চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় গৃহবধূ রহিমা বেগম (২৮) হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামী মো. আল আমিন মিয়া (৩২) কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন।
আদালত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের মুন্সিবাড়ির জাকির হোসেন এর কন্যা রহিমা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা নতুনপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। আল আমিন পেশায় অটোরিক্সা চালক ছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে নুসাইবা আক্তার (৬) নামে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে রহিমা ও আমিনের পরিবারে অভাব-অনটনসহ পরিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর মধ্যে হত্যার ঘটনার ৩ মাস আগে রহিমার স্বামী আল আমিন মিয়া রহিমার অজান্তে খাল্লা গ্রামের এক লোকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। পরে এই ধারের টাকা পরিশোধ করার জন্যে রহিমার উপর চাপ দেয় স্বামী আল আমিন। ধারের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে এ নিয়ে প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। পরে এ নিয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বুধবার রাত অনুমানিক ২টার দিকে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালে আল আমিন উত্তেজিত হয়ে লোহার রড দিয়ে রহিমার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রহিমা প্রাণ হারায়। পরে রহিমা নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে চালিয়ে দেওয়ার জন্যে তার স্বামী আল আমিন বাড়িতে চোর এসেছে বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। এরই মধ্যে খবর পেয়ে রাতেই নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছোঁটে আসেন। পরে তারা জানতে পারেন রহিমাকে তার স্বামীই হত্যা করেছে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় স্বামী আল আমিনকে ধরে ওই রাতেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে নিহত রহিমার পিতা মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামালা দায়ের করেন। পরে মামলটি অধিকতর তদন্ত করে থানা পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আসামিও ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পরে আদালত স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে আসামির উপস্থিতিতে আল আমিনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রায়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার রায় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিডিউটর এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন জানান, মামলটি সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ ধারায় আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘‘বঙ্গমাতা গোল্ড কাপ টুর্ণামেন্ট চ্যাম্পিয়ন’’ বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিজয়ীদের কে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন, জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।
গত ২১ মার্চ ঢাকা আর্মী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত চুড়ান্ত প্রতিযোগীতায় ঢাকা বিভাগের নলমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ২-১ গোলে হারিয়ে বাঞ্ছারামপুর এই গোরবান্নিত বিজয় অর্জন করে। খেলা শেষে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ী এবং বিজিতদের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স সাপ ট্রফি বিতরণ করেন।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন ও সচিব ফরিদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহ উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজয়ীদেরকে উৎসাহিত ও প্রজন্মকে খেলাধূলায় উজ্জীবিত করার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী, সাবেক মন্ত্রী ও জন নন্দিত নেতা ক্যাপ্ট: (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি’র নির্বাচনী এলাকার ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ের বিজয়ী খেলোয়ারদের কে শীঘ্রই জেলাপরিষদ থেকে সম্বর্ধনা প্রদান করার কথা জানিয়েছেন জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে। দেশের জনগণ উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বার্থে নৌকায় ভোট দেবে। আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার পাহায়িাকান্দি এবং দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের কান্দু শাহ-এর মাজার মাঠে উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনে সকল সেক্টরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
গরিব মানুষের কল্যাণে সরকারি ভাতা প্রদান এবং সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। গ্রামের মানুষ নাগরিক সুবিধা পাচ্ছে। উন্নয়নের সুফল তৃণমূল পর্যায়ের মানুষও উপভোগ করছে। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে।
ডিজিটাল সেবা এখন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছে দ্রুত এবং নিরাপদে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পায়রা সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে সমাদৃত।
তিনি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত করছে।’
পাহাড়িয়াকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইলসাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি সায়েদুল ইসলাম বকুল ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম তুষার, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী জাদিদ আল রহমান জনি, বাঞ্ছারামপুর পৌর মেয়র তফাজ্জল হোসেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি মাহমুদুল হাসান ভূইয়া, শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ মো. আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম.এস. রানা, সাধারণ সম্পাদক আ. রাজ্জাক, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি হিমেল সরকার, সাধার্ণ সম্পাদক সামুয়েল আহমেদ, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে শাহীনূর আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূকে ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর ধারণা, গত ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এ ঘটনার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শনিবার দুপুরে বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের থানা রোডে অবস্থিত ‘মোল্লা বাড়ি’ নামের একটি ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন ওই গৃহবধূ শাহীনূর আক্তার। ৬ বছর বয়সী এক সন্তানের মা শাহীনূর আক্তারের স্বামী সৌদি প্রবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ভবনের নিচতলায় বসবাস করা ওই গৃহবধূর ফ্ল্যাট শুক্রবার দিনভর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ ছিল। পরে রাতে ঘর থেকে কিছুটা দুর্গন্ধ বের হলে, ভবনের অন্যান্য বাসিন্দারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ রাতেই গিয়ে বাসার দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ছুরিকাঘাতের চিহ্নসহ ওই গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে জেলা শহর থেকে পুলিশের সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে আসে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলেও ওই গৃহবধূকে ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাজার থেকে কিনতে দেখা গেছে। তাদের ধারণা, গত ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
হত্যাকাণ্ডের সময় গৃহবধূর একমাত্র সন্তান পার্শ্ববর্তী ছলিমাবাদ গ্রামে তার নানা বাড়িতে ছিল।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল খান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে শনিবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। পেটে মারাত্মক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টির তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুরে দুর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ১৩ বছর ধরে ‘মিড ডে মিল’ বা দুপুরের খাবার দিচ্ছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। ২০১১ সালে সেখানকার শিক্ষার্থীদের জন্য এই কার্যক্রম চালু করা হয়।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এক বেলা করে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার পাওয়ায় একদিকে যেমন তাদের পুষ্টির চাহিদা মিটছে, অন্যদিকে বাড়ছে উপস্থিতির হারও।
গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব শ্রেণির বেশিরভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। শিক্ষকরা জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী সাধারণত অনুপস্থিত থাকে না।
স্কুলে ক্লাস বিরতির সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়। সকাল ১১টার দিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি, দুপুর ১২টায় তৃতীয় শ্রেণি এবং দুপুর ২টার দিকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হয়।
এদিন দুপুরে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ছিল এক প্যাকেট করে পুষ্টিকর বিস্কুট।
তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ্ আল মাহিন জানায়, তাদের বাড়ি থেকে কোনো খাবার আনতে হয় না। বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত যে খাবার দেওয়া হয়, তা খেয়েই ক্ষুধা মিটে যায়।
চতুর্থ শ্রেণির মরিয়ম আক্তার জানায়, টিফিনের সময় বিভিন্ন রকমের খাবার দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে ডিম, রুটি, কলা, বিস্কুট, সিঙ্গারা ও ফল। টিফিনের সময় খাবার দেওয়া হয় বলে বাড়িতে গিয়ে খেয়ে আসতে হয় না। স্কুল ছুটি হলে তারপর বাড়ি যাই।
মাহিন ও মরিয়মের মতো অন্য শিক্ষার্থীরাও জানায়, স্কুলে পাওয়া খাবার দিয়েই তাদের ক্ষুধা মিটে যায়, টিফিনের সময় খাওয়ার জন্য বাড়ি যেতে হয় না। টিফিন নিয়ে মায়ের চিন্তাও থাকে না।
স্থানীয় অভিভাবকরা জানান, গ্রামীণ পর্যায়ে এমন একটি বিদ্যালয়ে নিয়মিত টিফিন দেওয়ায় তারা অনেক খুশি। বাচ্চাদের নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়ায় একদিকে যেমন তাদের শারীরিক উপকার হচ্ছে, তেমনি বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিদিনই খাবার দেয়। তাই এখন বাচ্চাদের ক্ষুধা লাগলো কি না সে চিন্তা করতে হয় না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকলিমা আক্তার বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনই টিফিন দিয়ে আসছে। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে। পাশাপাশি লেখাপড়ার মানও ভালো হচ্ছে। শিক্ষার্থী ঝরে পড়াও অনেক কমে যাচ্ছে। আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
বাঞ্ছারামপুর বসুন্ধরা ফাউন্ডশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মাইমুন কবির বলেন, ২০১১ সাল থেকে আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে দুর্গারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত টিফিন দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে দুদিন ডিম ও সিঙ্গারা, দুদিন কলা ও রুটি এবং একদিন বিস্কুট ও ফল দেওয়া হয়। আমাদের দেওয়া প্রতিটি খাবারই মানসম্মত। আমাদের টিফিন দেওয়ার কারণে অভিভাবকরা অনেকটাই স্বস্তিতে থাকেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও বেড়েছে।