গাজায় স্থল অভিযানে ইসরায়েলি ৫১ সেনা নিহত

আন্তর্জাতিক, 16 November 2023, 924 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনাকালে ইসরায়েলের আরো এক সেনা নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স)। এতে স্থল অভিযানে বাহিনীটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।

banner

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, উত্তর গাজায় রাতভর লড়াইকালে নতুন করে যে কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন তার নাম শ্লোমো বেন নুন। তার বয়স ২২ বছর। বেন নুন প্যারাট্রুপ ব্রিগেডের ২০২তম ব্যাটালিয়নে কোম্পানির ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।

তাছাড়া উত্তর গাজা উপত্যকায় লড়াইয়ে ৭৫তম ব্যাটালিয়ন, ৭তম ব্রিগেড ও ৯২১৫ তম ব্যাটালিয়ন ও ২০৫তম ব্রিগেডে একজন করে সংরক্ষিত সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, যে সব সদস্য আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের পরিবারকেও জানানো হয়েছে।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর তাৎক্ষণিক পদত্যাগ দাবি করেছেন দেশটির বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ। তিনি বলেছেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শেষের অপেক্ষা নয়, এখনই সরে দাঁড়াতে হবে নেতানিয়াহুকে।

গতকাল ১৫ নভেম্বর ইসরায়েলি টিভি চ্যানেল এন১২’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাপিদ বলেন, নেতানিয়াহুর অবিলম্বে সরে যাওয়া উচিত। আমাদের পরিবর্তন দরকার, নেতানিয়াহু আর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না।

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

আমরা গাজার মানুষকে অনাহারে থাকতে দিতে পারি না: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক, 21 May 2025, 237 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কায়ার স্টারমার বলেছেন, ‘বোমা হামলার শিকার নিষ্পাপ শিশুদের দুর্ভোগের মাত্রা সম্পূর্ণ অসহনীয়, আমরা গাজার মানুষকে অনাহারে থাকতে দিতে পারি না।’ ২০ মে মঙ্গলবার হাউস অফ কমন্সে ইইউর সাথে ইউকের “পুনঃস্থাপন চুক্তি” নিয়ে বক্তব্য প্রদানের সময় এ কথা বলেন তিনি। খবর আনাদোলুর।

banner

ইসরায়েলি সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণা, তারা গাজায় কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সাহায্যের অনুমতি দেবে। ওই সম্পর্কে স্টারমার বলেন, এটি ‘সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণরূপে অপর্যাপ্ত।’ এসময় গাজায় ব্যাপকভাবে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির দাবির ওপর জোর দেন স্টারমার।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আজ বলতে চাই, ইসরায়েলের উত্তেজনায় আমরা আতঙ্কিত। আমরা গাজার জনগণকে কোনোভাবেই অনাহারে থাকতে দিতে পারি না। গাজা উপত্যকায় নতুন করে নৃশংসতার কারণে এরই মধ্যে দেশটির সাথে বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লামি।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে তিনি বলেন, ইসরায়েলি সরকারের সাথে আমরা নতুন মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছি। ২০৩০ সালের দ্বিপাক্ষিক রোডম্যাপ অনুযায়ী ইসরায়েলের সাথে ওই সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে, আমরা সেটি পর্যালোচনা করবো। নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ড এই পর্যালোচনা প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।

তবে যুদ্ধ বন্ধ ও মানবিক বিপর্যয় রোধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মহল থেকে যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল। বরং অভিযান আরো জোরদার করে গাজা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।

