স্পোর্টস ডেস্ক :
‘১৪ সংখ্যাটা খারাপ নয়’ -ম্যাচশেষে বলছিলেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম। ১৪ তার চোখে খারাপ না লাগারই কথা।
কেননা ১৪-০ ব্যবধানেই যে জিব্রাল্টারকে গতকাল উড়িয়ে দিয়েছে তার দল। তুলে নিয়েছেন নিজেদের ইতিহাস ও ইউরো বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়।
গোলবন্যার ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে গোলের খাতায় নাম লেখান ৯ জন ফুটবলার। এর মধ্যে হ্যাটট্রিকের দেখা পান কিলিয়ান এমবাপ্পে। জোড়া গোল করেন অলিভিয়ে জিরু ও কিংসলি কোমান। একটি গোল করে ফ্রান্সের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার মালিক হন ওয়ারেন জের-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে আজ। তিনি ছাড়াও একটি করে গোল করেছেন মার্কাস থুরাম, জনাথন ক্লস, ইউসুফ ফোফানা, আদ্রিয়ান রাবিওঁ, ওসমান দেম্বেলে।
গতকালের আগে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় জয় এসেছিল ১৯৯৫ সালে। আজারবাইজানকে সেবার ১০-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। এছাড়া ইউরো বাছাইয়ে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি ছিল জার্মানির। ২০০৬ সালে সান মারিনোকে ১৩-০ গোলে হারায় তারা।
ফ্রান্সের কাছে রেকর্ড হারানো রাতটা ভালোভাবে কাটেনি জার্মানদের। ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে ৩-২ গোলে হেরেছে তুরস্কের কাছে। পঞ্চম মিনিটে কাই হাভার্ৎজের গোলে এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই পিছিয়ে পড়ে ২-১ ব্যবধানে। বিরতির পর ৪৮ মিনিটে সমতা ফেরান নিকলাস ফুলক্রুগ। তবে ৭০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তুরস্ককে জয়সূচক গোলটি এনে দেন ইউসুফ সারি।
অনলাইন ডেস্ক :
নব্বই দশকের লাস্যময়ী ও সাহসী বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। অক্ষয় কুমার, আমির খান, সালমান খান, গোবিন্দ, সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতাদের সাথে জুটি বেঁধে পর্দায় ঝড় তুলেছেন। বলিউড থেকে দীর্ঘ দিন ধরে দূরে। এবার আলো ঝলমলে দুনিয়াকে বিদায় জানিয়ে সন্ন্যাসিনী হলেন এই অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ বা এলাহাবাদে গিয়ে মহাকুম্ভে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন শাহরুখের এই নায়িকা।
মহাকুম্ভের কিন্নর আখড়াতে ‘মহামণ্ডলেশ্বর’ রীতির মাধ্যমে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন মমতা। এদিন পিণ্ডদানও করেন তিনি। এই রীতির মাধ্যমে নতুন নামও গ্রহণ করেছেন। আজ থেকে তার নতুন নাম- শ্রী ইয়মাই মমতা নন্দ গিরি।
কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর অর্থাৎ লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী ও জুনা আখড়ার আচার্য স্বামী জয় আম্বানন্দ গিরির সাথেও দেখা করেন মমতা। আর সেই মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
এসব ভিডিওতে মমতাকে গেরুয়া রঙের পোশাকে দেখা যায়। তার সাথে অভিনেত্রীর গলায় শোভা পাচ্ছে রুদ্রাক্ষের মালা। পুরোপুরি অচেনা রূপে ধরা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
মমতা কুলকার্নি এখন সন্ন্যাসিনী
২০১৬ সালে থানে পুলিশ ২ হাজার কোটি রুপির একটি মাদক পাচার চক্রের তদন্ত শুরু করে; যেখানে মমতার নাম জড়িয়ে পড়ে। মূলত, মমতা কুলকার্নি ও তার সঙ্গী কথিত মাদক সম্রাট ভিকি গোস্বামীকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। গত বছরের শেষের দিকে এ মামলা থেকে খালাস পান এই অভিনেত্রী। কিন্তু ২৪ বছর এই অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে কাটিয়ে মমতা কুলকার্নি গত বছর ভারতে ফিরেন।
১৯৯২ সালে রাজ কুমার ও নানা পাটেকরের ‘তিরঙ্গা’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু করেন মমতা কুলকার্নি। নব্বইয়ের দশকে ‘করণ অর্জুন’, ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’, ‘ক্রান্তিবীর’, ‘সাবছে বড় খিলাড়ি’-এর মতো হিট সিনেমার নায়িকা তিনি।
চলারপথে ডেস্ক :
বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এই দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ছিল না জয়ের রেকর্ড। একবারের মোকাবিলায় ৮ উইকেটে হার। সেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অন্যরূপে দেখা গেল বাংলাদেশকে।
