ডেস্ক রিপোর্ট :
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে স্বাগতিকরা দুই ম্যাচ সিরিজ জিতলো ২-০ ব্যবধানে। আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার বড় জয় দিয়েই বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল শেষ করতে যাচ্ছে ২০২৩ সাল।
বাংলাদেশের বড় জয়ে জোড়া গোল করেছেন তহুরা খাতুন ও রিতুপর্না চাকমা। অন্য চার গোল সানজিদা, সাবিনা, মাতসুসিমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়রের। প্রথমার্ধে তিন গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বাংলাদেশ। মাঝ মাঠে ‘ম্যাজিক্যাল মনিকা’ সিঙ্গাপুরের তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে লম্বা পাস দেন সাবিনা খাতুনকে। বক্সে বলটি ধরে জায়গা বানিয়ে শট নিয়েছিলেন সাবিনা। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেন সাবিনার শট। ফিরতি বলে তহুরার শট চলে যায় ওপর দিয়ে।
১১ মিনিটে সাবিনার সামনে এসেছিল আরেকটি সুযোগ। বাঁ দিক দিয়ে ঢুকে সাবিনা যে শট নেন, তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ৫ মিনিট পর লিড নেয় বাংলাদেশ।
ডান দিকে বক্সের মাথা থেকে সাবিনার ফ্রি-কিক থেকে আফিদার ভলি যায় মাসুরার সামনে। তিনি হেড নিলে বল যায় তহুরার কাছে। প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করা তহুরা খাতুন সুযোগ মিস করেননি। হেডে বল জড়িয়ে দেয় জালে।
পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। সাবিনার কর্নার পোস্টের সামনে থেকে ক্লিয়ারের চেষ্টা করেছিলেন সিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডার ডরকাস চু। বল পেয়ে যান রিতুপর্না চাকমা। তিনি বা পায়ের আলতো টোকায় বল পাঠান জালে।
২৪ মিনিটে সানজিদার ক্রস থেকে রিতুপর্না চাকমা বল ঠেলে দিয়েছিলেন গোলমুখে। সামনেই দাঁড়ানো ছিলেন তহুরা। বল জালে ঠেলে দিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন কলসিন্দুরের এই যুবতী।
বিরতির পর বাংলাদেশ ব্যবধান ৪-০ করে ৫৭ মিনিটে। বাঁ দিক দিয়ে রিতুপর্না বল নিয়ে ঢুকে পাস দিয়েছিলেন তহুরাকে। তহুরার শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বল সানজিদার কাছে গেলে প্লেসিংয়ে গোল করেন তিনি।
দলের পঞ্চম গোল করেন রিতুপর্না চাকমা। মনিকা চাকমা বাড়ানো বল ধরে বাম দিক দিয়ে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বা পায়ের ভলিতে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রিতুপর্না।
৭৫ মিনিটে দলের ষষ্ঠ গোল করেন সাবিনা খাতুন। ডান দিক থেকে বদলি শামসুন্নাহারের ক্রসে সাবিনা ডান পায়ের প্লেসিংয়ে বল পাঠান জালে। ৮৭ মিনিটে সপ্তম গোল করেন বদলি মাতসুসিমা সুমাইয়া।
এখানেই শেষ হয়নি। ইনজুরি সময়ে আরো একবার সিঙ্গাপুরের জালে বল পাঠায় বাংলাদেশ। এবার বাঁ দিক থেকে রিতুপর্নার ক্রস থেকে বদলি শামসুন্নাহার প্লেসিংয়ে ৮-০ করেন।
বাংলাদেশ একাদশ রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আফিদা খন্দকার, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, রিতুপর্না চাাকমা, তহুরা খাতুন ও সাবিনা খাতুন।
অনলাইন ডেস্ক :
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। তবে ব্যক্তিগতভাবে নিজের সামর্থ্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন দলটির তারকা অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। এবার ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে তিনি একটি বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। রাজা টানা পাঁচ ম্যাচে খেলেছেন অর্ধশত রানের বেশি ইনিংস। কেবল ব্যাট হাতেই নয়, বল হাতেও সমান উজ্জ্বল ৩৭ বছর বয়সী এই তারকা।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। গত রোববার অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল লঙ্কানরা। ওই হারের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক রাজা বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। ম্যাচটিতে তিনি খেলেছেন ৪২ বলে ৬২ রানের ইনিংস। পাশাপাশি মাত্র ১৩ রানেই শিকার করেছেন ৩ উইকেট। তবে তার এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সও দলের হার ঠেকাতে পারেনি।
এর আগে খেলা চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ফিফটি পেয়েছিলেন রাজা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে রুয়ান্ডার বিপক্ষে তিনি প্রথম ফিফটি হাঁকান। ৩৬ বলে ৫৮ রানের পাশাপাশি ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। পরের ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ৩৭ বলে ৬৫ রান এবং ১৩ রানে ২ উইকেট নেন। তৃতীয় ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে ৪৮ বলে ৮২ রান এবং ২১ রানে শিকার করেছেন ২ উইকেট। চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪২ বলে ৬৫ রান এবং ২৮ রানে ৩ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেন।
