অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কলম্বো সফর শেষে ঢাকায় ফিরেছেন। আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে পিটার হাসকে বহন করা ফ্লাইটটি।
বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নং-ইউএল-১৮৯) একটি বিমানযোগে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি সোমবার (২৭ নভেম্বর) কলম্বো থেকে ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ১৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছিলেন পিটার হাস।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরেই বেশ দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে মার্কিন এ রাষ্ট্রদূতকে। এরই মধ্যে তার বিদেশ সফর নিয়ে নানান আলোচনা শুরু হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
বড় দলকে বাংলাদেশ প্রথম হারাল, এমন নয়। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডকে সিরিজ হারানোর সুখস্মৃতি এখনও খুব একটা দূরের গল্প নয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়টা আলাদা। তাদের সঙ্গে প্রথম বলে তো অবশ্যই , একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে খেলার ধরন, মানসিকতা, উইকেট সবকিছু মিলিয়েই।
সপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন বিকেল তিনটায় খেলা, তবুও গ্যালারি ছিল ভর্তি। তাদের গর্জনের সুরেও বোধ হয় ‘ভালো দল’ দেখার সেই সাক্ষী। মিরপুরে সন্ধ্যে নামার আগে জ্বলে উঠা মোবাইলের ফ্লাশলাইটে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টিতে বদলে যাওয়ার শুরু হলো কি না, উঠবে এখন এই আলোচনাও।
অনেকদিন ধরে হতাশার টি-টোয়েন্টি দল বিশ্বকাপের পর খেলতে নেমেছিল প্রথমবার। একাদশ, স্কোয়াডেও বদলও এসেছিল বেশ কিছু। ‘পারফরমারদের’ নিয়ে গড়া ‘সাকিব আল হাসানের দল’ দেখিয়েছে নতুন আশার আলো, দিয়েছে টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বার্তাও।
আজ ১২ মার্চ রবিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ আগেই প্রথমটিতে জেতা স্বাগতিকদের জন্য নিশ্চিত হয়েছে সিরিজও। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড পায় ১১৭ রানের সংগ্রহ। ৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। সফরকারীদের স্কোরকার্ডে তখন জমা হয়েছে ১৬ রান, ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন। তাকে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ডিপ থার্ড ম্যানে হাসান মাহমুদের হাতে ক্যাচ দেন ডেভিড মালান। ৮ বল খেলে এই ব্যাটার করেন ৫ রান। সঙ্গী হারালেও তিনে নামা মঈন আলীকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফিল সল্ট। ইংলিশদের চাপে ফেলতে তাসকিনকে দিয়ে টানা তিন ওভার করান সাকিব। উইকেটের দেখা না পেলেও ওই ওভারগুলোতে ১৯ রান দেন এই পেসার।
সপ্তম ওভারে নিজেই বোলিংয়ে এসে সল্টকে সাজঘরের পথ দেখান সাকিব। বাঁহাতি এই স্পিনারের ফ্লাইটেড ডেলেভারিতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বসেন ইংলিশ ওপেনার। সাকিব দারুণ ক্যাচ নিলে ১৯ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট।
এরপর দারুণ এক ইয়র্কারে জস বাটলারের স্টাম্প ভাঙেন হাসান। ৪ রানে বাটলার ফিরে গেলে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে শামীম পাটোয়ারির তালুবন্দি হন মঈন। ৫৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
এরপর স্যাম কারানের সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বেন ডাকেট। তাদের জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৬ বলে ১২ রান করা কারান হয়েছেন স্টাম্পিং। এক বল পরেই ক্রিস ওকসকেও শূন্য রানে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
এই স্পিনার ৪ ওভারে কেবল ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার। কম খরুচে ছিলেন বাংলাদেশের প্রায় সব বোলারই। তাসকিন আহমেদ নিজের ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এক উইকেট নিতে সাকিব ৩ ওভারে দেন ১৩ রান। ১ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ ২ ওভারে ১০ রান দেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
অল্প রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের দরকার ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। মাঝেমধ্যে বড় টার্ন নিচ্ছিল বল, পিচও ছিল কিছুটা স্লো; কিন্তু মিরপুরের এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদেরই তা সবচেয়ে ভালো জানা। শুরুটা অবশ্য ছিল কিছুটা হতাশার।
রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন দাস এদিনও আউট হন হতাশাজনকভাবে। ৯ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার স্যাম কারানের বলে পুল করতে যান। ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল সল্টে হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৬ রানে এসে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রনি তালুকদারও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে।
১৪ বলে ৯ রান করে এই ব্যাটার ক্যাচ তুলে দেন মঈন আলীর হাতে, জফরা আর্চারের বলে। তাওহীদ হৃদয় ব্যাটিংয়ে এসে দারুণ দুটি শট খেলেন। কিন্তু এই ব্যাটারও পারেননি ইনিংস টেনে নিতে। ২ চারে ১৮ বলে ১৭ রান করে পয়েন্টে দাঁড়ানো ওকসের হাতে তিনি ক্যাচ দেন রেহান আহমেদের বলে।
