অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ফেব্রুয়ারিতে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আজ ১৫ নভেম্বর বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে ফেব্রুয়ারিতে। তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের লোকজন ইজতেমায় অংশ নেবেন। তিন দিনের এ পর্বের ইজতেমা শেষ হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে ওয়াসেক পক্ষের লোকজন অংশ নেবেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা দেখেছি ইজতেমা দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়েই দুই গ্রুপকে দুই সময়ে করতে দেওয়া হয়। প্রতিবারই কে আগে করবেন কে পরে করবেন সেই সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেন না, আমাদের কাছে দৌড়ে আসেন। আমরা বলেছিলাম আপনারা এক হয়ে আমাদের বলেন। তারা একমত না হতে পারার আমরা তাদের গতবারের মতো করে করতে বলেছি।
প্রতি বছরই কেন ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে দিতে হয়- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা একত্র হতে পারছেন না। দুইজন এক প্লেটে ভাত খাওয় মানুষ, একের পেছনে আরেকজন নামাজ পড়েন তারা। কিন্তু যখন এ প্রসঙ্গগুলো আসে তখন মারমুখী হয়ে যায়। তিনটি মার্ডার হয়েছিল, ভুলে যাননি, দেড়শ আহত হয়েছিল, ভাঙচুর হয়েছিল, সেইজন্য আমরা কোনো রিস্ক নিতে চাই না।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, আরেকটি দাবি তারা করেছিলেন, মসজিদে মসজিদে যেন কোনো গ্রুপ প্রাধান্য না পায়, সবাই মিলে মিশে কাজ করতে পারে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এটি চিঠি দিয়ে সব মসজিদে জানিয়ে দেবেন। দ্বীনের দাওয়াতে এক গ্রুপ যাওয়ার পর আরেক গ্রুপ যেতে পারবেন, মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ থাকবেন।
ইজতেমায় বিদেশিরা কীভাবে আসবেন পরে সে বিষয়ে বিস্তারিত সভা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যা যা প্রয়োজন বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, সচিবসহ অন্যরা বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ইজতেমা আয়োজেন এখনও যেসব সিদ্ধান্ত অমীমাংসিত আছে সেগুলো নির্বাচনের পর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে দেওয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও জানান, মাওলানা সাদ আসার ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন, গাজীপুর সিটি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গী তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা ১৯৬৭ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
ভারতের প্রখ্যাত মাওলানা ও তাবলিগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা সাদের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজকদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে দুই গ্রুপ দুই পর্বে ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, ভারতের মাওলানা সাদ অনুসারীরা, অপরটির নেতৃত্বে বাংলাদেশের আলেম ওলামাদের মাওলানা যোবায়ের অনুসারী গ্রুপ।
চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেছেন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকতেই পারে। যারা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করতে চায় তারা করতে পারে। কিন্তু যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে সেগুলোকে বন্ধ করার কথা উঠেছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিলো দেশদ্রোহীতামূলক এবং তারা এই ভূমিকা থেকে কখনো সরে আসেনি। এখনো তাদের ভূমিকা দেশদ্রোহীতামূলক।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী একমাত্র দল যেদল থেকে সবচেয়ে বেশী যুদ্ধাপরাধীদের সাজা হয়েছে। তাই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা যথার্থ।
এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদফতরের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এতে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির। আলোচনা সভা শেষে সফল মৎস্য চাষীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে তিতাস নদীর কুরুলিয়া খালে ভিন্ন প্রজাতির মাছ অবমুক্ত করেন মন্ত্রী।
চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের রুমায় দুই ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে ৬ মহিলা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন।
আজ ২০ মার্চ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে রুমা-কেওক্রাডং সড়কের বগালেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ও নিহতদের নাম তাৎক্ষনিক পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে রেমাক্রী ইউনিয়নের থাইক্ষ্যং পাড়া ও স্লৌপি পাড়া থেকে রুমা-কেওক্রাডং সড়ক উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত খালি ট্রাকে করে রুমা বাজারে আসছিলেন ভিজিডির চাল নিতে যাচ্ছিলেন।
ট্রাকটি বগালেক পাহাড় নামার সময় উল্টো দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ৫ জন। পরে স্থানীয়, সেনাবাহিনীর ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরো এক মহিলা। এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন । এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রুমা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বামংপ্রু বলেন, রুমায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৪ জনের মধ্যে গুরুতর আহত ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করা হয়।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫ নারী ও একজন পুরুষ।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)। এবার সারাদেশে তিন হাজার ৭০০টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।
