অনলাইন ডেস্ক :
বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন চিত্রনায়ক শাকিল খান (শাকিল আহসান)। মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে এবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার বিকেলে শাকিল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে শাকিল খানের পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তার ভাগনে শাহরিয়ার নাজিম।
শাকিল খান বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ডেকেছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার জন্য তিনি আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণেই এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না। নির্বাচনে অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকার প্রচার-প্রচারণায় কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন ‘তোমার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে’।
বাগেরহাট-৩ আসন থেকে শাকিল খানসহ ১১ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে দল থেকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ সংস্কৃতিকে ভালবাসে, খেলাধূলাকে ভালবাসে তারা সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদকে পছন্দ করেন। তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক বড় ঐতিহ্য রয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ১ নভেম্বর বুধবার বিকাল ৩টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনুর্ধ্ব-১৭ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা-অনুর্ধ্ব-১৭ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম আরো বলেন, ফুটবলের উত্তেজনা কমেনি দিন দিন আরো বাড়ছে। আজকে যারা অনুর্ধ্ব-১৭ দলে খেলছেন তাদের মধ্যে ভাল খেলোয়াড় বাছাই করে বিভাগীয় পর্যায় এবং একদিন জাতীয় পর্যায়ে খেলবে। তিনি সকলের ভবিষ্যত মঙ্গল কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ একরামুল্লাহ্, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও টুর্ণামেন্ট পরিচালনা উপ-কমিটির আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আবুল কাসেম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ ইউসুফ কবির ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সুভাষ পাল, সদস্য আবেদ, প্রবীর চৌধুরী, বুলবুল প্রমুখ।
খেলাটি সঞ্চালনা করেন ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিম।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ গ্রহণ করেন সদর উপজেলা বালক/বালিকা বনাম নাসিরনগর উপজেলা বালক/বালিকা। বিপুল দর্শকদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের উত্তেজনামুলক খেলায় নির্ধারিত সময়ে গোল না করতে পারায় ট্রাইব্রেকারে সদর উপজেলা বালক এবং বালিকা উভয় দল নাসিরনগর বালক এবং বালিকা দলকে পরাজিত করে।
খেলার সময়ে মাঠের ৪ পাশের কানায় কানায় দর্শকে ভরপুর ছিল।
খেলায় ভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিম, মোঃ মিজানুর রহমান মিজান ও মোঃ রিপন।
অনলাইন ডেস্ক :
জনসেবার জন্য সরকারি ক্যাম্প, সাধারণ মানুষের লম্বা লাইন। নিজেদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে হাজির সবাই। বসে রয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারা। সমস্যা শুনে তা সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন। সেই ক্যাম্পে হাজির এক যুবক। পেশায় তিনি কৃষক। কিন্তু কর্মকর্তাদের কাছে যে সমস্যার কথা তিনি বলেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!
কী চেয়েছিলেন যুবক? তার দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একা। তাকে বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজে দিতে হবে। তা শুনে কার্যত হেঁসে লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় সরকারি কর্তাদের। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কর্ণাটকে।
জানা যায়, রাজ্যের কোপ্পাল জেলায় ‘জনস্পন্দন’ নামে একটি সরকারি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল প্রশাসন। জনগণের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন কর্মকর্তারা এবং যথাসম্ভব সমাধানও করা হচ্ছিল।
সেখানেই সঙ্গপ্পা নামে ওই কৃষক তার জন্য পাত্রী খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানান। জেলা কমিশনার নলিনী অতুলের কাছে গিয়ে তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে পাত্রী খুঁজছি। কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না। কেউ আমাকে পাত্রী দিতে রাজি নয়। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছি। স্যার, পাত্রী খুঁজে দেন!