বাকিরা যখন পথ ধরছেন সাজঘরে, ফর্মে থাকা শান্ত তখন একাই টেনেছেন দলকে। সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আফিফ হোসেন কেউই তাকে দিতে পারেননি যোগ্য সঙ্গ। এক পর্যায়ে এসে ভয়ই ধরেছিল বাংলাদেশের। এর মাঝে অবশ্য মিরাজের ১৬ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান কিছুটা চাপ কমায়। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আফিফ হোসেন ধ্রুব যখন ফেরেন, তখনও বাংলাদেশের ১৩ বলে দরকার ১৩ রান।
শান্ত ফিরলেই বাংলাদেশের জন্য ছিল হারের বড় শঙ্কা। কিন্তু ক্রিস জর্ডানের করা ১৯তম ওভারে প্রতি আক্রমণে যান তাসকিন আহমেদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই ওভারে দুজন মিলে হাঁকান তিন বাউন্ডারি, শান্ত অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৩ চারে ৪৬ রান করে। জর্ডানের পঞ্চম বলে তাসকিনের চারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো মিরপুর।
নাজমুল হোসেন শান্ত জড়িয়ে ধরেন ক্রিজে থাকা আরেক ব্যাটার তাসকিন আহমেদকে। শান্ত চিৎকার করে এমন কিছুই বলতে চাইলেন কি না, ‘আমরা এসেছি নতুনের বার্তা নিয়ে’ এটুকু অবশ্য নিশ্চিত হওয়া গেল না।
জয়ের বড় কৃতিত্ব অবশ্য ব্যাটিং করতে শেখা তাসকিনেও। তিনি পরপর দুই চার মেরে সাত বল থাকতে দেশকে সিরিজ জেতান।
অনলাইন ডেস্ক :
দুই বছর আগে গুম ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, অভিনেত্রী শমী কায়সার ও তারানা হালিমসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধ মামলা করেছেন বিএনপির কর্মী সৈয়দ হাসান মাহমুদ। আজ ৯ অক্টোবর বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এ মামলার আবেদন করেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির মশিউর রহমান রাঙ্গা, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৯০ সালের ছাত্র আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনকে নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বাদী ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর তৎকালীন ১৪ দলীয় জোটের নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি সিএমএম আদালত খারিজ করে দেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বাদী মগবাজার নয়াতলা নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। বাদী ২০১৯ সালের সিটি করপোরেশন ঢাকা উত্তরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষে কমিশনার পদে নমিনেশন প্রত্যাশী ছিল।
এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করলে তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ২০২২ সালের ২২ জুন বাদীর ওপর হামলা করে দোকানের মালামাল লুটপাট করা হয়। এরপর ওই বছর ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টায় বাদী মগবাজার থেকে তার ব্যবসায?িক কাজে রামপুরা ব্রিজে যাওয়ার পথে সাদা পোশাকধারীরা তাকে মাইক্রোবাসে তুলে চোখে কালো কাপড় বেঁধে ও হাতে হাতকড়া পরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে হাত-পা বেধে মশিউর রহমান রাঙ্গা, শমী কায়সার ও তারানা হালিমের উপস্থিতিতে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। সেখানে চার দিন গুম করে রেখে ২৯ জুন হাতিরঝিল রাস্তার আইল্যান্ডের ওপরে রেখে যায়।
এরপর ওই বছরের ৮ জুলাই ভোর ৫টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে ১৪ দিন পর গত ২১ জুলাই সকাল ৬টার দিকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে যায়। সর্বশেষ ওই বছর ২৬ জুলাই ভোর ৭টায় হাতিরঝিল থানার পুলিশ বাদীকে তুলে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি, কিন্তু সংস্কারের কথা বলে দীর্ঘ সময় নেবার সুযোগ নেই। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া উচিত। নির্বাচন হলো গণতন্ত্রের অঙ্গ। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের ইচ্ছেমতো সরকার নির্বাচন করতে পারবে।
আজ ৩১ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ঈদগাহ মাঠে ঈদ জামাত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার না এলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আসুক। যে দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা সংস্কারের কাজগুলো করবে। এই সরকারের উচিত নির্বাচনের জন্য যে সংস্কার দরকার, তা করা।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক করে বলেন, ‘যদি নির্বাচন শীঘ্রই না হয়, তাহলে আবার আরেকটি স্বৈরাচার বা ফ্যাসিস্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। নির্বাচন যত দেরি হবে, ততই ফ্যাসিস্ট সরকারের উত্থান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।’
জেলা ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মুফতি সিবগাতুল্লাহ নূর। পরে নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মুনাজাত করা হয়।
