পাঁচ প্রকল্পে বাংলাদেশকে ১০৩ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

জাতীয়, 28 November 2023, 500 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের পাঁচ উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১০৩ কোটি ডলার ঋণ দিতে সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা।

আজ ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং এডিবির বাংলাদেশ অফিসের মধ্যে এই ঋণচুক্তি সই হয়। চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং।

এডিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্যাসের আবাসিক গ্রাহকদের জন্য সাড়ে ৬ লাখ স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের একটি প্রকল্পে ২০ কোটি ডলার ঋণের একটি চুক্তি সই হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে এর কাজ চলবে।

এ ছাড়া গোপালগঞ্জে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগ কোম্পানির টিকা উৎপাদন কারখানা প্রতিষ্ঠায় ৩৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার ঋণের আরেকটি চুক্তি হয়েছে।

এছাড়াও দক্ষিণ এশীয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কর্মসূচির (সাসেক) অধীনে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলে আধুনিক মহাসড়ক নির্মাণে ৩০ কোটি ডলার এবং বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার ও আইটি শিক্ষার প্রকল্পে ১০ কোটি ডলার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের একটি প্রকল্পে ৯ কোটি ডলার ঋণের চুক্তি সই হয়েছে।

Leave a Reply

লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস মিনিস্টার হিসেবে…

অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার Read more

সিইসি নাসির উদ্দীনসহ নতুন ৪ নির্বাচন…

অনলাইন ডেস্ক : নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম Read more

সরাইলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ :…

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে ২৩ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যার পর বিএনপির Read more

আইসিসির পরোয়ানা : নেতানিয়াহু কানাডায় গেলে…

অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ Read more

মামলায় কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির…

অনলাইন ডেস্ক : ৫ আগস্টের পরে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে Read more

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে…

চলারপথে রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশ সফলের লক্ষ্যে Read more

সাহিত্যের আড্ডায় গুণীদের মিলনমেলা

চলারপথে রিপোর্ট : প্রাণবন্ত এক হঠাৎ আড্ডায় মেতে উঠেছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া। Read more

নবীনগরে অগ্নিকান্ডে ১২ দোকান ভস্মিভূত

চলারপথে রিপোর্ট : নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে Read more

মদসহ ভারতীয় নাগরিক আটক

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিদেশি Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

পাঁচ তলার কার্নিশে আটকে পড়ল শিশু, ৯৯৯ নম্বরে ফোন কলে উদ্ধার

জাতীয়, 25 October 2023, 564 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ত্রিশালের মাদ্রাসাতুল ইদকান নামক মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র দশ বছর বয়সী এক শিশু মাদ্রাসা থেকে পালাতে গিয়ে ভবনের পাঁচতলার ছাদের কার্নিশে আটকে পড়ে। এমন তথ্য জানিয়ে আজ ২৫ অক্টোবর বুধবার ইসহাক নামে একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি উদ্ধার সহায়তার অনুরোধ জানান।

কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল এএসএম ফয়সাল। কনস্টেবল ফয়সাল তাৎক্ষণিকভাবে ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ফায়ার ডেসপাচার ফায়ার ফাইটার মো. হানজালাল উদ্ধার সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।

সংবাদ পেয়ে ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়।

ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেয়া স্টেশন অফিসার সাদেকুর রহমান ৯৯৯ কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।

পরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু একটি গ্রিন নগরীতে গড়ে তোলা যায় এই পরিকল্পনা করেছি: গণপূর্তমন্ত্রী

জাতীয়, 11 July 2024, 201 Views,

অনলাইন ডেস্ক:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যে পরিকল্পনায় বাস্তব অগ্রগতি নেই সে পরিকল্পনা মূল্যহীন।

আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে রাজউক ভবনের অডিটোরিয়ামে সিটি ক্লাইমেট ফাইন্যান্স গ্যাপ ফান্ড এর সহায়তায় রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) এবং GIZ (Deutche Gesellschaft Fur Internationale zusammenarbeit) কর্তৃক প্রস্তুতকৃত “হাজারীবাগ ও লালবাগের জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু পরিকল্পনার কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে হাজারীবাগের ট্যানারিগুলি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল এখন পর্যন্ত তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। যেখানে সরিয়ে নিয়েছি সেখানেও কাজটি ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হলে শুধু পরিকল্পনা করে লাভ নেই। দ্রুততম সময়ের মধ্যে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। আমি চাই আগামীকাল থেকেই আপনারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবেন। এবছরের শেষেই যেন কাজের অগ্রগতি দৃশ্যমান হয় আপনারা সেভাবে কাজ করবেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, আসুন আমরা আইন কানুন ও বিধিনিষেধ মেনে চলি। ক্লাইমেটের রেজিলিয়েন্সের জন্য ওয়ার্কশপ ও প্লানিং এর প্রয়োজন আছে। কিন্তু একটা কথা সবসময় চিন্তা করতে হবে আমাদের দ্বারা যেন ক্লাইমেট নষ্ট না হয়। আমরা যখন বাড়ি বানাবো তখন যতটুকু ছেড়ে দেয়া দরকার ততটুকু যেন ছেড়ে দেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় আমাদের পাশের যে বাড়ি আছে পারলে আমরা সেটিও দখল করার চেষ্টা করি। এই সব থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, রাজউককে বলব আমরা সবাই মিলে এই কাজটি শুরু করে দিতে চাই। ২০২৪ সালের ইতোমধ্যে ৬ মাস চলে গিয়েছে। সময় চলে যাবার আগেই এই কর্মপরিকল্পনাটি শেষ করতে না পারলেও অন্তত যেন শুরু করতে পারি।

কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় শুধুমাত্র পুরান ঢাকার জন্য। ৪০০ বছরের এই শহরে নগরায়নের ফলে পুরান ঢাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা থেকে আবাসন ব্যবস্থায় নানা ধরনের ঘাটতি আছে। যার কারণে এখানে প্রতিনিয়ন নানা দুর্ঘটনা ঘটে।

মন্ত্রী আরও জানান, পুরান ঢাকাকে কিভাবে আরো উন্নত করা যায় সে লক্ষ্যে আমরা লালবাগ ও হাজারিবাগ এলাকাকে উন্নত করার পরিকল্পনা করেছি। ওভার পপুলেটেড একটি নগরীকে কিভাবে পরিকল্পনার মাধ্যমে জলবায়ু সহিষ্ণু একটি গ্রিন নগরীতে গড়ে তোলা যায় সে জন্য এই পরিকল্পনা করেছি। আমরা একটি ব্রাউন ফিল্ডকে কিভাবে গ্রিন আইল্যান্ড করা যায় সে ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জি আই জেড কান্ট্রিডিরেক্টর মার্টিনা বারকার্ড বলেন, জার্মান ও বাংলাদেশ সরকার মিলে পুরান ঢাকার জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এবং নাগরিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই পরিকল্পনাটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এই দুই এলাকার নগরবাসীর জীবন মান আরো উন্নত হবে।

কর্মশালায় হাজারিবাগ ও লালবাগের জলবায়ু সহিষ্ণু সবুজ কর্ম পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন। কর্মশালাটির সভাপতিত্ব করেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) মো ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো নবীরুল ইসলাম, জি আই জেড কান্ট্রিডিরেক্টর মার্টিনা বারকার্ড।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজউক প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাবেক সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন প্রমুখ।

১২ নভেম্বর স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু, লটারিতে বাছাই

জাতীয়, 4 November 2024, 46 Views,
সংগৃহীত ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশের সকল (সরকারিকরণসহ) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয় হতে কোনো ভর্তি ফরম বিতরণ করা হবে না।
ভর্তির আবেদন শুধু অনলাইনে https://gsa.teletalk.com.bd এই ঠিকানায় পাওয়া যাবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনলাইনে আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া ১২ নভেম্বর সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। আবেদন শেষে ডিসেম্বরে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে প্রদান করা যাবে।

সারা দেশে আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয় বার পছন্দ করা যাবে না।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠেয় ডিজিটাল দৈবচয়ন প্রক্রিয়ার কার্যক্রমে সারা দেশের সকল (সরকারিকরণসহ) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অংশগ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে দৈবচয়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া নিষ্পন্ন করা ব্যতীত অন্য কোন পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে না।

