অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল সফর করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সফরের পর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ বিরতিতে অগগ্রতির আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুতজ বেইরি শহর পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবারই তিনি ইসরায়েলে পৌঁছান। এরপর তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনসহ কিবুতজ বেইরি পরিদর্শনে যান।
গত ৭ অক্টোবর কিবুতজ বেইরি শহরে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। পরিদর্শনের সময় এলি কোহেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানান।
পরে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে নিজের পরিদর্শনের বিষয়ে একটি পোস্ট দেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি লেখেন, আমি নিজের জন্যই জায়গাটি পরিদর্শনে আসতে চেয়েছিলাম। আমি এমন কিছু শুনেছি এবং দেখেছি যা কখনই ভুলব না।
ওই পোস্টে তিনি হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে ‘অগ্রগতির’ আশা প্রকাশ করেন। ক্যামেরন লিখেছেন- আজ এমন একটি দিন যেখানে আমরা মানবিক বিরতির অগ্রগতি দেখতে আশা করি। এটি জিম্মিদের বের করে আনা ও গাজায় সাহায্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এটি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্য করার সুযোগ, যেখানে মানুষ ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল পরিদর্শন করবেন বলেও পোস্টে জানান পশ্চিমা বিশ্বের এ নেতা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, ডেভিড ক্যামেরন তার সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে, কখন, কোথায় তাদের এ সাক্ষাৎ হবে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
সুদানে আটকে পড়া ব্যক্তিদের সরিয়ে আনতে যাওয়া তুরস্কের একটি উড়োজাহাজ হামলার শিকার হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানী খার্তুমের কাছে ওয়াদি সেইদনা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় উড়োজাহাজটি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার শিকার হওয়ার পরও সি-১৩০ মডেলের উড়োজাহাজটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। সেটির জ্বালানিব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দরে তা মেরামতের কাজ চলছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে উড়োজাহাজটিতে কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
উড়োজাহাজটিতে হামলার জন্য সুদানের আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে এ দাবি নাকচ করে এক বিবৃতিতে আরএসএফ বলেছে, ‘মধ্যরাত থেকে আমরা যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছি, তা মেনে চলতে আমাদের বাহিনী কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর ওয়াদি সেইদনার আকাশসীমায় আমরা কোনো উড়োজাহাজকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছি, এমন খবর সত্য নয়।’
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে আরো তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আরএসএফ। তবে এই যুদ্ধবিরতি তেমন একটা কার্যকর হয়নি। যুদ্ধবিরতির পরও গতকাল রাতভর খার্তুমে আরএসএফের নানা লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে সুদানের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো। এর আগের তিন দিনের যুদ্ধবিরতির সময় সুদান থেকে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কাজে হাত লাগিয়েছে তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক বাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হয়। এ সংঘাতের এক পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি। প্রায় দুই সপ্তাহের সংঘাতে দেশটিতে কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার।
দুই পক্ষে সশস্ত্র এই লড়াই সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে খার্তুম ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। লড়াই শুরুর আগে সেখানে কোটি মানুষের বসবাস ছিল। সংঘাতের মুখে অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। আর এখনো যাঁরা থেকে গেছেন, তাঁরা খাবার, পানি ও জ্বালানির চরম সংকটে রয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ৭৫ সদস্য দেশ ত্যাগ করেছেন। তারা লেবাননের নেশন্স ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবাননে (ইউনিফিল) যোগ দিতে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছেন।
আজ ১৩ অক্টোবর শুক্রবার শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লেবাননগামী নৌ সদস্যদের বিদায় জানান চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী। বাংলাদেশ নৌ বাহিনী কন্টিনজেন্ট ‘ব্যানকন-১৪’-এর আওতায় লেবাননে মোতায়েন করা নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’-এ নৌ সদস্যরা যোগদান করবেন।
এর আগে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বানৌজা ঈসা খানে লেবাননগামী নৌ সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সততা, নিষ্ঠা এবং পেশাগত দক্ষতার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী তথা দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে একযোগে কাজ করতে হবে।’
২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। ভূমধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে নিয়োজিত সংগ্রাম যুদ্ধজাহাজ লেবাননের ভূখণ্ড অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানিজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও উড়োজাহাজের ওপর নজরদারি, দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানিজ নৌবাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২১ জুন শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ ঘোষণা দেন। পাল্টা বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করেছেন।
