চলারপথে রিপোর্ট :
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, বিচার বিভাগের সাথে পুলিশের নাড়ির সর্ম্পক রয়েছে। তিনি বলেন সামনে জাতীয় নির্বাচন দূরত্ব সৃষ্টি না করে সকলের সমন্বয়ে কাঁেধ কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরীন আহমেদ হ্যাপীর সঞ্চালনায় তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোনদের সম্ভ্রম হারান, জাতীয় চার নেতা এবং বিজয়ের মাসসহ সব মিলিয়ে একটি ইতিহাস এবং আমরা যে একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি তা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে যেসব আলোচনা করেছি তা বাস্তবায়ন করতে হবে, বাস্তবায়ন করলেই আলোচনা বা সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। আমরা স্বাক্ষীদের দ্রুত স্বাক্ষী গ্রহণ করে বিপুল পরিমান মামলা নিস্পত্তি করে গত জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ইং পর্যন্ত ২২ কোটি টাকার মাদক ও বিভিন্ন আলামত ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি সকলের চোখ-কান খোলা রেখে সুন্দর একটি দেশ সাধারণ মানুষকে উপহার দেয়ার আহবান জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্ট পিপি অ্যাডঃ মাহবুবুল আলম খোকন, সিভিল সার্জনের পক্ষে ডাঃ মাহমুদুল হাসান, সমাজ সেবার উপ-পরিচালক মোঃ আবু আব্দুল্লাহ ওয়ালী উল্লাহ, জেলা সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন, আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম প্রমুখ।
এসময় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকি, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত স্বাম্য, সহকারী জজ ওমর ফারুক, এপিপি অ্যাডঃ নাজমুল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল মোঃ সিরাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ বিল্লাল হোসেন পিপিএম এবং জেলার প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিভিন্ন সেক্টরের অফিস প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্মেলনে কয়েকটি এজেন্ড বাস্তবায়নের জন্য পেশ করেন এর মধ্যে বিগত ২১ মার্চ ২০২৩ইং এর পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট এর জেন্ডা সমূহের পর্যালোচনা।
ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০ নিয়ে আলোচনা, এমসি সংক্রান্ত পূর্বের সিদ্ধান্তের অগ্রগতি, পুরাতন মামলার সাক্ষী হাজির করা বিষয়ে আলোচনা, সাক্ষী নিয়ে আলোচনা, প্রবেশন কর্মকর্তা রিপোর্ট এ নতুন মামলা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া, জিডি, ইউডি-১৫১ এর রিপোর্ট প্রেরণ করা, বন্ধের দিন হাজতখানা থেকে ওকালতনামা সংগ্রহ এবং বন্ধের দিন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট সাময়িক সময়ের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা, মামলা ফাইলিং এবং আসামীর আত্মসর্মপনের সময়ে এন আই ডি ব্যবহার করা, স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট এর আওতায় গোডস্ উদ্ধার এ মামলা হচ্ছে না এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হচ্ছে না কেন সর্ব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
সভার পূর্বে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন মোঃ শহীদুল হক, গীতা পাঠ করেন আশিক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেনকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব। গত শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু ও খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. কাউসার এমরান, সাংবাদিক আবদুন নূর, আল-আমিন শাহীন, পীযূষ কান্তি আচার্য, ইব্রাহিম খান সাদাত, সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, শিহাব উদ্দিন বিপু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা তাঁর কর্মকালীন সময়ের প্রশংসা করেন এবং তার কর্ম জীবনের সাফল্য কামনা করেন।
সংবর্ধনার জবাবে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমার কর্মকালীন সময়ে সর্বদা সাংবাদিকদের সহযোগীতা পেয়েছি। পরে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। পুলিশ সুপার ও প্রেসক্লাবকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উৎসব মুখর পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন আজ ৯ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। উপনির্বাচনে মোঃ বিল্লাল মিয়া (ঘোড়া প্রতীক) ৭৪৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দুইবারের সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন (চশমা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯০ ভোট।
অপর প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক-সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যমান শফিকুল আলম (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ১৩৩ ভোট। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে ফলাফল জানা গেছে।
বিজয়ী বিল্লাল মিয়া ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপ-নির্বাচনে তিনি সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু আল-মামুন সরকার দায়িত্বভার গ্রহনের পর এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।
