চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ আখাউড়ায় নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার নিকট থেকে ফরম সংগ্রহ করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগে সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, আওয়ামীলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ মনির হোসেন বাবুল, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাসান খলিফা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।
এর আগে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যায়। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, ১৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, আখাউড়ায় এ পর্যন্ত ১টি ফরম বিক্রি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আনিসুল হক কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অ্যাড. সিরাজুল হক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাহানারা হকের সুযোগ্য পুত্র।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এবছর মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। নায়রা নামের মেয়েদের পোষাকটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সারেরা, গারেরা, ডিভাইডার, গাউন, লেহেঙ্গা, স্কার্ট রয়েছে পছন্দের তালিকায়। তবে দাম অনেকটা বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আখাউড়া শহরের মায়াবী শপিং কমপ্লেক্স, আদর আলী কমপ্লেক্স, আলী মার্কেট, চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স, সরকার প্লাজাসহ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ডিজাইনের আকর্ষণীয় পোষাক সাজিয়ে রেখেছেন। পছন্দের জামা-কাপড় কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শহরের প্রতিটি বিপণিবিতানে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার সরগরম প্রতিটি জামা-কাপড়ের দোকান। বেচাকেনা জমে ওঠায় খুশি বিক্রেতারাও। নতুন জামা-কাপড়ের পাশাপাশি জুতা এবং কসমেটিকস্ দোকানগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। তবে সব পণ্যের দামই দোকানিরা অনেক বেশি চাচ্ছেন এমন অভিযোগ ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায় প্রতিটি জিনিষেই এর প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া পোষাক তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়েছে এজন্য দাম কিছুটা বেড়েছে।
এদিকে মেয়েদের পোষাকের পাশাপাশি ছেলের পোষাকের দোকানগুলোতে তরুনদের উপস্থিতি বেড়েছে। ছেলেরা জিন্স প্যান্ট বেশি কিনছেন। সাথে স্টিচ শার্ট, টি-শার্ট। এছাড়াও পাঞ্জাবি-পায়জামার চাহিদাও রয়েছে। কালারফুল পাঞ্জাবিই ছেলেদের বেশি পছন্দ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রমজানের শুরুর দিকে মার্কেটে বেশি বিক্রি হয় শিশু ও নারীদের জামা-কাপড়। ঈদ যতই এগিয়ে আসে এসব পণ্যের বিক্রিও ততই বাড়ে।
সড়ক বাজারের মরিয়ম লেডিস ফ্যাসনের মালিক মোঃ কাওছার আহমেদ বলেন, রোজার প্রথম কয়েকদিন ক্রেতারা শুধু জামাকাপড় দেখে নাম শুনে চলে যেত। এখন আল্লাহর রহমতে বেচাকেনা বেড়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রির পরিমাণও তত বাড়বে। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে গত কয়েক ঈদে লোকসান হয়েছে। আশা করি, এবার করোনার লোকসান এবার পুষিয়ে উঠতে পারবো।
দুই মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছেন স্মৃতি আক্তার। তিনি বলেন, বড় মেয়ের জন্য নায়রা কিনেছি। ছোট মেয়ে পছন্দ করেছে স্কার্ট। এবার দাম একটু বেশি। গত বছর যে পোষাক ১ হাজার দেড় হাজার টাকায় কিনেছে। সে পোষাক এবার তিন হাজার দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা।
কাজী স্নেহ ও তোড়া বলেন, তারা নায়রা কিনেছেন। কারণ এ পোষাকটি এবার অনেক চলছে। আর দেখতেও সুন্দর লাগে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে আখাউড়া থানার এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম মোঃ খাইরুল। তিনি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সোহেল ও সেলিমসহ আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ সদস্য মোঃ খায়রুল মাদক ব্যবসায়ী সোহেলকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় তাকে পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করতে অপর মাদক ব্যবসায়ী সেলিম পুলিশ সদস্য খায়রুলকে ধারালো ছুরি দিয়ে পেটের বাম পাশে আঘাত করে।
গুরুতর আহত খায়রুলকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইচ্ছা ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে ছেলের বিয়ে দিয়ে পুত্রবধূকে ঘরে তুলবেন। সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফ গ্রামের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী মো.জহিরুল হক জুরুর।
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার জেলার আখাউড়া পৌরশহরের কলেজপাড়া এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী মো. সাকের আহমদ কবিরের মেয়ে তাবাচ্ছুম আক্তার স্নেহার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন বর ইতালি প্রবাসী হৃদয় হক।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ছতুরা শরিফের ছতুরা শরিফ স্কুল মাঠ থেকে দুপুর আড়াইটার দিকে হেলিকপ্টারে চড়ে উপজেলার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ মাঠে অবতরণ করেন বর। পরে পৌরশহরের কলেজপাড়ার বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে নববধূকে নিয়ে আবারো একই হেলিকপ্টারে করে নিয়ে আসেন।
এদিকে নববধূ ও হেলিকপ্টার দেখতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ মাঠে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। আর এসব সামাল দিতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
আখাউড়া থানার ওসি মো. আসাদুল ইসলাম জানান, বিয়ের বিষয়টা তাদের আগেই জানানো হয়েছিল। তাই যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরের বাবা মো. জহিরুল হক জুরু জানান, আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টার দিয়ে বিয়ে করাব। মহান আল্লাহ আমার ইচ্ছা পূরণ করেছেন। আমার বাকি ছেলে ও এক মেয়েকেও হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করাব।
মেয়ের জামাই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসায় খুশি বরের শ্বশুর সাকের আহমদ কবির। তিনি বলেন, আমি গর্বিত যে জামাই হেলিকপ্টারে আমার মেয়েকে নিতে এসেছে। আমি খুবই আনন্দিত। আল্লাহ যেন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মানজারুল মান্নান।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে এসব কথা জানান তিনি। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর সবকিছুই নতুনভাবে গঠন করতে হচ্ছে। তবে আশা করছি শীঘ্রই আখাউড়া স্থলবন্দরের উন্নয়নমূলক অবকাঠামোগত কাজগুলো শুরু হবে। এর ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে। আর বাণিজ্য বাড়লে রাজস্বও বাড়বে।
তিনি আরো বলেন, আমদানি-রপ্তানি পণ্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারকে অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এ বন্দর দিয়ে সব পণ্য আমদানির অনুমতি দিলে বাণিজ্য বাড়বে।
এ বিষয়টি আমরা আগেও উপস্থাপন করেছি। যখন বন্দরে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়বে, তখন হয়তো সরকার সব ধরনের পণ্য আমদানি পণ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
মানজারুল মান্নান সংশ্লিষ্টদের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের যাত্রী পারাপার ও রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এসময় চেয়ারম্যানের সঙ্গে ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য আতিকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খাইরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।