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬+ বছর নিশ্চিত করতে হবে।

তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে (যেমন: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ০৫ বছর হবে অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত)।

এছাড়া, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/কর্মচারীগণের ভর্তির উপযুক্ত সন্তান সংখ্যার সমসংখ্যক আসন স্ব স্ব বিদ্যালয়ে সংরক্ষিত থাকবে। এক্ষেত্রে তাদের অনলাইনে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। তবে শিক্ষক/কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালিকা হলে নিকটতম সরকারি বালিকা/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। শিক্ষক/কর্মচারী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকলে এবং তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তান বালক হলে নিকটতম সরকারি বালক/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। একইভাবে শিক্ষক যদি সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকে তাহলে তার ভর্তি উপযুক্ত সন্তানের ভর্তির জন্য কর্মরত বিদ্যালয়েই আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে। তবে কর্মরত বিদ্যালয়ে ভর্তির উপযুক্ত কাঙ্ক্ষিত শ্রেণি না থাকলে নিকটতম বালক/বালিকা/সহশিক্ষা বিদ্যালয়ে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে।

সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত নিয়মাবলি www.dshe.gov.bd এর secondary circular/order এবং www.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে।

হর্ন বাজানোর আগে ভাবতে হবে, এটি জরুরি কিনা

জাতীয়, 28 September 2024, 81 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে হলে আমাদের কম শব্দযুক্ত দেশে থাকতে হবে। হর্ন বাজানোর আগে ভাবতে হবে, এটি জরুরি কিনা। সব ড্রাইভারকে হর্ন না বাজানোর জন্য সচেতন করতে হবে।

আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীর পরিবেশ অধিদফতরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির প্রশিক্ষকদের শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে এ কথা বলেন তিনি। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, রেড লাইট থেকে গ্রিন লাইটে আসলেই সব গাড়ি হর্ন বাজানো শুরু করে। এটা উচিত নয়। বিশেষ করে, বাচ্চাদের স্কুলে নেওয়ার সময় রিকশায় যে শব্দ হয়, তাতে অনেক সময় কানের সমস্যা হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ইসলাম ধর্মে উচ্চস্বরে নয়, নিচু করে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন মানুষের বিরক্তির কারণ না হয়। আমরা মনে করি যে যত জোরে কথা বলতে পারি, সে তত শক্তিশালী। কিন্তু আসলে যুক্তিপূর্ণ কথা বলাই আসল ক্ষমতা। আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবর্তন আনলেই সমাজে ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের পরিচালক প্রমুখ।

হরষপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দিবস ব্যতীত পতাকা উত্তোলনে অনীহা কর্মকর্তার

জাতীয়, বিজয়নগর, 22 September 2024, 156 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। েেবশ কিছুদিন ধরে। এনিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতীয় দিবস ব্যতীত পতাকা উত্তোলন করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, এটা একটি সরকারি অফিস। সকালে খুলে বিকাল বন্ধ হয়। কিন্তু সব সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেলেও এখানে চিত্র ভিন্ন। এ অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায়নি।

আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় ভূমি অফিসে বেশ কিছু লোকের সমাগম রয়েছে। অফিসের সামনে জাতীয় পতার টানানোর জন্য একটি স্টীল খুঁটি রয়েছে। তবে তাতে জাতীয় পতাকা ছিল না।

হরষপুর ভূমি অফিসে জনবল রয়েছে তিন জন। ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দ জাবের এবং অফিস সহায়ক মো: বাচ্চু মিয়া। প্রয়োজনীয় জনবল থাকা সত্ত্বেও কেন জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় দেওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে অফিস খোলার সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করা হতো। আর পতাকা উড়তে দেখে আমরা দূর থেকে বুঝতাম কাচারি ঘর (ভুমি অফিস) খোলা।

হরষপুর ইউনিয়ন ভুমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, জাতীয় দিবসে আমরা পতাকা উত্তোলন করি। দিবসগুলোতে আমাদের বলে দেয়, নির্দেশনা পেলে আমরা উত্তোলন করি। গত সোমবার নির্দেশনা ছিল উত্তোলনের। এছাড়া পতাকা উত্তোলন করা হয় না।

বিজয়নগর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো: মোজাহেরুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।