চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলায় আরাফাত হাসান (১৬) নামে এক অটোরিক্সা চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে ছিনতাইকারীরা।
৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের জুরা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীরা অটোরিক্সা নিয়ে যায়। নিহত আরাফাত সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের কাদৈর গ্রামের মো. এন্তাজ মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলার গণি শাহর মাজার থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরাফাত অটোরিক্সায় দু’জন যাত্রী নেয়। অনেক রাত হলেও বাড়ি না ফেরায় তার বাবা মোবাইলে কল দিলে আরাফাত জানায়, দুজন যাত্রী গণি শাহর মাজার থেকে রতনপুরের খাগাতুয়া গ্রামের দিকে যাবে। কিন্তু কলে থাকা অবস্থায় আরাফাতের বাবা চিৎকার শুনতে পান। এরপর আর তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, আরাফাতের মরদেহ খাগাতুয়া গ্রামের জুরা ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার হল রুমে আজ ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শিক্ষার্থীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ১৩ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেন এবং তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবি গুলো সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। দাবি গুলো কয়েকটি হলো-
(১) নবীনগর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পেশ করে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাকে প্রত্যাহারের দাবি তুলেন একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
(২) এখন থেকে নবীনগর থানার ওসির অফিস রুম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস রুম ও ভূমি অফিসে বিনা প্রয়োজনে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী ও কোন সাংবাদিক অবস্থান করতে পারবে না।
(৩) ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করে তাদের সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
(৪) নবীনগরের সকল সরকারি অফিস কে দালাল মুক্ত করতে হবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।
(৫) জিপির নামে পরিবহণ সেক্টরের সকল চাঁদা বন্ধ করা সহ আরো অন্যান্য ১৩টি দাবি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ফারুক আহমেদ, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সালেহ আহমেদ তানভীর, নবীনগর থানার নবাগত ওসি আফজাল হোসেন, সমাজকর্মী ও সাংবাদিক বৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেপুর ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৫ নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আইডিপি আর মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন একরাম উল্লাহ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম, আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট সুজিত কুমার দেব, বিপি মোশাররফ হোসেন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, নিয়াজুল হক কাজল, প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু,সাইফুর রহমান সোহেল,ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, আবু মুসা, এম আর মুজিব, সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা লোকমান হোসেন শিশু,প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনাজ, ,মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো.আবু কাউসার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বললেন হাজার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দৌড়গারায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পাশাপাশি বাস্তবায়নও করেছিলেন মাঝখানে ৫ বছর বিএনপির ক্ষমতায় এসে সেই কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিল। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আবার কমিউনিটি ক্লিনিক এর কার্যক্রম চালু করেছেন যার সুবিধা আমরা সকলেই এখন ভোগ করছি।কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের শেষে গ্রামের রাস্ত দি য়ে যাওয়ার পথে উভয় পাশের বাড়ির মহিলাদের নিকট উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কা ভোট চাইলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে অদক্ষ, প্রশিক্ষণবিহীন ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ড্রাইভার কর্তৃক অটো থ্রি হুইলার চালানোর কারণে নবীনগরে যানজট সমস্যা বেড়েই চলেছে যানজট নিরসনে আজ ১৬ মে নবীনগর পৌরসভায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা সহকরি কমিশনার (ভূমি) মাহম্মুদা জাহান।
এসময় ড্রাইভারদের সতর্ক করার পাশাপাশি ৬ জনকে ১৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, ক্যাফে রিভার ভিউ রেস্টুরেন্টের একটি পাইপ ফেটে নিচে ময়লা পানি পড়ে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয় ও আজ বিকেলের মধ্যেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে মাটি চুরির অপরাধে এসআই জাহাঙ্গীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় এসআই বাদে ৮ জনকে সমনজারি করেছেন আদালত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের হলে ম্যাজিস্ট্রেট তা আমলে নিয়ে আগামী ২ মে আসামিদের সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেন। মামলার বাদী মো. হাসান উদ্দিন আজ ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে ঘটনার চিত্র তুলে ধরে ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামের সোহেল মিয়া ও সগির মিয়া, জিনদপুর গ্রামের মামুন মিয়া, আল-আমিন, মো. জসিম, জয়নাল মিয়া, নজরুল মিয়া, পৌর সদর কলেজ পাড়ার ক খ ম হযরত আলী।
বাদী অভিযোগ করেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের জিনদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাদীর ভিটেবাড়ি ও নাল শ্রেণির ভূমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর ট্রলির মাধ্যমে রাতেই মাটি চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্যে হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা। চুরির ঘটনাটি পুলিশকে জানালে এস আই জাহাঙ্গীর আলম সরজমিন গিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে সোহেল মিয়া বলেন, আমরা মাটি চুরি করি নাই, সরকারি খাল উদ্ধারের মাটি নিলামে কিনে নিয়েছি।
এ ব্যাপারে এস আই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি কাউকে পাননি।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, সরকারি খাল উদ্ধারের দিন বিধি মোতাবেক খালের অংশের মাটিগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চারদিন পরে মাটি চুরি ঘটনা যখন শুনেছি তখন পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের জিনদপুর-কড়ইবাড়ি স্থানের দুই পাশে দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে ভূমিদুস্যু সিন্ডেকেটের দখলে থাকা সরকারি খাল করে উপজেলা প্রশাসন। মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘন করায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান এ অভিযান চালান। অভিযানকালে অবৈধ দখলদারদের কাউকে না পেয়ে খালের উপর থাকা অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করে দুইপাশের খালের মাঝে থাকা মাটি ভেকু দিয়ে সরিয়ে ফেলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নবাসীর উদ্যাগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়িকান্দি ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাহা উদ্দিন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফেরদৌস আহমেদ, মো. তোফাজ্জল আহমেদ তপু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৪-৫ মাস যাবৎ মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি, শ্রীঘর, কান্দা পাড়া গ্রামের প্রায় ২০ বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের ১০/১২ টি বাড়ি হুমকির মুখে।
বক্তারা অবিলম্বে নিয়ম বহির্ভূত বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া ইজারার মাধ্যমে নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা নতুনচর ও জাফরাবাদ মৌজা থেকে বালু উত্তােলন হচ্ছে।
ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা জানান, ইজারার স্থান থেকে ভাঙ্গন এলাকা প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে।