অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না। তিনি বলেন, সরকার প্রশাসনিক রদবদল করছে না, কর্মকর্তাদের বদলি করছে নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের আপত্তি নাই।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এসময় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করে তিনি বলেন, ‘তাদের কেন বহিষ্কার করা হবে? আমরা কি দলের পক্ষ থেকে বলেছি যে, যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করবো? এ সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগে এখনও হয়নি।’
বিএনপির রাজনৈতিক কর্মসূচির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি জনসমর্থনের অভাবে তাদের আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই কারণে তারা সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, হিংসা, চোরাগুপ্তা হামলা, নাশকতা করছে। স্বাভাবিক পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে তারা রাজনীতিটাকে সন্ত্রাসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গাড়ি পোড়াচ্ছে।’
তিনি বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতির সমর্থন না দিয়ে তারা জনগণকে শত্রæ ভাবে। বেলাল হোসেনের মতো একজন নিরীহ বাস হেলপারকে ৮০ শতাংশ পুড়িয়ে দিয়েছে।
‘চোরাগুপ্তা হামলার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের পাচ্ছে না’ উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, ‘তাই তারা ভাড়া করা টোকাই দিয়ে তারা হামলা করছে। তাদের দিয়ে বোমা হামলা, পেট্রোল বোমা মারছে; এসব অপকর্ম করছে।’
বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে অনেকেই নিজের জীবন নষ্ট করতে চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা বিএনপি থেকে সুস্থ রাজনীতিতে বেরিয়ে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে দলটির আরও নেতাকর্মীরা সুস্থ রাজনীতির দিকে আসবেন বলে আশা করছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ বা গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে। জনসমর্থহীন এসব গোষ্ঠী তারা নির্বাচনে হেরে যাবে। সবসময় তারা পেছনের দরজা খোলা রাখে। পেছনের দরজা দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফার মধ্যে সংস্কারের সব কিছু বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন সব কিছুই এই রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার মধ্যে আছে। তাহলে আপনারা কেন এই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাচ্ছেন।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সেলিম বলেন, পাশের একটি দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিব। কারণ বিএনপি এ দেশের জনগণের যখন বিপদ আসে, জনগণের যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, তখনই বিএনপি জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। ভারতীয় কোন কিছুকে আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরে যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। আমরা বাংলাদেশীরা তাদের প্রভুসুলভ আচরণ কখনোই মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, তারা ভয় পেতো আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কারণ জিয়াউর রহমান কখনো ভারতের আধিপত্য মেনে নেয়নি। মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা আমাদের নেতাকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। তাই আজকে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্মেলন থেকে আমরা বলতে চাই, এই দেশে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এ দেশ জিয়াউর রহমানের দেশ। এই দেশ বেগম খালেদা জিয়ার দেশ। এই দেশ তারেক রহমানের দেশ। এই দেশের জনগণ কিভাবে ভালো থাকবে তার কাজ বিএনপি আগেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আগামী দিনের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন হবে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। এর আগে আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। নিজেদেরকে সংযমী রাখতে হবে। যে কষ্ট আপনারা করেছেন, এই কষ্ট যদি আমরা ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট না আনতে পারি, তাহলে সকল কষ্ট বৃথা যাবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই সম্মেলন স্থলে মিছিল এবং রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ১০ মে শনিবার বিকালে চট্টগ্রামে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই মাঠে যারা আছি, তারা সবাই শুধু নয়, আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই আওয়ামী লীগকে দেখতে চাই না। তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতন করে আসছে, গণ্ঠতন্ত্রকে ধ্বংস করে আসছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। আওয়ামী লীগ অর্থনীতিকে বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই অর্থনীতিকে সেই জিয়াউর রহমান সাহেব খুলে দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার সংস্কারের কথা বলেন। প্রথম সংস্কার তো করেছেন জিয়াউর রহমান। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন, অর্থনীতিকে মুক্ত করে দিয়েছেন। আজকের অর্থনীতির যে ভিত্তি, সেই গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি এবং আমাদের মানুষদের বিদেশে পাঠানো, এটাও শুরু করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সরকারের অধীনে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
আজ ২৮ জুলাই শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ করে দিয়েছে। এদের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, কিন্তু এখন চালের দাম ৮০-৯০ টাকা। ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, কিন্তু এখন ২০ লাখ টাকা ঘুস না দিলে চাকরি হয় না। আবার আওয়ামী লীগ না করলে চাকরি হয় না। আমাদের দেশের মানুষ কষ্ট করে ডলার অর্জন করে রিজার্ভ বাড়ায়। আর এরা বিদেশে তা পাচার করে। এ সরকার মানবাধিকারের সরকার নয়। এরা অমানবিক সরকার।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এই গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তার আদর্শ গণতন্ত্রকে বিলীন করতে চেয়েছিল।
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকারের সময় নেই, সময় শেষ। আমাদের নেতাকর্মীরা সারাদেশ থেকে এসেছেন। তারা হোটেল উঠেছেন। কিন্তু এই সরকার পুলিশি তল্লাশি চালিয়ে প্রায় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে। জনসমুদ্র থেকে ১০০০ মানুষকে জেলে নিলে কি থামাতে পারবেন, না। এবার জনগণ বেরিয়ে এসেছে, থামাতে পারবে না। থামাতে চাইলে একটাই কথা পদত্যাগ করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য যারা থাকবে তাদের অবশ্যই যোদ্ধার সার্টিফিকেট দিতে হবে। বিষয়টি আমি তুলে ধরবো। কথা এক, হতেই হবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ। কিছু উপসর্গ দেখা দিয়েছে, পুলিশ, আদালত, নিম্ন আদালত, প্রশাসন ফের শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে চায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড মঈন খান বলেন, বিএনপি কখনো সংঘাতের রাজনীতি করে না। আমরা সংঘাত এড়াতে আগামীকালের সমাবেশ আজ করেছি। আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছে।
এর আগে দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অস্থায়ী মঞ্চে কোরআন তেলোওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক।
২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশে শুরু হলেও সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নয়াপল্টন ছাড়িয়ে ফকিরাপুল ও নটরডেম কলেজ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। অন্যদিকে পৌঁছে যায় শান্তিনগর-মৌচাক পর্যন্ত। এছাড়া কাকরাইল মসজিদ, সেগুনবাগিচা ও বিজয়নগর কালভার্ট রোডে ছড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
অনলাইন ডেস্ক :
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। আজ ৪ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
শায়রুল কবির খান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিসিএম স্প্যানিয়ার বার্ন্ড ও রাজনৈতিক কর্মকর্তা সেবাস্টিয়ান বৈঠকে উপস্থিত আছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সরকার এখন কেবল রুটিন কাজ করবে।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিংবা পুলিশের বিষয়ে যদি নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার থাকে, তারা সে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপর নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।
নির্বাচনের কারণে কোনো পলিসি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানান আইনমন্ত্রী।
পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না। এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।
এসময় রুটিন কাজের ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।
তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না এবং নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এ রকম কাজ আমরা করব না।
মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কি থাকবেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে নয়, ম্যাজিস্ট্রেটরাও নয়। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা চলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।
পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে সেটা যৌক্তিক হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটা করবে।