নিজেকে মুসলিমদের পাহারাদার বলে ঘোষণা মমতার

আন্তর্জাতিক, 29 December 2023, 857 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
নিজেকে মুসলমানদের পাহারাদার বলে ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রাজ্যের মুসলমানদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বিজেপির আসন বাড়লে আপনাদের ওপর অত্যাচার বাড়বে। বৃহস্পতিবার এক দলীয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

banner

মমতা বলেন, ‘দয়া করে ভোটটা সিপিএমকে, বিজেপিকে বা কোনো সাম্প্রদায়িক বিভেদকারীদের কথা শুনে দেবেন না। এরা বিজেপির টাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কাটার জন্য। একদল বসন্তের কোকিল এসেছে। তারা এলাকায় এলাকায় ঘুরে ধর্মীয় সভা করার নাম করে তৃণমূলের ভোট কাটার চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের আর্থিক, সামাজিক নিরাপত্তা সব কিন্তু আমরা করেছি। আর যদি আপনারা যারা বিজেপির টাকা নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছে তদের কথায় ভুলে যান, তাহলে মনে রাখবেন ধর্ম আলাদা, রাজনীতি আলাদা।

মমতা বলেন ‘সব ধর্মকে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু মনে রাখবেন, পশ্চিমবঙ্গটা কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রাখতে হবে। আর আমরা যদি আসন কম পাই, তাহলে কিন্তু বিজেপির অত্যাচার আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘মনে রাখবেন, আমরা যতদিন আছি, আপনাদের ওপরে কেউ কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমি আপনাদের পাহারাদার ছিলাম আছি ও থাকব।’

এদিকে, মমতাকে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, মমতার রাজত্বে মুসলমানদের কী অবস্থা, তা সবাই দেখতে পাচ্ছে। রাজ্যে ১০ জন তৃণমূল কর্মী খুন হলে আটজনই মুসলমান। আর অধিকাংশ জায়গায় মুসলমানদের নামই খুনের ঘটনায় জড়াচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি মুসলমানদের সঙ্গে মুসলমানদের লড়িয়ে নিজের রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। রাজ্যে দিনমজুরির কাজও নেই, মুসলমান যুবকদের জন্য খাটতে অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। মৃত্যুর পর অনেকের বাবা-মা সন্তানের মাটি পাচ্ছেন না। ওদিকে, মমতা দাবি করছেন তিনি মুসলমানদের পাহারাদার। এর থেকে হাস্যকর কী হতে পারে?

সংবাদসূত্র : এবিপি নিউজ

ভূমিকম্পের ১৪৭ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে কিশোরী উদ্ধার

আন্তর্জাতিক, 12 February 2023, 1543 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৫০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও সেখানে উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে উদ্ধারকারীরা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় শহরের ধ্বংসস্তূপে ১৩৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সাত মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে।

banner

হাতায়ের আরেকটি জায়গা থেকে কুডি নামের এক ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ১৪৭ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের পর উদ্ধারকারীরা কুডিকে বলেন, ‘তুমি একটা অলৌকিক বিষয়।’

এদিকে গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় এ পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের মধ্যে বেশি বিপর্যস্ত তুরস্কে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর সিরিয়ায় সাড়ে চার হাজার।

তীব্র ঠান্ডাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনো অনেককেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের ১.২৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক, জাতীয়, 28 April 2023, 2572 Views,

ডেস্ক রিপোর্ট :
বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরসে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (২০২৩-২৭) আলোচনা করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের নতুন তিনটি প্রকল্পে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন অনুমোদন করেছে।

banner

আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার নতুন ৩ প্রকল্পে এ অর্থায়ন অনুমোদন করা হয়।

সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-৪১ এ কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতাভুক্ত হবে। বিশ্বব্যাংকের এই অর্থ বাংলাদেশকে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সহায়তা করার পাশাপাশি উচ্চ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে। এছাড়া, বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। যা ফলে আর্থ-সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং জলবায়ু ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে।

কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কের (সিপিএফ) আওতায় আটটি উদ্দেশ্যেকে গুরুত্ব দিয়ে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব করেছে। বিস্তৃতভাবে বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করা; দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য আর্থিক মধ্যস্থতাকে শক্তিশালী করা; উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নত কার্যকারিতা; মানব পুঁজি উন্নয়ন পরিষেবার জন্য উন্নত গুণমান এবং ন্যায়সঙ্গত অ্যাক্সেস; নারী এবং দুর্বল গোষ্ঠীর জন্য উন্নত অর্থনৈতিক সুযোগ; অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির জন্য স্থানিক এবং ডিজিটাল সংযোগ শক্তিশালী করা; জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বিল্ডিং এবং স্থায়িত্বের জন্য ডেল্টা ব্যবস্থাপনার উন্নত কার্যকারিতা এবং সবুজায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে উত্পাদনশীলতা বাড়ানো।

