প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শরিকরা

জাতীয়, রাজনীতি, 4 December 2023, 1301 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :

banner

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠকে বসেন জোটের নেতারা।

এতে সভাপতিত্ব করবেন জোটের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত নির্বাচন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে হতে পারে। জোটের শরিকরা কয়টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেন সেই বিষয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

প্রতিপক্ষের হামলায় নারী নিহত, দুইজন আটক

চলারপথে রিপোর্ট : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুন Read more

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সারাদেশ, 24 July 2025, 242 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সব সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এখানকার সাহসী সন্তানেরা বারবার রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। আজ ২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জুলাই পদযাত্রা শেষে পথসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

banner

নাহিদ ইসলাম বলেন, উন্নয়ন শুধু ঢাকায় নয়, দেশের প্রত্যেকটি জেলায় সুষম বণ্টন করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাসের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে বিভিন্ন জেলার গ্যাসের চাহিদা পূরণ হয়। অথচ এখানকার মানুষ গ্যাস থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমরা এমন রাষ্ট্র চাই না, যেখানে উন্নয়ন হলেও নিজের এলাকার মানুষ বঞ্চিত হয়।

পথসভায় এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জীবন ও রক্তের বিনিময়ে যে পরিবর্তনের আশা করা হয়েছিল, সেই পরিবর্তন থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে আবারও সবাইকে নিয়ে রাজপথে জীবন দিয়ে দেশকে নতুনভাবে সাজানো হবে।

আখতার হোসেন আরো বলেন, সংস্কারের মাধ্যমে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঢেলে সাজাতে হবে। কারণ, গত অর্ধশতকে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ করা হয়েছে।

পথসভায় আরো বক্তব্য দেন দলের মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহ্দী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, এনসিপি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান লিটন প্রমুখ।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং ২০২১ সালের ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে এনসিপি প্রতিনিধি দল।

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের রেলগেট এলাকা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পদযাত্রা শুরু হয়। এ সময় দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পদযাত্রাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জনসমাবেশে রূপ নেয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মসূচি শেষে এনসিপির নেতারা দুপুরেই হবিগঞ্জে উদ্দেশে যাত্রা করেন।

বিস্ফোরণে উড়ে গেল পুলিশের কব্জি, ৫ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত, রণক্ষেত্র গাজীপুর

জাতীয়, 8 November 2023, 922 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গাজীপুর। সেখানে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের এপিসি কারে এক বিস্ফোরণে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আহত সব পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

banner

আজ ৮ নভেম্বর বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো নাওজোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি এখনো (সন্ধ্যা ৬টা) উত্তপ্ত রয়েছে।

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আহতাবস্থায় পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য প্রবীর (৩০), ফুয়াদ (২৮) ও খোরশেদকে (৩০) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশিকুল (২৭) ও বিপুলকে (২৪) হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ফুয়াদের অবস্থা বেশি গুরুতর, তিনি ডান হাতের আঙ্গুল ও কব্জির নিচের অংশে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এপিসি কারের ভেতরে পুলিশ সদস্যদের অসাবধানতায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা আহত হন। একজনের হাতের কব্জি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বিস্ফোরণেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কারখানা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ী, কাশিমপুর, সফিপুর ও মৌচাকসহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। বুধবার সকালেও আন্দোলনে নামেন পোশাক শ্রমিকরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক নারী শ্রমিক নিহত হন। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল।

দুপুরের পর কোনাবাড়ী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আবার সংঘর্ষে জড়ান শ্রমিকরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাবের সমন্বয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া দেওয়া হয়। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। শ্রমিকরা পিছু হটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাওয়াল বদলে আলম সরকারি কলেজের সামনের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেন, বুধবার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মোট আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সকালে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন ও বিকেলে নাওজোড় এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। বিকেলে যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এদের মধ্যে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি এপিসি কারে বিস্ফোরণেও আহত হওয়ার ঘটনা আছে। এখন শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মো আলাউদ্দিন বলেন, গাজীপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজন পুলিশকে জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে ফুয়াদ নামে এক পুলিশ সদস্যের ডান হাতের কব্জি উড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ পেলেন নোয়াখালী সদরের ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ

জাতীয়, 13 July 2023, 1144 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টল এ উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ (পিএমএফ) ২০২৩-২৪ পেয়েছেন নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের শাপলা হলে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের এ ফেলোশিপ প্রদান করেন।

banner

এসময় প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও জিআইইউর মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন খাতের ৪৮ জন স্কলার প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ (পিএমএফ) ২০২৩-২৪ পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন। সিভিল সার্ভিস, শিক্ষাবিদ এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ চালু করা হয়। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য এখন পর্যন্ত ২৭৭ জন মাস্টার্স এবং ১০৮ জন পিএইচডি ফেলোকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

এই বৃত্তি পেতে হলে প্রত্যেক আবেদনকারীকে আগে নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০ র‍্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে থাকা যেকোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয়। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) আওতায় এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়। জিআইইউকে পিএমএফ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস ও বিসিএস নয় এবং বেসরকারি প্রার্থী-এই তিন ভাগে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বৃত্তি পাওয়া এসব ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ পাওয়া নোয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সবার কাছে দোয়া চাই। উচ্চশিক্ষার গ্রহণের পর দেশে ফিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে অতীতের ন্যায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজে করে যাবো।’

ইন্টারনেট সেবা ব্যাহতের দায় স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন পলক

জাতীয়, 2 August 2024, 570 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কোনো ভুল করে থাকলে, তার জন্য করজোড়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ ২ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে নাটোরে নিজ বাসভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

banner

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

একই সঙ্গে জুনাইদ আহমেদ বলেছেন, তাঁদের কারও দায়িত্বকর্তব্যে অবহেলার কারণে তরুণ প্রজন্ম যদি তাঁদের ভুল বোঝে, ক্ষুব্ধ হয়, তাহলে সে দোষে যেন তাঁরা শাস্তি পান। যেকোনো সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিতে রাজি আছেন। কিন্তু তাঁদের ব্যর্থতার কারণে প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করা হলে তাঁরা কষ্ট পান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ভুল না বুঝতে আহ্বান জানান।

সরকারের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যে দূরত্ব হয়েছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের দোষ নেই। এটি আমাদের দোষ। এই দায় আমাদের, যারা আমরা দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি। এই ব্যর্থতা আমাদের এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই ব্যর্থতা আমারও।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, এটা কখনোই তাদের প্রতি কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান সম্ভব নয়। সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সমাধান করতে হবে। কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে শাসনের পথ বেছে না নিয়ে আমরা যদি তাঁদের প্রতি সংবেদনশীল হই, স্নেহ–মমতা নিয়ে তাঁদের কাছে বসি, তাঁদের কথা শুনি, তাহলে আমাদের বিশ্বাস, অবশ্যই এই ভুল–বোঝাবুঝির দূরত্ব দূর হবে এবং ষড়যন্ত্রকারীরা সরকারের সঙ্গে যে চেষ্টা করছে, তা সফল হবে না।’

শোকসভায় বক্তব্যের শুরুতে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে আমাদের এই শোকসভা, আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করছি, উপস্থিত হয়েছি, যখন আমাদের এই বাংলাদেশ, শিশু, কিশোর, কিশোরী, আমাদের সন্তানেরা একটি আন্দোলনে আছে। যখন আমাদের সরকারের সঙ্গে এই ছাত্রছাত্রী ভাইবোনেদের একটি ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সেই সময়ে দেশে–বিদেশে স্বাধীনতাবিরোধী, দেশবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে অশান্ত করা ও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁদের যৌক্তিক কোটাবিরোধী আন্দোলন রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে করেছেন। তাঁদের এক মাস আন্দোলনে কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আওয়ামী লীগের বা ছাত্রলীগের কেউ তাঁদের কোনো জায়গায় কোনো আঘাত করেনি। তারাও কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। পুলিশ কোথাও শক্তি প্রয়োগ করেনি। কিন্তু মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়ে ছাত্র মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে অশান্তির চেষ্টা করে বিএনপি–জামায়াত, ছাত্রদল–শিবির, জঙ্গি সন্ত্রাসীরা।

