অনলাইন ডেস্ক :
লটারিতে প্রথম ধাপে স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আগামী ৫ দিনের মধ্যে ভর্তি সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ২৯ নভেম্বর বুধবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) ও ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ডিজিটাল লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল শিট (অপেক্ষমাণ তালিকাসহ) এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলাফল শিটের প্রথম তালিকা অনুযায়ী- আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। এরপর আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম তালিকা থেকে ভর্তির পরবর্তী ৪ কর্মদিবস প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে। তারপরের তিনদিনে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ক্রমিক নম্বর অনুসারে ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।
শিক্ষার্থী যাচাই যেভাবে
কেন্দ্রীয় ডিজিটাল লটারির আওতাভুক্ত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের https://gsa.teletalk.com.bd লিংকে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের User ID ও Password দিয়ে Login করে ডাউনলোড অপশনে Click করতে হবে। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানে কারা আবেদন করেছিল, সেই তালিকা পাওয়া যাবে।
ডিজিটাল লটারিতে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য নির্বাচিত প্রথম তালিকা এবং প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকার শিক্ষার্থীদের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য এ লিংক থেকে যাচাই করতে পারবেন। লিংকে তথ্যাদি টাইপ করে Submit করলে আবেদনকারী কতবার আবেদন করেছে, তাও জানা যাবে।
এক্ষেত্রে কোনো আবেদনকারী তথ্য পরিবর্তন করে একাধিকবার আবেদন করে থাকলে ডিজিটাল লটারিতে তার ভর্তির নির্বাচন বাতিল বলে গণ্য হবে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে নির্বাচিতদের তালিকা প্রদর্শন করবেন।
ভর্তির জন্য যেসব কাগজপত্র লাগবে
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাইকালীন শিক্ষার্থীর জন্মসনদের মূল কপি, জন্মসনদের অনলাইন কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইনে যাচাই করতে হবে)। পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) মূল কপি ভালো করে দেখতে হবে।
যেসব কারণে বাদ পড়বেন নির্বাচিতরা
ভর্তির সময়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করার নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। কেউ যদি মিথ্যা তথ্য দিয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে থাকলে (যাচাই সাপেক্ষে) তাকে ভর্তি করা যাবে না।
কোটার ক্ষেত্রে যেসব নিয়ম প্রযোজ্য
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বশেষ জারি করা ভর্তি নীতিমালায় যেসব কোটা সংরক্ষিত রয়েছে, ভর্তির সময়ে ওইসব কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের কোটা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যথাযথভাবে যাচাই করতে হবে। শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছাড়া অন্য কোটায় শূন্য আসন পূরণ না হলে সাধারণ নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অপক্ষেমাণ তালিকার ক্রমানুসারে শূন্য আসন পূরণ করতে হবে। কোনোভাবেই আসন শূন্য রাখা যাবে না।
মাউশির নির্দেশনা অনুসরণ না করে বিধিবহির্ভূতভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে এবং পরে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে দায়ী থাকবেন বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোতাম টিপে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর শুরু হয় দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে লটারি। ফলাফল প্রস্তুত করা হয় সম্পূর্ণ সফটওয়্যারের মাধ্যমে। এদিন দুপুর ২টার দিকে লটারির ফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
লটারির ফলাফল ই-মেইলে স্কুলপ্রধানদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে মাউশি। আর শিক্ষার্থীরা কে, কোন স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে- সেটা আবেদনের সময় তাদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে মনোনীত সবাই এসএমএস পাবে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, দেশের ৬৫৮টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য আসন ছিল এক লাখ ১৮ হাজার ১০১টি। বিপরীতে আবেদন করেছিল ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ জন। তাদের মধ্যে প্রথম দফায় এক লাখ ৩৯ জনকে ভর্তির জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৫৩ হাজার ১১ জন ছাত্র ও ৪৭ হাজার ২৬ জন ছাত্রী। তৃতীয় লিঙ্গের রয়েছে দুজন।
অন্যদিকে বেসরকারি মাধ্যমিকে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৪৮৯ জন শিক্ষার্থী। দেশের মহানগর ও জেলা সদর পর্যায়ের ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে তারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শূন্য আসন রয়েছে ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি।
মাউশির মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, ‘ডিজিটাল লটারিতে তিন ধাপে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।’
তিনি জানান, দুটি অপেক্ষমাণ তালিকায় ২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৩ শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকায় সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৮০ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী। বেসরকারি স্কুলে সুযোগ পেয়েছে ৯৬ হাজার ২১৮ জন। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকায় সরকারি স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৫৭ হাজার ৭৭৪ জন। বেসরকারি স্কুলে সুযোগ পেয়েছে ৬৪ হাজার ৬১২ শিক্ষার্থী।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত/ ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে/ নতুন নিশান উড়িয়ে/ দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক/ এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে হে স্বাধীনতা।’ সত্যিই বাংলায় এসেছে সেই মহার্ঘ্য স্বাধীনতা। আর আজ বাঙালির সেই গৌরবদীপ্ত দিন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি।
বাঙালি জাতির জীবনে ২৬ মার্চ দিনটি একই সঙ্গে গৌরব ও শোকের। বাঙালির ওপর পাকিস্তানি শাসকেরা শোষণ এবং ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর যে আগ্রাসন চালিয়েছিল, এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধিকারের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বাঙালিরা। তারা ২৫ মার্চ মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে প্রতিটি বাঙালির মনে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মৃত্যুপণ লড়াই ও রক্তসমুদ্র পাড়ি দিয়ে বীর বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে জাতীয় ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা।
প্রতিবছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করে দিবসটি উদযাপন করে গোটা জাতি। বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী দেশের বীর সন্তানদের। শ্রদ্ধা জানায় মহান স্বাধীনতার রূপকার বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাতীয় নেতা, নৃশংস গণহত্যার শিকার লাখো সাধারণ মানুষ এবং সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি।
এই মহার্ঘ্য স্বাধীনতা অর্জন করতে বাঙালি জাতিকে করতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম, দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের অব্যবহিত পরেই ভাষার প্রশ্নে একাত্ম হয় বাঙালি। ১৯৪৮, বায়ান্ন পেরিয়ে চুয়ান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টির পথ বেয়ে আসে ১৯৬৯।
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে কেঁপে উঠেছিল জেনারেল আইয়ুবের গদি। জনতার সাগরে সৃষ্টি হয়েছিল তাল স্রোতধারা। ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত ছিল গ্রাম-শহর, জনপদ। শত ষড়যন্ত্র ও সামরিক জান্তার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্তরের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
কিন্তু বাঙালির হাতে শাসনভার দেয়ার বদলে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার নামে করতে থাকেন কালক্ষেপণ। পর্দার আড়ালে প্রস্তুত হয় হিংস্র কায়দায় বাঙালি হত্যাযজ্ঞের ‘নীলনকশা’।
কিন্তু ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণেই পাওয়া যায় মুক্তির দিকনির্দেশনা। আক্ষরিক অর্থেই তখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসন চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। সেই প্রবল প্রদীপ্ত আন্দোলনের জোয়ারে ধীরে ধীরে বাঙালির হৃদয়ে আঁকা হয় একটি লাল-সবুজ পতাকা, একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের ছবি।
কিন্তু বাঙালির আবেগ, সংগ্রাম ও মুক্তির আকাক্সক্ষাকে নির্মূল করতে অস্ত্র হাতে নামে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাকে রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শুরু করে নিষ্ঠুর গণহত্যা।
সেই কালরাত্রি থেকেই শুরু হয় মৃত্যু, ধ্বংস, আগুন আর আর্তনাদ, পৈশাচিক বর্বরতা। কিন্তু ওই ঘোরতর অমানিশা ভেদ করেই দেশের আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার চিরভাস্বর সূর্য। ২৬ মার্চের সূচনালগ্নে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে জীবনপণ সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম অর্জন- মহান স্বাধীনতা।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে টানা পঞ্চমবারের মতো My Road, My Responsibility নামক কর্মসূচি পালন করেছে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদস্যরা।
আজ ২৬ অক্টোবর শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপী কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলীতে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় তারা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। সড়কে নিরাপত্তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হেলমেট পরিহিত মোটরসাইকেল আরোহীদের ও ট্রাফিক আইন মেনে চলা যানবাহন চালকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মহাসড়ককে নিরাপদ রাখতে নিরলস পরিশ্রম করা হাইওয়ে পুলিশকে থ্যাংকইউ কার্ড এবং ফুলেল শুভেচ্ছাও জানান তারা।
জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন, ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম, সহ-সভাপতি সাদিয়া চৌধুরী, মানব সম্পদ কর্মকতা জসিম মিয়া, প্রকল্প কর্মকর্তা বায়েজিদ বিন বাশার, ভিবিডির সাকেব সহ-সভাপতি ও বর্তমান কমিটি মেম্বার টি.এম. একরাম, সাধারণ সদস্য ইমান হুসাইন, জয়নব আক্তার স্নেহা, আমিনুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, আশিকুর রহমান সিফাত প্রমুখ।
ভিবিডি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ফজলুল করিম বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। অসচেতনতার জন্য সড়কে নানাভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হয়, প্রাণহানীসহ মানবসম্পদের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা মহসড়কে দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ব্যানার, প্লে-কার্ড, এবং ফেস্টুন প্রদর্শন করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে বগুড়ায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর হলরুমে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ) বগুড়ার মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ খুরশীদ ইকবাল রেজভী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা দরকার। এ জন্য খাদ্য উৎপাদনকারী ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাদেরকে অবহিত করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য সকলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী। এ খাদ্যকে স্বাভাবিক এবং ভেজাল ও অন্যান্য দূষণ থেকে নিরাপদ অবস্থায় বিতরণ এখন সময়ের ব্যাপার। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ছাড়াও নানা কারণে খাদ্য দূষিত হতে পারে। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহণ, খাদ্যগ্রহণ প্রক্রিয়ার যে কোন পর্যায়ে শিল্পায়িত খাদ্য খাদ্যের অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার দ্বার পর্যন্ত খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত রাখা সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন ও খাদ্য অধিদপ্তরসহ সবাইকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রয়োজনে আরো জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং অভিযান চলমান রাখতে হবে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. রাসেল এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এনএসআই বগুড়ার উপপরিচালক ফয়সাল আহম্মেদ, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের সিনিয়র কনসালটেন্ট মো. আইয়ুব হোসেন, কনসালটেন্ট (প্রকিউরমেন্ট ও বাস্তবায়ন) শেখ নূরুল আলম। কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিপণনের বিভিন্ন পদ্ধতি ও নিরাপদ খাদ্য আইন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে রমজান মাস উপলক্ষে বাজার মনিটরিংয়ে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৫ মার্চ শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন।
বাজার মনিটরিং করার সময় দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায়, ও অতিরিক্ত টাকায় জিনিসপত্র বিক্রি করায় ১৩ ব্যবসায়ীকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত।
জানা যায়, শনিবার বোয়ালমারী পৌর সদরের মুরগির বাজার, চালের বাজার, মাছের বাজার, কাচা বাজার, মাংসের বাজারসহ সকল ধরণের বাজার মনিটরিংয়ে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মনিটরিং করার সময় দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় এবং জিনিসপত্র অতিরিক্ত টাকায় বিক্রি করাসহ নানা অপরাধে ১৩ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাজার মনিটরিং করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন। এ সময় সকল ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা টানানোর নির্দেশ দেন তিনি ।
জরিমানা দেওয়া ব্যবসায়ীরা হলেন, মুরগি ব্যবসায়ী মিজানুরকে ১ হাজার, আলমগীর শেখ ১ হাজার, নুরুল ইসলাম ৩ হাজার, টুটু ১ হাজার ও মুদি দোকান ব্যবসায়ী মুক্তার ৫ হাজার, টিপু শেখ ৩ হাজার, সন্তোষ কুমার ৫ হাজার, বিশ্বনাথ ৫ হাজার, নিরজন ৩ হাজার এবং মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম ৩ হাজার, আনোয়ার হোসেন ৩ হাজার, ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী বিপ্লব ১৫০০, মিটুর ১৫০০ টাকা জরিমানা দেন। তের ব্যবসায়ী থেকে সর্বমোট ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসাইন বলেন, পবিত্র রমজান মাসে বাজার মনিটরিং করার সময় মূল্য তালিকা না থাকায় এবং দাম বেশি নেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ও বিভিন্ন ধারায় ১৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা ৩৬ হাজার টাকা করা হয়েছে। রমজান মাসসহ সারা বছর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দুই দশক আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন) ও আপিলের রায় ঘোষণা হয়েছে। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত দুটি ডেথ রেফারেন্স, আসামিদের আপিল ও জেল আপিল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ ১ ডিসেম্বর রবিবার এ রায় দেয়। সেইসঙ্গে বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ বলে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
এরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি বলেছেন, ‘বিচারিক আদালতের বিচারটা অবৈধ বলা হয়েছে রায়ে। বিচারিক আদালতে আইনের ভিত্তিতে বিচারটা হয়নি। বিচারিক আদালতের রায়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সবার আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। রুল যথাযথ ঘোষণা করেছেন। সবাইকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’
শিশির মনির বলেন, ‘বিচারিক আদালতের বিচারটা অবৈধ বলা হয়েছে রায়ে। আইনের ভিত্তিতে বিচারটা হয়নি। কোনো সাক্ষীর সঙ্গে কোনো সাক্ষীর বক্তব্যে মিল নেই। শোনা সাক্ষীর ওপর ভিত্তি করে রায় দেওয়া হয়েছে। আপিল মঞ্জুর করে ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মামলায় পরস্পর কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন- এ মর্মে কোনো এভিডেন্স (প্রমাণ) নেই। যাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, তা নির্যাতনের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। মুফতি হান্নান দু’টি জবানবন্দি দিয়েছেন। দ্বিতীয় স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সাজা দেওয়ার নজির নেই। এই স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করেন তিনি। এ জন্য এর আইনগত মূল্য নেই। দ্বিতীয় অভিযোগপত্র দায়রা আদালতে দাখিল করা হয়। দায়রা আদালত এটি আমলে নিয়েছেন। আইন অনুযায়ী তিনি (দায়রা আদালত) এটা করতে পারেন না। এ জন্য এই অভিযোগ আমলে নেওয়ার ভিত্তিতে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাকে অবৈধ বলেছেন হাইকোর্ট।’