বাংলাদেশ ও ভুটানের বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্কটি বিশ্বব্যাংক গ্রুপ এবং বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচ দশকের শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধ হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে, সেহেতু উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের চাহিদা পূরণের জন্য আরো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং নীতির প্রয়োজন হবে। এই সিপিএফ চাকরি প্রদানের জন্য সরকারের সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন করবে এবং অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিস্থাপকতাকেও সমর্থন করবে।

সিপিএফ প্রস্তুত করার জন্য, বিশ্বব্যাংক গ্রুপ সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদেরসহ মূল স্টেকহোল্ডার গ্রুপগুলোর সঙ্গে দেশব্যাপী এবং অনলাইন আলোচনা করেছে বলে জানান তিনি।

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ‘মাল্টিল্যাটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি’র (মিগা) ভাইস প্রেসিডেন্ট অব অপারেশনস জুনাইদ কামাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য রয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত পুঁজি এবং বৈশ্বিক আর্থিক বাজারে অ্যাক্সেস ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন হবে।

বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটানের আইএফসি কান্ট্রি ম্যানেজার জানান, বাংলাদেশ বিশ্বের অসামান্য উন্নয়ন প্রবৃদ্ধির গল্পগুলির মধ্যে একটি। আরো বহুমুখী এবং প্রতিযোগিতামূলক বেসরকারি খাতের উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অতিরিক্ত সংস্কার রপ্তানি বাড়াবে এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। এছাড়া, এই অর্থ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা এবং প্রশমিত করতে সাহায্য করার জন্য বিনিয়োগের অর্থায়ন ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব বহন করবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, পুষ্টি, উদ্যোক্তা এবং টেকসই কৃষি ও গ্রামীণ রূপান্তরের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার। সবুজ এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন ক্রেডিট দেশটিকে সবুজায়ন এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক উন্নয়নে উত্তরণে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে এবং ২৫০ মিলিয়ন ডলারের টেকসই মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ এবং রেসিলিয়েন্ট ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজ সেক্টরকে আরো গতিশীল, কম-দূষণকারী, সম্পদ-দক্ষ, এবং জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক বৃদ্ধির খাতে রূপান্তরে ব্যয় করা হবে।

নৌকায় ভেসে ভেসে লিবিয়ার ‘গেম ঘরে’ আটকা কয়েকশ বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক, 18 December 2022, 1647 Views,