সূচি অনুযায়ী, প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩-২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, ১১টি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৭৮ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৩১ হাজার ৩১৪ জন। মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৭০০টি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ৭৩৫টি।
বোর্ডভিত্তিক হিসাবে সবচেয়ে বেশি ৪ লাখ ৪ হাজার ৬৩৭ পরীক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডে। এছাড়া রাজশাহীতে ২ লাখ ২৪৫ জন, কুমিল্লায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫২৭, যশোরে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৭১, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০, বরিশালে ৮৮ হাজার ৫৮৬, সিলেটে ১ লাখ ৯ হাজার ৪১২, দিনাজপুরে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৬ এবং ময়মনসিংহে ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৫ জন।
এছাড়া মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২ লাখ ৯০ হাজার ৯৪০ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজর ৮৪১ জন এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন। আর কারিগরি বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাাখ ২৬হাজার ৩৭৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৯৪ হাজার ৮৪১ জন এবং ছাত্রী ৩১ হাজার ৫৩২ জন।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এসএসসি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্ব পালন করছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসি পরীক্ষার সব প্রস্তুতি শেষ। প্রশ্নফাঁস হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কেউ এ নিয়ে গুজব ছড়ালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বিবেচনায় নিয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন না শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ তথ্য জানিয়ে দেন তিনি। মন্ত্রী মনে করেন কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর এক ধরনের হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণা ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেছেন, পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা এমনিতেই একটা ট্রমার মধ্যে থাকে। কেন্দ্র পরিদর্শনের নামে ব্যাপক জনসমাগম এ মানসিক চাপ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন ঘটে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী আরও বলেন, আইন অনুযায়ী কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া অন্য কারও কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ যেন পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করেন সে বিষয়ে সবার সচেতন থাকা উচিত।
বন্ধ কোচিং সেন্টার
এদিকে, প্রশ্নফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা আয়োজনে মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ মার্চ পর্যন্ত একমাস সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নানা উদ্যোগ
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কোচিং বন্ধ ছাড়াও নানা উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার কেন্দ্রে জেলা পর্যায়ের ট্রেজারি ও উপজেলা বা থানা পর্যায়ে থানা হেফাজতে সংরক্ষণ করা হবে। থানা বা ট্রেজারি থেকে পুলিশ প্রহরায় প্রশ্ন কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁস বা এ সংক্রান্ত গুজব ঠেকাতে ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলবে নজরদারি। এ কাজে তৎপর চক্রগুলোর কার্যক্রমের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নজরদারি চালাবে। প্রশ্নফাঁস বা পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষা বোর্ডের যত নির্দেশনা
এসএসসি শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষা বোর্ড থেকেও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং দুই পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। এছাড়া পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা শুরুর তিনদিন আগে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না।
থাকবে কুইক রেসপন্স টিম
এসএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা নিরসনে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীদের যে কোনো অসুবিধা মোকাবিলা করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি জোন কর্তৃক আলাদা আলাদা কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) গঠন করা হবে। এছাড়া যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করে সহায়তার আহ্বান জানানো যাবে। এক্ষেত্রে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তিনি বক্তৃতা দেন। সিলেটবাসীকে সালাম ও বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগুন নিয়ে খেলে। তারা জানে না আগুনে হাত দিলে আগুনেই হাত পুড়ে যায়। লন্ডনে বসে হুকুম দেয়। আর এদেশে বসে তাবেদার লোক মানুষ পোড়ায়।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে দিতে চায় না। কিন্তু এত সহজ নয় যে, সরকার সহজে পড়ে যাবে। যারা খুনি তারাই নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি আদায় করে বলেন, এ নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। কেউ ভয় পাবেন না। নির্বাচনে ভোট দিতে যাবেন।
তিনি বলেন, সিলেটের যে কুপ খনন করে খালেদা জিয়ার আমলে গ্যাস পাওয়া যায়নি, সেই কুপে এখন গ্যাস ও তেল পেয়েছি। আল্লাহ জন বুঝে ধন দেন। ২০০১ সালে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। কারণ আমেরিকা চেয়েছিল তাদের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে। আমি তা করিনি। তখন ভোট কারচুপির মাধ্যমে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছে।
