অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নির্বাচনি মনোনয়ন পর্ব শেষ হলে বুঝা যাবে আওয়ামী লীগ জোটবদ্ধ নির্বাচনে যাবে কিনা। কিংবা আমাদের বিরুদ্ধে যারা দাড়াচ্ছেন কোন দল বেশি শক্তিশালী, কোন দল কম শক্তিশালী সেটা পরে বুজা যাবে। আমরা চাই নির্বাচনে সকলেই অংশগ্রহণ করুক। একটি উৎসব ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের আগামী দিনের সরকার পছন্দ করে নিবে।
আজ ২২ নভেম্বর বুধবার দুপুরে চাঁদপুরস্থ কদমতলা রোডের শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সংসদীয় আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। তাই সকলের মনোনয়ন চাইবার গনতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। মনোনয়ন কাকে দেওয়া হবে সেটা মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত কিন্তু চাইবার অধিকার সবার আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পুলিশের ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট (অতিরিক্ত আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ৬ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে নতুন আইজিপি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত মাসেই চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তির মেয়াদ দ্বিতীয় দফায় এক বছর বাড়ানো হয়েছিল। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এর আগে দেড় বছর চুক্তিতে আইজিপি পদে ছিলেন।
ডেস্ক :
২০২৩ সাল থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী পাবলিক বা বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা না থাকায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বিধায় ২০২২ ও ২০২৩ এবং তার পরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবের সম্মতি দিয়ে পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন।
বর্ণিতাবস্থায়, উল্লিখিত বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো, বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমরা মনে করি যে, কোটা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে। তেমনি অযৌক্তিকভাবে যে কোটা সংরক্ষণ করা আছে, এগুলোকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা দরকার। সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি এবং করব। আমাদের সংবিধানে কোটার কথা বলা আছে। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অগ্রসরতার জন্য কোটার প্রয়োজন আছে।
আজ ১৩ জুলাই শনিবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার শিবচরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে ‘দাদাভাই হাউজিং এস্টেট’ এর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তো আর কোটার দরকার নাই। তাদের সন্তানেরাও কোটার বাইরে চলে গেছে। এখন অন্যদেরকে কোটা দেওয়া হবে কিনা তা আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সরকার সেভাবেই কাজ করবে। এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলব, আপনারা আরেকটু অপেক্ষা করুন, ধৈর্যধারণ করুন। এভাবে আপনারা পড়াশোনা নষ্ট করে যেভাবে মাঠে আছেন, আপনাদের প্রতি সিমপ্যাথি থাকা স্বত্বেও আমরা মনে করি আপনারা নিজেদের ক্ষতি করছেন। মন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা মাঠ থেকে উঠে আসুন, পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুন। সেই সঙ্গে আপনাদের দাবির ব্যাপারেও সোচ্চার থাকুন। আমরা আপনাদের অভিভাবক, আমরা আপনাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব নাই। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিও সংবেদনশীল। আমাদের সরকার অবশ্যই সব দিকেই বিচার বিশ্লেষণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এর আগে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলার দাদা ভাই উপশহরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগদান করেন। এসময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিবচরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৪ বাস্তবায়নের জন্য ছাতিয়ান, কাঠবাদাম, জারুল, চেরি, কাঁঠাল, জলপাই, জামরুল, পলাশ, গাব, জাম্বুরা, দেশী টগর, রাধাচূড়া, নারকেল, সোনালু, নিম, বকুল, করবি, আলমন্ডা, মৌসুন্দা গোলাপি, চালতা, চাইনিজ টগর, সিজিমাস, গোল্ডেন সাওয়ার, ল্যাংড়া আম রঙ্গন গোলাপি, বোতল ব্রাশ, কৃষ্ণচূড়া, পেয়ারা, মেহেদী, শিউলি, লটকন, মেহগনি, বড়ই, আম, ফলসা, জাম, হরতকি,বয়রা, অর্জুন, হিজল, ডেউয়া, আমলকী ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. হামিদুর রহমান খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.আব্দুল মতিন, যুগ্ম সচিব শাহনাজ সামাদ, সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক(যুগ্ম সচিব) মো.শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব -শেখ নূর মোহাম্মদ, মো.সোহেল হাসান, আবুল কালাম আজাদ, ফরিদুল ইসলাম, মো.জহিরুল ইসলাম, দেবময় দেওয়ান, মুহাম্মদ ইকবাল হুসাইন, মো.আতিউর রহমান।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, মাদারীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পুলিশ সুপার শফিউর রহমান,শিবচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মো. সেলিম মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন, শিবচর পৌর মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় লাভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেল। এর আগে অনেকবার অংশ নিলেও সংগঠনটি ঢাবিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়নি। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ বেশির ভাগ পদে বিজয়ী হয়েছে। হল সংসদেও তারা এগিয়ে। বিভিন্ন হলের ফলাফল ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ঘোষিত আনুষ্ঠানিক ফলাফলে এই তথ্য জানানো হয়।
ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান। এছাড়া জিএস পদে একই প্যানেলের এস এম ফরহাদ হোসেন এবং এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার পর ঢাবির সিনেট ভবনে ডাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ফলাফল ঘোষণা করেন। এসময় অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়েছেন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
এজিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মুহা. মহিউদ্দীন খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের এজিএস প্রার্থী আশরেফা খাতুন পেয়েছেন ৯০০ ভোট।
প্রসঙ্গত, এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হয়েছে ১৩টি পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৩৫ জন।
ডাকসুতে এবার মোট ভোটার ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার ছিল। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। যেসব আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রত্যাহার করা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন সেগুলোর একটি। এখানে জাপা তথা জোটের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (লাঙ্গল প্রতীক)। তবে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা জাপার প্রার্থীর পক্ষে থাকবেন না। তাঁরা এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের (কলার ছড়ি প্রতীক) পক্ষে থাকবেন।
গত সোমবার রাতে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ের একটি হোটেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাশেদের নেতৃত্বে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জের একটি হোটেলে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর সভা করে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তাঁরাও জাপার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন না। তবে তাঁরা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নয়, এ নির্বাচনে কাজ করবেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল প্রতীক) পক্ষে। ওই সভায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেওয়া। জিয়াউল হক মৃধা রওশনপন্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করে দল থেকে বহিষ্কৃত হন।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জিয়াউল হক মৃধা এ আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনীত (লাঙ্গল) হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ এ আসনে দলীয় প্রার্থী না দিয়ে মহাজোটের প্রধান শরিক জাপাকে ছেড়ে দেয়। ওই নির্বাচনে জিয়াউল হক মৃধার জামাতা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেওয়া হয়েছিল লাঙ্গল প্রতীক। তবে সুবিধা করতে না পেরে নির্বাচনের দুই দিন আগে রেজাউল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিএনপির প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার কাছে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন মঈন উদ্দিন। তিনি এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী।
এবারের সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম। তিনি মাত্র ২ মাস আগে গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মাধ্যমে ৫০ বছর পর এ আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী জয় পান। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা পান ৩৭ হাজার ৭৫৮ ভোট।
জাপার সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে শাহজাহান আলমকে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রত্যাহার করে নিলে লাঙ্গলের প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া হন জোটের প্রার্থী। তবে শুরু থেকেই তাঁকে মেনে নিচ্ছেন না স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং জাপার একটি অংশ।
সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাবেক সদস্য জয়নাল উদ্দিন, অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, পাকশিমুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, চুন্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ হাবিবুর রহমান, পানিশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হাসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসেন মিয়া, বাবুল হাসেন প্রমুখ।
আবু তালেব বলেন, ‘১৭ ডিসেম্বর জোটের প্রার্থীর (লাঙ্গল) জন্য আমাদের নৌকার প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু এখানে লাঙ্গল প্রতীক প্রার্থীর শ্বশুরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের দ্বন্দ্ব শেষ হচ্ছে না। তাঁদের বিরোধের কারণে আমরা জামাই-শ্বশুর কারও পক্ষেই থাকতে পারছি না। এ ছাড়া আমরা ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। কেন্দ্র বা জেলা থেকে কোনো নির্দেশনা আসে কি না। এমনকি উপজেলা থেকেও কোনো নির্দেশনা পাচ্ছিলাম না। ২৬ ডিসেম্বর থেকে আমরা কলার ছড়ির পক্ষে কাজ শুরু করি। এরপর ২৮ ডিসেম্বর উপজেলার তিন নেতা আমাদের বলেন ঈগলের নির্বাচন করার জন্য। তাঁরা আমাদের ওপরের নির্দেশ আছে বলে জানান। আমরা তখন তাঁদের লিখিত নির্দেশনা দেখাতে বলেছি। তাঁরা তখন মৌখিক নির্দেশনার কথা বলেন। আমরা বলেছি, চারটি ইউনিয়নের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ইতিমধ্যে কলার ছড়ির পক্ষে নেমে গেছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। আমাদের এখন ঘোষণা হচ্ছে, আমরা কলার ছড়ির নির্বাচন চালিয়ে যাব।’
আবদুর রাশেদ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিনের পক্ষে আছি। দলের নেতা-কর্মী এবং এলাকার লোকজন তাঁকে নিয়েই আছেন।’