ইরানে হামলার পর ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানগুলো ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় পূর্ণমাত্রায় বোমা বর্ষণ করেছে এবং সব বিমান নিরাপদে ফিরে গেছে।
তারপরই কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে তেহরান থেকে। গত ১৮ জুন বুধবার খামেনী টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, দেশটি যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে তারা এমন ক্ষতির মুখে পড়বে যা ইরানের যে কোনো ক্ষতির চেয়েও বহুগুণ বেশি হবে। ভাষণটিই শনিবার ট্রাম্পের ঘোষণার পর খামেনীর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পুনরায় প্রকাশ করা হয়। খামেনি কোথায় সেটি স্পষ্ট না হলেও তার বার্তার মাধ্যমে তেহরান ওয়াশিংটনকে চাপে রাখতে চায়।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে। আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম জানায়, ক্বোম প্রদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পর ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনার একটি অংশ শত্রু বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্বোম প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোরতেজা হেইদারী বলেন, শত্রুর লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত হওয়ার পর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে যায় এবং ফোরদোর একটি অংশে বিমান হামলা হয়।
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা নাতানজ ও ইসফাহানেও হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ইসফাহানের গভর্ণরের সহকারী আকবর সালেহি বলেন, নাতানজ ও ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর আশপাশে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এতে স্পষ্ট, ওই এলাকাও হামলার শিকার হয়েছে।
এসব স্থাপনায় তেজস্ক্রিয় কোনো উপাদান ছিল না বলে দাবি করেছে ইরান। ইরনা এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যেসব স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, সেগুলোয় এমন কোনো পদার্থ ছিল না যা তেজস্ক্রিয়তা সৃষ্টি করতে পারে।
ওই কর্মকর্তার বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, হামলার সম্ভাবনার কথা আঁচ করে ইরানি কর্তৃপক্ষ পূর্বেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামসহ সব তেজস্ক্রিয় উপাদান সরিয়ে নিয়েছিল। ফলে বোমার আঘাতে পরিবেশগত তেজস্ক্রিয় ঝুঁকি তৈরি হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
মার্কিন জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ডেইজ অব আওয়ার লাইভস’ এবং ‘জেন দ্য ভার্জিন’ এর অভিনেতা ফ্রান্সিসকো সান মার্টিন আর নেই। ১৬ জানুয়ারি অভিনেতার লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সময় বয়স হয়েছিল ৩৯ বছর।
ডেডলাইনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মেডিকেল পরীক্ষকের বরাতে সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, আত্মহত্যা করেছেন ফ্রান্সিসকো। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘লিগেচার হ্যাংগিং’। তবে কী কারণে এমন মৃত্যু বেছে নিলেন, তা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
ফ্রান্সিসকো অভিনীত উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘ডেজ অব আওয়ার লাইভস’-এ দারিও হার্নান্দেজ চরিত্র এবং ‘দ্য বোল্ড অ্যান্ড দ্য বিউটিফুল’-এ মাতেও চরিত্র। এছাড়া, তিনি সিডব্লিউ এর জনপ্রিয় সিরিজ ‘জেইন দ্য ভার্জিন’-এ গিনা রড্রিগেজের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। সেখানে তিনি একজন টেলেনোভেলা তারকার ভূমিকায় দর্শককে মুগ্ধ করেন।
অভিনেতা ফ্রান্সিসকো সান মার্টিন ২০১৩ সালের এইচবিও ফিচার ফিল্ম ‘বিহাইন্ড দ্য ক্যান্ডেলাব্রা’-তেও অভিনয় করেন। স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত সেই সিনেমার মাইকেল ডগলাস ও ম্যাট ডেমনের মতো বিখ্যাত অভিনেতাদের সাথে তাকে দেখা যায়।
১১ দিনের ব্যবধানে
স্টাফ রিপোর্টার:
ইতালিতে গত ১১ দিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কারণে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বা কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার কেউ হার্ট অ্যাটাকেও প্রাণ হারিয়েছেন। পরবাসে এমন অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে শোকের আবহ বিরাজ করছে। সাত বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়।
জানা গেছে, গত ২৬ নভেম্বর মো. সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক রোমের অদূরে সিভিতা ভেক্কিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ। গত ৫ ডিসেম্বর রেদুয়ানুর রহমান নামে বাংলাদেশিকে মৃত অবস্থায় রাস্তায় পাওয়া যায়, তার বাড়ি ঢাকা। পুলিশ মৃতদেহ মর্গে পাঠিয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্তাধীন। একই দিনে কাতানিয়া সিসিলিতে মো. শাহ আলম নামে এক বাংলাদেশি যুবক হার্টঅ্যাটাকে মারা যান। ৬ ডিসেম্বর মো. বারেক সারেং নামে আরেক বাংলাদেশি হার্টঅ্যাটাকে দক্ষিণ ইতালির নাপোলির হাসপাতালে মারা যায়। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে। একই দিনে রোমে হার্টঅ্যাটাকে মারা যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. ফয়সাল খান। ইমরান দরবারি নামে আরেক বাংলাদেশি ইতালির আনকোনা শহরে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বাংলাদেশি আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা মোহাম্মদ আজিম গত ৭ ডিসেম্বর ইতালির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা গেছেন। তিনি ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন।
চলতি মাসে কয়েক দিনের ব্যবধানে সাত বাংলাদেশির মৃত্যুতে ইতালিতে অনেক প্রবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের অকাল মৃত্যুতে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।