স্পোর্টস ডেস্ক :
বিরাট কোহলি বিশ্বরেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি হাঁকালেন। মারকুটে ব্যাটিংয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁলেন শ্রেয়াস আয়ারও। জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রানের পাহাড় গড়েছে ভারত। অর্থাৎ ফাইনালে যেতে কিউইদের করতে হবে ৩৯৮ রান।
মুম্বাই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা।
দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল মিলে ৮.২ ওভারে ৭১ রানের ঝোড়ো জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। এমনভাবে ব্যাটিং করছিলেন তারা, যেন এটি একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
২৯ বলে ৪৭ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। টিম সাউদির বলে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ২৯ বলে সমান চারটি করে ছক্কা এবং বাউন্ডারি হাঁকান তিনি।
রোহিত আউট হলেও ঝোড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান শুভমান গিল এবং বিরাট কোহলি। ১৫ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তারা তুলে ফেলে ১১৮ রান। ২৩তম ওভারে দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন গিল।
গিল মাঠ ছাড়ার পর নতুন ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসেন শ্রেয়াস আয়ার। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপদ যেন আরও বাড়ে। আয়ার আরও বেশি মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন। ৩৫ বলেই ফিফটি পূরণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
বিরাট কোহলি দেখেশুনে খেলে ক্যারিয়ারের ৫০তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ছাড়িয়ে যান স্বদেশি কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারকে। ওয়ানডে ইতিহাসে ৫০টি সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটার হন কোহলি।
তৃতীয় উইকেটে ১২৮ বলে ১৬৩ রান যোগ করেন কোহলি আর আয়ার। অবশেষে টিম সাউদি ভাঙেন এই জুটি। ১১৩ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ১১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন কোহলি।
এরপর সেঞ্চুরি হাঁকান মারমুখী আয়ারও। ৬৭ বলে তিনি ছুঁয়েছেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার। অবশেষে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ট্রেন্ট বোল্ডের শিকার হন আয়ার। ৭০ বলে ১০৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ৪টি চারের সঙ্গে তিনি হাঁকান ৮টি ছক্কা!
সূর্যকুমার যাদব শেষদিকে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ২ বলে ১ করে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটার। তবে লোকেশ রাহুল ২০ বলে ৩৯ রান করে দলকে চারশর কাছাকাছি নিয়ে যান। ৭৯ রানে উঠে যাওয়া শুভমান গিল শেষ ওভারে নামলেও মাত্র এক বল খেলার সুযোগ পান, ৮০ রানে থাকেন অপরাজিত।
নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি ১০০ রান খরচায় নেন ৩টি উইকেট।
চলারপথে ডেস্ক :
বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হচ্ছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সোহেল রানার ছেলে মাশরুর পারভেজ।
ছেলে মাশরুর পারভেজ বলেন, আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন বাবা। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে তার। এবার মূলত চোখ দেখাতে যাবেন তিনি। অন্যান্য অসুস্থতার পাশাপাশি চোখের জটিল সমস্যায়ও ভুগছেন। সব মিলিয়ে ১০ দিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন বাবা। নিয়মিত চেকআপ শেষে দেশে ফিরবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালেও তাকে চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ওই বছরের ১১ নভেম্বর ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে সুস্থতার খবরটি দেন এই অভিনেতা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চুয়াডাঙ্গার ব্যবস্থাপনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা স্টেডিয়ামে গতকাল ৯ মার্চ ২০২৪ শনিবার টিয়ার ওয়ানের গুরুত্বপূর্ণ খেলায় নাটকীয় ম্যাচে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৩ উইকেটে রাজশাহী জেলাকে পরাজিত করে টানা ৩ ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে চুড়ান্ত পর্বের টিকেট পেয়ে যায়।
টসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিনায়ক মো: সুমন জয়লাভ করে ১ম বল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
রাজশাহী ১ম ব্যাট করে ৪৮.২ ওভারে ২১৩ রানে অলআউট হয়।
আলিফ, ফারদিন, জালাল প্রত্যেকেই ২টি করে উইকেট পায়। বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেক নাটকীয়তার পরে ৪৮.২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। উদয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান, হেমায়েত ৩৯ রান, রোহান ৩৬ রান, সুমন ও ফারদীন উভয়েই ২০ রান করে উইকেট কিপার ব্যাটার প্রসেঞ্জিত ১৮ ও সজিব ১৭ রান করে।
