চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আখাউড়ায় বিএনপি-জামাতের ১৯ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ২৮ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে আখাউড়া পৌরশহরের নারায়ণপুর বাইপাস তিন রাস্তার মোড়ে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও বিস্ফোরণের অভিযোগে ২৯ অক্টোবর উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জন বিএনপির নেতাকর্মী এবং ২ জন জামাতের। তবে, উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দাবি, আন্দোলন দমনে মিথ্যা মামলায় তাদের নেতাকর্মীদের আটক করছে পুলিশ।
গত ১৬ দিনে পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হলো উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান খান সানি (৩২), উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রানা (৫০), উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মোঃ আমজাদ খান (৫০), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন (৩১), উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফুর রহমান ভূইয়া (৪৫), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির য্গ্মু সাধারণ সম্পাদক মোঃ মজিবুর চৌধুরী (৫৪), মনিয়ন্দ প্রবাসী বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিব সরকার (২৯), উপজেলা যুবদলের সদস্য শেখ সুমন (৪২) দরখার ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমান মানিক (৫০), ধরখার ইউনিয়ন যুবদলের সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম খন্দকার (৩৭, মোগড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ (৪০), উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য মোঃ আলমগীর মিয়া (৪৬), মোগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি মোঃ ইয়াছিন মিয়া (৪০), বিএনপির কর্মী মোঃ কাউছার (১৯), বিএনপি কর্মী মোঃ ইকবাল (৫০), মনিয়ন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রতন মিয়া (৫৪) জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য মোঃ আসাদুল ইসলাম আশিক (৪৭) উপজেরা জামাতের শ্রমিক কল্যাণ সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আল আনসারী (৫৫), জামাতের কর্মী মোঃ রতন (৪৫)।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, যে তারিখ ও সময়ে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে পুলিশ মামলা করেছে। প্রকৃতপক্ষে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করার জন্য মিথ্যাা মামলা দিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সামনে নির্বাচন, গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীকে দূরে রাখার জন্য এ মামলা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, তারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশের উপর হামলা করে। সরকারি কাজে বাধা দেয়।
উল্লেখ্য, পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশের উপর আক্রমণ, ও ককটেল বিস্ফোরনের দায়ে আখাউড়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোবারক আলী বাদী হয়ে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাতানামা আরো শতাধিক লোককে আসামী করা হয়েছে।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মায়ের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে বিলাপ করতে-করতে মারা গেলেন ঝান্টু মোল্লা (৫০) নামে এক ব্যক্তি। রোববার রাত ৮টায় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মোল্লাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ৬ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় জানাযা শেষে ঝান্টুর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে ঝান্টুর মা রেজিয়া খাতুন (৭০) মারা যান।
স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি করেছেন, মায়ের মৃত্যুতে মাতম করছিলেন বড় ছেলে ঝান্টু মোল্লা। শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মা-ছেলের মৃত্যুতে ঝান্টু মোল্লার স্ত্রী হাজেরা ও দুই মেয়ে সুমাইয়া এবং সামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা পারিবারিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর, সোহাগ ভূঁইয়া ও আলম মোল্লা বলেন, ঝান্টু মোল্লা মা ভক্ত ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মায়ের মৃত্যুর পর সে লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন। তার মাকে কবরস্থ করার পর শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। রবিবার রাত ৮টার দিকে বুকে ব্যথা ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সোমবার জোহরের নামাজের পর জানাযা শেষে ঝান্টু মোল্লার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার একই কবরস্থানে তার মায়েরও দাফন করা হয়েছে।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রহিম মিয়া বলেন, মায়ের শোকে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শুনেছি তাদের শোকে পরিবারের আরো তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মাসে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ। প্রথমে ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক) ট্রেন চালানো হবে। যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেলপথটি চালুর আশা করছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
গেল মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দু’জনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং চলতি জুন মাসের মধ্যে বাকি কাজও সম্পূর্ণ হবে। তবে এ রেলপথটি চালু হলে প্রথমে শুধু দুই দেশে পণ্য পরিবহণ হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে।
দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী জানান, করোনার কারণে আমাদের দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রকল্পের কাজের মালামালও ভারত থেকে আনা যায়নি। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মালামাল আনার অনুমতি পেতে বিলম্ব হয়েছিল। এখন আমাদের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
তার দাবি, বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।
গত ১৭ মে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, চলতি জুন মাসের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেপ্টেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এ রেলপথ উদ্বোধন করবেন।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যে কয়েকটি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়- তার মধ্যে সিংহভাগই বরফায়িত মাছ। তবে ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আপত্তির কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি বন্ধ রাখবেন।আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়। তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানিকৃত মাছের মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এর ফলে আজ থেকে এক মাস মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।
আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু বন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে মাশুল আদায় হয় বেশি, সেজন্য রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।
চলারপথে রিপোর্ট :
২২ বছরের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত ওই তরুণী হলো শান্তা আক্তার। সে তার মা মাজেদা বেগমের নিজ বাড়ি বাউতলা গ্রামে বসবাস করতো। তার পিতা ফারুক মিয়া জেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশহর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর আগে শান্তার তার মাজেদা বেগম তার বাবা ফারুক মিয়াকে তালাক দেয়। এরপরে বাউতলার গ্রামের নাসির মিয়ার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নাসির মিয়াকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। বাবাকে তালাক দেওয়া এবং মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি নিতে পারেনি বাকপ্রতিবন্ধি শান্তা। এ নিয়ে মায়ের সাথে তার মনোমালিন্য ছিল। মা তাকে প্রায় সময়ই মারধর করতো। মঙ্গলবার সকালে শান্তা পাশের বাড়ি চলে গেলে সেখান থেকে শিকল দিয়ে বেঁধে বাড়িতে নেয় মা। এর কিছুক্ষণ পরই প্রতিবেশীরা জানতে পারে শান্তা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, শান্তা অনেক সময় রাস্তায় চলে যেত। এজন্য মা শাসন করতো। এটা সে মানতো না। সকালে তার মা যখন নাস্তা তৈরি করছিল তখন সে পাশের রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।