বিজয়ী মোঃ বিল্লাল মিয়ার রাজনৈতিক কোন পদ-পদবী নেই। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। হেভিওয়েট প্রার্থীদের হারিয়ে তিনি চমক দেখালেন।
জেলার নয়টি উপজেলা, পাঁচটি পৌরসভা ও ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৮৪ জন।
এর মধ্যে নাসিরনগর উপজেলায় ১৭১ জন, সরাইল উপজেলায় ১১৯ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১৬১ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ১৩০ জন, কসবা উপজেলায় ১৪৬ জন, আখাউড়া উপজেলায় ৮১ জন, নবীনগর উপজেলায় ২৮৮ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৮৪ জন ভোটার।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া না হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে মোঃ হেলাল উদ্দিনকে ‘সমর্থন’ দেয়া হয়।
হেলাল উদ্দিন ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হেলাল উদ্দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় দুইবার মেয়র নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
অপর প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল আলম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি উম্মে হানি সেতুকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ১ মার্চ শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে ধানমন্ডি থানা থেকে নিয়ে আসে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন আরো জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশের একটি দল রাতে ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার কাছে তাকে হস্তান্তর করে। তাদের বিরুদ্ধে দুটি নাশকতা মামলা ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনাসহ তিনটি মামলা রয়েছে। পুলিশ প্রহরায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ২৭ নভেম্বর ব্যাপক কর্মসূচিতে ৪১তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আন্দোলন এবং এতে শাহাদাৎ বরণকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু দিবস পালিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের গৃহীত কর্মসূচি অনুসারে এদিন সকালে শহরতলীর শেরপুর কবরস্থানে উবায়দুর রউফ পলুসহ কবরবাসী সকলের কবর জিয়ারত দোয়া ও মোনাজাত, লোকনাথ রায় চৌধুরী ধীঘির চতুষ্পার্শ্বে শোক র্যালি প্রদক্ষিণ, সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন মসজিদে পলুর আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সন্ধ্যায় শহরের পূর্ব পাইকপাড়া অধ্যাপক হরলাল রায় রোডে অবস্থিত অস্থায়ী কার্যালয় চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, কবি দেওয়ান দিদারুল আলম মারুফ, শহীদ পলু’র ছোট ভাই মাসুদুর রহমান।
উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন দিবস উদযাপন উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আমির ফারুক।
সদস্য সচিব জিয়া কারদার নিয়ন এর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, মীর মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাড. শেখ জাহাঙ্গীর, জেলা ন্যাপ সভাপতি অ্যাড. মোঃ সফিকুল ইসলাম, গুণীজন সংবর্ধনা পরিষদ সভাপতি মোঃ আবদুল বাছেদ, কবি মোঃ ইউনুছ, নারী নেত্রী রোমানা আক্তার শ্যামলী, অ্যাড. আলী আক্কাস, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, হারুণ আল রশিদ প্রমুখ।
দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কাজী মাকসুদুল আলম দেলোয়ার।
এ সময় সামসুজ্জামান বাবু, বশির আহমেদ, আরমান উদ্দিন, হাসিনা হক, ইমুনি ইস্টিয়ান সহ বিশিষ্ট জন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলনে উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বরণের স্মৃতিচারণ করে সরকারের নিকট ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক (সরকারি) বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, তিতাস নদী খনন, বন্ধ থাকা আবাসিক গ্যাস সংযোগ চালুর ও বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ প্রত্যাহার করে আগের মতো তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুণর্বহালের দাবি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
পূর্ব বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আট দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৮টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ৩৬টি দেশীয় অস্ত্র ও ৪টি হেলমেট উদ্ধার করা হয়। আজ ১৯ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- মো. জসিম উদ্দিন (৫৫), জহিরুল মোল্লা (৩৫), মো. জাহাঙ্গীর মিয়া (৪৫), মো. রনি (১৪), মো. শামীম (১৬), আব্দুল রাফি (১৭), মো. মানিক মিয়া (১৯), মনির হোসেন (৪২)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, দুপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মাঝে থেমে থেমে সংঘর্ষে চলছিল। এতে উভয় পক্ষের ৩০ থেকে ৪০টি বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সংঘর্ষে অনেকেই গুরুতর আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটকসহ ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বড়হরণ গ্রামে উমেদ গ্রুপ ও এলেম গ্রুপের জাকিরের নেতৃত্বে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঘটছে সংঘর্ষের ঘটনা।