অনলাইন ডেস্ক :
“থাকবো ভালা, রাখবো ভালো দেশ, বৈধপথে প্রবাসী আয়-গড়বো বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যে গোপালগঞ্জে নিরাপদ অভিবাসন ও বৈধভাবে বিদেশ গমন শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এ কর্মশালার আয়োজন করে।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায় গোপালগঞ্জ সার্কিট হাউসের হল রুমে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাবিরুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় পুলিশ সুপার আল বেলী আফিফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেব প্রশাদ পাল, ডিডিএলজি মোঃ আজহারুল ইসলাম, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কর্মকর্তা ষষ্টীপদ রায় বক্তব্য রাখেন।
এ কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তা, ব্যাংকের ব্যবস্থাপকগন,বিদেশ গমনেচ্ছু ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিগন, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জেলার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় দালালদের মাধ্যমে বিদেশে না প্রশিক্ষন নিয়ে, প্রত্যাশিত দেশের ভাষা শিখে সরকারীভাবে গিয়ে নিরাপদ অভিবাসন ও বৈধভাবে বিদেশে গমন করা যায় এবং সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নানা আলোচনা করা হয়।
কর্মশালার প্রধান অতিথি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাবিরুল ইসলাম গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় জনশুমারী ধরে কে কি করে তা খুঁজে বের করে বেকার লোক সনাক্ত ও তাদের মধ্য থেকে বিদেশ গমনেচ্ছু বের করে তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষন ও ভাষা শিক্ষা দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও বাৎসরিক টার্গেট পূন করার জন্য গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীতে ইন্টারনেট লাইনে কাজ করতে গিয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে রাহাত হোসেন (১৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের রাহাত এর বাবা ইমরান হোসেন জানান, তার ছেলে ফেনীতে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। বিকেলে শহরের মেডিস্ক্যান হাসপাতাল সংলগ্ন গলিতে কাজ করার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে শর্ট সার্কিটে মই থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় তার মাথা ফেটে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রাহাত হোসেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের করিম মেম্বার বাড়ির ইমরান হোসেনের ছেলে।
ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ম্যানেজার ইউসুফ রুমন বলেন, কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত রাহাত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজুর রহমান বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহতের লাশ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
তিন স্ত্রী তাকে পরিত্যাগ করে চলে যাওয়াই নারীদের প্রতি আসক্ততা থেকেই রাতের আধারে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামের ঘুমন্ত নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারণ করতেন তিনি। যার লক্ষ্য ছিল অন্য নারীদের সাথে ব্লাক মেইল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ও অর্থ আত্মসাৎ।
আজ ৫ মে শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন তথ্য জানান পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান।
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামে প্রায় দুই বছর ধরে রাতের আধারে নারীদের নগ্ন ভিডিও ধারন ও ছবি তোলার বিষয়টি জানাজানির পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা শৈলকুপা থানায় চলতি মাসের ৪ তারিখ রাতে পর্নোগ্রাফী আইনে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। সেই মামলার আসামি জুলকার খাঁ ও জান্নাতী খাতুনকে শুক্রবার ভোর রাতে নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনবেস্টিগেশন সেল।
গ্রেফতারকৃতরা হল- উপজেলার সাফখোলা গ্রামের আদিল উদ্দিন খাঁর ছেলে জুলকার খাঁ (৩৫) এবং ওই গ্রামেরই শামসুল বিশ্বাসের কন্যা জান্নাতী খাতুন (২০)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই শৈলকুপা উপজেলার সাফখোলা গ্রামে রাতের আধারে কিছু মানুষ নারীদের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করার ঘটনা সামনে আসে। বিষয়টি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। পরে থানায় মামলার পর মোবাইলে পাওয়া সিম কার্ড থেকে সুত্র ধরে মালিক সনাক্ত করা হয়। এরপর কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনায় জড়িত জুলকার খাঁ ও জান্নাতী খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের মোবাইলে প্রায় ৫০টির মত ভিডিও পাওয়া গেছে, রয়েছে নগ্ন ছবি। তবে অন্য মোবাইলে আরো ভিডিও আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই গ্রেফতারকৃত জুলকার খাঁ ওই গ্রামের এক নারীকে ব্লাক মেইল করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তবে অন্য নারীদের বিষয়ে জানা যায়নি এবং ব্লাক মেইল করে অর্থ আত্মসাতের পরিকল্পনা তাদের ছিল যেটা জ্ঞিাসাবাদে আসামিরা বলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ইতোপুর্বে জুলকার খাঁর তিন স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে ওই গ্রামের জান্নাতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর জান্নাতী তার বাবার নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কার্ড তাকে দেয় ব্যবহারের জন্য।
