চলারপথে রিপোর্ট:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আবারো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে মনোনয়ন প্রদান করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শুকরিয়া সমাবেশ, মিষ্টি বিতরণ, বিশেষ মোনাজাত ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকাল ৪ টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে শতশত নেতাকর্মী শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে জমায়েত হয়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা ওবায়দুল কাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নাম ঘোষণা করার সাথে সাথে শতশত নেতাকর্মী শ্লোগানে-উচ্ছাসে ফেটে পড়েন।
এসময় পুরো বঙ্গবন্ধু স্কয়ার শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবং এমপি প্রার্থী জননেতা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি হাজি মো. হেলাল উদ্দিন, বিজ্ঞ পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন।
মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা সমন্বয় পরিষদ আহবায়ক ক্বারী মাও.আনিসুর রহমান।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা হাজী তাজ মো. ইয়াছিন, গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, শেখ মো. মহসিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তানজিল আহমেদ, মহসিন মিয়া, সৈয়দ মিজানুর রেজা, স্বপন রায়, মাহমুদুর রহমান জগলু, কাচন মিয়া, সৈয়দ মো. আসলাম, ফারুকুল ইসলাম, খোকন কান্তি আচার্য, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ্এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুৃল ইসলাম, জেলা যুবলীগ সভাপতি এড. শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড. লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি এড. আবু কাউসার, সিনিয়র সহসভাপতি আলাউদ্দিন আলাল, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান, ওলামা সমন্বয় পরিষদ সদস্য সচিব মাও. আবদুল্লাহ।
মোনাজাত শেষে উপস্থিত নেতাকর্মী সহ পথচারীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে একটি আনন্দ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা ১৪ মে রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপত্বি করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত প্রমুখ।
সভায় শহরের মসজিদ রোড ও পুরাতন কোর্ট রোডকে স্থায়ীভাবে ওয়ানওয়ে করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। নম্বরবিহীন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনগুলোতে যেন পেট্টোল পাম্পগুলো থেকে জ্বালানী সরবরাহ করা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য পেট্টোল পাম্পের মালিকদেরকে খেয়াল রাখার আহবান জানানো হয়। সভায় টিকেট কালোবাজারী রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে সিসিটিভির আওতায় আনার ও রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফরমে থাকা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় নৌ-পথে ফিটনেসবিহীন নৌযান যাতে চলাচল করতে না পারে ও নৌযানগুলোতে লাইফ জ্যাকেটসহ যাত্রীদের সুরক্ষা সামগ্রী যাতে রাখা হয় তা নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় দাঙ্গা-ফ্যাসাদ রোধে জেলার নাসিরনগর ও সরাইলে জেলা পুলিশের উদ্যোগে দেশীয় অস্ত্র অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে জেলার সকল উপজেলায় দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় “নো হেলমেট, নো-ফুয়েল” সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য পেট্টোল পাম্প মালিকেদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেয়া হয় এবং অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এই পরিস্থিতিকে ধরে রাখতে হবে।
তিনি মাদক বিরোধী অভিযান আরো জোরদার করার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদেরকে নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, কেউ যাতে গুজব রটিয়ে কোন ধরনের বিশৃংখলার সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।
সভায় সরকারি, বে-সরকারি পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, সকল উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়ে বিজয় মিছিল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। আজ ৫ আগস্ট সোমবার দুপুরের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটা আন্দোলনকারীসহ সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস শুরু করে।
এ সময় শহরের টেংকের পাড়, বিরাসার, কান্দি পাড়া,শিমরাইলকান্দি, হাসপাতাল রোড, কুমারশীল মোড়, মেড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী, পুরুষ, শিশুসহ সাধারণ জনতা রিকশায় চড়ে, পিকআপ ভ্যানে করে ও মোটরসাইকেলে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শোডাউন করে আনন্দ মিছিল বের করে। এ সময় একদল উত্তেজিত জনতা সদর থানায় হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়া থানার সামনে থাকা ৩টি পিকআপ ভ্যানে ও একটি ট্রাকে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের উপর গুলি ছুড়ে। এতে কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল থানা পুলিশদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ব্যাংক এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করা হয়।
পরে তারা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, রিমো আনসারী, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আরটিভির জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান পায়েল গুরুতর আহত হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা ও আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের বাসভবনে ভাংচুর চালায় হামলাকারীরা। সে সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরেও হামলা চালানো হয়।
এদিকে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের বাসভবন, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, আখাউড়া রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো হয়। এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
এছাড়ও বিজয়নগর থানায়ও হামলা করে আগুন দেয়া হয়। এছাড়াও নবীনগর উপজেলা সদরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সে সাথে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, দুটি পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭৫ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্মম হত্যাকান্ড পরবর্তী খুনী মুস্তাক, জিয়া-এরশাদের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সুবিধাবাদি নেতারা আর কোন দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টি করতে পারবেনা। আসন্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে জেলা ও সকল উপজেলা কমান্ডের নির্বাচনে ‘৭১ এর সকল জীবিত মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ প্যানেলে নির্বাচন অংশগ্রহণ করবে।
তিনি আজ ৫ এপ্রিল প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই অভিমত ব্যাক্ত করেন। তিনি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধপরবর্তী সমাজ ও জাতি গঠনে মরহুম লিয়াকত আলীর অনূন্য ভূমিকা ও অবদানের কথা উল্লেখ করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরব উজ্জল ভূমিকার স্মৃতি সংরক্ষণে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
সদ্য প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলীর স্মরণে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ ও সম্মিলীত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের যৌথ আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াছেল সিদ্দিকী সভাপতিত্বে সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ্ সঞ্চালনায় জেলাপরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, এডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, রহুল আমীন ভূঁইয়া বকুল, রুস্তম আলী ভূঁইয়া, তাজুল ইসলাম, মদন মিয়া, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান প্রমুখ বীর মুক্তিযোদ্ধা বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
একসাথে তিনটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন মরিয়ম আক্তার নামে এক প্রসূতি মা। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে প্রসূতি মা বেদেনা আক্তার ১ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গাইনি কনসালটেন্ট ড. গোপা পাল ও হাসপাতালের কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেশিয়া) ডা. খোকন দেবনাথ সিজারিয়ান অপারেশন করেন। জন্ম নেয়া নবজাতকেরা ও মা সুস্থ আছে।
প্রসূতি মরিয়ম আক্তার হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার প্রীয়ম গ্রামের প্রবাসী নূর উদ্দিনের স্ত্রী।
গাইনি কনসালটেন্ট ড. গোপা পাল জানান, প্রথম দিকে স্থানীয় হাসপাতালে মরিয়ম চিকিৎসা নিতো। গত একমাস আগে প্রসূতি আমার কাছে চিকিৎসাসেবা নিতে আসে। তখন আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে তিনটি শিশু রয়েছে জানা যায়। পরে তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাতে প্রসূতির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। হাসপাতালে আনার পর পেটে শিশুগুলোর নড়াচড়া কম ছিল ও পানি ভেঙে গিয়েছিল। তার শরীরে রক্তের পরিমাণও কম ছিল। তাই রাত সাড়ে ৭টার দিকে দ্রুত তাকে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে ২টি ফুটফুটে মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি আরো বলেন, শিশু তিনটি যথাক্রমে ছেলে ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ও মেয়ে ২ কেজি ১০০ গ্রাম ও ২ কেজি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। ভূমিষ্ঠ তিনটি শিশু ও মা ভালো আছেন। ওই দম্পতির ঘরে আগে আরো ১টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে পিছিয়ে গেলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য তর্কে লিপ্ত থাকি, তাহলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার। আগামী দিনে সংসদ কীভাবে পরিচালিত হবে, সংসদের মেয়াদ কতদিন হবে, একজন মানুষ কতবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন-এমন বিভিন্ন বিষয় আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে সক্ষম। এগুলো নিয়ে আমরা মাত্রাতিরিক্ত আলোচনা করলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। আর রাষ্ট্র পুনর্গঠন থেকে যদি আমরা পিছিয়ে যাই, তাহলে দেশ এবং দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার আব্বাস উদ্দিন খান মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর জনগণের ভোট দেওয়ার কোনো উপায় ছিল না। জনগণের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা অস্ত্রের বলে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অস্ত্র দিয়ে আমরা দেখেছি কখনও ডামি নির্বাচন, কখনও আমরা দেখেছি ভোটারবিহীন নির্বাচন। সেকারণেই আমরা দেখেছি উন্নয়নের নাম করে লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিয়ে গেছে। কোনোরকম জবাবদিহিতা ছিল না বলেই দেশের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমান আরো বলেন, ‘নির্বাচন অথবা বিচার ব্যবস্থা-প্রত্যেকটি ব্যবস্থাকে আবার পুনর্গঠন করতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামোর এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়া যত দ্রুত শুরু করা যাবে, আমরা তত দ্রুত দেশকে উন্নত করতে পারব। বিএনপি একমাত্র দেশকে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এ সময় দেশ পুনর্গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: সেলিম ভুইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোস্তাক আহম্মেদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, বিএনপি’র কুমিল্লা বিভাগীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সায়েদুল হক সাইদ, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য শেখ মোঃ শামীম, সালাউদ্দিন শিশির, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও জেলা বিএনপি নেতা মোঃ কবির আহম্মেদ ভুইয়া প্রমুখ।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর জেলা বিএনপির এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্রই ছিল উৎসবের আমেজ। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন রং-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকে। দুপুর ১২টার আগেই দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।