চলারপথে রিপোর্ট :
ব্যাংকারদের মধ্যে অভিজ্ঞতা ও তথ্য বিনিময়, পেশাগত ও সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে এসোসিয়েশনভূক্ত ব্যাংকসমূহের সদস্যদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের ১২৫ শাখায় কর্মরত প্রায় ছয় শতাধিক কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ‘এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হলো। আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় আমিন কমপ্লেক্সে (৮ম তলা) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মোঃ মোবারক হোসেন।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনতা ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান মোঃ আবু হানিফা, কৃষি ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ খান, কর্মসংস্থান ব্যাংকের অঞ্চল প্রধান তালিম হোসেন।
সভায় এসোসিয়েশনভূক্ত ব্যাংকসমূহের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এসোসিয়েশনের প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনির এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এ ছাড়াও ২০২২, ২০২৩ সনে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণদের এবং ২০২৩ সনে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সভায় এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সোনালী ব্যাংকের এজিএম মোঃ শরীফুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অগ্রনী ব্যাংকের এসপিও মোঃ ছাগীউর রহমান।
একে একে সকল ব্যাংকের নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সভা সঞ্চালনা করেন সোনালী ব্যাংকের এসপিও মোঃ শহিবুর রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ-আখাউড়া নির্মাণাধীন মহাসড়কের ফোরলের প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। গত ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর প্রকল্পের নির্মাণ কাজ ফেলে চলে যায় প্রকল্পে কর্মরত ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকেরা। এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে ফোরলেন প্রকল্পের কাজ। এই অবস্থায় খানাখন্দে ভরপুর চট্টগ্রাম-সিলেট ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে যানবাহন চলাচলে বেড়েছে ভোগান্তি। বর্তমানে তা চরম আকার ধারণ করেছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এই প্রকল্পের কাজ আবার কবে নাগাদ শুরু হবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২০১৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হওয়ার পর ভারতীয় নমনীয় ঋন এলওসির অধীনে ২০১৮ সালে তিনটি প্যাকেজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত দুইলেন থেকে মহাসড়কটি চারলেনে উন্নয়ন কাজ শুরু করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। প্রকল্পটির কাজ শুরুর পর গত ২০১৯ এবং ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পটির কাজ অনেকটাই থমকে যায়। পরবর্তীতে বালু সংকটের কারণে আরো ৬মাস বিলম্ব হয় প্রকল্পের নির্মান কাজের। এরই মধ্যে গত ২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছিল। এর মধ্যে প্যাকেজ-১ এর অধীনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের গোল চত্বর থেকে বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত একপাশের দুই লেনের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে।
প্যাকেজ-২ এর অধীনে বিশ্বরোড থেকে ধরখার পর্যন্ত এক পাশের কাজ অনেকাংশেই শেষ হয়েছে। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর বাইপাস, ঘাটুরা বিরাসার, পৈরতলা, রাধিকা ও উজানিসার এলাকায় মহাসড়কের একপাশে খানাখন্দ থাকায় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে করে সড়কটি দিয়ে চলাচলরত যানবাহন, চালক এবং যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আল আমিন জানান, আখাউড়া-আশুগঞ্জ সড়কটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের কাজ বন্ধ থাকায় যানবাহনের চালক, যাত্রী এবং স্থানীয়রা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। খানাখন্দ সড়কের কারণে প্রতিনিই ঘাটুরা, বিরাসার, পৈরতলা, পুনিয়াউট, রাধিকা এলাকায় যানজট লেগে থাকে। এতে করে যাত্রীরা ঘন্টার পর ঘন্টা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অন্যদিকে সড়কের তীব্র ধুলার কারণে আশপাশের বাসা বাড়ি সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতা সংকটে অনেকটাই লাটে উঠেছে। তিনি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্যে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
পরিবহন চালক আলমগীর মিয়া বলেন, নির্মাণাধীন সড়কটি দিয়ে যানবাহন চালাতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে পড়ে থাকার পাশাপাশি যানবাহনের নাট-বল্টু, চাকা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। তিনি সড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে আখাউড়া-আশুগঞ্জ ফোরলেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মোঃ শামীম আহমেদ জানান, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চারলেন প্রকল্পটি তিনটি প্যাকেজে বাস্তবায়ন হচ্ছিল। তিনটি প্যাকেজেই ঠিকাদার ছিলেন ভারতের এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভারতীয়রা তাদের হাইকমিশনে নিরাপত্তার কথা বলে সবাই দেশে চলে গেছেন। তারা কবে ফিরে আসবে এ ব্যাপারে কিছুই জানায়নি তারা। শ্রমিকরা চলে যাবার পর থেকে আমাদের প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বন্ধ আছে। কবে চালু হবে আমরা তা এখন বলতে পারছি না। চলমান দুইটি প্যাকেজের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশত ভারতীয় লোক কাজ করতো। বর্তমানে তাদের মধ্যে একজনও বাংলাদেশে নেই।
