চলারপথে রিপোর্ট :
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউ কে’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন ইকো। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য। দু’বছর মেয়াদী এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমেদ চৌধুরী। গত ১২ নভেম্বর লন্ডনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যতম এই সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ।
ইকো ব্রাহ্মণবাডিয়ার বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন-এর পুত্র। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্টের নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পূর্ব লন্ডনের ক্রিস্টাল ব্যাংকুয়েটিং হলে আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত সংগঠনের ষষ্ঠ এ সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। বিদায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডাকসুর সাবেক সদস্য দেওয়ান গৌস সুলতান এতে সভাপতিত্ব করেন। সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুসা হাসান, এমদাদ তালুকদার এম বি ই, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউ কের সভাপতি এ কে এম ইয়াহিয়া এবং বাংলাদেশ টিচার্স এসোসিয়েশন ইউ কের সভাপতি আবু হোসেন, প্রশান্ত পুরকায়স্থ, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, মেহেরুন আহমেদ মালা, মুস্তাফিজুর রহমান, ফয়জুল হক রিপন, ড. অজিত কুমার ঘোষ, কাজী কল্পনা, ব্যারিষ্টার আবুল কালাম, মতিন চৌধুরী প্রমুখ।
৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রশান্ত পুরকায়স্থ বিইএম, সহ-সভাপতি সহুল আহমেদ মকু, নিলুফা ইয়াসমীন হাসান ও সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক সলিসিটার সৈয়দ আবু আকবর আহমেদ ইকবাল, ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও ব্যারিস্টার মাহারুন আহম্মেদ মালা, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোহাম্মাদ কামরুল হাসান, ব্যারিস্টার কামরুল হাসান ও বেলাল রশীদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ ফাইজুল হক রিপন ও খোকন কান্তি ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান, রীপা সুলতানা রাকীব সাংস্কৃতিক সম্পাদক, খালিদ ইয়াহইয়া প্রেস অ্যান্ড পাবলিসিটি সম্পাদক ও এ্যারিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যকরি কমিটির সদস্যরা হলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান, ইসমাইল হোসেন, মাহফুজা রহমান, সৈয়দ সাইদুর রহমান ফারুক, সৈয়দ এনামুল ইসলাম, মির্জা আসাব বেগ, ফখরুল মোহাম্মদ ইসলাম, মোহাম্মদ রফিক আহমেদ, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আবুল কালাম, শারমিন চৌধুরী, সৈয়দ হামিদুল হক, মিসেস কল্পনা কাজী ও সৈয়দ ফারহানা সুবর্ণা। সভায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠতম সদস্য ‘একুশের গান’ খ্যাত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও আরো তিনজন অ্যালামনাইর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহন এবং পরলোকগত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য মাওলানা মোবারক আলী।
এছাড়া সভায় ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনবাসীদের উপর নৃশংস আক্রমনের প্রতিবাদে ও অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে একটি বিশেষ প্রস্তাব পাশ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা হয়।
সভায় ফিলিস্তিনের গাজায় হামলার শিকার অগণিত অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে তহবিল সংগ্রহ করা হয় এবং র্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে সংগৃহিত সমুদয় অর্থ গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের ত্রাণকাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ৫৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ৯ আগস্ট বুধবার বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৫৮জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
সুবিধাভোগী অরুন মিয়া বলেন, স্ত্রী মরিয়ম বেগম ১৫ বছর আগে মারা যান। এরপর আর বিয়ে করিনি। ১৫ বছর ধরে চোখে দেখি না। টাইফয়েড জ্বর থেকে এমন হয়েছে। এলাকায় ভিক্ষা করে ও অন্যের থেকে সাহায্য নিয়ে চলতাম। তিনি বলেন, জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি বলেন, বড় বোন ফরিদা খাতুনের স্বামী আলাই মিয়া ২০ বছর আগে মারা গেছেন। বর্তমানে বোন ও ভাগিনা লিটন মিয়াকে নিয়ে নতুন ঘরে থাকবো।
সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ার দিনমজুর রাসেল মিয়া বলেন, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভাড়া থাকতাম। ঠিকমতো ঘরভাড়া দিতে পারি না। ইটের নৌকায় শ্রমিকের হিসেবে কাজ করি। ১৫ বছর ধরে ইট নিয়ে কুমিল্লায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছি।
সুবিধাভোগী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সুলতান মিয়া রিকশা চালান। হার্টে সমস্যা, অসুস্থ। রিকশা চালাতে পারে না। শহরের ফুলবাড়িয়ায় ভাড়া থাকি। আড়াই হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিতে প্রতি মাসে কষ্ট হয়। ঘরের ভাড়া দিতে পারতাম না। নতুন ঘর দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।
সদর উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুনর্বাসন করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প- ২ প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ৫৮টি পরিবারকে ২ শতক জমিতে একটি সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে ক শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় মোট ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৬ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে, দ্বিতীয় পর্যায়ে, তৃতীয় পর্যায়ে ও চতুর্থ পর্যায়ে (১ম ধাপ) মোট ৫ হাজার ৯৫২টি ঘর উদ্বোধন করা হয়।
বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের দেয়া ৫৮ টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমীরপাড়ায় ২৫টি পরিবারকে, সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর গ্রামে ১২ টি পরিবারকে এবং ১৯৯৭ সালে চিনাইর গ্রামের লাখুনিয়া দিঘীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাকের জীর্ণশীর্ণ ঘরের স্থলে ২১ টি একক গৃহ নির্মাণ করে পূর্ব থেকে বসবাসকারী এই ২১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি করে গাছ উপহার দেন অতিথিরা।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, উপকারভোগীদের নিকট ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হামলা ও অগ্নিসংযোগে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
