চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহপীর কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির নির্বাচন আগামী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে আজ ২২ নভেম্বর বুধবার সকালে পৌরশহরের খড়মপুরে মাজার শরীফ মার্কেট কাম কমপ্লেক্সের ২য় তলায় হল রুমে আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মাজার কমিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রশান্ত চক্রবর্তী। সভায় সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ৪২ জন প্রার্থীসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নির্বাচনের প্রিসাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন, আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষে দিক নিদের্শনামূলক বক্তব্য রাখেন। সভায় জানানো হয় নির্বাচন চলাকালীন সার্বক্ষনিক একজন ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। বিধি মোতাবেক স্বচ্ছ ভোট হবে। জাল ভোট দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। ভোটার ভোট কক্ষে মোবাইল ফোন নিতে পারবে না। প্রার্থীর এজেন্ট মোবাইল সঙ্গে রাখতে পারবে না। ভোটদানে প্রভাবিত করতে পারবে না। এমন অভিযোগ প্রমান পাওয়া গেলে ওই এজেন্টকে অযোগ্য ঘোষণা করে বহিস্কার করা হবে। নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা করলে কিংবা সরকারি কাজে বাধা দিলে আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা হতে পারে বলেও সতর্ক করে দেন কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে ৫ দিন থেকে ৬ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে।
এসময় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। সবাইকে জয় পরাজয় মেনে নেওয়ার আহবান জানান কর্মকর্তারা। প্রার্থীরাও সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্যে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম খাদেম (মিন্টু), কমিটির সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর তাকদির খান খাদেম, কমিটির সদস্য কাজী লিটন খাদেম, মোবাশে^র আহমেদ খাদেম, সাজিদ মিয়া খাদেম, মোজাম্মেল হক খাদেম, রোস্তম কামরান খাদেম, দেলোয়ার খাদেম, ইয়াছিন খাদেম, কাজী মামুন খাদেম, সদস্য প্রার্থী এম. এন. এইচ খাদেম দুলাল, রাশেদ খান খাদেম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, কল্লা শহীদ (র.) মাজারটি বাংলাদেশ ওয়াকফ্ এস্টেট এর তালিকাভুক্ত একটি দরগাহ শরীফ। ই. সি. নং ৪৫৬৬। ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাজার পরিচালনা করে। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক ওই কমিটির সভাপতি এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিনিয়র-সহ সভাপতি।
গ্রামের ৭টি পাড়া থেকে ৪২ জন প্রার্থী হয়েছেন। প্রত্যেক পাড়া থেকে ৩ জন করে ২১ জন সদস্য নির্বাচন করবেন ভোটাররা। পরবর্তীতে সদস্যের ভোটে একজন সাধারণ সম্পাদক ও একজন সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ওয়াকফ প্রশাসকের সুপারিশক্রমে ২ জন সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। কমিটির মেয়াদ ৩ বছর।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় জাতীয় যুব দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ১ নভেম্বর শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা, ঋণের চেক ও প্রশিক্ষণের সনদ ও উপকরণ বিতরণ করা হয়।
আখাউড়া উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, যুব, যুবতীসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভিন রুহি।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সজিব মিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া তাবাসসুম, আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রওশন আলী প্রমুখ।
বক্তারা ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-যুব-জনতার আন্দোলনের ফসল আমাদের নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
যুব-যুবতীদেরকে বেকার না থেকে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের মেধা শ্রম কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠার আহবান জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া প্রেসক্লাবে সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন, সহ-সভাপতি কাজী হান্নান খাদেম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ইফতাখারুল আলম শিমুল।
সবশেষে ৪০ প্রশিক্ষণগ্রহণকারী যুবক-যুবতীকে সনদ ও উপকরণ প্রদান এবং ২ জনকে ঋণের চেক দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় হুজুরের উপর হামলা মামলায় আটক সুমন ও রিমনের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে। ১৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে চাওড়া দৌলতবাড়ি গ্রামে সুমনের নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ওই ঘটনায় সুমন ও রিমনকে নির্দোষ দাবি করেন তাদের স্বজনরা। শারীরিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় মানবিক কারণে তাদের জামিন এবং মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সুমনের বৃদ্ধ পিতা-মাতা, স্ত্রী, শিশু সন্তান এবং রিপনের মা উপস্থিত ছিলেন। সুমন ও রিমন সম্পর্কে মামা-ভাগিনা।
এসময় সুমনের স্ত্রী লাকী আক্তার বলেন আমার স্বামী একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে পঙ্গু অবস্থায় আছে। হুজুরের হামলার সাথে আমার স্বামী জড়িত নয়। চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার পঙ্গু স্বামীর জামিন এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমার সংসারে রোজগার করার মতো কেউ নাই। ৪ টি শিশু সন্তান, বৃদ্ধ শশুড়-শাশুড়িসহ ১০/১২ জন মানুষ নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সুমন ও রিমনের স্বজনরা আহজারি করে বলেন তাদের জামিন না হলে অনাহারে বিষ খেয়ে মরা ছাড়া উপায় থাকবে না।
