অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন স্ত্রীর অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা দরকার। টাকা তুলতে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাহবাগ এলাকার বুথে যান আতাউর রহমান (৬০)। সেখানে আগে থেকেই একজন অপরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। বুথে এটিএম কার্ড প্রবেশ করিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন আতাউর। সাহায্য করার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে এটিএম কার্ড নেন ওই ব্যক্তি। আতাউরকে একই রঙের আরেকটি কার্ড ধরিয়ে দিয়ে কৌশলে গোপন নম্বর (পিন) জেনে সটকে পড়েন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর আতাউর রহমানের মুঠোফোনে পাঁচবারে এক লাখ টাকা তুলে নেওয়ার বার্তা আসে।
আতাউর রহমানের প্রতারিত হওয়ার ঘটনাটি গত জুন মাসের। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়লের টিএসসি এলাকার একটি বুথে টাকা তুলতে গিয়ে একই ধরনের সমস্যায় পড়েন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক উম্মে আতিয়া। তাঁকেও সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন আগে থেকে এটিএম বুথের ভেতরে থাকা এক ব্যক্তি। টাকা তুলতে সাহায্য করার কথা বলে তাঁর কার্ড অদলবদল করেন তিনি।
উম্মে আতিয়া ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বলেন, ‘টাকা তুলতে গিয়ে দেখি, এটিএম বুথে কার্ড প্রবেশ করছে না। তখন বুথের ভেতরে থাকা এক ব্যক্তি সাহায্য করার কথা বলে আমার কাছ থেকে এটিএম কার্ডটি নেন। তাঁর হাতেও একটি কার্ড ছিল। কয়েক সেকেন্ড পরে আমাকে কার্ড ফেরত দেন। সেই কার্ড দিয়ে আমি আবার টাকা তোলার চেষ্টা করি। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কার্ডের গোপন নম্বর দেখে ফেলেন ওই ব্যক্তি।’
টাকা তুলতে না পেরে বুথ থেকে ফিরে আসেন জানিয়ে উম্মে আতিয়া বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরে আমার মুঠোফোনে ৫০ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার বার্তা আসে। পরে আমি বিষয়টি ব্যাংক ও পুলিশকে জানাই।’
এ দুটি ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে শহিদুল ইসলাম ও মামুন মাতুব্বর নামের দুই জনকে শনাক্ত করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে বৃহস্পতিবার তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি জানায়, শহিদুল ও মামুনই ওই দুই ঘটনায় এটিএম কার্ড হাতিয়ে নিয়ে টাকা তুলে নিয়েছিলেন। এটিএম বুথগুলোর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা ২০১৫ সাল থেকে এভাবে মানুষের এটিএম কার্ড নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। এক্ষেত্রে তাঁরা নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু বানাতেন। দিনে যখন বুথের নিরাপত্তাকর্মীরা খাবার খেতে যান, তখন বুথে ঢুকে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বুথের নিরাপত্তাকর্মীদের টাকা দিয়ে এ কাজ করতেন।
এ বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ বলেন, টাকা তুলতে কোনো ব্যক্তি এটিএম বুথে প্রবেশ করার আগে শহিদুল বুথে ‘মোবাইল ব্যাংকিং অপশন’ চালু করে রাখতেন। যেসব ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা আছে, সেগুলোতেই শুধু এই অপশন চালু রাখা যায়। শহিদুল অপশনটি চালু রাখায় গ্রাহক কার্ড বুথে প্রবেশের চেষ্টা করলে তা ফিরে আসত। তখন শহিদুল টাকা তুলতে সাহায্য করার কথা বলে গ্রাহকের কার্ড নিয়ে নিজের কাছে থাকা একই ধরনের কার্ড গ্রাহককে দিতেন। কৌশলে কার্ডের পিন নম্বরও জেনে নিতেন। পরে গ্রাহকের কার্ড দিয়ে টাকা তুলে নিতেন শহিদুল।
ডিবি সূত্র জানায়, শহিদুল প্রতারণার ঘটনায় আগেও চারবার গ্রেফতার হয়েছেন। জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িয়েছেন তিনি। শুধু ঢাকায় নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তিনি এই প্রতারণা করেন। এভাবে প্রতি মাসে পাঁচ থেকে ছয়টি প্রতারণা করেন। তা থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা আসত তাঁর।
ডিবি কর্মকর্তাদের তথ্য মতে, শহিদুল এসএসসি পাস করে একসময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। একপর্যায়ে নিজেই এটিএম প্রতারণার এই কৌশল শেখেন। পরে পোশাক কারখানার চাকরি ছেড়ে দিয়ে একটি চক্র গড়ে তোলেন। তিনি যখন বুথের ভেতরে থাকেন, বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে কে বুথে প্রবেশ করছেন, সেই তথ্য তাঁকে দেন মামুন। অষ্টম শ্রেণি পাস মামুন এক সময় চা বিক্রি করতেন। শহিদুলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর এই চক্রে জড়ান তিনি।
ডেস্ক রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান বাস্তবতায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যথেষ্ট প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, যে কারণে এ আইন করা হয়েছে, তা কেউ বলে না। শুধু বলা হয়- বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এ আইন করা হয়েছে; যা মোটেও সঠিক নয়।
আজ ২৮ জানুয়ারি শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, আইন হলে তার কিছু অপব্যবহার হয়, এটা স্বাভাবিক। কারণ, অপরাধীরা সব সময় এক ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে। পুলিশ ও আইন প্রণেতাদের এখন প্রকৃত অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
এশিয়া প্যাসিফিক নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টারের নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য সুমন আহমেদ সাবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল ইসলাম, আইসিটিবিষয়ক সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী প্রমুখ বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিডি ই-গভ সিআইআরটির প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকত উল্লাহ।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়নি। রিজার্ভ নিয়েও দেশে কোনো সংকট নেই। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রিববার দুপুরে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা সর্বত্রই বিরাজমান। এটা দূরীকরণে বর্তমান মন্ত্রীসভা কাজ করবে। দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে কীভাবে দ্রুত কাজগুলো করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো। আর সুন্দর ও ভালো কাজ করতে গিয়ে হয়তো বিলম্বিত হয়। প্রকল্পে সমন্বয়ের ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে কাজে দীর্ঘসূত্রিতা হয় উল্লেখ করে রাজশাহীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সমন্বয় সাধনে তিনি কাজ করছেন বলে জানান। আরডিএ থেকে অনুমোদন না নিয়ে কেউ আবাসন গড়ে তুললে সেটা বে-আইনি কাজ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। সুতরাং, জেলা প্রশাসক এটা দেখুক। এরআগে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশ ও বিদেশে জায়গা করে নিচ্ছে। অনেক সময় জাতীয় অনেক ইস্যুতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকা হয়।
এ বছর জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৯ জন স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিজ্ঞানীদের তালিকায়ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অংশীজনের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে (৪র্থ তলা) এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ভিসি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এতদঞ্চলের আপামর মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পীঠস্থান হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বস্তরের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের চাহিদা পূরণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সব মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি, গবেষণা ক্ষেত্রে অগ্রগতি, ডিজিটালাইজেশন, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান পাওয়ারপয়েন্টে উপস্থাপন করেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্ট্র্যাটেজি প্ল্যানে খুলনা অঞ্চলের সমস্যা, জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওবিই কারিকুলা বিশ্বমানের একটি নতুন কারিকুলা। এতে ইন্টার্নশিপ, থিসিস এবং সফট স্কিলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে কাজ করলে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারবে। আগে সব ডিসিপ্লিনের কারিকুলায় ইন্টার্নশিপ না থাকলেও নতুন কারিকুলায় সব ডিসিপ্লিনে ইন্টার্নশিপের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, র্যাংগিং ও মাদকের বিরুদ্ধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছে। এজন্য শিক্ষাবর্ষের শুরুতে নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে র্যাংগিং ও মাদককে না বলে শপথ করানো হয়। র্যাংগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেক সময় অভিযোগের অভাবে র্যাংগিংয়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। এজন্য র্যাংগিং হলেই অভিযোগ জানাতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম।
মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী, প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম, প্রফেসর ড. গাউছিয়াতুর রেজা বানু, প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার, প্রফেসর সেহরীশ খান, প্রফেসর ড. মো. আশিক উর রহমান, প্রফেসর ড. শাহজাহান কবীর, প্রফেসর ড. লস্কর এরশাদ আলী, সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শরীফ আতিকুজ্জামান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান, ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি শেখ দিদারুল আলম, এনটিভির খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব, দৈনিক কালবেলার খুলনা প্রতিনিধি মল্লিক সুধাংশু, সাংবাদিক শামীম আশরাফ শেলী, কালের কণ্ঠের কৌশিক দে, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মো. মাকসুদ আলী, দৈনিক যুগান্তরের নূর ইসলাম রকি, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যানেল আইনজীবী এ্যাডভোকেট আফরোজা রোজী, বেডস্ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান, জেজেএস এর জাকির হোসেন, জাগো ফাউন্ডেশনের নুজহাত তাসফিয়া, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রেজওয়ান আহম্মেদ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এস এম জিলানী।
এ সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ, সব ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, পরিচালক/বিভাগীয় প্রধান, এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট/বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট এবং প্রতি ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স/সম্মান শেষ বর্ষের একজন করে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতা শুরু হলে পরিষেবা স্থগিত করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এর এক সপ্তাহ পরে আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে অতি সীমিত পরিসরে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব হুমায়ুন কবির।
আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সীমিত পরিসরে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। সংঘাত পরবর্তী সময়ে স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী কমিউটার ট্রেন দিয়ে চালু হচ্ছে রেলপথ। কারফিউ শিথিল থাকা সময়ে এসব ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাঁচ ঘণ্টা শিথিল সময়ের মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। ফলে আপাতত কমিউটার ট্রেন চলবে। আগামী শুক্রবার থেকে কিছু আন্তঃনগর ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-গাজীপুর এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল পথের কমিউটার ট্রেনগুলো চলাচল করবে। তবে সময় পাঁচ ঘণ্টা। এ সময়ের মধ্যে দুই থেকে তিনবার যাতায়াত (ট্রিপ) করতে পারবে। দূরবর্তী যাত্রার মধ্যে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মধ্যে চলাচল করবে তিতাস কমিউটার ট্রেন। স্বাভাবিক সময়ে তিতাস ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। কাল সকাল সোয়া ১০টায় যাবে। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ফিরতি যাত্রা শুরু করবে। প্রসঙ্গত, রেলে সাধারণত একটা ট্রেন কোনো গন্তব্যে গেলে সেটি ফিরে আসার পর এক ট্রিপ ধরা হয়।
রেলের পশ্চিমাঞ্চলে (রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগ) দুটি পথে ট্রেন চলাচল করতে পারে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে সূত্র। এর মধ্যে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং লালমনিরহাট-বুড়িমারী পর্যন্ত চলাচল করবে কমিউটার ট্রেন। এর বাইরে মালবাহী ট্রেন আজও কিছু চলাচল করেছে। আর তেলবাহী ট্রেন গতকাল ২৩ জুলাই মঙ্গলবার থেকেই চলাচল করছে। ভারত থেকে পাথরবাহী দুটি মালবাহী ট্রেন আজ চলাচল করেছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহের লক্ষ্যে চলছে তেলবাহী ট্রেন।
ডেস্ক :
আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রয়ারির মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রবিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। ইসি সচিব সন্ধ্যায় স্পিকার দপ্তরকে ফোন দিয়ে সময় চেয়েছেন। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সন্ধ্যায় জানান, সিইসির সাক্ষাতের জন্য ইসি সচিবালয়ের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান স্পিকার।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের অধিবেশন বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৯ ফেব্রুয়ারিই শেষ হবে এই অধিবেশন। এ প্রসঙ্গে আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনো অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়েবে।
তিনি বলেন, তার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিলের বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা হবে। যেদিন ভোটের তারিখ হবে ওই দিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে। ওই বৈঠকে নির্বাচনী কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন। যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাকিদের বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আইনটি হচ্ছে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অবশ্যেই ৬০ দিনের আগে। ৯০ দিনের হিসেব শুরু হবে ২৪ এপ্রিল থেকে (পূর্ববর্তী) ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে হিসেবে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে।
২০১৮ সালে সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোট গ্রহণের সময় রাখা হয়েছি ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সে সময় বর্তমান রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
‘প্রাক্তন’ রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে মো. আবদুল হামিদ ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। ওই বছর ২০ মার্চ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুবরণ করলে মো. আবদুল হামিদ সেদিন থেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২২ এপ্রিল তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ওই বছর ২৪ এপ্রিল ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সংবিধান অনুযায়ী, দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আর এ পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।