অনলাইন ডেস্ক:
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অপরাধ সংঘটন ও অগ্নিসংযোগের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিএনপির আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত। নির্বাচন করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও জানমালের ক্ষতিসাধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) উচিত অপরাধের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং তারপরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের অংশগ্রহণ করা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় ভয় না পেয়ে নিয়ম মেনে যথাসময়ে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ সময় তিনি সময়মতো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে এবং তাদের পছন্দের সরকার গঠনের জন্যই এ নির্বাচন। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশী তাকে দেব’ স্লোগান দিয়ে আপনারা (নির্বাচনে) ভোট দিন।
যুব সমাজের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। এখন সবাই এর সুফল পাচ্ছে। এখন তার সরকার আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, আমরা তাদের (তরুণদের) সহযোগিতা নিয়ে এটি করতে পারব।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, যারা খুন করেছে এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে, তাদের জনগণ কেন ভোট দিতে যাবে, তাদের ওপর আস্থা রাখবে? জনগণ তাদের বিশ্বাস করে না, কারণ তারা খুনি ও ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত।
নির্বাচন জনগণের অধিকার এবং এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনের সময় এসেছে এবং জনগণ ভোট দেবে। জনগণ ভোট দিয়ে যে দলকে নির্বাচিত করবে, সেই দলই সরকার গঠন করবে। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) জনগণের ওপর আস্থা রাখতে ব্যর্থ হয়ে হামলা চালাচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধন আাবেদনে কোনো ভুল হলে এখন থেকে সেটা শোধরানোর কোনো সুযোগ পাবেন না সেবাগ্রহীতারা। এক্ষেত্রে সেই আবেদন বাতিল করে আবার ফি দিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি অনুবিভাগের ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবস্থাপনা অধিশাখার সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন এন্ট্রি সাবমিট হওয়ার পর অথবা সরাসরি উপজেলা অফিস হতে সংশোধনের আবেদন এন্ট্রি করে সাবমিট করার পর ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের অ্যাকাউন্ট হতে issue (Category Pending) করার এখন হতে আর কোনো সুযোগ নেই।
কোনো আবেদন NIDW থেকে ক্যাটাগরি অ্যাস্যাইন করার পর অফিসার অপারেটর কোনো পর্যায়েই Issue Incomplete করার অথবা অন্য কোনো স্ট্যাটাসে নিয়ে কোনো ফিল্ড Edit করার আর কোনো সুযোগ থাকছে না।
নির্দেশনায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এনআইডি উইং হতে Online Adjudication Pending Adjudication Pending স্ট্যাটাস থেকে ক্যাটাগরি অ্যাসাইন করা হবে।
তাই কোনো সংশোধনের আবেদন সাবমিট করার পর যেহেতু কোনো এডিট করার সুযোগ থাকছে না, তাই আবেদন করার সময় সতর্কতার সঙ্গে ফিল্ড এডিট করতে উপজেলা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হলো। কারণ এন্ট্রিতে কোনো ভুল হলে পুনরায় ফি দিয়ে নতুন আবেদন করা ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় নেই। আর নতুন আবেদন করার আগে অবশ্যই আগের আবেদন বাতিল করতে হবে।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের আবেদন Approve Cancel Reject করার পর কোনো আবেদনের স্টেটাস পরিবর্তন না করার জন্যও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
এনআইডি অনুবিভাগ থেকে নাগরিকদের সংশোধনের আবেদনগুলো গুরুত্ব বিবেচনায় ক, খ, গ ও ঘ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। এক্ষেত্রে ক ক্যাটাগরিতে ছোটখাটো ভুলের জন্য থানা বা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সংশোধনের এখতিয়ার দিয়েছে ইসি। এভাবেই গুরুত্ব বিবেচনায় খ, গ ও ঘ ক্যাটাগরির এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এনআইডি মহাপরিচালককে। এনআইডি মহাপরিচালকও কোনো সংশোধনের আবেদনকে স্পর্শকাতর মনে করলে সেটা কমিশনের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে কমিশন অনুমোদন দিলেই কেবল সংশ্লিষ্ট আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনেকেই একটি আবেদন করার পর সেখানে কোনো ভুল পরিলক্ষিত হলে নতুন করে ফের আবেদন করেন। এখন থেকে সেই সুযোগটি আর থাকলো না। তাই আবেদন চূড়ান্তভাবে সাবমিট করার আগেই ভালো করে দেখে নিতে হবে। অন্যথায় আগের আবেদনটি বাতিল করার জন্য আবেদন করতে হবে। এরপর ফি জমা দিয়ে নতুন করে আবার আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে আবেদনের ধরণ ভেদে ১১৫ টাকা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা ফি দিতে হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে , বিভিন্ন জেলায় সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে যে তথ্য পেয়েছে তার ভিত্তিতেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ওসি ও ইউএনওদের রদবদল সরকার চেয়েছে, না কি আপনারা চেয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। আমাদের কমিশনাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন। তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত- এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের কাছে মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুভব করেছে এ বদলি দরকার।
কী ধরনের তথ্য পেয়েছেন তারা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, সব তথ্য তো ওপেনলি বলা হয় না। নির্বাচন কমিশনাররা মাঠ পর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়াটার থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত। তারা মনে করেছে যে, বদলি করা প্রয়োজন।
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, বড় আকারে রদবদল করা হলে পুলিশ-প্রশাসনে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে, এর দায়ভার ইসি কেন নেবে? আর একটা কথা বলেছিলেন, একশ কোটি টাকা ব্যয় হবে, এ টাকা কে দেবে- এমন বিষয় সামনে আনলে তিনি বলেন, একশ কোটি টাকা কেন ব্যয় হবে? তাহলে ওই কমিশনারের কাছে জানতে চাইতে হবে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তখন বলতে পারবো। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।
রদবদলের ক্ষেত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নে এ কর্মকর্তা বলেন, আমি মনে করি নেই। একজন কর্মচারী যে উপজেলা বা জেলায় দায়িত্ব পালন করুক না কেন, তিনি সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মেসেজ দিয়েছি। এটা পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের ও আমাদের রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন, সব বিষয়ে তাদের মেসেজ দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তার কোনো ঘাটতিতে না ভোগেন। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইসি খুব স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে।
সব প্রার্থীদের বডিগার্ড দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তো সম্ভব হবে না। এতো বডিগার্ড দেওয়া যাবে না। তবে নিরাপত্তার দায়িত্ব তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা যেন তা নিশ্চিত করতে পারে, সেটাই আমাদের কাম্য।
কতগুলো দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে- এমন প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের নিবন্ধিত যে ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে, তার মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপ পিপলস নামে একটি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, যেটি আমাদের নিবন্ধিত দল নয়। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে আমরা দুই হাজার ৭১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।
পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি এবং একটি স্থানে ডাবল জমা দেওয়ার তথ্য জেনেছি- এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ থেকে ৩০৪ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছে।
যে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়নি, সেখানে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ওখানে স্বতন্ত্র হিসেবে পূরণ করেনি সে। মনোনয়নপত্রে আওয়ামী লীগ লেখা আছে। সেটা বাছাইয়ের সময় দেখা যাবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একটি স্বতন্ত্র হিসেবে, আরেকটি দলীয় হিসেবে পূরণ করতে হয়। তিনি (সংশ্লিষ্ট প্রার্থী) দলীয় হিসেবে পূরণ করেছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন। পরে তার বৈধতা বা অবৈধতা সেটা বাছাইয়ের সময় নির্ধারিত হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
চলারপথে রিপোর্ট :
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। আজ ২৩ আগস্ট বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরে এ অভিযান পরিচালনা করে মোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে লোকনাথ মেডিকেল হলকে ৩ হাজার, পণ্যের গায়ে মূল্য তালিকা না থাকা ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখার অপরাধে তৃষ্ণা বেকারিকে ৮ হাজার এবং সরদার স্টোরসকে ১০ হাজারসহ মোট ২১ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় শাহ মোহাম্মদ শোয়াইব মিয়া ফার্মেসি, ডিমের দোকান, মুদি দোকান, মিষ্টির দোকান, মাছ বাজার ও কাঁচা বাজারগুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি সকলকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সব কিছু বিক্রি করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শুভঙ্কর চন্দ্র দাস ও গলাচিপা থানার এসআই মো. বশির।
জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহ মোহাম্মদ শোয়াইব মিয়া বলেন, বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে ২৮ মে বুধবার পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ২৯ মে বৃহস্পতিবার ১৪৪৬ হিজরি সনের জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ, অর্থাৎ ৭ জুন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
২৮ মে বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা প্রশাসন, আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য জানাতে টেলিফোন ও ফ্যাক্স নম্বর খোলা রাখা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখা যাওয়ার তথ্য আসায় দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চাঁদ দেখা কমিটির সদস্যরাসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রমজানের পরে ইবাদেতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো জিলহজের প্রথম দশক। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর নিকট অন্য যেকোনো সময়ের আমলের চেয়ে জিলহজের প্রথম দশকের আমল অধিক প্রিয় [সহিহ বুখারি]।
অনলাইন ডেস্ক :
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাজেস লাউঞ্জে এ চার বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।
চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
গতকাল ১২ আগস্ট সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের এই চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের চারজন বিচারককে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এ নিয়োগ শপথের দিন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি।
এদিন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন দুপুরে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
প্রয়াত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলম ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরে যুক্তরাজ্য থেকেও আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম ডিগ্রি নেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম রসায়নে স্নাতক, আইনে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জেলা আদালতে, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক
মো. রেজাউল হক এম এ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৮ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক
এস এম এমদাদুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৯০ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।