চট্টগ্রামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগারদের সামনে স্রেফ উড়ে গেল বাটলার শিবির। বাংলাদেশ পেয়েছে ৬ উইকেটের দাপুটে এক জয়, দুই ওভার হাতে রেখেই। তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশের লিড ১-০ ব্যবধানে। জয়তু টাইগার শিবির।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে দুই ওভার হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ, ১৫৮/৪।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আট বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার। কুরান, ওকস, আর্চার নিজেদের প্রথম ওভারে মার খাওয়ার পর চতুর্থ ওভারে আসেন স্পিনার আদিল রশিদ। এসেই উইকেট পান তিনি। বোল্ড করে দেন ১৪ বলে ২১ রান করা রনিকে। তার ইনিংসে ছিল চারটি চারের মার।
এরপর সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। পঞ্চম ওভারে আর্চারের বলে ওকসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১০ বলে দুই চারে ১২ রান করেন বাংলাদেশ ওপেনার। শান্ত ও হৃদয়ের বিধ্বংসী জুটি। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ব্যাট হাতে চট্টগ্রামে ঝড় তুলে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে করে রানের চাকা ঘুরান তিনিই। উডের এক ওভারে টানা চার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চকর আবহ তৈরি করেন। ২৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় পঞ্চাশ এটি তার।
এরপরই অবশ্য বিদায় নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তৌহিদ হৃদয়। মঈন আলির বলে কুরানের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১৭ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৪ রান করেন হৃদয়।
ফিফটির পর আগাতে পারেননি শান্ত। উডের বলে হয়ে যান বোল্ড। ৩০ বলে আট চারে ৫১ রান করে ফেরেন শান্ত। পঞ্চম উইকেটে হাল ধরেন সাকিব-আফিফ। এই জুটিতেই শেষ পর্যন্ত সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। ২৪ বলে ছয়টি চারে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৩ বলে দুই চারে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ হোসেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে একটি করে উইকেট নেন জফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড ও মঈন আলি।
বাংলাদেশ দল : রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী প্রয়াত অঞ্জনা রহমানের প্রথম নামাজে জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৪ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে অভিনেত্রীর প্রথম জানাযা সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসিতে। যেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা। এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় অভিনেত্রীর মরদেহবাহী গাড়িটি প্রবেশ করে চলচ্চিত্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএফডিসির ভেতরে। সেখানে অঞ্জনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পরিচালক ছটকু আহমেদ, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য ও অভিনেতা সনি রহমানসহ চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতের অনেকে।
এ সময় অঞ্জনার ছেলে নিশাত রহমান মনি জানান, বাদ জোহর এফডিসিতে জানাযা শেষে অভিনেত্রীর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তেজগাঁওয়ে চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে। সেখানে আরেকবার জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে শেষ শয্যায় শায়িত হবেন অঞ্জনা।
এর আগে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অঞ্জনাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। ইনফেকশন তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পর ১ জানুয়ারি বুধবার বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় অভিনেত্রীকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালটির ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
চলচ্চিত্র জগতে আসার আগে ছোটবেলা থেকে অঞ্জনা রহমান একজন নামি নৃত্যশিল্পী ছিলেন। নৃত্যের প্রতি আগ্রহের কারণে তার বাবা মা তাকে নৃত্য শিখতে ভারতে পাঠান। সেখানে তিনি ওস্তাদ বাবুরাজ হীরালালের অধীনে নাচের তালিম নেন এবং কত্থক নৃত্য শিখেন। নৃত্যে তিনি তিনবার জাতীয় পুরস্কারও লাভ করেন।