এর আগে সর্বোচ্চ টানা চার টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের সাবেক কিংবদন্তি অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের টানা চার ম্যাচে রানের পরিসংখ্যান ছিল এরকম— ৫৯ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ৬১ (অস্ট্রেলিয়া), ৫৬* (ভারত) ও ৬৯* (ভারত)। এভাবে সমান চারটি করে টানা ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ড আছে আরও পাঁচ ক্রিকেটারের। তারা হচ্ছেন— উইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্রিস গেইল, নামিবিয়ার ক্রেইগ উইলিয়ামস, কানাডার রায়ান পাঠান, ফ্রান্সের গুস্তাভ ম্যাককন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হেনড্রিক্সের। পাঁচটি অর্ধশতরান করে সবার ওপরে ওঠে গেলেন রাজা।
গত প্রায় দুই বছর ধরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্ম করছেন রাজা। কিন্তু জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের জন্য এই সময়টা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। দেশের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব দুর্দান্ত শুরু করেও শেষ সময়ে পথ হারিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে পারেনি তারা। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আফ্রিকান অঞ্চলে নামিবিয়া ও উগান্ডার কাছে হেরে ছিটকে পড়ে তারা।
বিনোদন ডেস্ক :
ইউটিউবার থেকে তারকা হয়ে ওঠা সালমান মুক্তাদির বিয়ে করেছেন। গত ৩০ এপ্রিল তিনি বিয়ে করেছেন। আজ ২ মে মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন এই ইউটিউবার-অভিনেতা।
সালমান মুক্তাদির সবসময় আলোচনায় থেকেছেন একাধিক প্রেম নিয়ে। প্লে-বয় তকমাটা তার নামের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছিল। তবে এবার প্লে-বয় ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসলেন সালমান। থিতু হলেন এক নারীতে।
স্ত্রীর সঙ্গে কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবিও প্রকাশ করেছেন সালমান। সেসব ছবির ক্যাপশনে লেখেন, বাকিটা জীবনের জন্য আমার প্রিয় স্ত্রী। তবে স্ত্রীর পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
এদিকে ছবিগুলোর মন্তব্যের ঘরে শুভ কামনা জানাচ্ছেন সালমানের অনুরাগীরা। দুই জনের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছেন তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি পথে সড়কের ধারে হঠাৎ দৃষ্টি আটকে যায় পথিকের। থমকে দাঁড়িয়ে দেখেন জাতীয় পতাকার আদলে সাজানো হয়েছে ধানক্ষেত। আগ্রহ নিয়ে তারা এ সৌন্দর্য উপভোগ করেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের সৌখিন কৃষক রনজিৎ সাহার ধান ক্ষেতে এমন চিত্রের দেখা মেলে।
চলতি বোরো মৌসুমে নিজের প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সবুজ ও বেগুনি রঙের ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি। পার্থক্য শুধু লালের জায়গায় বেগুনি বৃত্ত। নতুন জাতের এ ধানের নাম ‘পার্পল লিফ রাইস’।
কৃষক রনজিৎ সাহা বলেন, প্রথমে সুতা দিয়ে মেপে জমিতে জাতীয় পতাকার গঠন তৈরি করি। এরপর সে অনুযায়ী রোপণ করি দুই জাতের ধানের চারা। দেশ ও পতাকার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই আমার এই আয়োজন।
পথচারী আলমগীর হোসেন বলেন সবুজ-বেগুনিতে এতো সুন্দর ধানের জমি আর দেখিনি। লোক মুখে শুনে জমি দেখতে এখানে আসা। যিনি এই জাতীয় ধান আবাদ করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
পথচারী সিরাজুল ইসলাম রুবেল বলেন, ফসলের মাঠে সবুজ-বেগুনিতে জাতীয় পতাকা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। কাকলী আক্তার বলেন, ধানক্ষেতের চারপাশে সবুজ রঙের ধান আর মাঝখানে বেগুনি রঙের ধান রোপণ করায় দেশের জাতীয় পতাকার আদল হয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবীর বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে তার জমিতে জাতীয় পতাকার প্রতিকৃতি ধান ক্ষেতে ফুটিয়ে তুলেছেন। কাজটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার জানিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এ উপজেলায় বেগুনি রঙের ধানের আবাদ শুরু হয়। সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। এ ধানের গাছের পাতা ও কাণ্ডের রঙ বেগুনি। তাই এটি রঙিন ধান হিসাবে পরিচিত।
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রতিপক্ষের কান্না দেখার নির্মম সুখ ক্রীড়াঙ্গনে চূড়ান্তভাবে বৈধ। প্রতিপক্ষের উঠানে পা রেখে জিতলে তো কথাই নেই। প্যাট কামিন্স তাই বলেছিলেন, ‘ভরা গ্যালারি স্তব্ধ করার মতো আনন্দ আর নেই।’ আহমেদাবাদের ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শক ধারণক্ষম নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সেটাই করেছে অস্ট্রেলিয়া।
নীল জার্সিতে ছেয়ে যাওয়া গ্যালারিকে ঢেউহীন, গতিহীন, স্তব্ধ নীল জলের ‘প্রশান্ত সাগর’ বানিয়ে ছেড়েছে তারা। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের বড় জয়ে লিখেছে আহমেদাবাদ ট্রাজেডি। ষষ্ঠ শিরোপা তথা সম্পন্ন করেছে ‘মিশন হেক্সা’।
সূর্য ডুবতেই শিশিরের প্রভাব বাড়বে। সেটা জেনেই টস জিতে বোলিং নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। গ্রুপ পর্বের মতো ফাইনালেও বল হাতে ভারত শিবিরে ধাক্কা দেন বোলাররা। শুরুতে শুভমন গিলকে (৪) ফেরার মিশেল স্টার্ক। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু দেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অধিনায়ক রোহিত ৩১ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। চারটি চার ও তিনটি ছক্কা মেরে ফিরতেই ম্যাচের লাগাম হাতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১০.২ ওভারে ৮১ রানে ভারতের ৩ উইকেট তুলে নেয় তারা।
ওই চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল। তারা ৬৭ রানের জুটি গড়েন। কোহলি ৬৩ বলে চারটি চারের শটে ৫৪ রান করে প্লেড অন হন। স্তব্ধ হয়ে যায় মোদি স্টেডিয়াম। আর প্রাণ ফেরেনি গ্যালারিতে। ১৪৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারত। তারাই ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হয়েছে ২৪০ রান করে। কেএল রাহুল উইকেট কামড়ে থাকার চেষ্টা করেও পারেননি। তিনি ১০৭ বলে মাত্র একটি চারের শটে ৬৬ রান করেন।
জবাব দিতে নেমে ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়াও। সপ্তম ওভারে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। একে একে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার (৭), মিশেল মার্শ (১৫) ও স্টিভ স্মিথ (৪)। তাদের ফিরিয়ে ভারত ‘ঘরের মাঠে নাহি দেব ছাড়’ বার্তা দিলেও ওপেনার ট্রাভিস হেড এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ম্যাচের বাকি অংশের চিত্রনাট্য লেখেন।
ইনজুরিতে গ্রুপ পর্বের অর্ধেক ম্যাচ মিস করা এই ব্যাটার খেলেন ১২০ বলে ১৩৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫টি চার ও চারটি ছক্কার শট। দুর্দান্ত ইনিংসে হেড ম্যাচ সেরা হয়েছেন। মনে করিয়েছেন ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে অ্যাডাম গিলক্রিস্টের সেই ইনিংসকে।
তবে কৃতিত্ব দিতে হবে মার্নাস লাবুশানকে। তিনি শুরুতে উইকেট হারানোর পুরনো চাপটা কাঁধে তুলে নেন। হেডকে শট খেলার সাহস দিয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে খেলেন ১১০ বলে চারটি চারের শটে ৫৮ রানের হার না মানা ইনিংস। এর আগে ভারতকে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেন অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার। স্টার্ক নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও হ্যাজলউড।
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। রোববার (১১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২১ হাজার ৭৮১ জন। তাদেরকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫৬ হাজার ৪৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮৪৮ জন। এ সময়ে টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৪২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪ জন।
২০২১ সালের ১ নভেম্বর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৯ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে প্রথম ডোজ পেয়েছেন ২৪২ শিক্ষার্থী। দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৬৮৯ শিক্ষার্থী। তবে এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়নি।
এদিকে, এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮০০টি। এছাড়া দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৪২১ শিশুকে। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ভাসমান জনগোষ্ঠীর ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮০ জনকে জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৭০ জন।