আজ ৭ আগস্ট বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেড ক্রিসন্টে ও মাদ্রাসার ছাত্ররা এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন।
এসময় তারা থানার বিভিন্ন ভবনের পুড়ে যাওয়া ও ভাংচুর করা ধ্বংসাবশেষ পরিস্কার করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, শতাধিক শিক্ষার্থী শহর পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব সবার। শিক্ষার্থীরা কোন প্রতিষ্ঠানে হামলা করেনি। তবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানায় শিক্ষার্থীরা।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন সড়কে আনসারের পাশাপাশি ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা। শহরের কাউতলীর মোড়, টি.এ রোড, সদর হাসপাতাল রোড, কুমারশীল মোড়, জেল রোড, কে দাস সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে সড়কে অনেকটা সুশৃঙ্খলতা ফিরে এসেছে। সাধারণ মানুষ ও চালকরা তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রশস্ততা কোনো কাজে লাগছে না। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশন। অথচ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করায় কৃষি সেচ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এভাবেই উন্নয়নকাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এসব থেকে উত্তরণে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে’ এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। ‘স্ট্রেনথেনিং ইন্টার ডিপার্টমেন্ট ইমপ্লেমেন্টিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট : এ ডিস্ট্রিক্ট লেভেল অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণার এ আয়োজনটির ব্যবস্থাপনায় ছিলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামসুন্নাহার।
স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। গ্রুপ পর্যায়ে আলোচনা করে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশল চক্রবর্তী, আশুগঞ্জ-কুমিল্লা ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আহমেদ।
এ সময় জানানো হয়, একটি উন্নয়ন কাজ করতে গেলে একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু সাধারণত যে দপ্তর কাজটি করে এর বাইরে কাউকে এতে সম্পৃক্ত করতে দেখা যায় না। এক দপ্তরের কর্মকর্তা আরেক দপ্তরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেন।
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই গোঁজামিল দেওয়া হয়। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। ঠিকমতো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। আগের কাজ পরে পরের কাজ আগে করা হয়। এমন সব সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কোনো একটি কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা যারা সবগুলো দপ্তরের সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত ঘটার অনেক উদাহরণ আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে মতামতগুলো উঠে আসবে সেগুলো গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেও কাজের সমন্বয় করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেও ব্যবস্থা নিই। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এমন একটা গবেষণা চাই যেটা সারা দেশে কাজে লাগবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দর্শক-নন্দিত লাল সবুজের টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’ এর ২৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরামের আয়োজনে আজ ১ অক্টোবর শনিবার সকালে স্থানীয় সরকারি শিশু পরিবারের কন্যা শিশুদের নিয়ে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রা শেষে সরকারি শিশু পরিবারের সবুজ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও জন্মদিনের কেককাটা অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ এর সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রিয় পতাকার রং লাল-সবুজ, ২৪ বছরের অদম্য অগ্রযাত্রায় চ্যানেল আই এ দু’টি রংকেই বেছে নিয়েছে। চ্যানেল আই শুধু কৃষি বিষয়ক, প্রকৃতি ও জীবন, রিয়েলিটি শো, রাজনীতি, টকশো, শিল্প সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়েই কাজ করছে না, সর্বোপরি চ্যানেল আই বহন করছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ঊর্ধ্বে তুলে ধরছে চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতিকে। আমি চ্যানেল আই এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, বিশিষ্ট কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এসআরএম ওসমান গনি সজীব, আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আছরারুন্নবী মোবারক, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি ও অন্যরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চ্যানেল আই এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মনজুরুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক বলেছেন, সরকারি অফিসের একজন পিয়ন যখন অবসরে যান তখন তাকে ফুলের তোড়া ও হাতে একটি চেক দিয়ে বিদায় করা হয়। তিনি হাসিখুশিভাবে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু একজন সাংবাদিকের অবসরের সময় ফুলের তোড়াও অনেক সময় দেওয়া হয় না। চোখের জলে বাড়ি ফিরতে হয়। আমরা চাই ষাটোর্ধ্ব সাংবাদিকদের জন্য পেনশন চালু করা হোক।
আজ ৬ মার্চ বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দশম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা, নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বকেয়া পরিশোধ, টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য অভিন্ন বেতন কাঠামো ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওমর ফারুক। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশিদ।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান প্রমুখ।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ‘সাংবাদিকরা মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেন। অথচ তারাই অবহেলিত। তারা যে বেতন পান সেটা একদিনের বাজার খরচের সমান। এ পেশায় ঝুঁকিও অনেক বেশি। সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যে পেশায় জীবন ও অর্থের নিরাপত্তা নেই।’
এসময় বক্তারা বলেন, ‘সঠিক বেতন-ভাতা দেওয়া, আবাসন নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে। মাঠ পর্যায়ে সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয়ভাবে সমাবেশ করা হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ইতিহাস বলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয় না। তৃণমূল পর্যায় থেকে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আমরাও দাবির বিষয়ে সফলতা পাবো।’