চলারপথে রিপোর্ট :
তেলবাহী লরি, যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী পরিবহন এসকর্টের মাধ্যমে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব-৯।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে জনসাধারণের পাশে থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা জোরদার করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় র্যাবের এই কার্যক্রম দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন সময়ে চলমান হরতাল-অবরোধে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে এবং দেশের সম্পদ রক্ষার্থে র্যাব-৯ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। এরই অংশ হিসেবে চলমান হরতাল-অবরোধে জনসাধারণের চলাচলে কেউ যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে এবং নির্বিঘ্নে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পণ্যবাহী, যাত্রীবাহী গাড়ি ও তেলবাহী লরি কনভয়কে নিরাপদে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে র্যাব এর দায়িত্বপূর্ণ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট,হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সুনামগঞ্জ) জেলাগুলোতে নিয়মিতভাবে এসকর্ট প্রদানের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জের রশিদপুর গ্যাসফিল্ড থেকে ছেড়ে যাওয়া রংপুরগামী বিভিন্ন তেলবাহী লরি কনভয়কে নিয়মিত র্যাবের এসকর্ট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সিলেট থেকে বিভিন্ন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে এসকর্টকরে নিরাপত্তা দিচ্ছে র্যাব-৯। নাশকতা ও সহিংসতার মাধ্যমে কেউ যেন জনমনে ভীতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে র্যাব-৯ এর বিশেষ টহল এবং চেকপোস্ট কার্যক্রমের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরা সাদা পোষাকে সতর্কতার সাথে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।সব ধরনের পরিবহণ ও সাধারণ জনগণ যেন নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য র্যাব-৯ এর উক্ত নিরাপত্তা জোরদারকরণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এছাড়াও যে কোন সহিংসতা বা নাশকতার বিরুদ্ধে র্যাব কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বদ্ধপরিকর।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হবে। এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন।
তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে ১১নং এবং ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক আবদুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সমস্যাটি বৈশ্বিক। সরকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করার জন্যে কাজ করছে।
তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে, দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়ী করার আহবান জানান।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই গ্রামে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আজ ১৩ মে মঙ্গলবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের চান্দের গোষ্ঠীর সাথে সলিমের গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই মধ্যে ১২ মে সোমবার রাতে সলিম গোষ্ঠীর এক যুবক চান্দের গোষ্ঠীর এক বাড়িতে ইয়াবা সেবন করতে যায় বলে অভিযোগ উঠে। এসময় চান্দের গোষ্ঠীর লোকজন ইয়াবা সেবনে বাধা দিলে যুবকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সোমবার রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ মঙ্গলবার সকালে দুই গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় উভয় পক্ষের ছোড়া ইট পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সদর সহ বিভিন্ন ক্লিনিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে চান্দের গোষ্ঠীর সাথে সলিমের গোষ্ঠীর হানাহানি হয়েছে। এ ঘটনায় বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনার জন্য তিনি গ্রাম্য সালিশ কারক ও সর্দারদের দায়ী করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গোষ্ঠীগত বিরোধকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে আহতদের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম জানান, খানিবাড়ি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠীর সঙ্গে দোলাবাড়ি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া। আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্বে ইউপি মেম্বার আরজু মিয়া। কিছুদিন আগে আরজু মেম্বার গ্রুপের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের ছেলেকে মারধর করেন খানিবাড়ির ছেলেরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়।
১২ নভেম্বর রবিবার আবার মারধর করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদকে। এ ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হলে সদর মডেল থানার সদস্যরা সেখানে যান। সোমবার সকালে ঘটনাটি থানায় মীমাংসার জন্য সালিশ সভা ডাকা হয়। সকালে সভা চলাকালীন দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ঘে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। উভয় পক্ষ ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কয়েকটি বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। এ ঘটনায় আহতদের ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সোহেল আহমেদ বলেন, সকালে গোষ্ঠীগত বিরোধে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে যারা জড়িত তদন্ত করে সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলা এবং হবগিঞ্জ জেলার মাধবপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধার করেছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নর (সরাইল ব্যাটালিয়ন) এর সদস্যরা।
আজ ২৮ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান বিজিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুর, ধর্মঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী সন্তোষনগর, মধুপুর, নোয়াবাদী, দৌলতবাড়ি, আলীনগর, মোহনপুর, বিষ্ণপুর, ইকরতলী, কাশিনগর এবং নলগরিয়া এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালায় ২৫ বিজিবি সদস্যরা। এসময় অভিযানে ৯৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৬৮১ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ১৫ কেজি গাঁজা, ৬০ বোতল ভারতীয় মদ এবং ১০০ পিস শাড়ী, ৭২০ পিস কাবেরী মেহেদী, ১৭০৪টি ভারতীয় চকলেট উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদ্রকদ্রব্য মালামাল গুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে জমা এবং ধ্বংসের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চোরাচালান মালামাল গুলো আখাউড়া কাষ্টমসে জমা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, (পিএসসি) জানান, সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোনরকম মাদক যেন দেশে না ঢুকতে পারে সে জন্য বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড সবসময়ই সীমান্ত এলাকায় সজাগ রয়েছে। দেশ ও যুব সমাজ রক্ষায় তাদের এই মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
যুব ও ক্রীড় মন্ত্রনালয়ের অধীনে ক্রীড়া পরিদপ্তর বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় খেলাধূলার মান উন্নয়নে এবং নিয়মিত পরিচর্চার জন্য তৃর্ণমুল পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে জেলা ক্রীড়া অফিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবস্থাপনায় আজ ২৭ এপ্রিল রবিবার সদর উপজেলার সিও অফিস পুকুরে (অনুর্ধ্ব-১৪) বালক বালিকাদের মাসব্যাপী সাতাঁর প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার।
এসময় প্রশিক্ষক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলীয়া মাদ্রাসার ক্রীড়া শিক্ষক আতাউর রহমান পলাশ, নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক আব্দুর রহিম সাগর প্রমুখ।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার আলীয়া মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৬জন বালক ও বালিকা সাঁতারে অংশ গ্রহণ করেন।