চলার পথে অনলাইন ডেস্ক:
পিরোজপুরের নাজিরপুরের সফিকুল ইসলাম ওরফে শফিউল্লাহ শেখ। ভাগ্য বদলাতে ১৩ লাখ টাকায় ইতালি যাওয়ার জন্য চুক্তি করেন। প্রথমে সাত লাখ টাকা দেন; পরবর্তীসময়ে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। ইতালি যাওয়ার কথা বলে প্রথমে দুবাই, পরে সিরিয়া হয়ে লিবিয়ার ‘গেম ঘর’ নামক টর্চাল সেলে নিয়ে শফিউল্লাহকে নির্যাতন করতো একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (তেজগাঁও) বিভাগ। একই সঙ্গে অপহৃত শফিউল্লাহকে লিবিয়া থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রাজধানীর গুলিস্তানে নুরুজ্জামান রাজুর একটি মোবাইল ফোন মেরামতের দোকান ছিল। ইউরোপে একটি উন্নত জীবন শুরুর আশায় ২৯ বছর বয়সী এই তরুণ তার দোকান প্রায় ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। চলতি বছরের মার্চে দেশ ছেড়ে চলে যান স্বপ্নের দেশ ইতালি। মানবপাচারকারী চক্র তাকে প্রথমে দুবাই ও পরে লিবিয়ায় পাঠায়। কিন্তু রাজু লিবিয়ার বেনগাজিতে পৌঁছানোর পর তার যাত্রা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে তিনি গত আট মাস ‘গেম ঘরে’।
এভাবেই রাজুর বাবা আমিনুল ইসলাম তার ছেলের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার করুণ বর্ণনা দেন। আমিনুল বলেন, ‘আমি প্রতি দু-তিনদিন পরপর আমার ছেলের কাছ থেকে ফোন পাই। গেম ঘরের লোকরা মুক্তিপণের জন্য রাজুকে নির্যাতন করছে। সে সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি করে কিন্তু আমি অসহায়।’
রাজুর বাবা আরও বলেন, ১০ লাখ টাকা চেয়ে ছেলের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়েছে। যখন আমি বলেছিলাম আমার কাছে এতো টাকা নেই, তখন একজন বাংলাদেশি নিজেকে শরীফ বলে পরিচয় দিয়ে আমাকে ফোন করে ৭ লাখ টাকায় চুক্তি করা হয়েছে বলে জানান।
পরে সম্পত্তি বিক্রি করে ও ঋণ নিয়ে আমিনুল ইসলাম সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে রফাদফা করে শরীফের মাধ্যমে। এরপর নভেম্বর মাসে তিনি দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। টাকা দেওয়ার পরেও আমিনুলের ছেলে রাজুর কপালে মুক্তি মেলেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার শরীফ হোসেন। এই মানবপাচার চক্রের মূলহোতা। তিনি থাকেন লিবিয়ার বেনগাজিতে। লিবিয়ায় অবস্থান করা বাংলাদেশি লোকজন তাকে সমীহ করেন। কারণ, তিনি সেখানে ‘মাফিয়া শরীফ’ নামে পরিচিত। এই শরীফ সেখানে বসে ‘গেম ঘর’র মালিক। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে শরীফের চক্র লোকজনকে লিবিয়া নিয়ে ‘গেম ঘর’ এ আটকে রেখে নির্যাতন চালায় এবং বাংলাদেশে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়। তবে সেই গেম ঘরের চাবি থাকে মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা তাজনাহার রিক্তা নামে এক নারীর কাছে।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) মানবপাচারের একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এই গেম ঘরের তথ্য পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে হাজার মাইল দূরে সেই ‘গেম ঘর’ এ নির্মম নির্যাতনের শিকার কয়েকশ বাংলাদেশি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, মাদারীপুরে অবস্থানকারী রিক্তার হাতে শরীফ মাফিয়ার চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিলেই গেম ঘর থেকে পাচার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি মেলে। লিবিয়ার গেম ঘর থেকে মুক্তি পাওয়ার সেই চাবি আগে থাকতো শরীফের স্ত্রী সুমি আক্তারের কাছে। এই সুমি গত নভেম্বরে লিবিয়ায় মাফিয়া স্বামীর রাজ্যে চলে গেছেন। এরপর সেই দায়িত্ব পান রিক্তা। সম্পর্কে সুমির ভাবি রিক্তা।
সিটিটিসি জানায়, বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে ইউরোপ নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ার গেম ঘরে আটকে রাখার চক্রগুলোর মধ্যে শরীফ হোসেন অন্যতম। তাকে বেনগাজিতে সবাই মাফিয়া হিসেবে চেনে। ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের চক্রে নারী সদস্যও রয়েছে।
সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শরীফ ও রিক্তা চক্রের মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন ব্যাংকে শতাধিক অ্যাকাউন্টের তথ্য মিলেছে। এর মধ্যে ৭০টি অ্যাকাউন্ট তারা যাচাই করে দেখেছেন।
এতে দেখা গেছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে গত দুই বছরে অন্তত ৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজনকে লিবিয়ায় পাচার, সেখানে গেম ঘরে আটকে ও জিম্মি নাটক সাজিয়ে ভিকটিম পরিবারগুলো থেকে এই টাকা আদায় করে শরীফ চক্র।
সিটিটিসির আরেক কর্মকর্তা বলেন, লিবিয়ায় মাফিয়া শরীফের গেম ঘরে কয়েক মাস ধরে তিন শতাধিক বাংলাদেশি বন্দি অবস্থায় রয়েছে। তাদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি নেওয়ার কথা বলে সেখানে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তবে অবৈধ অভিবাসী অনুপ্রবেশে দেশটির নৌ সীমান্তে কড়াকড়ির কারণে কেউ যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় শরীফ জিম্মির নাটক সাজিয়ে বাংলাদেশে থাকা ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, গেম ঘরে আটক থাকা লোকদের খাওয়ার খরচও তাদের স্বজনরা বাংলাদেশ থেকে পাঠান। মাসে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খাওয়া খরচ হিসেবে শরীফের লোকদের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে।
এডিসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গত নভেম্বরে শরীফ দেশেই ছিলেন। তার বিষয়ে তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেফতারে উদ্যোগও নেওয়া হয়। তবে ৩০ নভেম্বর দুই স্ত্রী সুমি আক্তার ও হালিমা বেগমকে নিয়ে তিনি দেশ ছাড়েন। এরপরই রিক্তা শরীফের হয়ে দেশে সমন্বয়কের দায়িত্ব পান। তবে শরীফের পুরো পরিবার, তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও এই পাচার চক্রে জড়িত। এরই মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে চক্রের কার্যক্রম নিয়ে বেশকিছু তথ্য মিলেছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, শরীফের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) শাখায় তারা চিঠি লিখবেন, যাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরানো যায়। তার গেম ঘরে থাকা বন্দিদের কীভাবে মুক্ত করা যায়, সে বিষয়েও পরামর্শ করা হবে।
দেশ থেকে যেভাবে যে রুটে পাচার ॥ সিটিটিসি কর্মকর্তারা বলছেন, শরীফ চক্রের দালালরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে। দালালরা ইউরোপ যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে খুঁজে বের করে। এরপর তাদের কাছ থেকে প্রথম দফায় ৩ থেকে ৪ লাখ করে টাকা নেয়। প্রলোভন দেখানো হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে বৈধভাবে বড় জাহাজে করে ইতালি পাঠানো হবে। এরপর ইউরোপ যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে প্রথমে বৈধভাবে (ভ্রমণ ভিসায়) দুবাই, মিশর বা তুরস্ক পাঠানো হয়। এসব দেশেও শরীফের চক্রের লোকজন রয়েছে।
তারা বাংলাদেশ থেকে পাঠানো লোকজনকে রিসিভ করে নিজেদের কাছে রাখে। এরপর সুযোগ মতো লিবিয়ার বেনগাজিতে পাঠানো হয়। সেখানে শরীফ ও তার দুই স্ত্রীসহ তাদের মাফিয়া চক্রের লোকজন রিসিভ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। এরপর শুরু হয় গেম ঘরের খেলা।
সিটিটিসির কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কাছে তথ্য রয়েছে, নভেম্বরে শরীফ দুই স্ত্রীকে নিয়ে লিবিয়ায় নিজের ডেরায় চলে গেলেও প্রথম স্ত্রী হালিমা বেগম সেখানে মারা যান। শরীফ তার পরিবারের কাছে দাবি করেছেন, হালিমা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। তবে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। শরীফকে দেশে ফেরাতে পারলে এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে।