এসময় রিমনের মা তাহমিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী নাই। ছেলে মেয়ে নিয়া বাবার বাড়িতে থাকি। হুজুরের হামলার ঘটনার সাথে আমার ছেলে জড়িত নয়। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমার ছেলের জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ শনিবার রাতে আখাউড়ার আজমপুর এলাকায় মুফতি শরীফুল ইসলাম নূরী নামে এক হুজুরের উপর হামলায় হয়। হামলা হুজুরের জিহ্বায় আঘাত লাগে। তিনি বিজয়নগর উপজেলার দৌলতবাড়ি একটি মাহফিল থেকে ফিরছিলেন। এ ঘটনায় সুমন ও রিমনসহ চারজনকে আটক করে র্যাব। বর্তমানে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের হাজতে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভারতে গিয়ে আটকে পড়া ১২ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে আসেন। তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহযোগিতায় তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়েছে।
দেশে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জয় হরি রায়ের স্ত্রী। জবা রানী রায় ও তার ছেলে জগদীশ রায়, নেত্রকোনা জেলার কুদরত আলীর মেয়ে মোছা. বিউটি, চাঁদপুর জেলার আবু তাহেরের ছেলে রিয়াদ হোসেন, যশোর জেলার মো. সুবহান মিয়ার মেয়ে বিনা বেগম, একই জেলা মো. আজাদ শেখের ছেলে শেখ সাদি, নওগা জেলার মো. শাহীর আলীর মেয়ে শাহিনা বেগম, জামিলপুর জেলার মো. নরুল ইসলামের ছেলে মো. শামীম মিয়া ও তার ভাই সোহান মিয়া, একই জেলার আকবর আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন, একই জেলার মো. ফারুক হোসেন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম, ঝালকাটি জেলার বিল্পব চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে তৃষ্ণা অধিকারী।
দেশে ফেরা এক মেয়ের মা বলেন, আমার মেয়ে ফিরে এসেছে এজন্য আমি খুশি। দালালের মাধ্যমে ভারতে গিয়েছিল বলে তিনি জানান।
ভারত ফেরত জামালপুরের এক নারী (আসমা বেগম) বলেন, আমাকে গার্মেন্টস্ কাজ দেওয়ার কথা বলে আমাকে নিয়ে যায়। বলেছিল ৪০ হাজার টাকা বেতন দিবে। আখাউড়া চেক পোষ্টের সীমান্ত রেখায় উপস্থিত স্বজনরা ভারত ফেরত বাংলাদেশীরদেরকে গ্রহণ করেন।
এসময় আখাউড়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার উপস্থিত ছিলেন। ব্র্যাক মাইগ্রেশন ম্যানেজার সজিব কুমার পান্ডে, ডেপুটি ম্যানেজার শায়লা শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, ত্রিপুরার সংবাদ পত্রে প্রায়ই দেখছি ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে নারী এবং শিশু পাচারের ঘটনা ঘটছে। যেহেতু ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি বড় সীমান্ত রয়েছে। অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। দুষ্কৃতিকারীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব কাজ করে যাচ্ছে। আশা করি দুদেশই এ বিষয়ে আরও তৎপর হবেন।
তিনি আরো বলেন, ১২ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পরবর্তীতে তারা ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে সেখানে একাধিক সেন্টারে রাখা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফল বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয় এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭টি দাখিল মাদ্রাসা এবং ১টি টেক্সটাইল ভোকেশনাল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্য, প্রধান শিক্ষক, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকরা ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন। ভবিষ্যতে ফলাফল ভালো করার প্রতিশ্রম্নতি ব্যক্ত করেন।
বক্তারা, ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য প্রথমত ম্যানেজিং কমিটির তদারকির অভাব এবং প্রধান শিক্ষকের লিডারশীপের ব্যর্থতাকে চিহ্নিত করেছেন। এছাড়া বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক সংকট, ছাত্র, শিক্ষক—অভিাবকের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, শিক্ষার্থীদের অমনোযোগিতা এবং পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
সভায় ফলাফল ভালো করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়। এরমধ্যে, ম্যানেজিং কমিটির তদারকি বৃদ্ধি, প্রধান শিক্ষককে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা, শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা, অভিভাবক সমাবেশ, বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করা, এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় ফেল ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ না দেওয়া ইত্যাদি।
জানা যায়, এবছর আখাউড়া উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৭১৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৬৭জন। শতকরা গড় পাসের হার ৫৬.৩২। জিপিএ—৫ পেয়েছে ৪০ জন। উপজেলার ৭টি আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ২৫৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৮৮জন। শতকরা পাসের হার ৭২.৮৭। জিপিএ—৫ পেয়েছে ৩ জন।
কয়েকটি স্কুলের ফলাফল খুবই খারাপ হয়েছে। এরমধ্যে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৩২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭২ জন। গড় পাসের হার ৫৪.৫৫। জিপিএ—৫ পেয়েছে মাত্র ২ জন। শাহপীর কল্লা শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গড় পাসের হার ৪১.৯৪। মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয় ২৭.২৭%, ছয়গড়িয়া শাহ আলম উচ্চ বিদ্যালয় ১৯.৫০%, নুরপুর রুটি উচ্চ বিদ্যালয় ৪০.০০% । ভাটামাথা উচ্চ বিদ্যালয়ের পাসের হার ২৮%।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৫ আগষ্টের নৃশংস, বর্বরোচিত হত্যকান্ডের বিচার হয়েছে। এই হত্যাকান্ড করে এখনও যে খুনীরা বেঁচে আছে তাদেরকে ধৃত করে বাংলাদেশের মাটিতে এনে আদালতের রায় কার্য করবো।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কেউ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়ার বাইরে নয়। কারণ বঙ্গবন্ধুর ছায়া এত বিশাল তা বাংলাদেশকে ঢেকে রেখেছে। আমরা কেউ-ই সেই ছায়ার বাইরে নয়। সকলে মিলে আল্লাহর কাছে আমাদের নেতা, জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চাইব। তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া চাইব। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে শোক দিবস পালন করবো। ঐক্যবদ্ধভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের উন্নয়ন কাজে তাকে সহযোগিতা করব।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, পৌর মেয়র ও সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীন, সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।