চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল- আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নপত্র কিনলেন যারা তারা হলেন : সদ্য উপ-নির্বাচনে জয়ী আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ) এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, মঈন উদিন মইন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড. নাজমুল হোসেন, আশুগঞ্জ আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সফি উল্লাহ মিয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী, এড. সৈয়দ তানভীর হোসেন কাউছার, সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি এড. আশরাফ উদ্দিন মনতু, আন্তর্জাতিক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এমডি জালাল মিয়া, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হান্নান রতন, অ্যাড. কামরুজ্জান আনসারী, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান, জাপান যুবলীগ নেতা আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) প্রমুখ।
স্ব-স্ব আস্থাভাজন ও অনুসারী দলীয় নেতাকর্মী সাথে নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তবে মনোনয়নপত্র কেনার সংখ্যা আরো বাড়তে পারে ধারণা করা হচ্ছে। এ আসনে দলীয়, জোট, মহাজোট ও স্বতন্ত্র হিসেবে যারা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বা করবেন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এদিকে এই আসনে তৃণমূল বিএনপির মনোনয়ন নিয়েছেন প্রয়াত আলোচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল ইসলাম তুষার।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশের আলোকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবীদের সমস্যা সমাধান এবং ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০-এর বিতর্কিত ধারা-উপধারা সংশোধন ও ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ এর গেজেট সংশোধিত আকারে প্রকাশ করা সহ ৪ দফা দাবিতে আজ ৩১ মে বুধবার মানবন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র-শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ আশুগঞ্জের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলা সদরের জাহানারা কুদ্দুস ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের সামনে মানববন্ধন চলাকালে সংগঠনের আহবায়ক মোহাম্মদ আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুর রহমান, জাহানারা কুদ্দুস ইঞ্জিনিয়ারিয়ং ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মোঃ খায়রুজ্জামান, প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মোতালেব প্রমুখ।
মানববন্ধনে ডিপ্লোমা পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে আগামী ১৭ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচি সফল করার আহবান জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহি অফিসার শ্যামল চন্দ্র বশাকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র, আওয়ামী লীগের অনুগত পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাপান শাখার সভাপতি, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সিনিয়র সহ-সভাপতি, মানবিক সরাইল জেবি এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশকে দেওড়া দক্ষিণপাড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ ২ অক্টোবর সোমবার গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় দেওড়া দক্ষিণপাড়ার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। গণসংবর্ধনা জবাবে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি যদি এই আসনে নৌকার মনোনয়ন পাই তাহলে আমার নির্বাচনী এলাকা (সরাইল-আশুগঞ্জ)-কে একটি মডেল এলাকায় রূপান্তরিত করবো ইনশাল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুর বাড়িতে কুলসুম বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূ কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কুলসুম বেগম নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের হাজির হাটির গোলাম হোসেনের মেয়ে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫ বছর আগে কুলসুমকে আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারুয়া গ্রামের লেবানন প্রবাসী কাজল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই কুলসুমের স্বামী-শাশুড়ির সাথে মনোমানিল্য চলে আসছিল। একজন অন্যজনকে সন্দেহ করতো। কাজল প্রবাসে থেকেও অন্য নারীকে বিয়ে করতে চাইছিল। পরে এসব বিষয় নিয়ে কাজল ও শাশুড়ির সাথে অভিমান করে কুলসুম কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে আসলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলসুম মারা যায়। কুলসুমের বাবা গোলাম হোসেনের অভিযোগ করেন, কুলসুমের মৃত্যুর কথা শুনে শাশুড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন হাসপাতালে কুলসুমের লাশ রেখে পালিয়ে গেছে। কুলসুম কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আজ ২৪ এপ্রিল বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগতসার (বরগিলা মোড়) মোড় এলাকা থেকে পিকআপভ্যানসহ তাকে আটক করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটক নীরব মিয়া (২২) ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ওডাকোনা গ্রামের খোকন আকন্দের ছেলে।
ডিবি পুলিশের ওসি আফজাল হোসাইন জানান, সকালে গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের জগতসার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জগতসার (বরগিলা মোড়) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন পুলিশ বক্সের সামনে থেকে পিকআপভ্যানসহ নীরব মিয়াকে আটক করা হয়। পরে পিকআপভ্যান তল্লাশি করে ভ্যানের ভিতরে সুকৌশলে বডির নিচে রাখা ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে আশুগঞ্জ ও নাসিরনগর উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৫ মে শুক্রবার থেকে আজ ৭ মে রবিবার সকাল পর্যন্ত চলা অভিযানে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তবে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এদিকে, এখন থেকে কেউ দেশীয় অস্ত্র বানাতে গেলে তার নাম-ঠিকানা রেখে থানায় পাঠানোর জন্য কামারদের নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। শনিবার কামারদের নিয়ে সভা করে এ নির্দেশনা দেয় নাসিরনগর থানা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েক শ মানুষ আহত হন। এরমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রাম্য এসব সংঘর্ষ এড়াতে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কাতরা, সড়কি, রামদা, বল্লম, টেঁটা ও ফলা রয়েছে।
নাসিরনগর থানা পুলিশেরর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, অস্ত্র উদ্ধারের পর নতুন করে আর যেন কেউ অস্ত্র বানাতে না পারে সেজন্য কামারদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। কেউ যদি অস্ত্র বানাতে দোকানে যায়, তাহলে তার নাম-ঠিকানা থানায় পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সংঘর্ষ এড়াতে প্রতিটি উপজেলায় এ ধরনের অভিযান চালানো হবে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারেও জেলার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অভিযান চলছে।