চলারপথে রিপোর্ট :
দোকান থেকে দিয়াশলাই আনতে গিয়ে ফাতেমা (৫) ও মঈন উদ্দিন (৩) নামে দুই ভাই-বোন নিখোঁজ হয়েছে।
আজ ২০ নভেম্বর সোমবার সকাল ৭টার দিকে পৌর শহরের মধ্যপাড়া শান্তিবাগ এলাকার পোয়া পুকুরের উত্তর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ফাতেমা ও মঈন উদ্দিন ভাই-বোন। তাদের বাবার নাম কাউসার মিয়া।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাউসার মিয়া স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পোয়া পুকুরের উত্তর পাড় হাজী মোহাম্মদ আলী ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন। কাউসারের স্ত্রী অন্যের বাসা-বাড়িতে কাজ করেন। সোমবার সকালে ফাতেমা ও মঈন উদ্দিনকে দিয়াশলাই আনার জন্য পার্শ্ববর্তী মুদি মালের দোকানে পাঠালে তারা নিখোঁজ হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, সকালে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ ছেলে-মেয়েদের খোঁজে পুলিশ কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস ও সদরে মুহতামীম, দেশের শীর্ষ আলেমেদ্বীন আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:)’র স্বরণে আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদ আসর জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) এর বর্ণাট্য জীবনীর উপর আলোচনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতী মুবারকুল্লাহ, শায়খুল হাদীস আল্লামা সাজিদুর রহমান, মাওলানা শামসুল হক ছাতিয়ানী, মাওলানা আখতারুজ্জামান, মুফতী শামসুল হক, মুফতী মারুফ কাসেমী, মুফতী আবু বকর, মুফতী শরীফ উদ্দিন আফতাবী, মুফতী রাকিবুল হাসান, হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মাওলানা শরিফুদ্দীন, ক্বারি বোরহান উদ্দিন, মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) সারাজীবন ইসলাম, মাদ্রাসা, মসজিদ সহ দ্বীনের বহুমুখী কার্যক্রম অত্যন্ত নিষ্টার সাথে পরিচালনা করে গেছেন। তিনি অত্যন্ত সাদাসিধা জীবন যাপন করে গেছেন।
আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ:) এলেমের জগতে এক কিংবদন্তী আলেম ছিলেন, তার ইন্তেকালে এলেমের জগতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, যা পূরণ হবার নয়। সকলের সাথেই আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমীর ছিলো হাসিমাখা অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে তিনি সবসময় অবিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার ইন্তেকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী একজন যোগ্য অবিভাবক হারিয়েছে।
আলোচনা শেষে আল্লামা আশেকে এলাহী ইব্রাহিমী (রহ 🙂 এর মাগফিরাত কামনায় মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট বিশেষ দোয়া করা হয়।
দোয়া মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ উলামায়ে কেরাম, তালিবুলইলম ও মুসল্লীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মেড্ডাস্থ প্রধান কার্যালয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন এর নব নির্বাচিত কমিটির শপথ ও দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত শপথ ও দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন উপ-কমিটির ২০২৪ইং এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাশার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন উপ-কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নিয়ামত খানের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন উপ কমিটির উপদেষ্টা হাজী মোঃ শাহজাহান মিয়া, সদস্য মঞ্জুর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকাল বাস পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সভাপতি মোঃ আব্দুল আওয়াল, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ মলাই মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নুরুল হুদা নান্টু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আবুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-সিলেট রোড পরিচালনা কমিটির সম্পাদক হাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ চন্দন কুমার পাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হাজী মোঃ সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহেদ মিয়াসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মালিক-শ্রমিকবৃন্দ।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নতুন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় হয়। এ সময় নবাগত পুলিশ সুপার বলেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী। শক্তিশালী গণমাধ্যম আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। পুলিশ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা ভিন্ন পেশার হলেও উভয়ের লক্ষ্য এক এবং অভিন্ন। আমরা একে অপরের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবো। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন জামি, সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সৈয়দ মিজানুর রেজা ও খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন শাহিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান, আ ফ ম কাউসার এমরান ও দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ক্লাবের আহবায়ক কমিটির সদস্য ইব্রাহিম খান সাদাত, নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ক্লাব সদস্য মনজুরুল আলম,নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু, মফিজুর রহমান লিমন, শিহাব উদ্দিন বিপু, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ জয়নাল আবেদীন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন,সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এমরানুল ইসলাম, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অফিসার ইনচার্জ মো: সাহেদ উদ্দিন।
চলারপথে রিপোর্ট :
হারানো ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়ে তার শিশু সন্তানকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৫ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় শহরের আল খলিল হাসপাতাল থেকে সাউদা হোসেন সারা নামে চার বছরের ওই শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত এক নারী। নিখোঁজের দুই ঘণ্টা পর এক সিএনজি অটোরিক্সা চালক শিশুটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় শহরজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
শিশুটির পরিবারের সদস্যরা জানান, দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার বাড়ঘরিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইমাম হোসেনের ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে আল খলিল হাসপাতালে যান শিশুটির মা স্মৃতি চৌধুরী ও নানী সাহানা আক্তার। তাদের সাথে স্মৃতি চৌধুরীর মেয়ে সাউদা জাহান সারাও ছিলেন। সেখানে স্মৃতি চৌধুরীর একটি ব্যাগ হারিয়ে গেলে তা খুঁজে দেয় অজ্ঞাত এক নারী। এরপর তাদের সাথে ওই নারী সখ্যতা গড়ে তোলেন। কথা বলার একপর্যায়ে শিশু সাউদাকে দেখে রাখার কথা বলে তার মা ও নানীকে ডাক্তারের কক্ষে যেতে বলেন। ছেলেকে ডাক্তার দেখিয়ে বেরোনোর পর তারা সাউদার খোঁজ পাচ্ছিল না।
পরে সিসিটিভি ফুটেজে অজ্ঞাত ওই নারীকে শিশুটিকে তার সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়ে অভিযানে নামে পুলিশ। একপর্যায়ে রাত পৌনে আটটার দিকে শিশুটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে আনিস মিয়া নামে এক অটোরিক্সা চালক।
অটোরিক্সা চালক আনিস বলেন, ‘ওই নারী আশুগঞ্জ থেকে আমার অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে নিয়ে আসে। সেখানে তিনি নেমে যান এবং বাচ্চাটিকে আল খলিল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে আমি শিশুটির সঙ্গে কথা বলি সে ওই নারীকে চেনে কি না। কিন্তু বাচ্চাটি ওই নারীকে চেনে না বলে জানায়। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এসে তার পরিবারের লোকজনদের কাছে বুঝিয়ে দেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন জানান, খবর পেয়ে জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এরই মাঝে একজন অটোরিক্সা চালক শিশুটিকে উদ্ধার করে ওই হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ওসি বলেন, শিশুটির কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেগুলো উদ্ধার এবং ওই নারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে নিয়েছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা। আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
জেলার ছয় আসনের মধ্যে পাঁচ প্রার্থী উপস্থিত থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একজন দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে প্রত্যাহার করেন।
প্রত্যাহার করা প্রার্থীরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে জাকির হোসেন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন জহিরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে সেলিম কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে জাহাঙ্গীর আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসন থেকে জামসেদ মিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে আব্দুল আজির।
জেলা জাকের পার্টির সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমরা পাঁচজন প্রার্থী উপস্থিত হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের প্রার্থী দেশের বাইরে থাকায় অনলাইনে আবেদন করে প্রত্যাহার করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা আছে কিনা তা বুঝতেই পারছেন। আমরা কোনো সমঝোতার নির্বাচনে অংশ নিবো না।