তিনি আরো জানান, আমাদের প্যাকেজ-১ এর আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত মহাসড়কের ৬২ শতাংশ এবং বিশ্বরোড থেকে ধরখার বাজার পর্যন্ত ৫২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ যেহেতু ভারতীয় ঠিকাদারের অধীনে ছিল, তাই রাস্তার বর্তমানে মেরামতের দায়িত্বও তাদের ছিল। যেহেতু তারা নেই, তাই রাস্তা মেরামত করার মত জনবল বা যন্ত্রপাতি আমাদের হাতে নেই। আমরা রাজস্ব খাত থেকে টাকা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে উপর থেকে।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ শামীম আহমেদ আরো বলেন, গত ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর নির্মানাধীন প্রকল্পটির ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৩৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক চলে যাওয়ার পর প্রকল্পের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হচ্ছে। আমরা চুরি ঠেকানোর জন্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিয়েও চুরি ঠেকাতে পারছিনা। তিনি এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার ফোরলেন প্রকল্পটিতে একটি উড়াল সেতুসহ ১৬টি ব্রীজ-কালভার্ট রয়েছে। প্রকল্পের নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮৯১ কোটি টাকা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক পৃথক অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক শুভ (২৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাহিদ সরকার (৪২), বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুল হক মান্না (৫৫) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আদেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন বলেন, জেলার বিজয়নগরে ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় রাষ্টু মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এই নাশকতা মামলায় মাহমুদুল হক মান্নাকে জেলা শহরের পাইকপাড়া ও আদেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে কান্দিপাড়া মহল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলের মৃত্যুর খবরে মায়ের মৃত্যু হয়েছে। হৃদয় বিদারক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (৩৮) এর হার্টের সমস্যা ছিলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে সাগর মিয়ার স্ট্রোক করলে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি রাত হয়। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাগর মিয়া মারা যান।
সাগরের চাচাতো ভাই মনির হোসেন বলেন, হাসপাতালে সাগর মারা গেছেন এই খবর শুনে সাগরের মা মুর্শিদা বেগম-(৬৫) ও হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনার পথে রাত ১০ টার দিকে তিনিও মারা যান।
এ ব্যাপারে মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিনুল হক পাবেল বলেন, সাগর মিয়া পেশায় একজন অটোচালক ছিলো। সাগরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার মা মুর্শিদা বেগমও মারা গেছেন। ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদায়ক। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দীর্ঘ ২০ বছর পরে দেশে ফিরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ সফর সঙ্গী হিসাবে দেশে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃতি সন্তান শাহ মোঃ ইব্রাহিম। গতকাল ১৩ অক্টোবর রবিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। তার আগমন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
যুক্তরাজ্য কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ ইব্রাহিম বলেন, আপনারা দেখেছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চোরের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গর্তে ঢুকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমরা এই মাটির ভূমিপুত্র, আমরা এই মাটিতে ফিরে এসেছি। জনগণ এখন তারেক রহমানকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখতে চাই। এমএ মালিকের সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সদস্য সচিব, যুক্তরাজ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহবায়ক শাহ মো ইব্রাহীম মিয়া। তিনি এর আগে এবছরেই ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে এসেছিলেন। এবারে তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাংলাদেশে আসা যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ মালিক ভাইয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে আসলেন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যান। তিনি জানান, ঢাকায় চারদিন অবস্থান করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১৭ অক্টোবর তিনি নিজের জন্মস্থান সিলেটে যাবেন। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকবেন। সর্বশেষ ২০০৫ সালে দেশে এসেছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা বিএনপি নেতা এমএ মালিক। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নানা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় এই যুবদল নেতা। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সফরকালে ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। সে সময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য এমএ মালিককে আলোচনায় বসতে চায়ের দাওয়াত দেন শেখ হাসিনা। তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
সুন্দর ও সৌহাদ্যপূর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গঠনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি’র নব-ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। গতকাল ১০ মে শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এই সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আমরা আর পেছনের দিকে তাকাবোনা। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হবে আমাদের লক্ষ্য। সকলে মিলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ন্যায় প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে একটি সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিষ্ঠা করবো। বিগত দিনে রাজনীতিতে যে চর্চা হয়েছে, সেই চর্চা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই। সাংবাদিকরা হলেন আমাদের সহযোগি শক্তি। আমরা আমাদের কাজে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাই। সে কারণেই কমিটি ঘোষণার পরদিনই প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ বিবেচনায় আমরা আপনাদের সাথে স্বাক্ষাৎ করতে চলে এসেছি।
সভায় নতুন কমিটির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট তরিকুল ইসলাম খান রুমা, এ.বি.এম মোমিনুল হক, আনিছুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, পীযুষ কান্তি আচার্য, মফিজুর রহমান লিমন, শিহাব উদ্দিন বিপু, শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল সম্প্রতি বুয়েট গ্রাজুয়েট ক্লাব নির্বাচনে এবং জেলা বিএনপির কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তাকে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপি’র নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জসীম উদ্দিন রিপন, মোঃ নজির উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান শাহীন, মাইনুল হোসেন চপল, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ ফারুক মিয়া প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।