চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অপহরণের ঘটনায় জড়িত স্কুল শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে (৩২) গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩ ডিসেম্বর রবিবার চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থানার কাঠগড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত ইকবাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার নিবড়া এলাকার আরু মিয়ার ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক। তারই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন ইকবাল। তার উত্ত্যক্তের কারণে একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
গত ২৮ নভেম্বর ভুক্তভোগী ছাত্রীকে বাড়ির পাশ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান ইকবাল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে কসবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন। এতে ইকবালকে একমাত্র আসামি করা হয়।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে রবিবার গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কসবা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি পাত্তাইসার বাজারে সরকারি কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারে ভাঙচুর চালিয়ে দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে শামসুল আলম নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামসুল আলম কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারের সরকারি ভবনের একটি অংশ ভেঙে সেখানে দোকান স্থাপন করতে উদ্যোগ নেন। এতে এলাকাবাসীসহ খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ বাধা প্রদান করেন। শামসুল আলম এ সময় দাবি করেন, তিনি সরকারি অনুমতি নিয়েই এ কাজ করছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম, কসবা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে শামসুল আলম ও তার অনুসারীরা স্থান ত্যাগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বীজ সংরক্ষণাগারের ওই জমি ও স্থাপনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে অবস্থিত। শামসুল আলম সেই সরকারি সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত দোকান নির্মাণ করতে গেলে পুরো স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি জমি ও স্থাপনায় ব্যক্তিগতভাবে স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ধরনের দখল বা ভাঙচুর মেনে নেওয়া হবে না। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ পুনরায় সরকারি স্থাপনায় হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি সম্পত্তির ১ ইঞ্চিও অবৈধভাবে দখলের সুযোগ নেই।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি বোরো ধান সংগ্রহ শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন। আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার পৌর শহরে অবস্থিত খাদ্য গুদামে কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ উদ্বোধন করা হয়। স্থানীয় কৃষক মো.ইয়াছিন মিয়ার কাছ থেকে তিন টন ধান ক্রয়ের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের নিকট্ থেকে ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা খাদ্য অফিস।
কসবা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কাওসার সজিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা পৌরমেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো.মনির হোসেন, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, সহ-সভাপতি নেপাল চন্দ্র সাহা, সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেনসহ অন্যরা।
কসবা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় কৃষি এ্যাপের মাধ্যমে ধান বিক্রয়ে আবেদন করেন ১ হাজার ২৯ জন কৃষক। এদের মধ্যে ১ হাজার ২১ জন কৃষকের আবেদন গৃহীত হয়। ৮ জন কৃষকের আবেদন বাতিল বলে গন্য হয়। গৃহীত ১ হাজার ২১ জন কৃষকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৩শ ২০ জন কৃষককে বাছাই করেন উপজেলা প্রশাসন। তাদের নিকট থেকে আগামী ৩১ আগষ্টের মধ্যে ১১শ ১৮ মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হবে বলেন জানান খাদ্য কর্মকর্তা। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি কৃষকের নিকট থেকে সর্বোচ্চ তিন টন ধান ক্রয় করা হবে। প্রতি কেজি ধান ৩০ টাকা দরে ১২শ টাকা মন কেনা হবে এই ধান।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, লটারির মাধ্যমে বিজয়ী কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হবে এই ধান । ধান বিক্রি করতে এসে কৃষক যেন কোনো প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় সেদিকে নজরদারী থাকবে। কৃষক এবং গুদাম কর্মকর্তার মাঝখানে মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা না আসতে পারে সেদিকেও নজর থাকবে উপজেলা প্রশাসনের।
অনলাইন ডেস্ক :
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদির মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় পুলিশ কনস্টেবল জুয়েল মিয়াকে বিভাগীয় মামলায় জড়ানো হয়। ৩ বছরের জন্য তার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের ১১ দাবি বাস্তবায়নে বিক্ষোভ মিছিল শেষে জুয়েল মিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের দরুইল গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে।
২০১৮ সালে তিনি পুলিশের চাকরিতে যোগ দেন। শুরু থেকেই তিনি বান্দরবান পুলিশে কর্মরত ছিলেন। গত ২৭ জুলাই তাকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্সে বদলি করা হয়।
জুয়েল মিয়া কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সাঈদি সাহেব একজন আলেম ছিলেন। তার মৃত্যুর পর দোয়া চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এতে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন আমার বিরুদ্ধে বিভাগী মামলা করিয়েছেন। ৩ বছরের জন্য আমার বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তখন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী তদন্ত করেছিলেন।
একজন আলেম মারা গেছেন, আমি দোয়া চেয়ে কি এমন দোষ করেছি? আমার কি দোষ ছিল? আমি গরিব পরিবারের সন্তান। অনেক কষ্ট করে চাকরিটি পেয়েছি। কিন্তু আমাকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এদিকে ১১ দাবিতে পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিচার চেয়ে তারা ‘আমার ভাই কবরে, আইজি কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে কমিশনার কেন বাইরে, আমার ভাই কবরে বিসিএস কেন বাইরে, বিচার চাই বিচার চাই’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, সারা দেশে পুলিশ হতাহতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী। ‘দায়িত্বহীন’ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী সংগঠন যে ১১ দাবি দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তারা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে পুলিশ বাহিনী রাখে নাই। পুলিশ বাহিনীর পোশাক শেখ হাসিনার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমাদের আওয়ামী লীগের গোলাম বানিয়েছে। পুলিশ, পুলিশ ছিল না। পুলিশকে, পুলিশ লীগে পরিণত করা হয়েছে।
এ সময় তারা দাবি জানিয়ে বলেন, ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নিহত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। প্রতিটি পরিবারের এক সদস্যকে সরকারি চাকরি দিতে হবে। সাব ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্ট পিএসসির এবং কনস্টেবল পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অধীনে নিয়োগ দিতে হবে। পুলিশের কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা নির্ধারণসহ স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও লক্ষ্মীপুরের ৬টি থানাসহ কোনো কর্মস্থলে পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. ফারুক ইসলাম (ঘোড়া) ৮ হাজার ৮ শত ৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোস্তাক আহমদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৩শত ১০ ভোট।
আজ ২৬ মে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় কসবা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
স্থগিত হওয়া কুটি ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৩৫ জন। মোট ১১টি ভোটকেন্দ্রে রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩০ এবং বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২২৬। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট পেপারে ভুল প্রতীক মুদ্রণ হওয়ায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অভিনব কায়দায় (মাটি কাটার টুকরিতে করে) গাঁজা পাচারের সময় নজরুল ইসলাম (৪৮) ও খোকন মিয়া (৫১) নামে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার রাতে কসবা পৌর এলাকার টিআলী মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নজরুল ইসলাম নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে ও মোঃ খোকন মিয়া একই উপজেলার গোকুলনগর গ্রামের মন্তাজ আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তারা কৃষক সেজে মাথার মধ্যে মাটি কাটার অনেক গুলো টুকরি (ঝুড়ি) নিয়ে যাচ্ছিলো। পরে তাদের টুকরি তল্লাশী করে টুকরির মধ্যে বিশেষ কায়দায় রাখা ১২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।