এলাকার অন্যসব বাসিন্দা যখন পানির অভাব, রাস্তা ঠিক করার দাবি জানাচ্ছিলেন; সেখানে ওই যুবকের এ ধরনের দাবি শুনে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়ে যান সরকারি কর্মকর্তারা। উত্তর কী দেবেন বুঝতে না পেরে মাথা চুলকাতে থাকেন তারা।
সঙ্গপ্পাকে প্রাথমিকভাবে বোঝানো গেলেও তার পাত্রী খোঁজার আবেদনের কী হবে, এখনো ভাবছেন কর্তারা।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ১১ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী আয়মা বেগ। তিনি বাংলাদেশের রাজধানীতে আসবেন এবং ইয়ামাহা মোটরসাইকেলসের একটি মেগা ইভেন্টে পারফর্ম করবেন।
২০১৫ সালে একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন শোয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন আয়মা বেগ। পরেবর্তীতে ধীরে ধীরে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা পপ গায়িকায় পরিণত হন।
তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘ফিতুর’, ‘আইটেম নাম্বার’, এবং ‘গ্রুভ মেরা’ তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বিশেষ আয়োজনে আয়মা বেগের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সংগীতপ্রেমীরা প্রথমবারের মতো তার গান সরাসরি উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ॥ সংশ্লিষ্টদেরকে নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথরের ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ২৭০০ টন পাথরের ধুলা (ডাস্ট)। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির অভিযোগে ছাড়পত্র মিলছে না কাস্টমসের। যে কারণে প্রায় এক মাস ধরে আখাউড়া স্থলবন্দরে এই ডাস্ট বা ধুলাগুলো পড়ে আছে। কাস্টমসের গঠিত তদন্ত কমিটিও ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা দাবি করেছেন, এতে প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এ জন্য তারা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। রপ্তানিমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণপাথর আমদানি হয় গত ১৩ নভেম্বর। এরপর কয়েক দফায় মোট ২৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে। আমদানিকৃত চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। তবে কাস্টমস থেকে ছাড়পত্র নিতেই বাঁধে বিপত্তি। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয়া হয়। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে।
অভিযোগ উঠেছে- আমদারিকারক প্রতিষ্ঠান ভাঙা পাথরের ঘোষণা দিয়ে ডাস্ট এনেছে। এজন্য কাস্টমসের তরফ থেকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে রিপোর্ট দেওয়া হয় ডাস্ট হিসেবে। তবে দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান কাস্টমসের কর্মকর্তারা।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও কার্যার্থে একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফ এর মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো.তাকজিল খলিফা কাজল।
খলিফা এন্টার প্রাইজের প্রতিদিন নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রথম দফা আনার পর বলা হয় সব আনার পর অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরণের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’
অনলাইন ডেস্ক :
দুবাই থেকে ভারতে সোনা পাচারের মামলায় গ্রেপতার হওয়া কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও জামিন পেয়েছেন। অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত বিশেষ আদালত ২ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডের বিনিময়ে তার জামিন মঞ্জুর করেছে। একইসঅতৈ এ মামলার আরেক অভিযুক্ত কোন্দারু রাজুকেও একই শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে জামিন পেলেও এখনই কারামুক্তি মিলছে না অভিনেত্রীর।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জামিনের আদেশ সত্ত্বেও জেলেই থাকতে হচ্ছে রান্যাকে। কারণ, তার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ এবং চোরাচালান কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত তিনি জামিন পাননি। তবে আদালত আরো জানিয়েছেন, জামিন পেয়ে জেলের বাইরে এলেও দেশ ছাড়তে পারবেন না কন্নড় অভিনেত্রী।
গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন রান্যা। পরে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং ২ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সোনা। এই সব টাকা ও সোনার কোনও উৎসের কথা জানাতে পারেননি অভিনেত্রী। পরে দুবাইয়ের শুল্ক দপ্তর জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তিনি দুবাই থেকে সোনা কিনেছিলেন। এবং ঘোষণা করেছিলেন, ওই সোনা নিয়ে তিনি জেনেভায় যেতে চান। যদিও দেখা গেছে, সোনা নিয়ে তিনি ভারতেই ফিরেছিলেন।
২০১৪ সালে ‘মানিক্য’ সিনেমায় কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার সুদীপের বিপরীতে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি লাভ করেন রান্যা রাও। পরে আরো কয়েকটি দক্ষিণী সিনেমায় এ অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন।