চলারপথে রিপোর্ট :
বহুল আলোচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। শপথও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এর আগেই সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যায়। জীবনে প্রথমবার সংসদ সদস্য হয়েও অধিবেশনে যোগদান না করার আক্ষেপ তার। তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
১৯ নভেম্বর রবিবার দুপুরে রাজধানীতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে তিনি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী আসনে স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে জয়লাভ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি তাহের উদ্দিন ঠাকুর। এরপর গত ৫০ বছরে আর কেউ এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জয়লাভ করতে পারেনি। এরমধ্যে ২২ বছর নৌকা প্রতীকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এ আসনে। সর্বশেষ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে উপ-নির্বাচনে নিজ দলীয় প্রার্থীকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
গত ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে অনুষ্ঠিত হওয়া উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম সাজু জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা।
এদিকে গণমাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে আশুগঞ্জে দুটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের সত্যতা পায় কমিটি। এ দুই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি অভিযুক্ত দুই কেন্দ্র ছাড়া জয়ী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শাহ আলম সাজুকে জয়যুক্ত করে গেজেট প্রকাশিত করে নির্বাচন কমিশন।
১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী শাহজাহান আলম সাজুকে শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু এর আগেই ২ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হয়েছে। ফলে শপথ নিলেও জাতীয় সংসদের কোনো অধিবেশনে যোগদান করতে পারেননি তিনি।
এ নিয়ে আক্ষেপের কথা জানালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তিনি বলেন, একজন সংসদ সদস্য হয়ে অধিবেশনে যোগ দিতে না পারা অবশ্যই কষ্টের ব্যাপার। এরপরও বাস্তবতা মানতে হবে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য দুমাসের মধ্যে এ নির্বাচন হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমি সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। অধিবেশনে না বসতে পারলেও ৫০ বছর পর আসনটি উদ্ধার হয়েছে তাতে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন। পরবর্তী নির্বাচন ৭ জানুয়ারি হবে। ইনশাআল্লাহ জনগণ আমাকে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। তখন সংসদ অধিবেশনে গিয়ে আমি সাধারণ মানুষের কথা হয়তো বলতে পারবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক অভিযানে ৪৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল ৩০ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি অভিযানিক দল উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করতে করে। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন (২৬) বিজয়নগরের সিংগারবিল মাইজহাটি গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।
অপর একটি অভিযানে ৩২২ বোতল ফেনসিডিলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. জিলায়োর হোসেন তরফদার প্রকাশ দেলোয়ার (৪০), মো. হাবিবুর রহমান (২০), মো. শামিম আহম্মদ (৩১), পলাশ দাস (৩৫)।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃতদের ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে মাইক্রোবাসে করে গাঁজা পাচারের সময় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ মোঃ জাবেদ মিয়া (৩০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ জুলাই রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জাবেদ মিয়া হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়নের তাজুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহামেদ বলেন, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ সার কারখানায় সার উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। ২২ জানুয়ারি বুধবার সকালে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিক কর্মচারীরা এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। সকাল ৮টা থেকে ২ঘন্টা পর্যন্ত প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।
মানববন্ধন শেষে প্রতিবাদ সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. বজলুর রশিদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাউসার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সিবিএ এর সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারেক, অফিসার্স ওয়েলফার এসোশিয়েশনের মো. জহিরুল ইসলাম, ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এএফসিসিএল সিবিএর অন্যান্য কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগণ।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, কারখানাটি বিগত ৯ মাস উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ২০ জানুয়ারি থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে প্রয়োজনীয় গ্যাসের প্রেসার না থাকায় ইউনিয়া সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় কারখানার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই কারখানাকে বাচাঁতে শ্রমিক-কর্মচারীগণ আন্দোলনে নেমেছে। তাদের এই দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ সার কারখানা থেকে প্রতিদিন ১২শ’ মেট্রিক টন ইউনিয়া সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ সহ দেশের ৮ জেলায় সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৮৭ কেজি গাঁজাসহ আশরাফুল (২১) নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। মাদক কারবারি আশরাফুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শাহপুর গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মাদক কারবারের সাথে যুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যানে তল্লাশি করে ৮৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের মেঘনা নদীতে শহীদ আবদুল হালিম রেলসেতুতে আবারও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে ভৈরব বিদুৎ বিতরণ বিভাগের সহায়তায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয় ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউনিট।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, আশুগঞ্জ থেকে ভৈরবে বিদ্যুৎ সরবরাহের ৩৩ কেভি’র ৩টি লাইন শহীদ আব্দুল হালিম রেলসেতু (প্রথম রেল সেতু) দিয়ে নেয়া হয়। এ ৩টি লাইনের মধ্যে ১টি নতুন ও ২টি পুরাতন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিকট শব্দে একটি বিদ্যুৎ লাইনের কেবল ফেটে গিয়ে আগুন ধরে যায়। বিদুৎ বিভাগ থেকে তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হলেও সেতুতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে। কিন্তু সেতুর যে স্থানে আগুন তা নদীর মাঝামাঝি দিকে হওয়ায় তারা ফায়ার সার্ভিসের ভৈরব রিভার ইউনিটকে ঘটনাস্থলে আসতে অনুরোধ করে। ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানি দেয় এবং পাশাপাশি ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ অগ্নিনিরোধক গ্যাস নিক্ষেপ করে রাত সাড়ে নয়টার দিকে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। আগুনে বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হলেও এ লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ও ভৈরব রিভার স্টেশনের লিডার মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের রিভার ইউটিটের সহায়তায় ২৫ মিনিটে আগুন নেভানো হয়।
ভৈরব বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের সহকারি প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসেন তালুকদার বলেন, সেতুতে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের একটি ক্যাবল বিস্ফোরিত হয়ে আগুনের সুত্রপাত। ঘটনার পরপরই বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিনিরোধক দ্রব্য (কার্বন ডাই অক্সাইড ও এবিসি ফোম) নিক্ষেপ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়। শনিবার এ লাইন মেরামত করা হবে। এতে ভয় বা আতংকের কারণ নেই। কেননা ভালভাবে আর্থিং করা থাকায় সেতু বিদ্যুতায়িত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতেও সেতুতে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। এসময় সতর্ক বার্তা না পাঠানোয় আগুন জ্বলা অবস্থায় সেতু দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী তিতাস ট্রেন সেতু অতিক্রম করেছিল। ওই ঘটনার পরেও আরো একবার ছোটখাট অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এদিকে বারবার রেল সেতুতে অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে ঝুঁকিপুর্ণ মনে করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। তারা মনে করেন, কখনো সেতুতে ট্রেন থাকা অবস্থায় এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতির আশংকা রয়েছে। তাই গত বছর অগ্নিকান্ডের পর সেতুতে থাকা বিদ্যুৎ লাইন সরিয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেঘনা নদীতে টাওয়ার নির্মাণ করা না হলে আপাতত সেতু থেকে বিদ্যুতের লাইন সরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, বারবার সেতুতে আগুনের ঘটনা উদ্বেগজনক। সেতু থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার সরিয়ে নিতে বা এ ধরনের ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।