চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ২৭ নভেম্বর সোমবার বেলা তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে তিনি সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার বাসিন্দা এবং আর এ কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাঁশফুল রেস্তোরার সামনে সরকারি কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথ। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যের আহতের ঘটনায় হওয়া ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে চার নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে আসনে একরামুজ্জামান। একরামুজ্জামানের সাথে ঢাকা থেকে ব্যারিষ্টার আনিছুর রহমান ও আইনজীবী বিপ্লব কুমার চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন।
দুপুর ১২টার দিকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে (নাসিরনগর আমলী আদালত) বিস্ফোরক আইনের ধারার মামলায় হাজিরা দেন। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০জন আইনজীবী শুনানীতে অংশ নেন।
আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানের পক্ষের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, বিস্ফোরক আইনের মামলার তারিখ গত ২ নভেম্বর। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ গত ২ নভেম্বর ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানী শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এই প্রমাণপত্রসহ আরো অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) রকিবুল হাসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া এই মুহুর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সবকিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন। তিনি তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এই আসনে মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
সৈয়দ একরামুজ্জামানের ঘনিষ্ঠজনরা বলেন, একরামুজ্জামান নির্বাচনে অংশ নিতেই উপজেলার তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কাউছার আহমদ বলেন, দুপুর তিনটার দিকে মোঃ বকুল মিয়া নামে একজন সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে উপজেলার ৯৫জন হতদরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মধ্যে ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
আজ ২৪ জুন শনিবার সকালে স্থানীয় ডাকবাংলো অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনুদানের এইসব চেক বিতরণ করেন।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, জেলা পরিষদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া হাকিম রাজা, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৯৫ জন অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ছদ্মবেশে এক জীবন মিয়া (৫০) নামে এক ডাকাতকে ধরে কাঁধে করে তুলে নিয়ে আসেন পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য ডাকাত জীবন পুলিশকে কামরালেও হাল ছাড়েনি পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের একটি জমি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জীবন মিয়া হরিপুর গ্রামের হুরন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে। সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করতে শুরু করে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ। ডাকাত জীবনকে গ্রেপ্তারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রুপন নাথ আরো একজন কর্মকর্তা ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছিলো। তখন পুলিশ সদস্যরা সেখানে সাদা পোশাকে অবস্থান নেয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে ইফতার করার জন্য পানি চায়। তখন এক পর্যায়ে জীবনকে আটক করে পড়ানো হয় হাতকড়া।
এ সময় জীবন মিয়া পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে হাতকড়া নিয়েই দৌঁড়ে পালায়। পুলিশ সদস্যও ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে।
এক পর্যায়ে এএসআই মোঃ কামরুল হাতে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ব্যাপারে এস.আই রূপন নাথ জানান, পাঁচজন মিলে এ অভিযান চালানো হয়। জীবন খুবই ধুর্ত। সে পালানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে বাধ্য হয়ে কাঁধে তুলে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় রানা নামে পুলিশ কনস্টেবল আহত হওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জীবন ডাকাত খুবই ধুর্ত প্রকৃতির। তাকে গ্রেপ্তার করা যাচ্ছিলো না। গোপন সংবাদে এ অভিযান চালানো হয়। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও বিভিন্ন অফিসে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদ এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে এক ঘণ্টার ‘কলম বিরতি’ পালন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। কলম বিরতি পালনকালে কর্মকর্তাগণ বলেন, উপসচিব পুল কোনো বিশেষ ক্যাডারের পদ নয়।
সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অপকৌশল ও অজুহাতে এ সকল পদে নিজেদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার। ২০১৮ এর নির্বাচনের পর সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ রহিত করা হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি এ সকল পদ নিজেদের তফসিলে বসিয়ে নিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার। এরূপ কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে ভারসাম্যহীন ও অকার্যকর করার মাধ্যমে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে গভীর ষড়যন্ত্র ও মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নামান্তর।
এসময় কর্মকর্তাগণ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছে যা মৌলিক অধিকার ও জুলাই-বিপ্লবের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। যেহেতু প্রশাসন ক্যাডার নাগরিকদের কোনো অনগ্রসর অংশ নয়, সেহেতু উক্ত ক্যাডারের জন্য উপসচিব পুলে কোটা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেরও সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করার কথাও জানানো হয়েছে যা উদ্দেশ্যমূলক। “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরিষদ কলম বিরতি ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে স্ব-স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি, ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত চারজনের পাশাপাশি বিএনপি সমর্থক একজন প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের চারজনের মধ্যে তিনজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা।
আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। আজ ২২ সোমবার শেষ দিনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলার গুনিয়াউক ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত গোলাম সামদানি ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন মিয়া পাঠান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ইয়াছিন প্রবাসী হুমায়ুন কবীরকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রোমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, আওয়ামী লীগের সমর্থক উপজেলার ধরমন্ডলের বাসিন্দা প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর এবং কুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের টানা চারবারের (২০১৬ সাল পর্যন্ত) চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ওমরাও খান।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে নৌকার প্রার্থী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন। এই আসনে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ নেতা রোমা আক্তার, মনিরুজ্জামান সরকার ও প্রদীপ কুমার রায় একরামুজ্জামানের পক্ষে নির্বাচন করেছিলেন। অন্যদিকে উপজেলার ধরমন্ডলের প্রমোদ রঞ্জন সূত্রধর আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের অনুসারী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসিম কুমার পাল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত হলো কাউকে সমর্থন দেওয়া হবে না। আর দলের যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা কেউই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি। তাঁরা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতার কলার ছড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচন করেছে। নির্বাচন যেহেতু উন্মুক্ত। তাই কে প্রার্থী হলো বিবেচ্য বিষয় নয়।
বিএনপির নেতা ওমরাও খান বলেন, ‘সারা দেশেই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেসব নেতা-কর্মী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন, বিএনপি তাঁদের বহিষ্কার করবে। নেতা-কর্মীরা বহিষ্কার হবেন। এতে কিছু যায়-আসে না। এখানে নির্দলীয় নির্বাচন হবে। আর কোনো প্রার্থীকে আমি প্রভাবশালী মনে করি না। কেউ কোনো প্রভাব বিস্তার করতেও পারবে না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টের উপজেলা পর্যায়ের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩০জুলাই রবিবার বিকালে উপজেলার আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। খেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ কবির হোসেন ও মোঃ মাজহারুল হুদা।
নাসিরনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে খেলায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অসীম কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ লতিফ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার ও উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নূর আলম শেখ, বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
খেলায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টে নূরপুর লাহাজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১-০ গোলে পরাজিত করে নাসিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্টে চৈয়ারকুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ১-০ গোলে পরাজিত করে লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ী দল, রানার্সআপ খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি বলেন, বর্তমান সরকার খেলাধুলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। যার ফলে ক্রিকেট ফুটবলসহ সকল খেলায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এইটুর্ণামেন্ট জনপ্রিয়তা পেয়ে গ্রামগঞ্জে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শুধু তাই নয়, খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হওয়ায় আমাদের সন্তানরা বিপথগামী না হয়ে সঠিক পথের দিশা পাচ্ছে।