সিলেটের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শুরু করে সিলটবাসী আমার সঙ্গে আছেন। আমি বারবার সিলেটে এসেছি। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সিলেটবাসীকে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সুরমা নদীসহ সব নদী খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। নতুন রেলস্টেশন করে দিয়েছি। সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-বাদাঘাট এবং সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ছয় ও চার লেন হচ্ছে। ওসমানী বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। আধুনিক সিলেট গড়ার কাজ চলছে। সিলেটে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। একশ শয্যার বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিলেটের মানুষ সবসময় আমাদের পাশে রয়েছে। আমিও পাশে আছি। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতির জন্য আমরা লড়াই করছি।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে বক্তৃতা শুরু করে ৪টা ৫৫ মিনিটে শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী। ৩৫ মিনিটের বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দিয়েছি। তারা কি দিয়েছে। বারবার সংবিধান লঙ্ঘন ও জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে। কোনো কাজ করেনি। শুধু ভোগের জন্য তারা ক্ষমতায় এসেছে।
বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছার পর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠ। তার বক্তব্যের আগে শীর্ষ কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। দীর্ঘ ৩৫ মিনিটের বক্তব্যকালে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা ৮ লাখ ৪১ হাজার মানুষকে ঘর দিয়েছি। প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের ভাতা দিচ্ছি। ৩৬ লাখ নারীকে এ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই দেশকে এগিয়ে নিতে আর তারা (বিএনপি-জামায়াত) এগিয়ে নিতে দিতে চায় না।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে যেমন ছিল নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস তেমনি তার বক্তব্য শোনার জন্য ছিল নীরবতা। মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় আশপাশের এলাকায় অবস্থান করেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। নিরাপত্তার কারণে চারপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন অনেকে। বিশেষ করে একমাত্র মাঠের পশ্চিম দিকে প্রবেশের স্থান রাখায় মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীদের মাঠে প্রবেশে বেগ পেতে হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিএনপিকে চাই না। খালেদা জিয়াকে চাই না, তারেক রহমানকে চাই না। এরা মানুষ মারে। এরা মানুষ না, দানব। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। এদের বাংলাদেশে রাখা যাবে না।
খেলা হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ধর্মঘট ভুয়া, রাজনীতি ভুয়া। তারা বলেছিল ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া দেশ চালাবে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবেন। কিন্তু অনেকে পালিয়েছেন। বিএনপি লালকার্ড পেয়ে গেছে।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, প্রেসিডয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছো হক, সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ইনাম আহমদ চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ, বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, আবু জাহির এমপি, হাবিবুর রহমান এমপি, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ হেলাল প্রমুখ।
সিলেটের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ওসমানী বিমানবন্দর পৌঁছান। দুপুরে হযরত শাহজালাল ও শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। সিলেট সার্কিট হাউসে অবস্থানের পর বিকেলে সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছান। ওই সময় শিল্পীরা ‘বাবা শাহ জালালের দেশ সিলেট ভূমিরে…ও কোন মেস্ত্ররি নাও বানাইছে কেমন দেখা যায়’…গান দুটি পরিবেশন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ছিল নগরজুড়ে। সমাবেশস্থলের পার্শ্ববর্তী চৌহাট্টা মোড় থেকে আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, রিকাবি বাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশের মাজার এলাকার রাস্তাও বন্ধ রাখা হয়। নগরীর প্রত্যেক প্রবেশ মুখ থেকে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এবং সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন। তাদের পরনে রঙিন গেঞ্জি ও মাথায় ক্যাপ ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি এক দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ সুপারিশ করে।
সভা শেষে আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রিসভা।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ঈদের সময় মানুষ যাতে সহজে গ্রামে যেতে পারে সে জন্য আমরা ২৭ জুন থেকে ছুটির সুপারিশ করেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে মন্ত্রিসভা।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদের সময় সড়কে চাপ ও ভোগান্তি কমাতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। রোজা ও কোরবানির ঈদে সরকারি ছুটি বরাবরই তিন দিন থাকে।
ছুটি এক দিন বাড়িয়ে দিলে ঈদে চাপ কমবে।
মন্ত্রিসভা কমিটি ২৭ জুন থেকে ঈদের ছুটি দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশ অনুমোদন পেলে ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কোরবানির ঈদের ছুটি হবে।