টা ৪০ মিনিটে আগুন নেভানো সম্ভব হয়। বাসটিতে ইঞ্জিন ওভারহিট হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে জানান তিনি।
চলারথে ডেস্ক :
ঢাকাসহ অন্যান্য শহরে মোটর সাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা হচ্ছে ৩০ কিলোমিটার। আর মহাসড়কে ১২৬ সিসির (ইঞ্জিন ক্ষমতা) কম মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারবে না।
এছাড়া মহাসড়কে আরোহী নিয়েও মোটর সাইকেল চালানো যাবে না। খসড়া ‘মোটর সাইকেল চলাচল নীতিমালা-২০২৩’ এ এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মোটর সাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণে এসব বিষয় যুক্ত করে একটি নীতিমালার খসড়া করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের একটি কমিটি।
কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
খসড়া নীতিমালায় তিনটি উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে ১. মোটর সাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো। ২. মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটর সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি। ৩. মোটর সাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিশ্বে স্পোর্টি ও স্কুটি এই দুই ধরনের মোটর সাইকেল বেশি চলাচল করে। বাংলাদেশে বিক্রয়, বিপণন ও সড়কে চলাচলকারী প্রায় সব মোটর সাইকেলই স্পোর্টি শ্রেণির, যা অপেক্ষাকৃত দুর্ঘটনা প্রবণ। অন্যদিকে স্কুটি মোটর সাইকেল তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ। এ জন্য নীতিমালায় স্কুটি মোটরসাইকেলের প্রসার এবং স্পোর্টির ব্যবহার কমানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে খসড়া প্রণয়ন কমিটির প্রধান আনিসুর রহমান বলেন, মোটর সাইকেল দরকার, এটা ঠিক। কিন্তু এটা গণপরিবহনের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে যাবে। বিশেষ করে মহাসড়কে মোটর সাইকেলের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা জরুরি।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসেবে ২০১৮ সালে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৯৪৫ জন, যা ২০২২ এসে ২৫৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০২১ সালে মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করে, এমন ১৬টি দেশের (বাংলাদেশসহ) ওপর সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি গবেষণা করে বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই)।
এতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রতি ১০ হাজার মোটর সাইকেলের বিপরীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন ২৮ দশমিক ৪ জন। তাদের প্রায় ৪০ শতাংশেরই বয়স ২৪ থেকে ৩০ বছর। মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর এই হার সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ। যদিও মাথাপিছু মোটর সাইকেল ব্যবহারকারীর হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান পেছনের (১৬ দেশের মধ্যে) দিকেই।
বুয়েটের ওই গবেষণা উল্লেখ করা হয়েছে, ১০ হাজার মোটর সাইকেলের বিপরীতে বাংলাদেশে ২৮ জন মারা গেলেও ভিয়েতনামে এই সংখ্যা মাত্র ৪ জন এবং ভারতে ৯ জন।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি এম. খুরশীদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাক্রমে যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে র্যাব প্রস্তুত।
তিনি আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়ার সরকারপাড়ায় র্যাব-৯-এর অধীনে ক্রাইম প্রিভেশন কোম্পানী-১ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় র্যাব মহাপরিচালক এম. খুরশীদ হোসেন আরো বলেন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে ভালোবাসতেন। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিশ্বাস করি, আমরা দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি আমরা তারই অনুসারী। আমরা দেশের এবং মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সময়ে আইন-শৃংখলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। তারা যেভাবে পরিচালনা করেন ঠিক সেভাবে পরিচালিত হবে।
তবে আমাদের দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এই বিষয়টি নিশ্চিত করা। আমরা এটা দৃঢ়ভাবে করবো। এ ধরনের যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় র্যাব মানসিকভাবে প্রস্তুত।
পরে তিনি র্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল মাহাবুব আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান রফিকুল ইসলাম এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন র্যাব-৯-এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মোঃ মুমিনুল হক।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহসহ র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূধী সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক এম.খুরশীদ হোসেন বলেন, দেশের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য আর্ন্তজাতিকভাবে সুপরিকল্পিতভাবে দেশে মাদক ঢুকছে। মাদকের সাথে আপোষ করলে পরবর্তী প্রজন্মের কি হবে? দেশে এখন মেয়েরাও মাদক সেবন করে। উচ্চ ও মধ্যবিত্তের ছেলে মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলমান থাকলে আগামী ১০বছর পর কাউকে পাব না যারা আইনশৃংখলা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায় সংক্ষিপ্ত সময়ে অনেক টাকার মালিক হওয়া যায়। জনপ্রতিনিধিরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। মাদকের গড ফাদারদের গ্রেফতার করতে হবে। তাই মাদক পাচার প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূধী সমাবেশের পর র্যাব-৯-এর অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-১-এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন র্যাব মহাপরিচালক। এর আগে র্যাব মহাপরিচালক র্যাবের নিজস্ব হেলিকপ্টারে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কাজীপাড়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারকে সাহায্য করার জন্য সকলকে, বিশেষ করে আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে আপনাদের (আলেম-ওলামাদের) সহযোগিতা চাই।’
