চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের ফিরোজুর রহমানসহ জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনকারীদের জাল স্বাক্ষর, আবেদন ও আয়ের বিবরণীতে অমিল, ঋণখেলাপি এবং নিজেই সমর্থনকারী, নিজেই প্রস্তাবকারীর কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, কাজী জাহাঙ্গীর ও জহিরুল ইসলাম চৌধুরী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে জাকের পার্টির বজলুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাক ও নজরুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শাহগীর আলম জানান, রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনের মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এই ৬টি আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ফলে ৪৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে, রবিবার দুপুরে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর ফেসবুক লাইভে এসে আইনিভাবে মনোনয়ন ফিরিয়ে আনবেন বলে ঘোষণা দেন ফিরোজুর রহমান।
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় এমপির (উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী) সামনে এসপি, ইউএনওরা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সঠিকটা করতে পারে না। তাই আমি নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন বৈধ করে নিয়ে আসব।
তিনি আরো বলেন, যখন মনোনয়ন অবৈধ করা হলো তখন আমি কথা বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন আপিলের মাধ্যমে আমাকে কথা বলতে হবে। আমার শতকরা এক ভাগ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে একজনের স্বাক্ষরকে বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু যে ভোটারের স্বাক্ষর বাতিল করা হয়েছে তাকে আটকে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষরটি ভুয়া বলে স্বীকার করানো হয়েছে। তবে যা ভালো লাগে তারা করুক। আমার সমর্থকরা ধৈর্য ধারণ করুন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে ফিরোজুর রহমান নৌকার টিকিট পাওয়া বর্তমান সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সর্বত্র আলোচিত। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ভালো হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের মুখেও তৃপ্তির হাসি। এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার গ্রীষ্মকালীন টমেটো বিক্রি করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫ হেক্টর, সরাইল উপজেলায় ৫ হেক্টর, কসবা উপজেলায় ২ হেক্টর, নবীনগর উপজেলায় ১ হেক্টর, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১ হেক্টর, আখাউড়া উপজেলায় ৩ হেক্টর, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১ হেক্টর, বিজয়নগর উপজেলায় ৮ হেক্টর ও নাসিরনগর উপজেলায় ৫২ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে।
তবে জেলার হাওর বেষ্টিত উপজেলা নাসিরনগরে ৫২ হেক্টর জমিতে (৭.৫ বিঘায় ১ হেক্টর) এ বছর গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। চাষীরা তাদের জমিতে বারি-৮ ও মঙ্গলরাজা জাতের টমেটোর চাষ করেছেন। চলতি বছর শুধু নাসিরনগর উপজেলাতেই প্রায় ২০ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাওর বেষ্টিত নাসিরনগর উপজেলায় চলতি বছর প্রায় ২২ হেক্টর (৪০০ বিঘা) জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। টমেটোর বাগানগুলো বেশীর ভাগই করা হয়েছে বাড়ির আঙিনা ও উঁচু জায়গায়। ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। বাগান থেকেই আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের কৃষক হাসিম মিয়া জানান, সারা বছরই তার এই জমি পতিত থাকতো। গত প্রায় তিন মাস আগে কৃষি অফিসের লোকজন তার বাড়িতে এসে বলেন, তিনি যদি তার পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করে তাহলে তিনি লাভবান হবেন। তাদের পরামর্শে তিনি তার ৪০ শতাংশ জমিতে টমেটোর চারা রোপন করেছেন। তাতে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই তিনি টমেটো বিক্রি শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি দুই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।
উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আমি ৬০ শতাংশ জায়গা বর্গা নিয়ে ৫৫ হাজার টাকা খরচ করে গ্রীষ্মকালীর টমেটোর চাষ করেছি। এ পর্যন্ত আমি তিন লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। একই ইউনিয়নের কৃষক রফিক মিয়া বলেছেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তিনি বাড়ির আঙ্গিনার ২৫ শতাংশ পতিত জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করেছেন। টমেটোর ফলন ও ভালো হয়েছে। তিনি এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন।
বিভিন্ন চাষীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষে খরচ কম, লাভ বেশী। তাই তারা টমেটোর চাষ করেছেন। আগামীতে উপজেলায় টমেটোর চাষ আরো বাড়বে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় চলতি বছর ১২৮ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করা হয়েছে। আমারা জেলার প্রতিটি উপজেলাতেই গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের উদ্যোক্তা তৈরি করছি। টমেটোর ফলনও এ বছর ভালো হয়েছে। আশা করি এ বছর জেলায় প্রায় ৫১ কোটি টাকার টমেটো বিক্রি করা হবে। ফলন বাড়াতে আমরা চাষীদেরকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিন,জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এড. লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এড তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক এড সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এম. সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা কৃষক লীগ যুগ্ম-আহ্বায়ক সেলিম ভূইয়া, জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
এছাড়া মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসূচী অংশ হিসেবে সকাল ৭ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৮.৩০টায় ফারুকী পার্কে (অবকাশ) অবস্থিত স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
গত সোমবার রাত ৮টায় দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সম্পাদকের অফিস কক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক সরোদ’র সম্পাদক পীযুষ কান্তি আচার্য্য, নির্বাহী সদস্য দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন’র সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক দেওয়ান ফয়জুন নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক একুশে আলো’র বার্তা সম্পাদক আশিকুর রহমান মিঠু, অর্থ সম্পাদক দৈনিক প্রজাবন্ধু’র প্রকাশক আবুল হাসনাত সাবেরিন মোঃ লিটন, নির্বাহী সদস্য দৈনিক আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক মোঃ আবু নাসের রতন।
সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র তৈরি করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সভা ও সকল সংবাদকর্মীদের সমন্বয়ে একটি সাংবাদিক সম্মিলন অনুষ্ঠিত করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সংবাদপত্র শিল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনিক পত্রিকাগুলোর মূল্য বৃদ্ধির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রডশিট ৪ (চার) পৃষ্ঠা পত্রিকার জন্য প্রতিটি ৫ (পাঁচ) টাকা ও ট্যাবলয়েড ৪ (চার) পৃষ্ঠা পত্রিকার প্রতিটি ৩ (তিন) টাকা মূল্যমান স্থির করা হয়েছে।
প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজা। আজ ১৩ অক্টােবর রোববার বিকালে পৌরশহরের রাধামাধব আখড়া থেকে বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিমা নিয়ে বের হন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঢাক ঢোল বাদ্যের তালে দেবী দূর্গাকে নিয়ে বড় বাজার তিতাস নদীর দশমী ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বিসর্জনের জন্য পৌর শহরের আরো কয়েটি মন্ডপের প্রতিমা নিয়ে আসে মন্দির সংশ্লিষ্টরা। পরে একে একে প্রতিমাগুলো তিতাস নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। এসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা উলু ধ্বনির মাধ্যমে দেবী দূর্গাকে বিদায় জানায়। উপস্থিত নারী-পুরুষসহ নানা বয়সের সনাতন ধর্মের লোকজন রীতি অনুযায়ী আচার অনুষ্ঠান করেন। এছাড়াও একই সময়ে উপজেলার অন্যান্য মন্দিরের প্রতিমা নিজ নিজ এলাকায় বিসর্জন দেওয়া হয়। এর আগে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আখাউড়ায় রাধামাধনব আখড়ার পুজা মন্ডপে আসেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজা সম্পর্কিত বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া পর্যন্ত দশমী ঘাটে উপস্থিত ছিলেন।
রাধামাধব আখড়া মন্দিরের নির্বাহী সভাপতি চন্দন কুমার ঘোষ বলেন, এবছর আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে দুর্গাপুজা উদযাপন করেছি। স্মরণকালের মধ্যে এবছর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বোধ করেছি। যা গত ৫৩ বছর আমরা এই নিরাপত্তা আমরা দেখিনি। বিশেষ করে সেনাবাহিনী, বিজিবির ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। আখাউড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি ঐতিহ্য রয়েছে। মন্দিরের পাশেই মাদরাসা, শ্মশানের সাথেই কবরস্থান। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সার্বক্ষনিক সহযোগিতা পেয়েছি। এছাড়াও রাজনৈতিক দলের নেতবৃন্দও আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। ছাত্র প্রতিনিধিরা খোঁজ খবর নিয়েছে। আখাউড়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবু বলেন, প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সকলের সহযোগিতায় আমরা সুন্দরভাবে আনন্দমুখর পরিবেশে পুজা উদযাপন করতে পেরেছি। এজন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
(২৫ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল ফারাহ্ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য ৫ অক্টোবর থেকে মোতায়েন ছিল। দিন রাত ২৪ ঘন্টা পুজা মন্ডপে বিজিবির টহল দিয়েছে। বর্তমান সরকারের নির্দেশনায় বিজিবি দেশের স্বার্থে যে কোন দায়িত্ব সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পালন করে আসছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাবের টহলসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় ছিল। হিন্দু সম্প্রদায় উৎসব মুখর পরিবেশে দুর্গাপুজা পালন করতে পেরেছে। ভবিষ্যতেও দেশের যে কোন প্রয়োজনে বিজিবি অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ২৫ বিজিবির উপ অধিনায়ক মেজর মঈন, সহকারি পরিচালক নুরুল হুদা, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক দীপক ঘোষ, রাধামাধব আখড়া মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক অলক চক্রবর্তীসহ অন্যরা।