চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন পেতে দলীয় ফরম কিনে জমা দিয়েছেন এক দম্পতি। তাঁরা হলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থবিষয়ক সম্পাদক মো. নাজির মিয়া এবং তাঁর স্ত্রী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার। গতকাল রবিবার দুপুরে তাঁরা নৌকার মনোনয়ন ফরম কিনে শেষ বিকেলে জমা দেন। বিষয়টি আজ ২০ নভেম্বর সোমবার বিকেলে দুজনেই মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।
দলীয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. নাজির মিয়া ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করে আসছেন। তিনি এলাকায় গণসংযোগ থেকে শুরু করে নানা সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। তাঁর স্ত্রী রোমা আক্তারও দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত আছেন ছাত্রজীবন থেকেই। রোমা আক্তার নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম নূরের মেয়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি এম ফরহাদ হোসেনসহ দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মোট ৯ জন। তাঁদের মধ্যে নারী প্রার্থী শুধু একজন।
ছাত্রজীবন থেকে থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত জানিয়ে নাজির মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দলের মনোনয়ন চেয়ে আসছি। আশা করি এবার পাব। আমি এবং আমার স্ত্রী গতকাল দুপুরে মনোনয়ন ফরম কিনে তা পূরণ করে বিকেলেই জমা দিয়েছি।’ স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এলাকার মানুষের সেবা করতে। দলীয় সভানেত্রী একজন নারী। তিনি নারীদের অগ্রাধিকার দেন। আমাকে কোনো কারণে না দিলেও আশা করি, নারীনেত্রী হিসেবে তাকে (স্ত্রী) দেবেন। এ ছাড়া মনোনয়ন চাওয়া তো তারও অধিকার। সে তার বাবার উত্তরসূরি হিসেবে এলাকার মানুষের সেবা করতে চায়।’
বাবার পথ ধরে মানুষের সেবা করতে চান মন্তব্য করে রোমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের দলীয় প্রধান চান নারীরা নেতৃত্বে এগিয়ে আসুক। এ জন্য আমিও প্রার্থী হয়েছি। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে এলাকায় আমাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি আমার স্বামীও চেয়েছেন। আমাদের কাউকেই যদি না দেন দল যাকেই দেবেন, আমরা মেনে নেব। দলের স্বার্থে কাজ করে যাব।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনটি নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এখানকার মোট ভোটার ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৪৭ট জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৬ এবং হিজড়া ভোটার ২ জন। এখানে মোট ভোটকেন্দ্র আছে ৭৯টি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি) প্রতীক নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
আজ ৩১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে নাসিরনগরে তার বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর ১১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নাসিরনগর কলেজ মোড় থেকে গোকর্ণ-পূর্বভাগ-মাধবপুর সড়ক সম্প্রসারণ ও পুনঃনির্মান, নাসিরনগরে জল রাশিকে পর্যটন শিল্পে রূপান্তর, অসম্প্রদায়িক, প্রযুক্তি নির্ভর, বেকারমুক্ত, সুশিক্ষিত ও বৈষম্যহীন নাসিরনগর প্রতিষ্ঠার উপর জোর দেন।
সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি মাধ্যমিক ও মাদরাসাসহ অন্যান্য শিক্ষার গুনগত মান নিশ্চিতকরন, নাসিরনগর কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর পাশাপাশি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন। জাতীয় নীতি মেনে সকল ইউনিয়নে নির্দিষ্ট দূরুত্বে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরের পাশপাশি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও চিকিৎসার সরঞ্জাম নিশ্চিত করে গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
শিক্ষিত যুবসমাজ ও বেকারদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে একটি বেকারমুক্ত নাসিরনগর উপহা দেয়া। কৃষক, শ্রমিক ও জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে কার্যকর ও বাস্তবমুখী কর্মসূচী গ্রহন। কৃষিতে সরকারি ভর্তুকির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা ও অনগ্রসর ব্যক্তি ও পরিবারকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।
জনগণকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে মুক্তি দেয়া, উপজেলা সদরের সাথে উপজেলার সকল ইউনিয়ন বিশেষ করে ভাটি অঞ্চলের সাথে উপজেলা সদরের সহজ যোগাযোগের ব্যবস্থা করা, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার, রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় নতুন রাস্তা নির্মান, নদী ভাঙন রোধ ও নদীর গতি প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য ড্রেজিংয়ের ব্যবস্থা, উপজেলার চাতলপাড় বাজারকে আধুনিকনদী বন্দরে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ।
উপজেলায় একটি আধুনিক ক্রিকেট ও ফুটবল ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি সকল ইউনিয়নে খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা।
নাসিরনগরের সকল মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, মাদকের বিস্তাররোধ ও মাদক নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি ও রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
নাসিরনগরের সকল নদী ও জলাশয় জেলে সম্প্রদায়ের জন্য উম্মুক্ত রেখে জেলে সমিতির মাধ্যমে মাছ ধরার ব্যবস্থা করা, মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও বরাদ্দ প্রদান, পরিবেশ ও জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষা করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করার জন্য ক্ষুদ্র, কারিগরি, মৎস্য ও কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা। নারী সমাজকে স্বাবলম্বী তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। নাসিরনগরে শিল্প কারখানা গড়ে ৫০ হাজার যুবক-যুবতীর চাকরির ব্যবস্থা করা।
স্থানীয় সরকারের সকল বিভাগের সাথে নেটওয়ার্ক স্থাপন করে নাসিরনগরকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তর, শতভাগ স্যানিটেশন, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, সকল ইউনিয়নে কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ ও সংস্কারের ব্যবস্থা করা ও নাসিরনগরের জলরাশিকে পর্যটন শিল্পে রূপান্তরের লক্ষ্যে দেশি-বিদেশী উদ্যোক্তাদেরকে আগ্রহী করতে উদ্যোগ গ্রহণ।
ইশতেহার ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামীলীগ বিএনপির বিরুদ্ধে আবার বিএনপি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এসব মামলা করছে। এসব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা। এসব মামলা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে চাই।
নির্বাচনী মাঠে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধামকি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় বলি জ্বালো, জ্বালো আগুন জ্বালো। আসলে এটা আগুন জ্বালানোর জন্য নয় নয়। তবে কেউ যদি প্যাসিফিক কাউকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলেন সেটা অন্য বিষয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া, তাঁর স্ত্রী নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেবসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানগণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনকে সুসংহত করার লক্ষ্যে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
নাসিরনগর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামিল ফোরকানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যাট মো. ইসমাইল হোসেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাজধানীতে বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে’ নাসিরনগরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
আজ ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মো: লতিফ হোসেন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চৌধুরী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ সিদ্দিকী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে আবার নতুন করে নৈরাজ্য শুরু করেছে। আন্দোলনের নামে তারা যদি সাধারণ মানুষের কোন ক্ষতি বা ধ্বংসাত্মক কাজ করে রাজপথে এর জবাব দেয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা। এ সময়ে তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বিভিন্ন অভিযোগে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অভিজিত রায়সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযানে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স ও ডাক্তারের সদন না থাকা এবং অন্যান্য কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় ভলাকুট মডেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন তালুকদার ও শফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে এক লাখ টাকা ও সনদ না থাকায় ডাক্তার আব্দুল মতিনকে ৫০ হাজার টাকা টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল বাতেন জানান, এটা শুধু নামেই মডেল ডায়াগনিস্টিক সেন্টার। ভিতরে কিছুই নাই। সেজন্য আজকে জরিমানা করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হয়রানির শিকার হন। ভুল চিকিৎসাসহ নানা হয়রানি প্রতিরোধে জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।