চলারপথে রিপোর্ট :
খুদে শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটানো এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আখাউড়ায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মেধা যাচাই (বৃত্তি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্ডারগার্টেন ইউনিটি অব আখাউড়ার আয়োজনে শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্কুলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণির দুই শতাধিক ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
১ম থেকে ৩য় শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা বাংলা, অংক, সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি বিষয়ে মোট ৩০০ নম্বর এবং ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীরা ৬ টি বিষয়ে ৪০০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও অংকুর কিন্ডারগার্টেন এর প্রতিষ্ঠা পরিচালক শফিকুল আলম তুরান বলেন, প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষা মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য মেধা যাচাই বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষা ভীতি দূর হয়। মেধার বিকাশ ঘটে।
বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীরা একে অপরের সাথে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয়। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায় ভূমিকা পালন করে।
এসম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিন্ডারগার্টেন ইউনিটি অব আখাউড়ার উপদেষ্টা রাধা কৃষ্ণ নুনিয়া,
শিক্ষক আহসান কবির লিটন, সরাফুল ইসলাম, সম্রাট খাদেম, ফারজানা আক্তার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কামাল ভূইয়াকে চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজ বাড়ি টনকী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে হাজতে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টনকী গ্রামের মৃত আমির উল্লাহ ভূইয়ার ছেলে মো. মুজিবুর রহমান শাহীন বাদী হয়ে কামাল ভূইয়াসহ ছয়জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে কামাল ভূইয়ার পরিবারের দাবি, এমন (চাঁদা দাবির) কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুজিবুর রহমান (শাহীন) চাকরির সুবাদে বহু বছর স্বপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। এ সুযোগে কামাল চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য বিবাদীরা মুজিবুর রহমান ও তার ভাইদের ভূমি ও পুকুর দখল করে রাখেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। সম্প্রতি মুজিবুর রহমান নিজ বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করেছেন। দখলকৃত ভূমি ছেড়ে দিতে বলায় শাহীনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিবাদীরা। বৃহস্পতিবার বিকালে শাহীন বিরোধপূর্ণ ভূমি দেখতে গেলে খবর পেয়ে কামাল ভূইয়াসহ অপর বিবাদীরা এসে শাহীনের ওপর হামলা করে মারধর করেন। চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে শাহীনকে উদ্ধার করেন। এসময় জায়গা ফেরত নিতে হলে কামাল ভূইয়াকে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, কামাল ভূইয়াকে শুক্রবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় আর কাউকে আটক করা যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন বাজারে পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের লিচু। রসালো, সুমিষ্ট ও মুখরোচক ফল হিসেবে লিচু পছন্দ বাঙালি সব শ্রেণির মানুষের কাছে। দাম হাতের নাগালের মধ্যে থাকায় খুশি বাগান মালিক ও ক্রেতারা। সেই সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ চাহিদাও বেড়েছে। বেড়েছে বেচাকেনাও।
এদিকে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা পাকা লিচু বাগানগুলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটক। লিচু বাগানে তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। ফেরার সময় কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন লিচু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর চাষ শুরু হয়েছে গত দুই যুগ আগে। উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মনিয়ন্দ, আখাউড়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের ধর্মনগর, কর্মমঠ, রাজমঙ্গলপুর, নোয়ামুড়া, ঘাগুটিয়া, শিবনগর, খারকোট, মিনারকোট, আজমপুর, আমোদাবাদ, রামধন নগর, চানপুর, রাজাপুর, কল্যাণপুর, আনোয়ারপুর, হীরাপুর, কুড়িপাইকাসহ আখাউড়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে লিচুর চাষ হয়ে থাকে।
এ উপজেলায় উৎপাদিত লিচুর মধ্যে পাটনাই, বোম্বাই, এলাচি, চায়না-২, চায়না-৩, বেদানা ও স্থানীয় জাতের লিচু রয়েছে। এখানকার মাটি লিচু চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে লিচুর ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়াও লিচু বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি এখানকার চাষিরা।
আখাউড়ার লিচু বেশ রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় জেলার বাইরেও বেশ কদর রয়েছে। প্রকারভেদে বাগান থেকে একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ – ৩০০ টাকা দরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে তা নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এদিক লিচু বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা থেকেও পরিবার পরিজনদের নিয়ে আসছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক।
আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গ্রিন ভিলেজ পার্কের মালিক অ্যাডভোকেট মনির হেসেন চৌধুরী বলেন, আমার লিচু বাগানে বিভিন্ন জাতের শতাধিক লিচু গাছ রয়েছে। লিচু গাছে এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর গাছে ফুল আসার পরপরই দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। যারা কিনেছেন তারা অনেক লাভবান হয়েছেন।
আখাউড়ায় প্রধান লিচুর বেচাকেনা হচ্ছে পৌরশহরের সড়ক বাজারে। এছাড়াও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন এবং স্টেশন সড়কের দুই পাশে প্রতিদিন লিচুর বাজার বসছে। ফলে স্টেশন সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রেলওয়ে স্টেশনগামী ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটগামী ট্রেনযাত্রীদের।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ফল চাষ হয়ে থাকে, তার মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছ।
এ বছর তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে কিছু কিছু বাগানে ফলন কম হলেও উৎকৃষ্ট লিচু উৎপাদনে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া।
তিনি আরো জানান, আখাউড়া উপজেলা থেকে এ বছর অন্তত দেড় কোটি টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় তীব্র স্রোতের কারণে সেতু ধসের আশঙ্কায় কসবা উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও আরো একটি সেতু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তা ধসে গেলে পৌর এলাকার দেবগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দুই পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিলের সংযোগস্থলের সেতু বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ঝুঁকির মধ্য পড়ে। সেতুর এক পাশের দেয়াল ধসে পড়লে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গাছ ফেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পৌর এলাকার দেবগ্রামে নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এখানেও দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে অবগত রয়েছি। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে শাহিদ (১৫) নামে এক কিশোর কেড়ির বড়ি (ইঁদুর মারা ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১ অক্টোবর রবিবার দুপুরের দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম। এর আগে আখাউড়া পৌরসভার মসজিদপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর আখাউড়া উপজেলার মসজিদপাড়ার মো. নিজাম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পরিবারের অজান্তে কেড়ির বড়ি খেয়ে ছটফট করতে থাকলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসকরা জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেফার করে। সেখানে ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে সে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ৩৭ রকমের সবজি, বাংলা ও ইংরেজিতে নাম লেখা। টেবিলে সাজানো সবজি ঘিরে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কেউ খাতায় লিখছে, কেউ কেউ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে। উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে এসব সবজি নিয়ে ধারণা দিচ্ছেন শিক্ষকগণ।
আয়োজনের নাম ‘সবজি দেখে লিখবো খাতায়’। বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আখাউড়ার রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২১ জানুয়ারি সোমবার এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা সবজি নিয়ে লিখিত পরীক্ষায় বসে। তিনটি কক্ষে প্রায় দেড়শ’ শিক্ষার্থী ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরে তাদেরকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সবজি পুরস্কার দেওয়া হয়। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির নয়জন শিক্ষার্থী পুরস্কায় পায়। বেলা ১২টা তেকে ২টা নাগাদ চলে এ আয়োজন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি। কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দীন, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইয়ার হোসেন শামীম, ফরহাদুল ইসলাম, আশীষ সাহা প্রমুখ।
প্রধান শিক্ষক মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘আয়োজনটি শিক্ষার্থীরা বেশ উপভোগ করেছে। তারা সবজি দেখে তাৎক্ষনিকভাবে বাংলা ও ইংরেজিতে নাম, গুনাগুন লিখে আমাদেরকে অবাল করে দিয়েছে। আয়োজনটির জন্য শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ ইলিয়াস উদ্দীন বলেন, ‘সবজির প্রতি শিশুদের আগ্রহ কম। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুরা সবজি সম্পর্কে যেমন ধারণা পাবে তেমনিভাবে খাওয়ার প্রতিও আগ্রহ বাড়বে। আয়োজনকে ঘিরে শিশুদের স্বতস্ফূর্ততা ছিলো চোখে পড়ার মতো।’
ইউএনও পৌর প্রশাসক গাজালা পারভীন রুহি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের এ আয়োজন খুবই ব্যতিক্রম। শিশুদের মেধা ও মননশীলতার বিকাশে আয়োজনটি কাজে লাগবে।