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার সকালে ‘জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৩’-এর জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী হাফেজদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দ্বীনি সেবা ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি যাতে আমাদের সন্তানরা বিপথে যেতে না পারে।’
প্রধানমন্ত্রী আলেম-ওলামাদেরকে সকলের মাঝে ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী ছড়িয়ে দিতে বলেন, যাতে কেউ কাউকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের পথে বিচ্যুত করতে না পারে এবং ইসলামের বদনাম করতে না পারে।
তিনি বলেন, ‘যারা জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী, তারা সন্ত্রাসী। তারা কোনো ধর্ম, দেশ বা জাতি গোষ্ঠীর নয়। তাই সকলের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, আমাদের ধর্মের মান-ইজ্জতটা রক্ষা করবেন। কেউ যেন এই বিপথে না যায়। সন্তানের নিয়মিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতির বিষয়টা এবং কার সঙ্গে মিশছে সে বিষয়টা আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম, সেই ধর্মের সঙ্গে সামান্য মুষ্টিমেয় কয়েকজনের জন্য কেন সন্ত্রাসী নামটা যুক্ত হবে? সত্যিকারের যারা ধর্মে বিশ্বাসী তাদের জন্য এটা খুব কষ্টদায়ক। কাজেই এ সমস্ত কুসংস্কার, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলের ক্ষেত্রে আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের দোয়া চাই। আমাদের ছেলে মেয়েরা যেন বিপথে না যায় সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নানা ধর্মের লোক এই বাংলাদেশে আছে এবং যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। এটা আমাদের নবী করীম (সা:)-এর শিক্ষা। আমরা সেভাবেই চলব। চূড়ান্ত বিচার বা শেষ বিচার করবেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। কাজেই কে কোন ধর্মের, কে হিন্দু না মুসলমান, বৌদ্ধ না খ্রিস্টান তা দেখার দায়িত্ব আমাদের না। যার যার কর্মফল সে সে ভোগ করবে।’
বিচারের ভার নিজেদের হাতে তুলে না নিয়ে বরং আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যেন ইসলামের ছায়াতলে আসে সেজন্য সকলের প্রচেষ্টা থাকা উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র : বাসস
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু ব্যাডমিন্টন টূর্ণামেন্ট ২০২৪।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ও এমআর টেক্সটাইল এর সহযোগিতায় শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায় স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো এই বছরের টুর্ণামেন্ট।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে খেলার উদ্বোধন করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আ. কুদদূস, দেওয়ান দিদারুল আলম মারুফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চেীধুরী মন্টু। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট কবি ও বাচিকশিল্পী মো. মনির হোসেন।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ নেয় পরপর টানা তৃতীয়বারের চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ড এ মালেক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট মসজিদ রোড বনাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মধ্যপাড়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, প্রধান অতিথি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আজ দেশে খেলাধুলা চর্চা হচ্ছে। খেলাধুলা সুস্থধারার বিনোদনের একটি মাধ্যম। আমাদের যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে খেলাধুলায় তাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আজকের প্রেক্ষাপটে খেলাধুলার চর্চাটা বাড়ানো খুবই জরুরী। তিনি আরও বলেন, এটা খুশির খবর যে সামগ্রিকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে সবাইকে আরও বেশি করে ভুমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, খেলাধুলা বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে তোলে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমরা খেলাধুলার প্রসারে ব্যাপকভাবে কাজ করছি। শিক্ষাসংস্কৃতির ঐতিহ্যের জেলা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ইতোমধ্যেই এই জেলার ছানামুখিকে জিআই পণ্যের তালিকাভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এসময় সদর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়ার সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, পিপি এভভোকেট মাহবুবল আলম চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন আব্দুস সাকির ছোটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ। শিক্ষকদের বলা হয় জাতি গঠনের গারিগর। একজন মানুষের জীবনে মা-বাবার পরেই জীবন গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে তার শিক্ষক। শিক্ষকদেরকে স্মরণ করা এবং তাঁদেরকে সম্মান জানানোর জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের ৫ তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে পালিত হয় দিবসটি। এ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও থাকে শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদানের আয়োজন।
এবছরের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক: শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক অপরিহার্যতা’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এদিন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীসহ সবার শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রাক্তন ও বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবার আংশগ্রহনে র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।