চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ৩টি কলেজের ফল বিপর্যয় ঘটেছে। এসব কলেজের পাশের হার ৩১ থেকে ৫৯%। তিন কলেজ থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। অপরদিকে ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত একটি কলেজ ২০জন জিপিএ-৫ সহ শতভাগ পাশ করেছে।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার সারাদেশে একযোগে এইচএসসির ফল প্রকাশ হয়েছে।
প্রকাশিত ফলাফল ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ থেকে ৫০৭ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশ করেছে ৩০৪ জন, অকৃতকার্য হয়েছে ২০৩ জন। জিপিএ-৫ নাই। শতকরা পাশের হার ৫৯.৯৬। আখাউড়া জাহানারা হক মহিলা কলেজ থেকে ১৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৬২ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১৩৬ জন। জিপিএ-৫ নাই। শতকরা পাশের হার ৩১.৩১। ছতুরা চান্দপুর স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৭৯ জন ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা অংশ নিয়ে পাশে করেছে ২৯ জন। ফেল করেছে ৫০ জন। শতকরা পাশের হার ৩৬.৭১। এ কলেজে থেকেও কেউ জিপিএ-৫ পায়নি।
অপরদিকে আখাউড়া ক্যামব্রিয়ান কলেজ থেকে ১০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০জন।
ফলাফল খারাপ হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাহানারা হক মহিলা কলেজের প্রভাষক সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের এ ব্যাচটি খুব খারাপ ছিল। যারা অন্যান্য কলেজের ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি এমন কম পয়েন্টের ছাত্রীরা আমাদের কলেজে ভর্তি হয়। তাছাড়া ছাত্রীরা নিয়মিত ক্লাশ করেনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বলেন, এ বছরের ব্যাচটি করোনার কারণে ভালোভাবে পড়ালেখা করতে পারেনি। এরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পাশ করেছিল। তাছাড়া দুর্বল ছাত্রছাত্রীরা আখাউড়ায় ভর্তি হয়। এসব কারণে ফলাফল খারাপ হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক ব্যবসায়ীর ছুরিকাঘাতে আখাউড়া থানার এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ওই পুলিশ সদস্যের নাম মোঃ খাইরুল। তিনি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন আছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার এসআই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সোহেল ও সেলিমসহ আরও কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ সদস্য মোঃ খায়রুল মাদক ব্যবসায়ী সোহেলকে জড়িয়ে ধরেন। এসময় তাকে পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করতে অপর মাদক ব্যবসায়ী সেলিম পুলিশ সদস্য খায়রুলকে ধারালো ছুরি দিয়ে পেটের বাম পাশে আঘাত করে।
গুরুতর আহত খায়রুলকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হয়।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় দিগন্ত বাসের নিচে চাপা পড়ে লাকী বেগম (৫০) এক নারী ভিক্ষুক মারা হয়েছে।
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকাল ৪টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া বাইপাসে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
লাকী বেগম কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী। তারা অস্থায়ী ভাবে আখাউড়া খরমপুর মাজারে বসবাস করতো।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাকী বেগম তার ছেলেকে নিয়ে খরমপুর ও আশেপাশের এলাকায় ভিক্ষা করে ৷আজকেও ভিক্ষা করতে বাইপাস এলাকায় যায় ৷এসময় সুলতানপুর থেকে ছেড়ে আসা দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস আখাউড়া অভিমুখী বাইপাস এলাকায় লাকী বেগমকে চাপা দিয়ে গুরুত্বর ভাবে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যায়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক ভিক্ষুক বাস চাপায় মারা গেছে ৷ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে ৷ঘাতক বাসটি আটক করে থানা নিয়ে আসা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (রিয়াদ) নামে এক যুবক দ্বারা হয়রানি ও অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামের শেখ মার্কেটের সামনে মানববন্ধনে অর্ধশতাধিক মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে ভূক্তভোগীরা। অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রিয়াদ ওই গ্রামের আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে। মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা, মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া, প্রশাসনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রভাব সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে রিয়াদ চৌধুরী মানুষকে হয়রানি করে আসছে বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়। মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল মৃধা।
প্রতিবাদ সমাবেশে মনিয়ন্দ গ্রামের মজিবুর রহমান লিলু চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, রিয়াদ চৌধুরী মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার পরিবারকে পথে বসিয়ে দিয়েছে। সে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করছে। সে মামলা থেকে জামিন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে, পুলিশের কথা বলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। আশা করি, পুলিশ প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। না হলে তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ ঘুমাতে পারবে না।
ভূক্তভোগী মাঝিগাছা গ্রামের হিরন মিয়া বলেন, মাস খানে আগে এক প্রতিবেশির সাথে আমার ঝগড়া হয়। এসময় তারা আমাকে মাধরধর করে। এঘটনায় রিয়াদ চৌধুরী ডাক্তারি সার্টিফিকেট এবং থানায় মামলা রুজু করে দেওয়ার কথা বলে রিয়াদ আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু কোন কাজ করে দেয় নাই। এখন টাকা চাইলে আমাকে উল্টো ভয় দেখায়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল মৃধা বলেন, রিয়াদ চৌধুরী প্রশাসনের কথা বলে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়। তার অত্যাচারে সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। এ বিষয়ে তার অভিভাবককে জানিয়েও বিচার পাচ্ছি না। আমরা অধৈর্য্য হয়ে আজকে মানববন্ধন করেছি। আমরা তার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে বিষয়টি অবগত করব।
আরেক ভূক্তভোগী রুবেল চৌধুরী বলেন, রিয়াদ চৌধুরী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। সে দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনকে ব্যবহার করে গ্রামের সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রিয়াদ বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পায়ে হেঁটে রেল সেতু পার হতে গিয়ে মো. শাহজাহান নামে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।
গতকাল সোমবার আখাউড়া উপজেলায় তিতাস নদীর রেলসেতুতে এ ঘটনা ঘটে।
মো. শাহজাহান সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আখাউড়ায় মেয়ের বাড়ি থেকে সদর উপজেলার চাপুইর এলাকায় নিজ বাড়িতে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মো. শাহজাহান। পথিমধ্যে আখাউড়া তিতাস রেলসেতু পারাপার হচ্ছিলেন তিনি। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী মেইল ট্রেনটি সেতুর ওপর উঠলে কাটা পড়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ। পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গায়ে কাঁটাযুক্ত এই ফল দেখতে কিছুটা কদম ফুলের মতো। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ ও পাকলে লাল বা গোলাপি রং ধারণ করে। ফলের ওপরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের অংশটা দেখতে লিচুর মতো, স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। এটি বিদেশী ফল রামবুটান।
আখাউড়ায় প্রথম বারের মত রামবুটান চাষ করে সফল হয়েছেন প্রবাস ফেরত রাজু আহমেদ মোল্লা। তিনি আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা মরহুম নাছির মোল্লার পুত্র। কৃষি কাজে রাজু মোল্লার খুবই আগ্রহ। তিনি প্রায় ১ একর ৮০ শতক জায়গা জুড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের বাগান করেছেন। তার বাগানে রয়েছে কাঁঠাল, লিচু, বড়ই, লেবুসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ।
এদিকে রাজু মোল্লার রামবুটান ফল নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই ফলের গাছ ও ফল দেখতে তার বাড়িতে ভীড় করেন। রাজু মোল্লার সফলতা দেখে রামবুটান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার মানুষ।
সরজমিনে চাঁনপুর গ্রামে রাজু মোল্লার ফুলকলি গার্ডেন গাউসে গিয়ে দেখা যায়, রামবুটান গাছে পাতার পাতার ফাঁেক চিকন ডালে থোকায় থোকায় রামবুটান ঝুলছে। সবুজ এবং লালচে রংয়ের ফল। উপরিভাগে সবুজ রংয়ের লোমের মত। দেখতে লিচু মত তবে আকাড়ে লিচুর চেয়ে কিছুটা বড়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ফলটির জন্মস্থল মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অঞ্চলে। এখন আমাদের দেশেও বিভিন্ন জায়গায় ফলটি চাষ হচ্ছে। রামবুটান গাছে মার্চ মাসে ফুল ফোটা শুরু হয় এবং এপ্রিল মাসে কচি সবুজ রঙের ফল ধরতে আরম্ভ করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। ফল পুষ্ট হলে সবুজ রঙের ফল হঠাৎ করে লাল, মেরুন রঙে রূপান্তর হতে থাকে। এ অবস্থা শুরু হওয়ার ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়।
চাষী রাজু আহমেদ মোল্লা বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর মালয়েশিয়ায় কর্মজীবন কাটিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি পরিবারের প্রয়োজনে দেশে ফিরে আসি। দেশে এসেই হঠাৎ করে বেকার হয়ে পড়ি। তারপর কৃষিকাজটা মন থেকে বেছে নিলাম। হালাল পথে আয়-রোজগার করার এটা ভালো পথ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন জায়গা যেন অনাবাদি না থাকে। তাই আমি প্রতিটি জায়গায় কৃষি এবং ফসল ফলানোর চেষ্টা করছি। এটা করতে আমার ভালো লাগে। কৃষিকাজ-গাছের যত্ন করে আমার সময় কেটে যায়। নিজে খাওয়ার পাশাপাশি ফল বিক্রি করে ভালো আয় হয়। আল্লাহর রহমতে আমি মোটামুটি স্বাবলম্বী এবং ভালো আছি।
তিনি বলেন, ২০০২ সালে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার সময় সঙ্গে করে একটি রামবুটান ফলের চারা নিয়ে এসেছিলাম। বাবাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় চারাটি রোপন করে যাই। ৬/৭ বছর পর গাছে ফল আসতে শুরু করে। প্রথম কয়েক বছর অল্প পরিমাণে ফল আসতো। নিজেরাও খেয়েছি। কিছু আত্মীয় স্বজনকে দিয়েছি।
এবছর প্রায় এক মন ফল এসেছে। ৩০-৩৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাম্বুটান ফল চাষ করতে বাড়তি কোন পরিশ্রম করতে হয় না। লিচু গাছের মতই চারা রোপন করে দিলে আস্তে গাছ বড় হয়ে যায়। স্বাভাবিক যতœ নিলেই হয়। তবে এ গাছের শত্রু বাদুড়, ইঁদুর ও পাখি। এ জন্য গাছে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে দিতে হয়।
আখাউড়া সড়ক বাজারের ফল বিক্রেতা মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, রামবুটান ফলটি আখাউড়ায় কেউ বিক্রি করেনা। তবে ঢাকায় পাওয়া যায়। শুনেছি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি ধরে বিক্রি হয়।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, রামবুটান ফলটি লিচু পরিবারের। এটি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় ও ভিয়েতনাম ইত্যাদি দেশে বেশি জন্মে। ফলটির খোসায় হালকা চুলের মতো আবরণে ঢাকা। ফলটির ভেতরে লিচুর মতো শ্বাস থাকে। খেতে সুস্বাদু ও মুখরোচক এবং রয়েছে ঔষধি গুণও। আখাউড়া উপজেলার পাহাড়ী এলাকা রামবুটান চাষের জন্য উপযোগি।
বিশেষ করে যেখানে লিচু, কাঠাল ফল হয় সেখানে রামবুটান ভালো চাষ হবে। তিনি বলেন, চাষী রাজু মোল্লাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই এ ফল চাষ আখাউড়ায় আরও সম্প্রসারিত হয়।