উল্লেখ্য, সাফখোলা গ্রামে একটি বাড়িতে এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ রাতে জানালা দিয়ে নারীদের ভিডিও ধারনের সময় বাড়ির লোকজন ব্যক্তিটিকে হাতে আঘাত করে। সেসময় ওই ব্যক্তি মোবাইল ফোনিটি ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি জানাজানি হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় একটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল এবং ৫টির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারায় ৫টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত এবং একটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। ইতোপূর্বে কয়েকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করায় শিক্ষার্থী প্রতি পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৭৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ (আশুলিয়া), নর্দার্ন ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ (ঢাকা), নর্দার্ন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ (রংপুর), আইচি মেডিকেল কলেজ (উত্তরা) এবং শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের (রাজশাহী) কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আর কেয়ার মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর তদারকি করে। একইসঙ্গে অধিভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তদারকি করা হয়। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ আইন-২০২২ এবং বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা, ২০১১ (সংশোধিত) অনুযায়ী গঠিত কমিটির মাধ্যমে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান তদারকি করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গার ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারীরা ও কুমিল্লায় ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে গ্রেফতারকৃত এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ সময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৪টি পাসপোর্টসহ অন্য কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে এসব তথ্য জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া।
পুলিশ জানায়, মিয়ানমারের বলিবাজার থেকে কক্সবাজার হয়ে কুমিল্লায় এসে ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করার সময় এক রোহিঙ্গা তরুণকে আটক করা হয়। পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার সময় কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তাঁরা তাঁকে আটক করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করেন।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। এ মামলার মূল আসামি রোহিঙ্গা নাগরিক মো. ইয়াছিরের তথ্যর ভিত্তিতে আজ ডিবি ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সহযোগীদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আড়াইওরা এলাকার মো. মোশারফ হোসেন (৪২), একই জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাখরনগর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ (২২) ও ব্রাহ্মণ চাপিতলা এলাকার মো. ফয়সাল মিয়া (২৮)।
অভিযানে আসামি মোশারফকে কুমিল্লা সদরের নোয়াপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতারের সময় তাঁর প্রতিষ্ঠান আল-মদিনা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস থেকে ছয়টি ভুয়া পাসপোর্ট ও পাসপোর্ট জমার স্লিপ উদ্ধার করা হয়।
ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী অপর আসামি কম্পিউটার অপারেটর শরিফকে (২৫) মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় নকিব ট্রাভেলস থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁর প্রতিষ্ঠান থেকে আটটি ভুয়া পাসপোর্ট ও কিছু পাসপোর্ট জমার কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক ইয়াছির মিয়ানমারের বলিবাজার এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে। তিনি মিয়ানমার থেকে ২০ দিন আগে কক্সবাজারের বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-৯-এ আসেন।
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া জানান, ভুয়া পরিচয়ে জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে পাসপোর্ট করার সময় গ্রেপ্তারকৃত রোহিঙ্গা নাগরিক ও রোহিঙ্গা নাগরিকের ভুয়া পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তাকারী আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈরী আবহওয়া চলছে। আজ ২৭ মে সোমবার সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে হচ্ছে বৃষ্টি। এর ফলে জেলার তিতাস ও মেঘনা নদীতে বেড়েছে পানি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রবিবার থেকে আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর নৌবন্দর থেকে সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে পণ্য লোড-আনলোড। তবে ঝড়-বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া না গেলেও সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১শ’ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। গত দুইদিনে তিতাসের পানি বেড়েছে দশমিক ৩৫ মিটার এবং মেঘনার পানি বেড়েছে দশমিক ৮৬ মিটার। তবে এখনও নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বৃষ্টির কারণে জেলা শহরে মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমেছে। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিতাস নদীর গোকর্ণঘাটে ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং মেঘনা নদীর ভৈরববাজার পয়েন্টে ১ দশমিক ৮৮ মিটার পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়েছে। তবে পানি এখনও বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কোনো নিম্নঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহববু আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা না থাকলেও সরাইল, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।