বিনোদন ডেস্ক :
ভারতীয় গোয়েন্দা ভিত্তিক প্রথম টিভি সিরিজ ‘সি. আই. ডি’ এর অভিনেতা দীনেশ ফাদনিস মারা গেছেন। সোমবার দিবাগত রাত ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুম্বাইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দীনেশকে। তারপর থেকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আজ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
প্রথমে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দীনেশ। কিন্তু এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানান সিআইডির আরেক অভিনেতা নয়ানন্দ শেঠি। এ অভিনেতা পিঙ্কভিলাকে বলেন, ‘এটি হার্ট অ্যাটাক নয়; তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে দ্রুত তাকে তুঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত দুই দিন তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি আশঙ্কাজনক ছিল। তবে এখনো তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। আশা করছি, খুব শিগগির সে সুস্থ হয়ে ওঠবে।’
মূলত, ঔষুধের প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দীনেশ। তা জানিয়ে দয়ানন্দ শেঠি বলেন, ‘দীনেশের অন্য রোগের চিকিৎসা চলছিল। সেসব ঔষুধের প্রতিক্রিয়ায় দীনেশের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য খুব ভেবেচিন্তে ঔষুধ খাওয়া উচিত।’
১৯৯৭ সালে প্রচার শুরু হয় সিআইডির। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ সিরিয়ালের ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিক্স বা ফ্রেডি চরিত্রে অভিনয় করেন দীনেশ ফাদনিস। তার চরিত্রটি টেলিভিশন দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নব্বই দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতীয় টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় শোগুলোর একটি সিআইডি।
অনলাইন ডেস্ক :
ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন ম্যাচ জিতে ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু ফাইনালে প্রতিপক্ষ কে সেটা অজানা ছিল। সেটিও পেয়ে গেছে স্বাগতিকরা। আজ পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তাতে কোনো ম্যাচ না জেতায় টুর্ণামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে পাকিস্তান। আর একটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।
আজ ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৯৬ রানে।
ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সামিয়া আফসার ও আরিশা আনসারি। দুজনে যোগ করেন ৭৪ রান। ৫৮ বলে ৪৮ করেন সামিয়া।
দলীয় ৮৯ রানের মাথায় রান আউট হন এই ব্যাটার। ৪১ বল খেলা আরিশা ২৬ রানে ফেরেন রাবেয়া খাতুনের বলে জান্নাতুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন রাবেয়া। পাকিস্তানের বাকি তিন ব্যাটারই হয়েছেন রান আউট। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশেরও।
এর পরও অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তারের ৩৮ এবং আফিয়া আসিমার ১৬ রানে ভর করে ১৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
স্পোর্টস ডেস্ক :
ঘটনাবহুল একটি ম্যাচ। মুশফিকের দুরন্ত ক্যাচ, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের টাইমড আউটের পরও চারিথ আশালঙ্কার দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং এক লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান শ্রীলঙ্কাকে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চারিথ আশালঙ্কার অনবদ্য ১০৮ রানের ওপর ভর করে ৪৯.৩ ওভারে ২৭৯ রান তুলতে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম এবং সাকিব আল হাসান। ১ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই কুশল পেরেরার উইকেট নিয়ে শুভ সূচনা করেন শরিফুল ইসলাম। ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন কুশল পেরেরা। এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে জুটি বাধার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। কিন্তু ৩০ বল খেলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান কুশল মেন্ডিস।
সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে শ্রীলঙ্কার রান বাংলাদেশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নেয়ার চেষ্টা করেন চারিথ আশালঙ্কা। কিন্তু ২৫তমওভারের দ্বিতীয় বলে সামারাবিক্রমা আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তিনি করেন ৪১ রান।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ টাইমড আউট হয়ে যান। তবে চারিথ আশালঙ্কা ১০৫ বলে ১০৮ রান করে আউট হন তানজিম সাকিবের বলে। ৩৬ বলে ৩৪ রান করেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩১ বলে ২২ রান করেন মহেশ থিকসানা। দুষ্মন্তে চামিরা আউট হন ৪ রান করে।
অনলাইন ডেস্ক :
পুরো ২০২৪ সালজুড়েই এক যুবকের সঙ্গে কাটাতে দেখা গেছে বলিউডের তারকা অভিনেত্রী কৃতি শ্যাননকে। কে এই যুবক? তা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। তবে ২০২৪-এর শেষের দিকে এসে জানা যায়, যুবকের নাম কবীর বাহিয়া। যিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও কোটিপতি।
নতুন বছরের শুরুতেই কবীরকে নিয়ে দিল্লি এসেছেন কৃতি। শোনা যাচ্ছে, প্রেমিকের দিল্লি আসার কারণ তাকে বাবা-মায়ের সাথে আলাপ করাতে চান কৃতি। এটাও শোনা যাচ্ছে, সব ঠিকঠাক থাকলে নাকি চলতি বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তারা।
এসবের মধ্যেই যা নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে তা হলো, দু’জনের বয়সের পার্থক্য। কৃতির থেকে বয়সে অনেকটা ছোট কবীর। সেটাও নাকি চোখে পড়ার মতো। লাস্যময়ী এই অভিনেত্রীর বর্তমান বয়স ৩৪ বছর। অন্যদিকে কবীরের বয়স ২৪ বছর। দুইজনের বয়সের পার্থক্য প্রায় ১০ বছরের। ভালোবাসায় তবে কবেই সেসব বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে?
অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠমহল জানাচ্ছে, দু’জনেই প্রেমে মজেছেন। যে কারণে খুব শীঘ্রই বিয়ের পরিকল্পনা করছেন এই জুটি। চলতি বছরটা কৃতি শুরুই করেছিলেন কবীরের সঙ্গে। বর্ষবরণের রাতে একসাথে ক্যামেরাবন্দি হন তারা। তবে এযাবৎ কৃতি বা কবীর কেউই তাদের প্রেমের কথা স্বীকার করেননি।
এর আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল কৃতির। শোনা যায়, একসাথে ছবি করতে গিয়েই নাকি প্রেমে পড়েন তারা। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তাকে উদ্দেশ্য করে এক মন উজাড় করা পোস্ট করেছিলেন কৃতি।
তবে সুশান্ত অধ্যায় এখন অতীত। বয়সে ১০ বছরের ছোট কবীরকেই মন দিয়েছেন তিনি। দুইজনের বিয়েটাও নাকি শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
অনলাইন ডেস্ক :
দিনের শুরুটা ভালো না হলেও পরবর্তীতে বোলার ও ব্যাটারদের দুর্দান্ত নৈপুন্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৭০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে বসে গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।
আজ ১৫ জুন বৃহস্পিতবার সকালে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। এতে প্রথম ইনিংস থেকে টাইগাররা ২৩৬ রানের লিড পেলে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানিস্তানকে ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে দ্বিতীয়বারের মত ব্যাট হাতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ১৩৪ রান করে বড় লিড দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৯ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৬২ রান করেছিলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৪৬, মাহমুদুল হাসান জয় ৭৬ রানে আউট হন। দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
আজ, দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের পরের দিকের ব্যাটাররা। বাকী ৫ উইকেটে মাত্র ২০ রান যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। ৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরমধ্যে ৩টিই নেন আফগানিস্তানের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা নিজাত মাসুদ।
মুশফিক ৭৬ বলে ৪টি চারে ৪৭ ও মিরাজ ৮টি চারে ৮০ বলে ৪৮ রানে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে তাসকিন আহমেদ ২, তাইজুল শূন্য, শরিফুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। বল হাতে আফগানদের পক্ষে সেরা বোলার ছিলেন প্রথম দিন ২ উইকেট নেয়া মাসুদ। ১৬ ওভারে ৭৯ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। ৫ ওভারে ১৭ রান তুলে ফেলেন তারা। অবশ্য দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে বিচ্ছিন্ন হতে পারতেন জাদরান ও মালিক। শরিফুলের বলে লিটনের হাতে জীবন পান জাদরান।
জীবন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জাদরান। ষষ্ঠ ওভারে শরিফুলের শিকার হন তিনি। ৬ রান করেন জাদরান। এরপর আফগানিস্তানের উপর চাপ বাড়ান আরেক পেসার এবাদত। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে আফগানদের ২ উইকেট তুলে নেন এবাদত। মালিককে ১৭ ও রহমত শাহকে ৯ রানে শিকার করেন এবাদত। এতে ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে বিরতিতে যায় আফগানিস্তান।
বিরতি থেকে ফিরে আফগানিস্তান শিবিরে দ্বিতীয়বারের মত আঘাত হানেন শরিফুল। অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শাহিদিকে ৯ রানে থামান তিনি। এতে ৫১ রানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এ অবস্থায় দলের হাল ধরে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আফসার জাজাই ও নাসির জামাল। জুটিতে ৭৩ বলে ৬৫ রান তুলে উইকেটে সেট হয়ে যান তারা। এ অবস্থায় জুটি ভাঙ্গতে মরিয়া ছিলো বাংলাদেশ।
অবশেষে দলীয় ১১৬ রানে জামালকে লেগ বিফোর আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মিরাজ। ৬টি চারে ৩৫ রান করেন জামাল।
মিরাজের ব্রেক-থ্রুর পর আফগানিস্তানকে চেপে ধরেন এবাদত ও তাইজুল। এতে ৩৯ ওভারে ১৪৬ রানে শেষ হয় আফগানদের প্রথম ইনিংস। আফগানদের পক্ষে জাজাই সর্বোচ্চ ৩৬ ও জানাত ২৩ রান করেন।
এবাদত ৪৭ রানে ৪টি, শরিফুল ২৮ রানে, তাইজুল ৭ রানে এবং মিরাজ ১৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন। ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৫০ ও মিরপুরের ভেন্যুতে ৫০ শিকার পূর্ণ করেন মিরাজ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩৮২ রানের জবাবে ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
জাকির হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করে প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান মাহমুদুল হাসান জয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আফগানিস্তানের বাঁ-হাতি স্পিনার আমির হামজার বলে আউট হন ৪টি চারে ১৩ বলে ১৭ রান করা জয়।
দলীয় ১৮ রানে জয়ের বিদায়ের পর জাকিরকে নিয়ে ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পেয়ে আহমাদজাইর করা ১৮তম ওভারে শেষ চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন শান্ত।
ইনিংসের ২১তম ওভারে বাউন্ডারি মেরে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। পরের ওভারের প্রথম বলে চারের সহায়তায় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত। হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে অবিচ্ছিন্ন থেকে দিন শেষ করেন জাকির ও শান্ত। দু’জনই ৬৪ বল করে খেলে সমান ৫৪ রানেই অপরাজিত আছেন। জাকির ৬টি ও শান্ত ৮টি চার মারেন।