তবে সরকারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘যে দূরত্ব ও ভুল–বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, সেটা আমাদের দূর করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ঘর, প্রতিবেশী ও প্রতিষ্ঠান থেকে করতে হবে। ছাত্রছাত্রী ভাইবোনদের চোখের ভাষা আমাদের বুঝতে হবে। তাঁদের মনের কথা বুঝতে হবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ব্যাপক প্রাণহানি এবং দেশ টানা ৫ দিন ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় সরকারের পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রীও সমালোচনার মুখে রয়েছেন। সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করলেও তিনি বলেছেন, মহাখালীতে ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও ফাইবার কেবল কাটা পড়ায় ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়।

প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেট বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেশব্যাপী ইন্টারনেটের সেবা ব্যাহত হওয়ার জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, তাহলে সে আমি। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেশব্যাপী ইন্টারনেট ব্যাহত হওয়ার দায় আমার। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ হওয়ার জন্য যদি কারও শাস্তি হয়, তাহলে আমার হওয়া উচিত। কিন্তু কেন প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হচ্ছে?’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে হামিদ কারজাই মার্কা সরকার বসানোর জন্য কিছু মুখোশধারী, চক্রান্তকারী টিভিতে ভালো মিষ্টি কথা বলছেন। এ ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটন করতে সময় লাগবে।

গুজব প্রতিরোধ করতে ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যদি তিনি ব্যর্থ হন, সে জন্য আওয়ামী লীগ ও সংযোগী সংগঠনের সদস্যরা প্রতিমন্ত্রীকে দোষারোপ করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

মিথ্যা মামলা করলে কী কী শাস্তি?

জাতীয়, 28 June 2025, 282 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো মিথ্যা মামলা। হরেদরে যে কারো নামে হচ্ছে মামলা। বিভিন্ন চক্র নেমে পড়েছে মামলা বাণিজ্যে। মূলত চাঁদাবাজি ও হয়রানির জন্যই দায়ের করা হচ্ছে এসব মিথ্যা মামলা। আর এই বাণিজ্য এতটাই রমরমা হয়ে উঠেছে যে, সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ, এমনকি সরকারের উপদেষ্টারাও মিথ্যা মামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন।

banner

তবে মিথ্যা মামলা দায়ের করার জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তির বিধান। মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলেই বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন আদালত। এমনকি মামলার সাক্ষী ও পুলিশের যে কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তাদের জন্যও রয়েছে কঠোর সাজার বিধান।

কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া— দুটিই ফৌজদারি অপরাধ এবং এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। দণ্ডবিধির ২১১ ধারা অনুসারে মিথ্যা মামলা দায়েরকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। তবে এজন্য মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে হবে।

বিচারক যদি মনে করেন যে, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা, ভিত্তিহীন, তুচ্ছ, বিরক্তিকর বা হয়রানিমূলক এবং আসামির প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে মামলাটি করা হয়েছে, তাহলে তিনি ওই মামলাকে মিথ্যা মামলা হিসেবে গণ্য করতে পারেন। বিচারক অভিযোগকারী বা মামলা দায়েরকারীকে দণ্ড দিতে পারেন। এ ছাড়া সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিজে বাদী হয়ে আলাদা মামলাও করতে পারেন।

বিচারক দুইভাবে ব্যবস্থা নিতে পারেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা অনুযায়ী মিথ্যা অভিযোগকারীকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দিতে পারেন। প্রয়োজনে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে দণ্ডমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারেন। ২৫০ ধারা অনুযায়ী কোনো পুলিশ কর্মকর্তা মিথ্যা প্রতিবেদন দিলে তাঁর বিরুদ্ধেও ক্ষতিপূরণের আদেশ দিতে পারেন আদালত।

আরেকটি সাজার বিধান রয়েছে দণ্ডবিধির ২১১ ধারায়। মিথ্যা অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে এই ধারায় দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। সঙ্গে হতে পারে অর্থদণ্ডও। তবে মিথ্যা মামলাটি যদি মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন এবং সাত বছর বা এর বেশি মেয়াদের দণ্ডনীয় অপরাধ সম্পর্কে হয়; তাহলে বাদীকে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনেও মিথ্যা মামলা দায়েরকারীকে সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

মিথ্যা সাক্ষীর ক্ষেত্রেও কঠোর বিধান রয়েছে। মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে বা সাক্ষ্য বিকৃত করলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডে দণ্ড হতে পারে। আরেক ধারায় মৃত্যুদণ্ডযোগ্য কোনো অপরাধে মিথ্যা সাক্ষী দিলে ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।