শরীফ চক্রের স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গেছেন, বর্তমানে লিবিয়ায় শরীফের গেম ঘরে রয়েছেন- এমন অন্তত ছয় ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাদের মধ্যে শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন গেম ঘর থেকে লিবিয়া যাওয়ার পথে নৌকাডুবির পর আন্তর্জাতিক শরণার্থী সংস্থার মাধ্যমে উদ্ধার হয়ে দেশে ফেরেন। তিনি বলেন, তারা স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে প্রথমে ৪ লাখ টাকায় লিবিয়া যান। সেখানে তাদের একটি বাসায় রাখা হলেও কয়েকদিন পর জাহাজে তুলে দেওয়ার কথা বলে সমুদ্রের অদূরে একটি গুদামঘরের মতো বাসায় নেওয়া হয় তাকেসহ কয়েকজনকে। সেখানে তার মতো আরও কয়েকজনকে দেখতে পান। এটিই গেম ঘর নামে পরিচিত। এখান থেকেই সাগরে ছোট ছোট নৌকায় তুলে দেওয়া হয়, তাকেও একইভাবে তুলে দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাকে বলা হয়েছিল, বড় জাহাজে ইতালি নেওয়া হবে। সেই কথা বলে তার পরিবারের কাছ থেকে আরও ৬ লাখ টাকা নেওয়া হয়। তবে স্থানীয় দালাল চক্রটি তার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি নাম বলতে রাজি হননি।
শরীফের গেম ঘরে জিম্মি অবস্থা থেকে উদ্ধার হয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশে ফেরা লোকজন পুলিশকে বলেছে, তাদের বাসা থেকে গেম ঘরে নেওয়ার সময়ে লিবিয়ার স্থানীয় পুলিশ বা দেশটির সন্ত্রাসী চক্র তুলে নিয়ে যায়। অনেককে গেম ঘর থেকেও তুলে নেওয়া হয়। এরপর শরীফ ও তার লোকজন দেশে থাকা দালালদের মাধ্যমে পরিবার ও স্বজনদের জানিয়ে দেন এবং তাদের মুক্ত করতে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা দাবি করেন।
মাদারীপুরের শিবচরের একজন বাসিন্দা রহিম শেখ গত জুলাইয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছতে পেরেছেন। তিনি ইমো অ্যাপসে সম্প্রতি এই প্রতিবেদককে বলেন, তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে বড় জাহাজে ইতালি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ছয় মাস লিবিয়ায় থাকেন। এর মধ্যে মাফিয়াদের হাতে একবার জিম্মি হন। কিন্তু নিজের এলাকায় টাকা দেওয়ার পর মুক্ত হন। যদিও তার জিম্মি বা অপহরণ হওয়ার বিষয়টি পরিবারকে তিনি জানাতে পারেনি। যারা জিম্মি করে, অপহরণ করে তারাই ভুক্তভোগীদের পরিবারকে বলে, ভয় দেখিয়ে ও নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।
লেনদেন ইতালিতে, হুন্ডি হয়ে আসে দেশে ॥ সিটিটিসির ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এডিসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ইতালিতেও মাফিয়া শরীফের একটা সিন্ডিকেট রয়েছে। তারা অবৈধভাবে ইউরোপে লোক পাঠিয়ে অন্তত ৫ কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেলেও এর বাইরে বড় অঙ্কের টাকার লেনদেন হয় ইতালিতে। পরে সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আসে দেশে। মূলহোতা শরীফের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) শাখায় চিঠি পাঠানো হবে। যাতে গেম ঘরে থাকা বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা যায়।
বিদেশ যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি তরুণ-যুবকদের উদ্দেশ্যে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, উন্নত জীবন-যাপনের জন্য দালালরা ইউরোপ যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে টার্গেট করে। প্রলোভন দেখানো হয়, বৈধভাবে বড় জাহাজে ইতালি পাঠানো হবে। এরপর ইউরোপ যেতে ইচ্ছুক লোকজনকে প্রথমে বৈধভাবে (ভ্রমণ ভিসায়) দুবাই, মিশর বা তুরস্ক পাঠানো হবে। এসব প্রলোভন থেকে নিজেকে ও পচিরিতদের সতর্ক করতে হবে। অন্যথায় মাসের পর মাস গেম ঘরে থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে থাকা পরিবারের কষ্টার্জিত সম্পদ বিনষ্ট হবে।

banner

সূত্র : জাগো নিউজ ২৪.কম