১ম ২ ম্যাচে ৮ উইকেট নেয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের তারকা ক্রিকেটার বাঁমহাতি স্পিন অলরাউন্ডার শামীম মিয়া খেলতে পারেনি তার ক্লাব হতে ছুটি না পাওয়ায় কিন্তু তার শুন্যস্থান পূরণ করতে ঢাকা ১ম বিভাগ লীগে লালমাটিয়ার ক্রিকেটার সজিব মিয়া ও ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের আশফাক আহমেদ রোহান এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে খেলার আগের দিন রাতে ক্লাব হতে ছুটি নিয়ে জরুরী ভাবে দলের সাথে যোগ করায় দলের শক্তি বেড়ে যায়। এতে দল ও জয়লাভ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সদস্যগণ হলেন মো: সুমন (অধিনায়ক), প্রসেনজিত দাস (উইকেট কিপার ও সহ-অধিনায়ক), রোহান, ফারদীন, সজিব, জালাল, হেমায়েত, নিশাদ, আলিফ,উদয়, নাইম, রাহিম, বিজয়, অমি, পারভেজ ও শামীম কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ম্যানেজার আবুল কাসেম (সহ-সভাপতি জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনো টেস্ট সিরিজ জেতা হয়নি ভারতের। এবারও হলো না। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে তৃতীয় দিনেই এক ইনিংস ও ৩২ রানে হেরে সেঞ্চুরিয়নের বিধ্বস্ত হয়েছে ভারত। ১৬৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বৃহস্পতিবার ভারতীয়রা গুটিয়ে গেছে ৩৪.১ ওভারে মাত্র ১৩১ রানে।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৪০৮ রান। ১৬৩ রানে পিছিয়ে থাকা ভারত উইকেট হারিয়েছে নিয়মিত। দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছে মাত্রজন দুইজন ব্যাটার। এক প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন বিরাট কোহলি।
আর শুভমান গিল করেন ২৬ রান। প্রোটিয়াদের নান্দ্রে বার্গার ৪, মার্কো ইয়ানসেন ৩ এবং রাবাদা ২ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ।
ব্যাট হাতেও রান পেয়েছেন ইয়ানসেন। লোয়ার অর্ডারে নেমে শতরানের জুটি গড়া ইয়ানসেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাননি স্রেফ সঙ্গীর অভাবে।
স্বাগতিকদের নবম উইকেটের পতন ঘটে ৪০৮ রানে। চোটের কারণে অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা ব্যাট করেননি। তাই অপরাজিত ৮৪ রানে ফিরতে হয়েছে ইয়ানসেনকে। অবশ্য স্বাগতিকদের হাতে কর্তৃত্বের লাগাম তুলে দিয়েছিলেন এই সিরিজ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দেওয়া ডিন এলগার। প্রথমে ডেভিড বেডিংহাম এবং পরে ইয়ানসেনকে সঙ্গী করে ভারতের ওপর রানের ভারী বোঝা চাপিয়ে দেন ১৮৫ রান করা এলগার।
এতে জয়ের পথও খুলে যায় প্রোটিয়াদের।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ২৪৫ রান। লোকেশ রাহুল পেয়েছিলেন সেঞ্চুরির দেখা। করেন ১০১ রান। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৩৮ এং শেয়াস আয়ার করেন ৩১ রান। এছাড়া বাকিরা তেমন সুবিধা করতে না পারায় অল্পতেই থামতে হয়েছিল ভারতকে। ৫ উইকেট নিয়েছিলেন কাগিসো রাবাদা। নান্দ্রে বার্গারের শিকার ছিল ৩টি। তবে এই দুই বোলারকে ছাপিয়ে প্রথম টেস্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ডিন এলগার। এএফপি
অনলাইন ডেস্ক :
অনূর্ধ্ব-১৯ দলে বহুবার ২২ গজে একসঙ্গে দৌড়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও শামীম পাটোয়ারি। দেশকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এবার জাতীয় দলের হয়ে দলকে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব সামলালেন তারা।
আফগানিস্তানকে নাগালের মধ্যে আটকেও রেখেও দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তরুণ হৃদয় ও শামীম ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। চাপ থেকে কামব্যাক দেখান তারা। জয়ের প্রান্তে গিয়ে হারায় তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে আফগানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফ্রেশ উইকেটে নতুন বলে সুবিধাও তুলে নেন। তৃতীয় ওভারে প্রথম সাফল্যের পর অষ্টম ওভারে আফগানদের ৫২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
ওই চাপ সামাল দেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী। তিনি ৪০ বলে হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে জুটি দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। নাজিব খেলেন ২৩ রানের ইনিংস। পেসার ওমরজাই ১৮ বলে চারটি ছক্কার শটে ৩৩ রান করেন। আফগানিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান তোলে।
জবাব দিতে নেমে চাপে পড়ে বাংলাদেশ দলও। ৩৯ রানে তৃতীয় ও ৬৪ রানে হারায় চতুর্থ উইকেট। এরপর হৃদয় ও শামীম দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তারা ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে আসেন।
দলের রান ১৩৭ হলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাঁ-হাতি ব্যাটার শামীম পাটোয়ারি। তিনি ২৫ বলে তিনটি চারের শটে ৩৩ রান করেন। হৃদয় ৩২ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ছয় রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। দলের রান ১৫৩ হতে একে একে ফিরে যান মেহেদি মিরাজ (৮), তাসকিন আহমেদ (০) ও নাসুম আহমেদ। এক বল থাকতে চার মেরে জেতান শরিফুল ইসলাম।