চলারপথে রিপোর্ট :
স্থানীয় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে প্রয়াত প্রিয় পাঁচ বন্ধুজন স্মরণে গতকাল শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাদল স্টল কেন্দ্রিক বন্ধু মহল এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুরআন খানি ও দোয়া মাহফিল।
প্রয়াত ৫ বন্ধুরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, জেলা বিএনপির আহবায়ক, সদা হাস্যজ্জল ব্যক্তিত্ব মোঃ জিল্লুর রহমান, সজ্জন ও মৃতভাসি মাহবুবুল আলম ফারুক, জেলার সুশীল সমাজের প্রিয় মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হক নাজু ও সুপরিচিত সামাজিক ব্যক্তিত্ব সফিউদ্দিন আহমেদ রতন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, তিতাস পাড়ে অভাবনীয় উন্নয়নের সফল রূপকার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তিনি তাঁর বক্তব্য বলেন, প্রয়াত ৫ বন্ধু জনের মধ্যে আল মামুন সরকার জিল্লুর রহমান নাজমুল হক নাজু ও শফিউদ্দিন আহমেদ রতনকে আমি ভালোভাবেই জানি এবং চিনি। তাঁদের সাথে আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক সখ্যতা ছিল। শুধুমাত্র প্রয়াত ফারুক সাহেবের সাথে আমার ভালো যোগাযোগ না থাকলেও তাঁর পরিবারের অনেকের সাথেই আমার খুব মধুর সম্পর্ক রয়েছে। আমি প্রয়াত এই ৫ বন্ধুজনের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। উপস্থিত সকলের কাছে আমিও আবেদন জানাই, এই প্রয়াতজনেরা তাঁদের জীবদ্দশায় যদি আমাদের কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন আমরা যেন এগুলো ভুলে যাই। তাঁরা যেন জান্নাতবাসী হন আমরা আজকে সেই দোয়াই করব। প্রয়াত পাঁচ বন্ধুজন স্মরণে বাদল স্টল কেন্দ্রিক তাঁদের প্রিয় বন্ধুমহল এরকম একটি সুন্দর আয়োজন করেছেন দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। আমার অনেক বন্ধুবান্ধব আছেন, কিন্তু বাদল স্টলের বন্ধুদের যে বন্ধন, যে সুদৃঢ় বন্ধন এটি আসলেই তা অন্যান্য সকলের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। প্রয়াত বন্ধুদের স্মরণে তাঁদের মাগফেরাত কামনায় যাঁরা আজকে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছেন তাঁদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে প্রয়াত বন্ধুদের শোকাহত পরিবারের সবার প্রতিও গভীর সমবেদনা জানাই।’
দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা তাজ মোহাম্মদ ইয়াসিন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মাহাবুবুল আলম খোকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, এবিএম তৈমুর, বাহার চৌধুরী প্রমুখ।
মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলার বিশিষ্ট আলেম মাওলানা হাদিয়াতুল্লাহ নূর।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক সমতট বার্তা সম্পাদক মনজুরুল আলম।
দোয়া মাহফিলে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্স ৬৩তম ব্যাচের শুভ উদ্বোধন ও বই বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় স্থানীয় সুর সম্রাট দি দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের হলে অনুষ্ঠিত উদ্বোধন ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শহগীর আলম।
বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ফার্মেসীর মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার নীতি ও নৈতিকতার সাথে ব্যবসা করবেন। সরকারি নীতিমালা মেনে ফার্মেসী পরিচালনা করবেন। ফার্মেসীতে মেয়াদোর্ত্তীন, ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ বিক্রি করবেন না।
তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায় চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এক কোম্পানীর ঔষধ লিখেছেন কিন্তু ফার্মেসীতে গেলে ওই রোগীকে অন্য কোম্পানীর নিম্নমানের ঔষধ দেয়া হয়। তিনি বলেন, আপনারা সরকারের স্বাস্থ্যনীতি মেনে চলবেন। মানুষ অসুখ-বিসুখ হলেই চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক ঔষুধ লিখলে রোগী ঔষুধ কিনতে আপনাদের কাছে যায়। আপনারা রোগীকে ডাক্তারের ঔষুধ ভুল হয়েছে, আমার কাছে আরো ভালো মানের ঔষুধ আছে বলে রোগীকে বিভ্রান্ত করবেন না। কিছু কিছু ঔষধ আছে যা চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা যায়না। আপনার ওইসব ঔষধ মুনাফার লোভে প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করবেন না। চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন যদি আপনারা পড়তে না পারেন তাহলে যিনি পড়তে পারেন তাকে দিয়ে পড়াবেন তবু ভুল ঔষধ রোগীকে দিবেন না। সততার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন। আর কেউ যদি ভেজাল ও মেয়াদোর্ত্তীন ঔষধ বিক্রি করেন তা প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি ফার্মেসী সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন কোর্সের ৬৩তম ব্যাচের তিনশত জনের হাতে বই তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি সমাজ গঠন করতে চাই যেখানে বিচারপ্রার্থীকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি শিকার হতে হবে না। কোনো বিচারক তার আসনে বসে আল্লাহকে ছাড়া কোনো রাষ্ট্রশক্তিকে পরোয়া করবে না। রাষ্ট্রের আইন এবং বিবেক শক্তি দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করবে। আমরা শুনতে চাই না বিচারকের আসনে বসে বিচারকরা ঘুস খায়।
আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ট্যাংকেরপাড় পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভায় তিনি এ কথা বলেন। ডা. শফিকুর বলেন, মিডিয়া বের করে নিয়ে আসে উনি অমুক জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, তার পাঁচটি গাড়ি রয়েছে, ১০টি বাড়ি রয়েছে। এসব কলঙ্কজনক কথা বিচারকদের ব্যাপারে শুনতে চাই না। আমরা এমন একটি বিচার ব্যবস্থা চাই, যে ব্যবস্থা উঁচু-নিচু কাউকে ভাববে না। বিচারপ্রার্থীকে বিচার প্রার্থী হিসেবে দেখবে। কোনো বিচারপ্রার্থী যদি মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়, তাহলে মিথ্যার অভিযোগের দণ্ডও তাকে পেতে হবে। আবার যদি কেউ সঠিক অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে ন্যায় বিচার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য ১০টি দেশ যেমন মর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে দাঁড়ায়, বাংলাদেশও ইনশাআল্লাহ তার শির উঁচু করে দাঁড়াবে। বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকবে কিন্তু কোনো প্রভু মেনে নেব না। কেউ আমাদের সঙ্গে প্রভুত্ব দেখাতে আসলে জাতির কাছে তার সঠিক জবাব বুঝিয়ে দেবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতের আমির মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাসুম।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুবারক হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল অঞ্চল টিম সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাবেক আমির কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, সাবেক নায়েবে আমির কাজী মো. ইয়াকুব আলী, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘরে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদের ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
মোস্তাক আহমেদের ছেলে সজিব আহমেদ বলেন, আমার বাবার শহরের নিউ মার্কেটে কাপড়ের দোকান আছে। আমি একটি প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজারের চাকরি করি। এছাড়া বাসায় আমার ছোট ভাই ও মা থাকেন। আমরা বাগানবাড়ি এলাকায় একটি ভবনের তিন তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকি।
তিনি বলেন, বিকেলে ফ্ল্যাটের দরজায় তালা দিয়ে মাকে নিয়ে বাসার বাইরে যায় আমার ছোট ভাই। সে খেলতে চলে যায় এবং আম্মা চলে যান ডাক্তারের চেম্বারে। তারা সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে দেখেন ওয়ারড্রবের ড্রয়ার সব খোলা এবং কাপড়চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। তারা দেখেন আলমারির ভেতরে থাকা ডিজিটাল লকার এবং সিন্দুক ভাঙা। পরে তল্লাশি করে দেখা যায়, লকারে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও সিন্দুকে থাকা আম্মার সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নেই। খবর পেয়ে আমি এসে বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাদের একটি দল আসে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বাড়িটি একটি নির্জন এলাকায় এবং সেখানে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছি।
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) আরো ১০টি পণ্যকে মান সনদের আওতায় এনেছে। বিএসটিআই’র সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের ৩৭তম সভায় বাধ্যতামূলক মান সনদের তালিকায় ১০টি নতুন পণ্যকে মান সনদের অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআই’র প্রাধন কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কাউন্সিলের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিল্পমন্ত্রী ও বিএসটিআই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। নতুন যে ১০টি পণ্য মান সনদের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল ডায়াপারস, ফেসওয়াস, পেট্রোলয়িাম জেলি, রুটি (ফ্ল্যাটব্রেড/ টরটিলা), এ্যারোসলস, গিজার, শেভিং ফোম/জেল, আই কেয়ার, হেয়ার ডাইস লিকুইড ও শু-পলিশিং লিকুইড। বর্তমানে বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মান সনদের আওতাভুক্ত পণ্যের সংখ্যা ২২৯টি। বিএসটিআই কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, দ্বিতীয় ভাইস চেয়ারম্যান শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, এ সভায় শিল্প, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, তথ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তথ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ টেলিভিশন, কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বিসিএসআইআর, আমদানি ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রক, ইপিবি এবং এমসিসিআই, ক্যাবসহ কাউন্সিলের সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ও কাউন্সিলের সদস্য সচিব মোঃ আবদুস সাত্তার এ সভা পরিচালনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই সকলের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে আরও সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ করা এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএসটিআইকে পণ্যের হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে গুণগত মান ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনে বিএসটিআইকে আরও কঠোর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে কাউন্সিলের প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীরা করোনা মহামারিকে পূঁজি করে অতিরিক্ত মুনাফা করেছে। তারা পণ্যে ভেজাল দিচ্ছে, সিন্ডিকেট করছে। তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষকে রক্ষায় বিএসটিআইকে দায়িত্ব নিতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় রেখে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইকে কাজ করতে হবে।
কাউন্সিল সভার পরে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিএসটিআই’র ৯১ জন নবনিযুক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ, যোগদান এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বিএসটিআই’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোঃ আরিফ হোসেন বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ কলেজে শিক্ষার মান সুরক্ষার জন্য আমাদের শিক্ষকগণ যথাসাধ্য শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন।’
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০ টায় কলেজের এলটি হলে আয়োজিত অভিভাবক ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এক অভিভাবক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন ভালো রেজাল্ট করতে পারে এ ব্যাপারে আমরা খুবই কমিটেড হয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এর বিপরীতে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীগনকেও পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হলে কমিটেড হয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অভিভাবকগনকে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার উপর নজরদারি বাড়াতে হবে। সন্তানদের নৈমিত্তিক বিচরণের খবরা-খবর রাখতে হবে। পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করতে হলে শিক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই নিয়মিত ক্লাসে যোগদান করতে হবে। পরীক্ষায় যারা ভালো ফলাফল করে থাকে, দেখা গেছে তাদের অধিকাংশই কলেজে নিয়মিত ক্লাস করার ফলেই পরীক্ষায় এমন ভালো রেজাল্ট করেছে। যারা নিয়মিত ক্লাসে আসবেনা, তাদের উপস্থিতির হার কম হলে এবং টেস্ট পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে না পারলে কোনভাবেই তাদেরকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে আমরা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিয়মিত ক্লাস করবে না, পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হবে না, অথচ ফাইনাল পরীক্ষা এলেই পরীক্ষায় বসতে চাইবে এমন পরীক্ষার্থী আমরা চাই না।’ তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, তোমরা মনে রাখবে আমরা শিক্ষার্থী চাই, পরীক্ষার্থী চাই না। তুমি মেধাবী হয়ে গড়ে উঠলে এটি যেমন তোমার নিজের আত্মসম্মানের বিষয় হবে, তেমনি তোমার পরিবারও তোমাকে নিয়ে গর্ব করবে, সর্বোপরি তোমার এই মেধাবীপনায় উপকৃত হবে দেশ ও জাতি। কেননা তোমরাই একদিন মেধাবী উত্তর-প্রজন্ম হয়ে দেশের নেতৃত্বভার গ্রহণ করবে। মনে রাখবে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে মেধাদীপ্ত জাতি গড়ার কোন বিকল্প নেই।’
অভিভাবক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মোহম্মদ হামজা মাহমুদ, প্রফেসর আবু সালেহ মো: নাম উদ্দিন, প্রফেসর খালেদ হোসেন খান, এ কে এম ওবায়দুল হক সহযোগী অধ্যাপক গণিত, মো: কামাল হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক গণিত, মো: আনারুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক মো: ফরিদ মিয়া।