চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের একাধিক ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তদন্তে অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকায় দুই প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দুই মাসের জন্য বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের ১৪ নভেম্বর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় সংসদের ২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) শূন্য আসনে ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনপরবর্তী বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৯৫নং যাত্রাপুর নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ১২৭নং শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের সংবাদ প্রচার হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত অভিযোগের বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এর মাধ্যমে পৃথক তদন্ত করেছেন। তদন্ত প্রতিবেদন মতে প্রকাশিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের সার্বিক পর্যালোচনা মোতাবেক ৯৫নং যাত্রাপুর নুরানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিসাইডিং অফিসার হোসেন মো. হাবিবুর রহমান, প্রভাষক (সমাজ বিজ্ঞান) আব্বাস উদ্দিন খান সোহাগপুর মডেল কলেজ, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ১২৭নং শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ, সিনিয়র অফিসার, ইসলামী ব্যাংক, আশুগঞ্জ শাখা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বর্ণিত অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
ফলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে অসদাচরণের দায়ে প্রভাষক হোসেন মো. হাবিবুর রহমান ও ইসলামী ব্যাংক এর সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ কে নির্বাচন কমিশন ১৫ নভেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী শৃঙ্খলামূলক কার্যধারা গ্রহণেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত আদেশ মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে সাত দিনের মধ্যে গৃহীত ব্যবস্থা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
সরাইল প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মতবিনিময় সভা করেছেন। মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র দিয়ে শুরু করেছিলাম; আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই’।
আজ ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল হাজী মুকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
হাজী সিরাজ খানের সভাপতিত্বে ও অরুয়াইল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদির সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ৫ বারের সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাবেক পাকশিমুল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার, সৌদি আরব বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রিফাত বিন জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা কুতুবুল আলম, আইয়ুব খান, আকবর আলী, আবুল কালাম, আলী আজগর ভূঁইয়া, সামছু মিয়া মেম্বার, জালাল উদ্দিন, মোকলেছুর রহমান, মো. সুজন মিয়া প্রমুখ।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া বলেন, আমি বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে পদত্যাগ করি। পরে বুঝতে পারি আমি আমার এলাকার জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারি নাই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে চাইছি।
তিনি আরো বলেন, স্বতন্ত্র থেকে আমি শুরু করেছিলাম, আবার স্বতন্ত্র দিয়েই আমি শেষ করতে চাই। এজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা আবার আমাকে কলার ছড়া মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন। আমি যেন আপনাদের বাকি কাজগুলো শেষ করতে পারি। এ সময় উপস্থিত সবাই এই প্রবীণ নেতাকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজ হওয়ার ৬ ঘণ্টা পর ৬ বছরের শিশু খোদেজা বেগমের লাশ বাড়ির পাশের বিল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের দুবাজাইল এলাকার বিল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুটি ওই এলাকার জিল্লু মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার বিকাল ৪টার পর থেকে খোদেজাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মসজিদের মাইকে নিখোঁজ সংবাদের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাইটের আলোতে একটি লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা লাশটি উদ্ধার করে বিলের পাড়ে আনেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশটি শিশু খোদেজার বলে শনাক্ত করেন।
সরাইল থানার এসআই নুরুল করিম জানান, প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি বিলের পানিতে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের বাবা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৬৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি নোহা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
আজ ১৯ মে রবিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের মোঃ ছানু মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক রুমন আহম্মদ শরীফ (৩৪) ও একই উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে মোঃ বিল্লাল আহমদ(২৬)।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাহিদ আহাম্মেদ জানান, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় গাড়িতে তল্লাশী চালানো হয়। অভিযানকালে একটি নোহা মাইক্রোবাসে তল্লাশী চালিয়ে ৬৯৮ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
এসময় গাড়ির চালকসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। আটক মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার থেকে ৯৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকার হোটেল উজান-ভাটির সামনে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার থেকে এই গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ জানান, বুধবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকার হোটেল উজান-ভাটির সামনে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকারের সঙ্গে সিলেটগামী একটি অজ্ঞাতনামা ট্রাকের ধাক্কা লাগে।
প্রাইভেটকারে থাকা রাজিব মিয়া, স্বপন ও জাহাঙ্গীর আহত হয়। পরে স্থানীদের সহায়তায় আহতরা চিকিসৎসার কথা বলে দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকার রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাইভেটকারের পেছনের ডালা থেকে ৯৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
পালিয়ে যাওয়া আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট
সরাইল উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের ভাই বাচ্চু ফকির সিপাহীকে (৪৯) ২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার আঁখিতারা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই এলাকার মাদক সম্রাট খ্যাত প্রয়াত আলী হোসেনের ছেলে বাচ্চু গ্রেপ্তারের খবরে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। একসময় ভাইয়ের ক্ষমতার প্রভাবে পুলিশ রাতে ধরে পরের দিন ভোরেই ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে গত রোববার রাতে এস আই মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আঁখিতারা গ্রামে বাচ্চু ফকির সিপাহীর বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানকালে বাচ্চুর হেফাজতে থাকা ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। পরে মাদক কারবারি বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করেন। বাচ্চু গ্রেপ্তারের খবরে গোটা আঁখিতারা গ্রামের লোকজন স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেন। এলাকার একাধিক ব্যক্তি মুঠোফোনে গণমাধ্যম কর্মীদের বাচ্চু যেন থানা থেকে ছাড় না পায় সেই অনুরোধ করতে থাকেন।
তারা বলেন, বাচ্চু ও আরেক মহিলা আঁখিতারা গ্রামকে মাদকে সয়লাব করে দিয়েছেন। তাদের নিয়োগকৃত অগণিত লোক গ্রামের আনাচে কানাচে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছেন। ফলে গ্রামের উঠতি বয়সের ছেলেরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। যে বাঁধা দিত তাকেই হুমকি দিতেন। বাচ্চুর ভাই ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা হওয়ায় পুলিশ রাতে ধরে নিয়ে পরের দিন ভোর বেলাই ছেড়ে দিত। তবে এ যাত্রা বাচ্চু গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তার বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুর রাজ্জাক বাচ্চুকে মাদকসহ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদকের বিরূদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। আগে কি হয়েছে তা ভুলে যান। বাচ্চুর বিরূদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল তাকে আলামতসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।