১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরীর ‘সেতু’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবনে পথচলা শুরু করেন অঞ্জনা। তবে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র শামসুদ্দিন টগর পরিচালিত ‘দস্যু বনহুর’। রহস্য ভিত্তিক এই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
১৯৭৮ সালে তিনি আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘অশিক্ষিত’ চলচ্চিত্রে নায়ক রাজ রাজ্জাকের বিপরীতে অভিনয় করে নিজের ক্যারিয়ারকে সফলতার পথে এগিয়ে নেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি রাজ্জাক, আলমগীর, জসিম, বুলবুল আহমেদ, জাফর ইকবাল, ওয়াসিম, উজ্জ্বল, ফারুক, ইলিয়াস জাভেদ, মিঠুন চক্রবর্তী (ভারত), ইলিয়াস কাঞ্চন, ফয়সাল (পাকিস্তান), নাদিম (পাকিস্তান), জাভেদ শেখ (পাকিস্তান), ইসমাইল শাহ (পাকিস্তান), শীবশ্রেষ্ঠ (নেপাল), ভুবন কেসিসহ (নেপাল) জনপ্রিয় অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন।
প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন গুণী এই অভিনেত্রী। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- সুখের সংসার, যাদু নগর, নেপালী মেয়ে, রাখে আল্লাহ মারে কে, একই রাস্তা, অঙ্কুর, মাধবীলতা, জবরদস্ত, জিদ্দী, আশীর্বাদ, শাহী কানুন, রূপসী বাংলা, বাপের বেটা, মরুর বুকে, প্রমাণ, বিক্রম, আকাশপরি, রাজার রাজা, বিধিলিপি, দিদার, আনারকলি, অগ্নিপুরুষ, টার্গেট, আন, মহারাজ, মানা, আশার প্রদীপ, প্রতিরোধ (বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনা), বেদনা, সোনার পালঙ্ক, চোখের মনি, প্রেমের সমাধি, ঈমানদার, অংশীদার, সুখ, দোযখ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, নেপাল, থাইল্যান্ড ও শ্রীলংকাসহ বহু দেশে ব্যবসা সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক ভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
অভিনয়ে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রের জন্য অঞ্জনা রহমান দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া মোহনা, পরিণীতা ও রাম রহিম জন চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে তিনবার বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২২ সালে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
আজীবন সম্মাননা যুগ্মভাবে দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু ও চিত্রনায়িকা রোজিনাকে। দেশের বাইরে থাকায় খসরুর পুরস্কার নেন অভিনেতা আলমগীর।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম (ভাষা সৈনিক শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম) ইয়ং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ বিভাগীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর সি গ্রুপের খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১১৭ রানে বড় ব্যবধানে কক্সবাজারকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি ১ম খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০৮ রানের ব্যবধানে বান্দরবানকে পরাজিত করে।
১৭ জানুয়ারি ২য় খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৬ রানে চাঁদপুর এর কাছে হেরে যায়। সি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নীট রান রেটে ৪র্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২য় সেমিফাইনাল অংশ গ্রহণ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বনাম চাঁদপুর।
২৩ জানুয়ারি ১ম সেমিফাইনালে অংশ গ্রহণ করবে নোয়াখালী বনাম লক্ষীপুর, ২৬ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো খেলা চট্টগ্রামের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গেইম ডেভলপমেন্ট এর আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লীগ ভিত্তিক খেলায় অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন : তপু দত্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান শ্রাবণ (সহ: অধিনায়ক), ইশান বনিক (উইকেট কিপার), সাকিব আল জামান, নুর আলম রাফি, আনাছ, আলিফ, সাদমান, শিমুল, ইয়াছিন আরাফাত, সজিবুর, মাহিন, সাবাব, নওশাদ, সিফাত ও নুর হোসেন কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ম্যানেজার নাজমুল হক ভূঁইয়া সেলিম।