চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৪) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে আজবপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জান্নাতুল ফেরদৌস উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামের আজবপুর এলাকার মৃত আসিদ মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জান্নাতুল ফেরদৌসের জন্মের আগেই তার বাবা আসিদ মিয়া মারা যায়। তারপর মোর্শেদা বেগম মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে জান্নাতুল ফেরদৌসকে বড় করেন। সকালে মোর্শেদা বেগম বাজারে গেলে এ সুযোগে জান্নাতুল ফেরদৌস ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা দরজা ভেঙ্গে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। তবে কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরী আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা ছাত্র-জনতা উদ্যোগে “এসো নবীন রুখে দাঁড়ায়” ধর্ষণকারীর কোন দল নাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে গণহারে ধর্ষণের প্রতিবাদে ও ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সরাইল উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ছাত্র জনতা ব্যানারে একটি মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি উপজেলা বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরাইল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষকের কোনো পরিচয় নাই, যে দলের হোক তার টাই বাংলাদেশে হবে না। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্র জনতা সরাইল উপজেলা সারাদেশের বৈষম্যর বিরুদ্ধে ড্রাইরেক অ্যাকশনে গিয়েছি। আমরা যেখানে পাই প্রতিকার চেয়ে প্রতিরোধ করব। এখন আমরা দেখছি যে ধর্ষককারী তার কোন শাস্তি হয় না। কিন্তু যে ধর্ষককারীকে হত্যা করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়। আমরা অতি সত্যে আমাদের উপদেষ্টাকে বলবো আপনারা যদি ছিনতাই, ধর্ষণকারী, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারেন তাহলে পদত্যাগ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মো. ইফরান খান, আলিফ মাহমুদ নাহিদ, আল-আমিন, রিয়াদুল ইসলাম, মৃদুল, সাইফুল, আমিরুল, আরাফ, তামিম, সানিয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক মা তাঁর মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছেলেকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ওই নারীর ছেলের নাম আজমল শাহ (৩৭)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে কয়েক বছর আগে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। বছরখানেক ধরে তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে আসছেন। নেশার টাকার জন্য আজমল নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি নেশার টাকার জন্য আজমল আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আজমলের মা-বাবা সব চেষ্টাই করেছেন। কয়েক মাস ধরে আজমলের অত্যাচারে মা-বাবা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তিন বছর আগে স্ত্রীও আজমলকে ফেলে চলে যান।
বাধ্য হয়ে মা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কয়েক দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আজমল। এর জের ধরে গতকাল সকালেও আজমল ঘরের আসবাব ভাঙচুর করতে থাকেন। ছেলের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় অসহায় মা মনেজা বেগম দুপুর ১২টার দিকে আজমলকে আটক করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেসবা উল আলম ভূঁইয়া ছুটে যান বুড্ডা গ্রামে। সেখানে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আজমল শাহকে ১২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মনেজা বেগম ইউএনওর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তার অপকর্মে আমরা অতিষ্ঠ হইয়া পড়ছি, আমরার জীবন শেষ কইরা ফালাইছে। তার কাছ থেকে আমারে বাঁচান।’
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মেসবা উল অলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদকাসক্ত ওই যুবকের অত্যাচারে মা-বাবা ও স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। তিনি নিয়মিত মা-বাবাকে মারধরও করতেন। তাঁকে আমরা হাতেনাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি দোষ স্বীকার করেছে। তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে নিখোঁজের তিন দিন পর তিতাস নদী থেকে রহমত আলী (৬৯) নামের এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে তিতাস নদীর সেতু এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রহমত আলী উপজেলার আইড়ল গ্রামের মৃত জহের আলীর ছেলে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, রহমত আলী বাংলাদেশ ব্যাংকের কেয়ারটেকার পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। তার ছেলেও একই পদে চট্টগ্রামে চাকরি করেন। তিনি চট্টগ্রামে ছেলের কাছে থাকতেন। সম্প্রতি তিনি উপজেলার দেওড়া গ্রামে তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রহমত আলী মসজিদে নামাজে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। এই ঘটনায় তার মেয়ে একটি জিডি করেছিলেন। বুধবার তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
তিনি আরো জানান, মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ইতিপূর্বে তিনি তিনবার ষ্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার রাজাবাড়িয়াকান্দী এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
৮ মার্চ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আ. রহমান মিঠুন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার আ. জলিল ব্যাপারীর ছেলে। এ ঘটনায় তার অপর ভাই মো. লিটন মিয়া আহত হয়েছেন।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সন্ধ্যার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর বড় ব্রিজের কাছে রাজাবাড়িয়াকান্দী এলাকায় একটি প্রাইভেটকার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটর সাইকেলে থাকা দুই ভাই ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত দু’জনতে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মিঠুন নামে একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাসেল হোসেন (৩২) নামে এক ট্রাক চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ৪জন আহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৯ এপ্রিল বুধবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকায়। নিহত রাসেল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে। এ ঘটনায় আরো তিনজন আহত হয়েছেন।
সরাইল খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন রহমান জানান, আজ সকালে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় সিলেটগামী দ্রুতগতির একটি ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই গাড়িতে থাকা চারজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।