এবার জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮০টি ঈদগাহ মাঠ এবং ৫১০টি মসজিদে ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। ঈদ জামাতকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পূর্ব দিকে দাউদ নগর বাজার রেলগেইট এলাকায় সিলেটগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যান তিনি। ওই বৃদ্ধের বয়স প্রায় ৬৫ বছর। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাব্বির আলী জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত বৃদ্ধের এখন পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে রাস্তা পারাপারের সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তার পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে খবর দেয়া হয়েছে। এদিকে, ট্রেনের নিচে কাটা পড়া ওই ব্যক্তির দেহ চিহ্নভিন্ন হয়ে গেছে।
স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশের কর্মীদের অনেকই মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে গিয়ে কাজ পাচ্ছে না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন দেশে সর্বনিম্ন কত বেতনে বাংলাদেশি কর্মীরা যাবে, সেটির একটি চাহিদাপত্র তৈরির বিষয়ে কাজ করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রত্যাশা প্রবাসীদের আশা’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। ‘প্রত্যাশা প্রবাসীদের আশা’ শীর্ষক সেমিনার ও চিত্র প্রদর্শনীর যৌথভাবে আয়োজন করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আইওএম ও ব্র্যাক।
ইমরান আহমদ বলেন, এ বছর (২০২২ সাল) আমাদের বিদেশে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা ১১ লাখ হয়ে গেছে। অর্থবছর হিসেব করলে এবং মালয়েশিয়ায় ভালোভাবে যাওয়া শুরু হয়ে গেলে ১৫ থেকে ১৬ লাখ কর্মী হয়ে যাবে। মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাসেসমেন্ট করা হচ্ছে, কোন কোন দেশে মিনিমাম কত স্যালারি হলে ডিমান্ড নোট গ্রহণ করব। আমরা একটা ফিগারে আসব।
এ সময় মন্ত্রী সৌদিতে বাংলাদেশিদের সঙ্গে অন্য দেশের কর্মীদের বেতনের যে পার্থক্য তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সৌদিতে আমাদের ওয়ার্কাররা পায় ৮০০ রিয়াল আর অন্যান্য দেশের ওয়ার্করা পায় ১ হাজার থেকে ১২শ রিয়াল। এখানে একটা বিষয়ে আমাদের গুরত্ব দেওয়া দরকার। আমাদের ওয়ার্কারদেরও দক্ষতা বাড়াতে হবে, এটা বিরাট দায়িত্ব।
অভিবাসন ব্যয় প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, অভিবাসনটা ওয়ান ওয়ে প্রসেস না। দু’পক্ষ থেকে এটা হয়। কর্মী পাঠানো দেশ হিসেবে আমাদের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা যে দেশে কর্মী পাঠাচ্ছি, সেদেশে কিন্তু আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। আমাদের লক্ষ্য মানুষ পাঠানো, অনেক ক্ষেত্রে রিজেনেভল না হলেও আমাদের হজম করে নিতে হয়। তাহলে কী সরকার বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় মেনে নিচ্ছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমেদ বলেন, বাধ্য হয়ে না। এটা ওই দেশের যে সিস্টেম আছে, সেটা আমাদের এগ্রি করতে হচ্ছে। এর মধ্যেই অন্যায় যেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখছি।
মন্ত্রী মালয়েশিয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মালয়েশিয়াতে আমাদের এমওইউ মোতাবেক খরচ প্রায় ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু আমি শুনতেছি, মালয়েশিয়ায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা নিচ্ছে। মালয়েশিয়ায় যে পরিমাণ কর্মী যাচ্ছে তার চেয়ে প্রায় ২০ গুন কর্মীকে ভুয়া মেডিকেল করানো হচ্ছে- এ ব্যাপারে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না?, জানতে চাইলে ইমরান আহমদ বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে যেসব রিক্রুট এজেন্সি ভুয়া মেডিকেল ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা নিয়ে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি সব লাইসেন্স বন্ধ করে দেব।
অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঢাকায় নিযুক্ত ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন ড. ব্রেন্ড স্পেনিয়ের বলেন, প্রবাসীদের দেশের উন্নয়নে শক্তিশালী অবদান রয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশি প্রবাসীরা ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। তবে আমরা নিরাপদ অভিবাসন প্রত্যাশা করি। সে লক্ষ্যেই আমাদের কাজ করতে হবে। ব্র্যাকের শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অভিবাসন বিষয়ক পরিচালক সাফি রহমান খান বলেন, প্রবাসীদের অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। কোভিড-১৯ কালেও প্রবাসীরা উল্লেখযোগ্য রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসীদের বিদেশের যাওয়ার পাশাপাশি ফিরে আসার পরেও কাজে যুক্ত করতে চাই আমরা। প্রবাসীদের দক্ষতা উন্নয়নে ব্র্যাকের অনেক উদ্যোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে আইওএম চিফ অব মিশন আব্দুস সাত্তার ইসব বলেন, নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে প্রত্যাশা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৫ বছরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সহযোগিতা করছে বলে আমরা ধন্যবাদ জানাই।