স্কোর কার্ড (টস-আফগানিস্তান)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস (প্রথম দিন শেষে ৩৬২/৫, ৭৯ ওভার, মুশফিক ৪১*, মিরাজ ৪৩*) :
মাহমুদুল হাসান ক ইব্রাহিম ব রহমত ৭৬
জাকির হাসান ক আফসার ব নিজাত ১
নাজমুল হোসেন শান্ত ক নাসির ব হামজা ১৪৬
মোমিনুল হক ক আফসার ব নিজাত ১৫
মুশফিকুর রহিম ক জামাল ব মাসুদ ৪৭
লিটন দাস ক ইব্রাহিম ব জহির ৯
মিরাজ ক হামজা ব আমাদজাই ৪৮
তাসকিন এলবিডব্লু ব আজাদজাই ২
তাইজুল ক মালিক ব নিজাত ০
করিফুল বোল্ড মাসুদ ৬
এবাদত অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৮, লে বা-১, নো-১৬, ও-৭) ৩২
মোট (অলআউট, ৮৬ ওভার) ৩৮২
উইকেট পতন : ১/৬ (জাকির), ২/২১৮ (মাহমুদুল), ৩/২৫৬ (মোমিনুল), ৪/২৭১ (শান্ত), ৫/২৯০ (লিটন), ৬/৩৭৩ (মিরাজ), ৭/৩৭৫ (মুশফিক), ৮/৩৭৫ (তাইজুল), ৯/৩৭৭ (তাসকিন), ১০/৩৮২ (শরিফুল)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ১০-১-৩৯-২ (নো-১),
মাসুদ : ১৬-২-৭৯-৫ (ও-১, নো-৪),
জানাত : ১১-৩-৩৩-০ (ও-১),
জহির : ১৬-০-৯৮-১ (ও-১, নো-৮),
হামজা : ২৪-১-৮৫-১ (নো-৩),
শাহিদি : ৩-০-৯-০
রহমত : ৬-১-৩০-১।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস :
জাদরান ক লিটন ব শরিফুল ৬
মালিক ক জাকির ব এবাদত ১৭
রহমত ক তাসকিন ব এবাদত ৯
শাহিদি ক মিরাজ ব শরিফুল ৯
জামাল এলবিডব্লু ব মিরাজ ৩৫
জাজাই ক শরিফুল ব এবাদত ৩৬
জানাত স্টাম্প লিটন ব মিরাজ ২৩
হামজা ক মোমিনুল ব এবাদত ৬
আহমাদজাই ক লিটন ব তাইজুল ০
মাসুদ ক জাকির ব তাইজুল ০
জহির অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (লে বা-১, নো-৪) ৫
মোট (অলআউট, ৩৯ ওভার) ১৪৬
উইকেট পতন : ১/১৮ (জাদরান), ২/২৪ (মালিক), ৩/৩৫ (রহমত), ৪/৫১ (শাহিদি), ৫/১১৬ (জামাল), ৬/১১৬ (জাজাই), ৭/১২৮ (হামজা), ৮/১৪০ (আহমাদজাই), ৯/১৪৬ (মাসুদ), ১০/১৪৬ (জানাত)।
বাংলাদেশ বোলিং :
তাসকিন : ৭-০-৪৮-০ (নো-৪),
শরিফুল : ৮-২-২৮-২,
এবাদত : ১০-১-৪৭-৪,
তাইজুল : ৫-০-৭-২,
মিরাজ : ৯-১-১৫-২।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস :
মাহমুদুল হাসান ক জাদরান ব হামজা ১৭
জাকির হাসান অপরাজিত ৫৪
নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৫৪
অতিরিক্ত (নো-৩, ও-৬) ৯
মোট (১ উইকেট, ২৩ ওভার) ১৩৪
উইকেট পতন : ১/১৮ (জয়)।
আফগানিস্তান বোলিং :
আহমদজাই : ৫-০-৩৪-০,
মাসুদ : ৩.৫-০-৩০-০ (নো-৩),
হামজা : ৬.১-০-২৭-১,
জানাত : ৪-০-২৪-০ (ও-২),
জহির : ৪-০-১৯-০।
অনলাইন ডেস্ক :
নতুন যুগে পা রাখলো লঙ্কান ক্রিকেট। অবশেষে ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান পেলো তারা। আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে বিধ্বংসী এক ডাবল হাঁকিয়েছেন পাথুম নিশাঙ্কা।
ওপেনিংয়ে নেমে একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার কীর্তিও গড়েছেন নিশাঙ্কা। ১৩৯ বলে তার ২১০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসটিতে ছিল ২০টি চার আর ৮টি ছক্কার মার।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়লেন নিশাঙ্কা। এই ফরম্যাটে ডাবল সেঞ্চুরি করা বিশ্বের দশম ব্যাটার তিনি।
ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনা আছে আজসহ ১২টি। এর মধ্যে ভারতের রোহিত শর্মা একাই হাঁকিয়েছেন তিনটি।
নিশাঙ্কার চোখ ধাঁধানো ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়েছে লঙ্কানরা। আভিষ্কা ফার্নান্ডোর সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই ১৮২ রান তুলে দেন নিশাঙ্কা। ফার্নান্ডো সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন বল সমান ৮৮ রানের ইনিংস খেলে। এছাড়া ৩৬ বলে ৪৪ করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।