চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে মাথায় বাঁশ পড়ে জুবেদা বেগম (৬০) নামের এক ভিক্ষুক প্রাণ হারিয়েছেন।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জের খড়িয়ালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ভিক্ষুক মারা যান।
জুবেদা খাতুন উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামের খোদেজা বেগমের বাড়িতে বসবাস করতেন। জুবেদা খাতুনের স্বামী/পিতার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খোদেজা বেগমের বাড়িতে ৫-৬ নারী ভিক্ষুক বসবাস করেন। এসব ভিক্ষুক গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করেন। জুবেদা বেগম ভিক্ষা শেষে থাকার ঘরে আসার পর হঠাৎ তীরের বাঁশ মাথায় পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে পাশের বাড়ির খোকন মিয়া জুবেদাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে ভর্তি করলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুবেদা মারা যান।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এক বিবৃতিতে, জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তারের বিজয়কে ‘ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের বিজয় হিসাবে’’ উল্লেখ করে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেওয়ায় তিনি সরাইল ও আশুগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার ভোটার এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি উপ-নির্বাচনে কম ভোটার উপস্থিতির বিষয় উল্লেখ করে বলেন, উপ-নির্বাচনটিতে রাজনৈতিক দল ভিত্তিক প্রার্থী বা প্রতিযোগীতা এবং শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় নির্বাচনে উত্তাপ ছিলনা। সে কারণে ভোটারদের আগ্রহ ও কাক্সিক্ষত উপস্থিতি ছিলনা।
তবে, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ফলে ‘বিএনপি’র নির্বাচন বর্জন বা প্রতিহতের ঘোষণা’ জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়ে বিএনপি একটি জনসমর্থন বিহীন ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
রমজানে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার অস্থিতিশীল করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। সিয়ামের মাসের পবিত্রতা রক্ষায় অধিক মুনাফা না নিতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।
আজ ১১ মার্চ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও কমিউনিটি লিডারদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ হুঁশিয়ারি দেন।
স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ বিরোধী জনসচেতনতা, বাল্য বিবাহ বন্ধকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং স্থানীয় পর্যায়ে কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. সেলিম পারভেজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি কাজী তাহমিনা শারমিন, আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ আহামেদ, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও আশুগঞ্জ শহর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, মসজিদের ইমাম ও খতিবসহ বিভিন্ন কমিউনিটি লিডারগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক। তাই আমাদের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে বাঁচাতে হবে। বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন খেলাধুলা ও সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করা।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক স্থানীয় পর্যায়ে কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ সার কারখানায় অবিলম্বে গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এছাড়া তিনদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ না করা হলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আজ ২৩ জুলাই রবিবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এজন্য সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, একটি ইঞ্জিন দীর্ঘদিন চলার পর যখন কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করাকে ওভারহলিং বলে। গত ১ মার্চ থেকে ওভারহলিংয়ের জন্য আশুগঞ্জ সার কারখানায় দুই মাস উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। ওভারহলিং শেষে মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ। তাই প্রায় পাঁচ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, দ্রুত গ্যাস সরবরাহ না করা গেলে কারখানাটি পুনরায় চালু রাখা সম্ভব হবে না। তাই কারখানা বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে ২৪ জুলাই ও ২৫ জুলাই কারখানায় গেটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এছাড়া তিনদিনের মধ্যে দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উৎপাদন চালু থাকলে আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন করা হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুর বাড়িতে কুলসুম বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুলসুম বেগম নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের হাজির হাটির গোলাম হোসেনের মেয়ে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫ বছর আগে কুলসুমকে আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের লেবানন প্রবাসী কাজল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কুলসুমের স্বামী-শাশুড়ির সাথে মনোমানিল্য চলে আসছিল। একজন অন্যজনকে সন্দেহ করতো। কাজল প্রবাসে থেকেও অন্য নারীকে বিয়ে করতে চাইছিল। পরে এসব বিষয় নিয়ে কাজল ও শাশুড়ির সাথে অভিমান করে কুলসুম কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলসুম মারা যায়। কুলসুমের বাবা গোলাম হোসেনের অভিযোগ করেন, কুলসুমের মৃত্যুর কথা শুনে শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে কুলসুমের লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। কুলসুম কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।